ফজলু মামার বাসায় যে জিনিসটা ভালো লাগতো সেটা হলো সবার আন্তরিকতা। গ্রামের মানুষ হিসেবে তাদের সাথে আমার জীবনযাপনের খুব একটা ব্যবধান ছিলো না। বস্তত তারাও গ্রাম থেকে ঢাকা শহরে এসেছেন। মামা-মামী যেন এখনও গ্রামের মানুষই রয়ে গেছেন। তাদের ছেলেমেয়েরা অতোটা বড়ো হয়নি বলে শহুরে ভাবটা ফুটে ওঠেনি বাসার পরিবেশে। খুব তাড়াতড়ি তাই সে পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে আমার কোনো অসুবিধা হয়নি।
মাঝে মাঝে গ্রাম থেকে জয়নূলদের অনেক আত্মীয়-স্বজন আসতেন। এদের মধ্যে খালাতো, মামাতো, ফুপাতো কিংবা চাচাতো ভাইবোনেরাই বেশি। মুরুব্বীরা আসতেন খুব কম। ভূতের গলিতে থাকতেন জযনূলের এক বড়ো চাচা, সবুর সাহেব। তার ছেলেমেয়েদেরও এ বাসায় স্বচ্ছন্দ যাতায়াত ছিলো। ঐ চাচার ছেলেমেয়েরা আসাদ, সালমা, সায়মা ছিলো জয়নূল, ফজিলা, ফিরুর প্রায় সমবয়সী। সেই সূত্রে আমারও সখ্যতা গড়ে ওঠে ওদের সাথে। গ্রাম থেকে যখন ওদের মামাতো, খালাতো ভাইবোনেরা আসতো তখন বেশ আড্ডা জমে উঠতো।
আড্ডা বলতে ফজিলা, ফিরুর সাথে খালাতো-মামাতো ভাইদের সাথে কথাবার্তা। জয়নূলের আড্ডা ছিলো বাইরে। মাঝে মাঝে ভূতের গলি থেকে সালমা এসে যোগ দিতো আলোচনায়। উঠতি বয়সের কিশোর-কিশোরীদের আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু থাকতো সিনেমা নিয়ে। নায়ক-নায়িকাদের চেহারা, অভিনয়, ভালো লাগা, না লাগা নিয়ে। কোন্ সিনেমার কাহিনী কি, কোন্ গানটা ভালো লেগেছে এইসব। এমনও হয়েছে এক আসরে বসে কেউ হয়তো নতুন সিনেমার কাহিনী বর্ণনা করছে, অন্যরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো সে কাহিনী শুনছে। মাঝে মাঝে গানের আসরও হতো। সিনেমার ভালো লাগা গান নিয়ে। তখনও টেলিভিশনের নায়ক-নায়িকারা অতোটা জনপ্রিয় হয়নি, যতোটা ছিলো সিনেমার। এছাড়া আরও কিছু বিষয় আলোচনা হতো। সেসব আমাকে বুঝতে দেয়া হতো না কখনও। আমি ঘরে প্রবেশ করলে হঠাৎ থেমে যেতো সেসব কথাবার্তা।
একদিন গ্রাম থেকে ফজিলাদের মামাতো ভাই সাইফুল এসেছেন। খবর পেয়ে ভূতের গলি থেকে চলে এসেছে সালমা। সাইফুল ভাই, সালমা, ফজিলাদের গানের আসর বেশ জমে উঠেছে। সাইফুল ভাই একে একে গাইছেন- আমি ছন্দহারা এক নদীর মতো ছুটে যাই, গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে, তুমি যে আমার কবিতা। আমি বারান্দার ঘর থেকে কান পেতে শুনি। কারণ ঐ গানগুলি আমারও খুব প্রিয় ছিলো। লজ্জা-শরম ফেলে আসরে যোগ দিলাম। কিন্তু সালমা বোধ হয় আমার যাওয়া সহজভাবে নিলো না! যতোটুকু অন্তরঙ্গ হয়ে সাইফুল ভাইয়ের পাশে সে শুয়েছিলো আমার কারণে তাকে সংকুচিত হতে হলো কিছুটা। তবে ফজিলা আমাকে সাদরে বসতে বললো।
এরপর শুনলাম- আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন, হৈ হৈ রঙ্গিলা রঙ্গিলারে, পিচঢালা এই পথটারে ভালোবেসেছিসহ বেশ কয়েকটি গান। সাইফুল ভাইয়ের গানের গলা বেশ ভালো। তবে মাঝে মাঝে ভুল সুর আর ভুল কথা শুনে মিটিমিটি হাসি। আমি যে ছোটোকালে স্টেজে গান গেয়েছি তা কিন্তু ওদের বলি না। মনে পড়ে স্বাধীনতার পরপর বড়ো ভাই গ্রামের ছেলেপুলেদের নিয়ে নাটক করতেন। সে নাটকের শুরুতে আমরা ছোটোরা জাতীয় পতাকা হাতে স্টেজে উঠে গাইতাম- আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। তারপর নাটকের মাঝে নানান দেশাত্মকবোধক গান- এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, সালাম সালাম হাজার সালাম, সোনা সোনা লোকে বলে সোনা, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্তলাল এরকম অনেক গান।
জয়নূলের বোনদের মাঝে ফজিলা ছিলো বড়ো। বেশ শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের। শ্যামলা রঙের এ মেয়েটিকে আমার খুব ভালো লাগতো। চালচলনে কথাবার্তায় কোনো উগ্রতা নেই। মাঝে মাঝে তার শান্ত চোখে এ কিশোর চোখ পড়ে যেতো। তবে ঐটুকুই! খুব বেশি দীর্ঘস্থায়ী হতো না চোখাচোখি। আর ফিরু দেখতে ছিলো দারুণ সুন্দরী। বেশ স্মার্ট ও আপ টু ডেট। কেন জানি ওদের খালাতো ভাই সেলিম এলেই ফিরু একটু অন্যরকম হয়ে যেতো। সেলিম ভাই পড়াশোনায় ছিলেন আমার এক বছরের সিনিয়র। বোনদের মধ্যে ছোট্টমণি আসমা ছিলো আবার কথার ফুলঝুরি। সারাক্ষণ পটপট করে কথা বলতো। কোনো কারণে মন খারাপ হলে ওকে ডেকে শুধু কথা শুনতাম ওর। ছোট্ট বয়সে ওর পাকা পাকা কথায় মন ভরে যেতো তখন। পরের দিকে বড়ো হয়ে আসমা নাকি স্টাফকোয়ার্টার এলাকায় 'ব্রিটিশ নানী' উপাধি পেয়েছিলো।
আমার কাছে গল্প, কৌতুক শুনতে চাইতো মূলত ফিরু আর আসমা। আমিও ওদের গল্প, কৌতুক উপভোগ করতাম। বিশেষ করে আসমার কথাগুলো বেশ মজার লাগতো। আর ফিরু ছিলো একটু ফাজিল প্রকৃতির। সারাদিন নানান কাজ, টিউশনি, পড়াশোনার ফাঁকে ওদের সাথে কথাবার্তায় সময়টা বেশ ভালোই কাটতো আমার। ছাত্রী পড়ানো নিয়ে একটি কৌতুকের কথা এখনও মনে আছে।
এক প্রাইভেট শিক্ষক তার ছাত্রীকে পড়াচ্ছেন। ছাত্রী নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের। শিক্ষক বেশ বয়স্ক, তার বাবা-মার খুব কাছের মানুষ। ছাত্রী আবার পড়াশোনায় অমনোযোগী। এক পড়া অনেকবার বলে দিতে হয়। শিক্ষক তাকে নিজের মেয়ের মতো পড়ান। অংকের নামতা পড়াচ্ছেন একদিন।
এক একে এক, দুই একে দুই, তিন একে তিন...একে শূন্য দশ।
শিক্ষক এরপর তাকে বুঝিয়ে দিলেন এক দশ এক এগারো, এক দশ দুই বারো
এরপর এভাবে পড়তে হবে।
ছাত্রী পড়ছেন, শিক্ষক একটু অন্য খেয়ালে। আবার প্রথম থেকে চলছে নামতা পড়া। বেশ সুরে সুরে চলছে নামতা। শেষের দিকে এসে ছাত্রী পড়ছেন-
এক দশ এক এগারো, এক দশ দুই বেগারো, এক দশ তিন তেগারো...।
শুনে শিক্ষকের মেজাজ গেলো বিগড়ে। তোকে আমি এভাবে পড়তে বলেছি? কী পড়ছিস এসব- এগারো, বেগারো, তেরো?
ভালো করে পড়- এক দশ এক এগারো, এক দশ দুই বারো, এক দশ তিন তেরো, এক দশ চার চৌদ্দ...
পড়, এভাবে পড়।
আবার শুরু হলো নামতা পড়া। এবার আরও মিহি সুরে, তালে তালে।
এক দশ এক এগারো, এক দশ দুই বারো, এক দশ তিন তেরো, এক দশ চার চৌদ্দ, এক দশ পাঁচ পৌদ্দ...
শিক্ষক এবার গেলেন মহা ক্ষেপে।
ছাত্রীকে এক চড় মেরে বললেন- এক দশ পাঁচ পৌদ্দ! বল, তোর মায়ে কোন্ বৈদ্য? পড়, ভালো করে পড়।
ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে বললো- না, স্যার আমার মায়ে বৈদ্য না। আমারে চড় মারলেন কেন, আমি পড়বো না।
পড়ানো নিয়ে এই কৌতুক ফিরু অনেকদিন মনে রেখেছিলো। অনেকদিন পর যখন ময়মনসিংহ থেকে এসে ওদের বাসায় বেড়াতে যেতাম আমাকে দেখলেই বলতো- এক দশ পাঁচ পৌদ্দ। খুব হাসাহাসি হতো তখন।
সাত নম্বর বিল্ডিং-এর কিউটপ বাসা আমার জীবনযাপন, চালচলন, কথাবার্তায়ও পরিবর্তন এনেছিলো। মামা-মামী এক্ষেত্রে আমার আদর্শ। তাদের কাছ থেকে অনেক শিখেছি। বিনিময়ে তাদের কাছে সবসময় বিশ্বস্ত থাকারও চেষ্টা করেছি। দৈনন্দিন কাজ থেকে শুরু করে চালচলনে তারা কড়া সতর্ক থাকতেন। স্টাফ কোয়ার্টারে অনেক মেয়েদের চলাফেরা, কথাবার্তা আমার কাছে অনেক সময় খারাপ লাগতো। কিন্তু ফজিলা, ফিরু উঠতি বয়সের হলেও ওরা ছিলো বেশ শালীন। মাঝে মাঝে মামা-মামীর বেশ রাগও দেখেছি। একমাত্র জয়নূল বাদে সব ছেলেমেয়েরাই দেখতাম তাদের খুব ভয় পেতো। ভয় পেতাম আমিও। পাছে কী থেকে কী হয়! বাথরুম, টয়লেট যাওয়া নিয়ে মামীর একটি পর্যবেক্ষণ এবং কিভাবে শিক্ষা দিয়েছিলেন সে ঘটনা মনে পড়ে আজো।
আমি সারাজীবন গ্রামে মানুষ। প্রকৃতির ডাকে গ্রামের খোলা পায়খানা বা জঙ্গল ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিলাম। শহরে এসে পেলাম সরকারী কোয়র্টারের বাথরুম, পাক্কা পায়খানা। গোসল করা বা পায়খানার সময় সাধারণত দরজা বন্ধ করে কাজ সারতাম। কিন্তু পেশাব এলে দরজা বন্ধ না করেই তাড়াতাড়ি কাজটা সেরে নিতাম। খুব সম্ভব মামী এটা বেশ কয়েকদিন পর্যবেণ করেছেন। তখনও হালিম ভাই ঐ বাসায়ই সাবলেট থাকেন। মামী বোধ হয় হালিম ভাইকে এ ব্যাপারে কিছু বলেছিলেনও।
একদিন সন্ধ্যার দিকে টয়লেটে ঢুকে বেশ আরাম করে পেশাব করছি। অভ্যাসবশত সেদিনও দরজা বন্ধ করিনি। কোত্থেকে হালিম ভাই এসে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছে। আর আমি হাত দিয়ে ঠেকা দিয়ে রাখছি। যতোই উঁহু, আহা করি হালিম ভাই ততোই ভেতরে ঢুকতে চায়।
হালিম ভাই বলে- আরে, ভেতরে কেউ নাকি? দরজা যে খোলা! আমি তো টয়লেটে যাবো।
তাড়াতাড়ি কাজে সেরে বাইরে এসে হালিম ভাইকে বললাম- আমি তো টয়লেটে ছিলাম, আপনি ধাক্কাছিলেন কেন?
হালিম ভাই বলে- দরজা খোলা থাকলে আমি কী করে বুঝবো ভেতরে মানুষ আছে! খোলা পেয়েই তো ঢুকতে চেয়েছিলাম।
অদূরে দাঁড়িয়ে মামী দেখলাম মিটিমিটি হাসছেন। আর হালিম ভাই চোখ ইশারা দিচ্ছে। আমার বুঝতে বাকি রইলো না হালিম ভাইয়ের কাজটা ইচ্ছাকৃত, পূর্বপরিকল্পিত। এরপর থেকে টয়লেটের দরজা খোলা রেখে আর কোনোদিন প্রাকৃতিক কাজ সারতে সাহস করিনি।
২২.০৭.২০০৮
জায়গীরনামা- এক
জায়গীরনামা- দুই
জায়গীরনামা- তিন
জায়গীরনামা- চার
জায়গীরনামা- পাঁচ
জায়গীরনামা- ছয়
মন্তব্য
উদ্ধৃতি
অদূরে দাঁড়িয়ে মামী দেখলাম মিটিমিটি হাসছেন।
বুঝদার। আজকালকার মামি হলে কাউকে পাঠাতেন না। নিজেই মাইক হাতে নিতেন।
লেখায় কিছুটা তাড়াহুড়োর ভাব দেখলাম। নাকি আমারই ভুল?
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ধন্যবাদ জুলিয়ান সিদ্দিকী।
..তাড়াহুড়ো ঠিক বুঝছি না, তবে ভেতর থেকে লেখার তাড়া আসছে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
- বাহ্
আগেরগুলো পড়বো পড়বো করেও পড়া হয়নি মামু। লাকি সেভেন থেকেই শুরু করলাম তবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সাধুবাদ জানাই মামু।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
এই সিরিজ এতদূর চলে আসছে!!
আবার পড়া শুরু করতে হবে ,,, অনেকদিন অনিয়মিত ছিলাম
জলিল ভাই ভালো আছেন তো?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
জ্বি, ভালো আছি।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
পড়েই চলেছি সোত্সাহে, জানিয়ে রাখলাম।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আমিও সোৎসাহে লেখার চেষ্ট করছি...
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
'ব্রিটিশ নানী' উপাধিটা দারুন!
সিরিজ একটা চলছে ধামাকা।
তা আর বলতে!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
ভাল লাগা আর কষ্ট দুটো'ই একসাথে কাজ করে আপনার এই সিরিজটা পড়তে গিয়ে । একটা মানুষ এতো কঠিন সময় পার করেছেন অথচ দমে যাননি একটুও.. এটা ভাবলে মুগ্ধতা আমার কাটেইনা !
ধন্যবাদ আকতার।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আমিও শুরু করলাম সাত নম্বর দিয়েই।
আগেরগুলো পড়া হয়ে ওঠেনি এখনো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
চলুক....
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
'জায়গীরনামা - এক' পড়ে শেষ করে বোধ করলাম চোখে জল। সেই ভালো লাগা এখনো অব্যাহত আছে। মানুষের জীবন এত পাথরকঠিন হতে পারে ভাবা যায় না।
আপনার ভালোলাগা অব্যাহত রাখার চেষ্টায় আছি। দেখা যাক, কতোদূর লিখতে পারি...
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
এই পর্বও পড়েছিলাম, তখন মন্তব্য করা হয় নি। নেক্সট, প্লিজ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কাকু, ভয় নেই। এবার থামবে না। নেক্সট পর্ব আসবে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
মন্তব্য করার মতো সাহস পাছি না । মন ভালো/খারাপ করা লেখা । অসাধারন। যেনো চোখের সামনে ভাসে প্রত্যেকটি দৃশ্য
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
ধন্যবাদ দেবোত্তম দাশ। আপনার পোস্টগুলো পড়ছি। খুব ভালো লেখেন আপনি।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
নতুন মন্তব্য করুন