আমারে আন্ধার দিয়া তুমি যাইতাছো কই
আমি কি এতোই বোকা, ফেলনা খুদের খই?
বেবাকে চালাকি বোঝে, আমি বুঝ্মু না ক্যান
ধরছো ভড়ং তুমি, করছো বৈরাগী ধ্যান।
কার লাগি গঞ্জে যাও, তবকে খাও যে পান
তোমার চাই-ই যাওয়া, মানো না বৃষ্টি ও বান!
উশকো-খুশকো থাকো একলা দাওয়ায় বসে
চাষবাসে মন নাই এই দারুণ বরষে।
আমি কি ফুরায়া গেছি শুকনা নদীর মতো
যৌবন চরায় বালু, বুকের পাহাড় নত?
গতরে আছিলো ঢেউ, মারতা বৈঠার ঠেলা
ভরা জোয়ারের মাঝি সেই তুমি কই গেলা?
তোমারে ধরছে জানি গঞ্জের পেত্নী ও ভূত
আমিও ছলের নারী আছে ভূতের ওষুধ।
মন্তব্য
এইটাও আমার পছন্দের তালিকায় ছিল ঃ)
পরানের গহীন ভিতরে বাজলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হা হা
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আপনার কবিতাও ইদানীং নতুন মোড় নিচ্ছে। জীবনের কাছাকাছি এসে আলাপ ধরছে রাগরাগিনীর। ভাল লাগছে খুব জলিল ভাই।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
কই আবার যাইব?
ঝাঁকের কই ঝাকে মিশশা গেছে
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
দারুণ!!
---
স্পর্শ
আহা!
আল মাহমুদ ভর করেছে মনে হচ্ছে।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
দারুন লাগলো জলিল ভাই !
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সুন্দর
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ভাল-লাগলো জলিল ভাই!
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
নতুন ধরণের।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
কার লাগি গঞ্জে যাও, তবকে খাও যে পান
তোমার চাই-ই যাওয়া, মানো না বৃষ্টি ও বান !
চমৎকার একটা কবিতা, জলিল ভাই !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কবি শেখ জলিলের কাছে একটা প্রশ্নঃ
"আমি কার কাছে গিয়া জিগামু সে দুঃখ দ্যায় ক্যান,
ক্যান এত তপ্ত কথা কয়, ক্যান পাশ ফিরা শোয়,
ঘরের বিছন নিয়া ক্যান অন্য ধান খ্যাত রোয়?-
অথচ বিয়ার আগে আমি তার আছিলাম ধ্যান ।
-----------------------------------------
-----------------------------------------
মানুষ এমন তয়,একবার পাইবার পর
নিতান্ত মাটির মনে হয় তার সোনার মোহর "
আপনার কবিতা পড়ার পর পাঠকের কেনো এই লাইনগুলো মনে পড়ে গেলো?
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
তিন জন বিদগ্ধ পাঠকের মন্তব্যে উঠে এসেছে বাংলাদেশের দুই প্রধান কবির সৈয়দ শামসুল হকের 'পরানের গহীন ভিতর' এবং আল মাহমুদের 'সোনালী কাবিন' কাব্যগ্রন্থের কথা। যারা কবিতার বই নিয়ে নাড়াচাড়া করেন তারা অবশ্যই এ বই দুটো পড়েন। কারণ এ বই দুটি বাংলা কবিতার অমর সৃষ্টি, যা আবহমান কাল ধরে পড়বে সবাই।
একজন সামান্য কবি হিসেবে আমিও বই দুটো পড়েছি অনেকবার। কারণ বাংলা কবিতায় আমাদের প্রধান কবি শামসুর রাহমানের চেয়ে সৈয়দ শামসুল হক এবং আল মাহমুদ আমাকে বেশি টানে। এখনও পড়ি সৈয়দ শামসুল হক সমগ্র এবং আল মাহমুদ সমগ্র। অবশ্য কবি শামসুর রাহমান সমগ্রও আছে আমার কাছে।
বস্তুত এই কবিতাটি দিয়েই শুরু এ ধরণের লেখা। ২০০৬ সালের জুন মাসে। আমার লেখা এরকম কবিতার সংখ্যা বড়ো জোর ১৪-১৫টি। কিছু কবিতা 'নিশীথে তোমার কুহক' বইয়ে অন্তর্ভুক্ত আছে। একজন ক্ষুদ্র কবি হিসেবে সিনিয়র কবিদের প্রভাব অগ্রাহ্য করার সাধ্য আমার নেই। আমি অবশ্যই জ্যেষ্ঠ কবি সৈয়দ শামসুল হক এবং আল মাহমুদ-এর এসব কবিতার জন্য ঋণী । আরও ঋণী কিশোর গঞ্জের কবি মহিউদ্দীন খান চৌধুরী( পারভেজ চৌধুরীর বাবা)-এর কাছে- যিরি তাঁর বইটি পড়তে দিয়ে এসব কবিতার বীজ হৃদয়ে বপন করে দিয়েছিলেন সেই কিশোর বয়সে।
ধন্যবাদ হাসান মোরশেদ, আহমেদুর রশীদ এবং নজরুল ইসলামকে।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা অন্যান্য ভাইবোনদেরও।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
নতুন মন্তব্য করুন