দেখো, গরীব দুঃখিনী মায়েরা পায় না খুঁজে কচু-ঘেচু-শাকপাতা
পতিত জমিন নেই আঁচলে ভরবে হেলেঞ্চা, কলমি, বাইতা শাকের ডগা
বিলের শাপলা, শালুক, ঢেপেরা গেছে রূপকথার দীঘিতে ভেসে
বাড়ির পেছনে জংলা ঝোপঝাঁড় গাছেরাও নেই কোনো আজ
পেটের ক্ষুধায় কিশোর কিশোরী খাবে বনজ ফলটা ছিঁড়ে
দমকলস, ঝুমকো জবার মধু পায় না বাড়ির আঙিনা ঘুরে
ঘরেতে ভাতের অভাব, হাড়হাভাতের দলেরা খুঁজে ফেরে
গাছের শিকড়, কলার মোছা, কাইঞ্জাল, কচুর লতা সব!
বিস্তৃত মাঠের সবুজে শ্যামলে শুধু ধানচাষ করে কৃষকেরা
উচ্চ ফলনশীল ইরির ক্ষেত ভরা বিআরআর-এগারো, ঊনত্রিশ
তেমন চাহিদা নেই দেশি ধান, গম, আলু, ডাল, পিঁয়াজ, রসুন
তবু বাংলায় ভাতের হাহাকার মঙ্গা ও দুর্ভিক্ষ প্রতিদিন
একবিংশ শতাব্দীতে এসেও মানুষ মরে পেটের ক্ষুধায় দেখো!
ধনতন্ত্র নিয়ে জলপাই আসে পুঁজিবাদী জাহাজের খোলে
আসে সমরাস্ত্র, যুদ্ধ জাহাজ, এলএমজি, এসএলআর
পথে পাহারা উদ্যত সঙ্গীন শান্ত্রীরা হাঁটে, মিছিল হয় না আর!
'খাও আলু, মাখো তেল'- বলে অধুনা খাবার সংস্কারক
চ্যানেলে চ্যানেলে টক শো’তে মাতে বৃদ্ধিজীবির দঙ্গল!
ঘুমপাড়ানিয়া ভুলে গেছে মায়ে ভাতের সংগ্রামে ঘুরে
ছোট্ট শিশুটিও ভয় পায় দেখো কুঁড়েঘরে ফিরে এসে
'খাওন চাইলে মাইর দিবো মা খুব বেশি রাগ করে'-
এইতো বাংলাদেশ ক্ষুধা ও শোকে কাঁদছে যুগ যুগ ধরে!
১১.০৪.২০০৮
মন্তব্য
বাস্তব সময়।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
কাঁদিয়ে দেয় ভেতরকে!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
কাঁদিয়ে দেয় ভেতরকে!
....তীরন্দাজের এমন অন্তর আছে বলেই তো বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী তিনি।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আর ভাল্লাগেনা ... বাংলাদেশ হাসতে চায়...
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
বুকে হাত দিয়ে সবাই কি বলতে পারবে 'হাসতে চাওয়া'র জন্য বাংলাদেশে কতোটুকু করেছি আমরা?
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
নতুন মন্তব্য করুন