সহ্যের অতীত কিছু

শেখ জলিল এর ছবি
লিখেছেন শেখ জলিল (তারিখ: বুধ, ১১/০৬/২০০৮ - ৯:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক এক করে সব সয়ে যায় ঘোরলাগা দিনে
সহ্যের অতীত থাকে না কিছুই কোনোকালে
দুঃখের বসত পাল্টায় গলির মোড়ে এসে
ঠিকঠাক সাজিয়ে নেয় তৈজসপত্র, আসবাব, বাড়ি
নতুন ঠিকানা খোঁজে পোড়খাওয়া মাটির হৃদয়
যে দেনায় কেটেছে অতীত দিনলিপিভার
মৌসুমী প্রণয়ে শোধ হয় তার সকল বিষয়।

একদা দুঃখেরা প্রশ্ন করেছিলো- তুমি কি জনমদুঃখী?
মানুষের দেয়া সব দুঃখগুলো তার কাছে জমা রেখে
শেষে পালিয়েছিলাম বাউলের নৈকট্য সন্ধানে
অচিন বনের পাশে দেখেছিলো ময়ূর আমাকে
পাখিসুখ ভেবে তার সাথে ঘুরেছিলাম সমস্ত বন
অক্লান্ত ভ্রমণ শেষে নম্র শরীরে পেখম মেলে
সহসাই দূর করেছিলো আমার চোখের ক্লান্তি।

মানুষের অসহ্য থাকে না কিছু, থাকে নাকো রেশ
অচেনা নতুন পরিবেশে সে মানিয়ে চলে বেশ
বিশ্বচরাচরে যা কিছু বেঢপ তাতেই সুন্দর হাসে
পরিবর্তনের ছোঁয়া পেয়ে মন নতুনকে ভালোবাসে।

১১.০৬.২০০৮


মন্তব্য

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এক এক করে সব সয়ে যায় ঘোরলাগা দিনে
সহ্যের অতীত থাকে না কিছুই কোনোকালে

কি সহজ সত্য!

শেখ জলিল এর ছবি

হ মামু। ঘিরে ধরেছে কিছুটা ক্লান্তি, কিছুটা অসুস্থতা। তারপরও কবিতার টানে মাঝে মাঝে আসা।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

উদ্ধৃতি
পরিবর্তনের ছোঁয়া পেয়ে মন নতুনকে ভালোবাসে।

-হতেই হবে। নয় তো মানসিক রোগি হয়ে থাকতে হবে তাকে। কবিতার জন্য কবিকে ধন্যবাদ।

______________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

অতিথি লেখক এর ছবি

বেশ ভালো লাগলো।

পরশ পাথর

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।