আমি কি কারুর বাড়াভাতে ঢেলে দেই ছাই
বেবাকে দেখলে রাহেলারে কোনো দোষ নাই!
গেরামের নামকরা রাহেলা মোল্লার বেটি
দোষ কী আমার সামনে করলে ছোটাছুটি!
দেখলেই আমি তারে পিছে তেড়ে আসে মোল্লা
ধড় থেকে বটি দায়ে নামাতে চায়-ই কল্লা।
আমি কী একাই যাই সেও তো আমারে ডাকে
বিহানে সাইঞ্জা বেলা বনের খালের বাঁকে।
গরীবের পোলা আমি নাইকা জোতের জোর
গতরের জোরে তবু রাতটারে করি ভোর।
সাতটা রাজার ধন এই বুক ভরা আছে
রাহেলা আনমু তোরে সেই কথা নয় মিছে।
আগে ভাগেই কই- ক' তুই বাপের নিকট
পলায়া করলে বিয়া ধন-মানের বিপদ!
২৮.০৬.২০০৬
মন্তব্য
এই লাইনটাতে একটু উশ্খুশ্ লাগে ...
নিজের চোখের চশমা পাল্টাতে হবে ...
(চোখে রঙিন চশমা থাকলে সবকিছুই রঙিন লাগে)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এখানে শ্রমজীবি মানুষের কথা বলা হয়েছে। শরীরের শ্রম দিয়ে যাদের দিনরাত পার করতে তাদের কোনো রঙিন স্বপ্ন নাই।
...ঠিক আগের লাইন এবং এ লাইনটি মিলালে উশখুশ লাগবে না আশা করি। ধন্যবাদ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
'নিশীথে তোমার কুহক'এর প্রিয় একটা কবিতা।
দেশের বাইরে কারো কাছে আমার একটি বই হলেও আছে, ভাবতে ভালো লাগে।
ধন্যবাদ শিমুল।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
জলিল ভাই, আপনার সাথে কথা বলতে পারলে অনেক আরাম পেতাম। আপনার এই কবিতাটি নিয়ে আমার অনকে কিছু বলার ছিলো। আপনি ক্ষেতে বীজ বপণ করতে অনেক মেহনত করেছেন বোঝা যায় কিন্তু সে অনুপাতে ফসল ঘরে আসে নি। বাংলা টাইপে খুব বেশি রকম কাঁচা আমি। লিখতে অনেক কষ্ট হয়,সময় লাগে। তারপরেও দু'একটা কথা না বলললেই নয়। আমি আপনার কবিতার একাগ্র পাঠক, সে নিশ্চয়ই আমার আগের মন্তব্যগুলোতেও টের পেয়েছেন।
এ কবিতাটির প্লট যথেষ্ট শক্তিশালী, অনেক দূর পর্যন্ত শেকড়, যেমন বটের। ছন্দও দারুণভাবে জড়িয়ে ধরেছে কবিতার শরীর, যেমন শেকড় আকড়ে ধরে মাটি। পর্ব বিভাজনে এসে যদিও কোথাও কোথাও ২ পর্বের হেরফের চোখে পড়ছে কিন্তু সেটা বক্তব্যের ভাব বিনিময়ে এমন কোনো জটিলতা তৈরি করতে পারেনি। কিন্তু অন্ত্যমিলে এসে সৌন্দর্য্য তার মায়া হারিয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, বেটি/ছুটি, মোল্লা/কল্লা, আছে/মিছে ইত্যাদি। মজার ব্যাপার হলো, এতেযে কবিতার খুব বড় কোনো অশুচি হয়েছে - মোটেও তা নয়, সব ঠিক আছে। শুধু কবি জেনে গেলেন তার একজন পাঠক মন খারাপ করেছে। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। আপনার কবিতার আমি এখনো নিবিষ্ট পাঠক। 'আকাশ ও পাখির গল্প' নামে আমি একটা চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারবো।
সৈয়দ আখতারুজ্জামান
ধন্যবাদ সৈয়দ আখতারুজ্জামান।
এ কবিতা বিষয়ে একদিন আড্ডাতে কথা হবে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
সৈয়দ আমিরুজ্জামান। !
হায় এই আমার পুরস্কার!!!
সৈয়দ আখতারুজ্জামান
সংশোধন করতে এসেই দেখছি মন্তব্য দেখে ফেলেছেন সৈয়দ আখতারুজ্জামান।
....ভুল হয়ে গেছে। ঠিক করে দিচ্ছি।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
সেইরকম কবিতা। দারুন, দারুন, দারুন.............................
আপনাকে সাধারণত (বিপ্লব), জাঝা এইসব দেই না। আজ দিলাম!!!!!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
শুকরিয়া।
তবে দ্রোহীর মন্তব্য নিয়মিত পাই- এটা কি কম পাওয়া?
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
নতুন মন্তব্য করুন