ঢাকার জায়গীর জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছি টিউশনি করে। নিজের পড়াশোনার জন্য সময় পেয়েছি খুবই কম। ইন্টারমিডিয়েট পড়ুয়া আমি টিউশনি করতাম ক্লাস টেন পর্যন্ত। বিশেষ করে বিজ্ঞানের বিষয়গুলো পড়াতাম। সাধারণত উপরের ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে স্বাচ্ছন্দবোধ করতাম। নিচের ক্লাসের ছাত্রদের পড়াতে বেশ পরিশ্রম হতো আর ধৈর্য্যে কুলাতো না। তবে ক্লাস থ্রি থেকে টেন পর্যন্ত সব ক্লাসের ছাত্রদের পড়িয়েছি আমি। জায়গীর জীবনে এইসব টিউশনি নিয়ে নানান রকম স্মৃতিও কম নয়।
পলাশ আর লিমা দুই ভাইবোন। গ্রীনরোডের গ্রীন স্কয়ারে বাসা। ওদের বাবা ব্যবসা করেন। পলাশ পড়ে ক্লাস নাইনে। আর লিমা ক্লাস সেভেনে। ফজলু মামা ঠিক করে দেন ওদের টিউশনিটা। বেতন খুব একটা বেশি না। কিন্তু না করে উপায় কী? আমার পড়াশোনার খরচ তো চালাতে হবে! প্রথমদিকে শুধু পলাশকে পড়াতাম। পরে ওদের দুই ভাইবোনকেই পড়াই। পলাশ মোটামুটি ভালো ছাত্র, তবে লিমা অতোটা ভালো না।
পলাশকে পড়াতাম বিজ্ঞানের বিষয়গুলো। বিশেষ করে নৈর্বাচনিক গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান পড়িয়ে ওকে বেশ আরাম পেতাম। আমার পড়ানোর স্টাইল চট করে বুঝতে পারতো পলাশ। ষান্মাসিক পরীক্ষায় নৈর্বাচনিক গণিতে যে ছেলে ৫০ পায় হঠাৎ করে সে ৯৭ নম্বর পাওয়াতে স্কুলে বেশ সাড়া পড়ে গেলো। বার্ষিক পরীক্ষায় পলাশ সেবার ক্লাসে তৃতীয় স্থান পেয়েছিলো। এর সুবাদে আমার টিউশনির সুনামও ছড়িয়ে পড়লো। বিজ্ঞানের বিষয়ে মোটামুটি নামকরা প্রাইভেট টিউটর হয়ে গেলাম। ধীরে ধীরে আমার টিউশনির পরিধি বাড়তে লাগলো।
আমার জায়গীরদাতা ফজলু মামার ভাতিঝি সায়মাকেও পড়াই। সায়মা সালমার ছোটো বোন। ও পড়ে ক্লাস ফাইভে। সাথে ওর ছোটো ভাইটিকেও পড়াতে হতো। বোনদের মধ্যে সায়মা এতো সুন্দরী ছিলো যে পাড়াপড়শী সবাই ওর প্রশংসা করতো। যেমন ছিলো রূপ তেমনি লম্বা কালো চুল। যেন সেই কবিতার মতো- রূপবতী কন্যা সে যে রূপের নেইকো শেষ, ডাগর কালো নয়ন যে তার মেঘবরণ কেশ! তবে রূপবতী কন্যার ভক্ত হতে পারিনি। ফর্সা হাতে যখন ভেড়ার মতো লোম দেখতাম খুব বিদঘুটে লাগতো আমার কাছে।
তো, আমি সায়মাকে পড়াই। হাজার হলেও আমার জায়গীরদাতার ভাইয়ের মেয়ে। একটু আলাদা যত্নপাতি করে পড়াই। সাথের ছোটো ভাইটিকেও একটু আধটু দেখিয়ে দেই। তবে সায়মার অংকের মাথা এতো কাঁচা ছিলো যে মাঝে মাঝে অতিষ্ঠ হয়ে যেতাম। নিজে বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও ওকে কোনোমতে জাতে উঠাতে পারছিলাম না। তবে বাংলায় ও খুব ভালো ছিলো। হাতের লেখাও ছিলো বেশ চমৎকার। আর ওর অভ্যাস ছিলো সুযোগ পেলেই সিনেমার গল্প, নায়ক-নায়িকাদের চেহারাসুরত নিয়ে আমার সাথে গল্প করা। সুযোগ বুঝে মাঝেসাঝে সালমাও এসে যোগ দিতো ওর সাথে। এ ব্যাপারে আমি খুব সচেতন থাকতাম। কখন আবার ওর বাপ বুঝে ফেলে পড়ানো রেখে আলাপ হচ্ছে। ফজলু মামা মানুষটা খুব ভালো হলেও তার আপন ভাই সবুর সাহেব ছিলেন একটু ভিন্ন প্রকৃতির।
সায়মা মাঝে মাঝে রফিক ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেস করতো। বলতো- স্যার, আপনার সাথে রফিক ভাইয়ের দেখা হয়?
আমি ইচ্ছে করে বলতাম- কোন্ রফিক ভাই?
ও খুব অভিমান করে বলতো- আহ্, স্যার বুঝি রফিক ভাইকে চিনেন না? আপনাকে যে জায়গীর করে দিয়েছে ঢাকা কলেজের সেই রফিক ভাই।
আমি বলতাম- ও, তাই বলো।
তখন ওর চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠতো।
বলতো- স্যার, রফিক ভাইয়ের সাথে দেখা হলে ওনাকে একটু আসতে বলবেন।
আমি বলতাম- আচ্ছা বলবো।
অনেক বছর পর শুনেছিলাম খবরটা। সায়মা এবং রফিক ভাই সুখে শান্তিতে সংসার করছে।
টিউশনির বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার মধ্যে ছিলো পরীবাগ কোয়ার্টারের এক ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের দুই ছেলে। টিউশনিটায় টাকা-পয়সা পেতাম ভালোই। তবে ছাত্র দুজন ছিলো খুব দুষ্ট। পড়াতে গেলে নানান তালবাহানা করে অন্য প্রসঙ্গে নিয়ে যেতো। এক একদিন একেক সমস্যা নিয়ে হাজির হতো। ইংরেজি পড়াতে চাইলে বলতো বাংলা পড়বো। বিজ্ঞান বললে চাইতো অংক করতে। একবার এক অংকের জটিল সমস্যা দিয়ে তো আমাকে ঘোল খাইয়ে দিলো। যোগ, বিয়োগ, গুণ আর ভাগের সে জটিল সমস্যা যতো সমাধান করতে যাই ততো বড়ো হয় রেজাল্ট। কীসের প্রাইভেট পড়ানো! পরে করে দেবো বলে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলাম। এরপর ছাইড়া দে মা, কাইন্দা বাঁচি বলে সে টিউশনি ছেড়েছিলাম একদিন।
এলিফ্যান্ট রোডের ল্যাবরেটরী স্কুলে ছাত্রটি মেধাবী ছিলো আরাফাত। আমার কাছে নৈর্বাচনিক গণিত পড়তো। জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতির সাধারণ সমাধান, উপপাদ্য ও সম্পাদ্য বাদেও ওকে বইয়ের সব প্রশ্নমালার সমাধান করে দিতে হতো। আমার কাছে খুব কষ্টসাধ্য হলেও টিউশনিটা করে খুব মজা পেতাম। নতুন নতুন বিষয় চর্চা হয়ে যেতো। তবে খারাপ লাগতো বড়োলোকের সে বাসায় ঢুকতে গেলেই কাজের ছেলেটি এসে পায়ের কাছে হুমড়ি খেয়ে পড়তো। স্যার, স্যান্ডেল এখানে রেখে যান। আমি খুব লজ্জা পেতাম। হায়রে আমার স্পঞ্জের স্যান্ডেল! সে টিউশনিটিও বেশিদিন টেকেনি। মেধাবী ছাত্রটি গটগট করে দু'মাসের মধ্যেই সব শিখে নিয়েছিলো আমার কাছে।
এরকম টিউশনি অনেক করেছি, আবার ছেড়েছিও অনেক। নিয়মিত টিউশনি পলাশদের বাসায় প্রিয় শিক্ষক হয়ে গিয়েছিলাম ততোদিনে। ওর বাবা-মা দুজনেই আমাকে খুব ভালো পেতেন। টিউশনির সময় নাস্তার মেন্যু পরিবর্তন হতে লাগলো। মাঝে মাঝে দু'এক বেলা খাবারও জুটে যেতো কপালে। পলাশের মার রান্নার হাত ছিলো চমৎকার। ভালো রান্নার সে সব খাবার খুব মজা করে খেতাম।
শহুরে স্টাইলে পলাশের মাকে এরপর খালাম্মা ডাকা শুরু করলাম। যদিও গ্রাম্যরীতিতে চাচী বলে ডাকাই সমীচিন ছিলো। আমি হয়ে গেলাম তাদের নিজের ছেলের মতো। নিয়মিত টিউশনির পাশাপাশি হঠাৎ টাকার দরকার হলেও ধার নিতে পারতাম পলাশের বাবা-মায়ের কাছে। পলাশও ছিলো খুব বাধ্যগত ছাত্র। টিউশনি জীবনের সবচেয়ে ভালো, শান্ত এবং ভদ্র ছাত্র ছিলো এই পলাশ।
ময়মনসিংহ থাকাকালীন ঢাকায় এসে রুমমেটকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে গুলিস্তান-মিরপুর বাসে আমার পকেটমার হলো। রোগীর টাকা, আমার নিজের ফিরে যাবার ভাড়া বলতে কিছুই রইলো না। তখন আমার বাধ্যগত ছাত্র একমাত্র পলাশই তার বাবা-মাকে বুঝিয়ে সমস্ত টাকা জোগাড় করে দিয়েছিলো। যে যাত্রায় জরুরী রোগীর কাছে আমার মান-সম্মান বেঁচেছিলো এভাবে। অবশ্য টাকাটা যথাসময়ে পরিশোধ করতে পেরেছিলাম টিউশনি করেই।
লিমাকে পড়িয়ে পলাশের মতো অতো আরাম পেতাম না। বেশ কায়দা করে, সময় নিয়ে ওকে বুঝানো লাগতো। তারপর মাঝে মাঝে পড়ানোর সময় আবার ও থাকতো অমনোযোগী। কী যেন চিন্তা করতো আর বেখেয়ালী হয়ে পড়তো পড়ালেখায়। আমি ভাবতাম- কেসটা আসলে কি? আমি এতো কষ্ট করে বুঝাই আর ও কিছুই বুঝতে চায় না!
মাঝে মাঝে লিমার বাবার দোকানের এক কর্মচারী আসতো বাসায়। কর্মচারীদের খাবারদাবারের ব্যবস্থা ওদের বাসায়ই হতো। লিমা বলতো- স্যার ওকে খাবার দিয়ে আসি। ছাত্রীর অপেক্ষায় তখন বসে থাকতাম। কিন্তু খাবার দেবার নাম করে ও শুধু শুধুই দেরী করতো। আর আমার মূল্যবান সময় নষ্ট হতো। কারণ ওদের টিউশনি শেষ করে ভূতের গলিতে আরও একটা টিউশনি করে বাসায় ফিরতে হতো। তবু লিমাকে কিছুই বলতাম না। কারণ ওকে খুব ভালো লাগতো আমার। কিছু লিখতে দিয়ে চুপিসারে কতো যে চেয়ে চেয়ে দেখেছি ওর সুন্দর মুখখানা!
কিন্তু সমস্যা হতো সেই কর্মচারীকে নিয়ে। খাবার খেতে এসে মাঝে মাঝে সে আমাদের পাশে এসেও বসতো। আর লিমা তখন পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে দৃষ্টি ফেলতো সেইদিকে। ওর চোখ দুটো কেমন যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠতো। তখন আমি মনে মনে ভাবতাম- আমি দেখি যারে, সে দেখে কারে?
বিষয়টা যখন আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেলো লিমাকে পড়ানোয় আমার উৎসাহ কমতে শুরু করলো। আমার সংগ্রহের একমাত্র কবিতার বই 'জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা' পড়তে ইচ্ছে করতো তখন। টিউশনি শেষে ফেরার পথে মাঝে মাঝে মনে পড়ে যেতো কবির সেই বিখ্যাত কবিতা- 'ওইখানে যেও নাকো তুমি, ব'লো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে'।
আমার এ সন্দেহ সত্যি সত্যিই ফলেছিলো শেষে। বাবা-মার অমতে পালিয়ে গিয়ে লিমা বছর দুয়েক পরে সেই কর্মচারীকেই বিয়ে করেছিলো।
২৯.০৭.২০০৮
জায়গীরনামা- এক
জায়গীরনামা- দুই
জায়গীরনামা- তিন
জায়গীরনামা- চার
জায়গীরনামা- পাঁচ
জায়গীরনামা- ছয়
জায়গীরনামা- সাত
মন্তব্য
পড়িয়ে আরাম পাবার ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং......ছাত্র/ছাত্রী একটু টিউবলাইট টাইপ হলে একদম খবর হয়ে যায়!!!!!! মাঝে মাঝে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে......দেখে নিজেকেই অসহায় লাগে......
-টিকটিকির ল্যাজ
জায়গীরনামা সিরিজের পয়লা ভক্ত আমি। পয়লা মন্তব্য করলাম। পড়তে ভাল লাগলো। এতদিন মনে মনে ভাবছিলাম জলিল ভাই এত টিউশনি করল আর ছাত্রীর প্রেমে পড়ল না- কেমনে কী! আজকে ঘটনা খুলল।
যাক, শেষ ঘটনা পড়ে মনে হল আপনিও একসময় ছোট ছিলেন ।
আর আমাদের মতই সব কান্ড কারখানা করতেন।
---------------------------
থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
উদ্ধৃতি
রূপবতী কন্যার ভক্ত হতে পারিনি। ফর্সা হাতে যখন ভেড়ার মতো লোম দেখতাম খুব বিদঘুটে লাগতো আমার কাছে।
জলিল ভাই, জায়গীরনামা-এক পড়ে কেদেছিলাম এবার হাসলাম। ভালো লাগল। আমিও এক সময় টিউশনি করতাম। সেই স্মৃতি মনে পড়ে। সুযোগ হলে লিখব এক সময়। ধন্যবাদ।
যাক আপনার মনেও তাইলে ইটিশ-পিটিশ ছিল!
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
হ। আমারও তো তাই মনে হয়!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
বিজ্ঞানের দুর্দান্ত ছাত্র হয়ে আপনি এমন দারুন কবি কিভাবে হলেন তার রহস্য কিছুটা উন্মোচিত হল আমার কাছে আজ
শত দুঃখের মাঝেও ছিল একফোঁটা সুখ । আমার মনে হয় জীবনে দুঃখ না পেলে আনন্দের সময় সুখের সময় মাপটা ঠিক বোঝা যায় না ।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
প্রাইভেট টিউশনি কথাতেই কি পরিমাণে ক্লান্তি লুকানো থাকে তা আমি বেশ ভাল ভাবেই জানি------যদিও আমার টিউশনি করার সময় সীমা খুবই সংক্ষিপ্ত-------তবে আমার আয়ের জীবনের সবচেয়ে বোরিং জীবন-----
আপনার ধৈর্য্য স্যালুট দেবার মত।
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
ও আচ্ছা !
এই তাহলে জলিল ভাইয়ের সেই সময়...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ঠিক!
সেই সময়টাকে ধরে রাখার চেষ্টা আমার এই ক্ষুদ্র লেখায়।
ভালো লাগছে পড়ে। অসাধারণ। আমি জীবনে একবারই টিউশনি করেছি। এক বছরের সেই টিউশনি করার পর আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশে কেউ মনে হয় এতো ভালো টিউশনি পাবেনা। আপনার লেখাটা পড়ে ওই দুই বোনের কথা মনে পড়ে গেলো।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
খুব ভালো লাগলো।
তবে সুরঞ্জনারা যখন কোনো দিকে মোড় নেয় কিছুতেই ফিরে আসে না জেনেই হয়তো আমাদের সান্ত্বনা হিসেবে জীবনানন্দ দাশ কবিতাটি লিখেছিলেন। কিন্তু অনেক সুরঞ্জনাই ফিরে আসে। কিন্তু ততদিনে সেই শুন্য স্থানটিও হয়ে যায় অন্য কোনো অঞ্জনার।
ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আমি সাধারণত সিরিজ পড়ি না। একটা পর্বের পর আরেক পর্ব আসতে আসতে অপেক্ষা সয় না, তাই একবারে পড়ার চেষ্টা করি। আপনার এই সিরিজটার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকি। বিশেষ ধন্যবাদ সিরিজ-খেলাপী না হওয়ার জন্য। কোনদিন পূর্ণ কলেবরে কোথাও প্রকাশ করলে জানিয়েন, সংগ্রহে রাখবো।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
তবে আপনার জন্য হলেও ব্লগের সিরিজগুলো নিয়ে অন্তত পিডিএফ-এর ব্যবস্থা করবো।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
- আমিও আছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এইখানেই কি কাহিনীর টার্নিং পয়েন্ট?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নতুন মন্তব্য করুন