১.
ক্লাস ফাঁকিতে যেদিন গেলাম
বাগমারার ঐ বাসায়
নিউ বিল্ডিং-এর গলি ধরে
বুকভরা সব আশায়
আব্বু-আম্মু দু'জন সেদিন
ছিলেন বাসার বাইরে
একলা পেয়ে তোমার ঘরে
মন করে তাই-নাইরে
যেই জড়িয়ে তন্বীদেহ
ছুঁয়েছি ঠোঁট-গাল
হঠাৎ এসে বোনটি তোমার
করলো জঞ্জাল!
২.
ব্রহ্মপুত্র নদের ধারে
নলখাগড়ার চরে
তোমার সাথে হেঁটে যেতে
মন যে কেমন করে
বালুর চরা নদীর পানি
পেরিয়ে গেলাম বনে
সবার চোখের আড়াল হয়ে
গোপনে গোপনে
আকাশ বাতাস সাক্ষী রেখে
কাটলো যখন লজ্জা
ভাবছি বসে মধুর হবে
নদীর ধারের সজ্জা
মাটি ফুঁড়ে সামনে খাঁড়া
কদাকার সেই লোকটা
বললো হেসে- কাম করবাইন
আগে হালান ট্যাক্সটা!
৩.
সেদিন রানুর অফিস ছিলো
তোমার ছিলো ছুটি
একলা ঘরে আমরা দু'জন
বাঁধছি নতুন জুটি
কলেজ পড়া তাগড়া মেয়ে
বয়স খুবই অল্প
বন্ধ ঘরে প্রেমাবেগে
কত্তো রসের গল্প
হঠাৎ করে গেটে টোকা
রানু আমার বাড়ি
সেই থেকে যে রানুর প্রেমে
হলো ছাড়াছাড়ি!
২২.০৮.২০০৮
মন্তব্য
ব্যাপক! ব্যাপক!!
৩টা ছড়াই মারাত্মক মজার। তবে বিয়োগান্তক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
দুর্দান্ত !
সচলায়তন থেকে মনে হয় ছড়া সমগ্র বের করার সময়ও এসে গেলো !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
খাইছে!
জলিল ভাই, সন্ন্যাসীর বাতাস লাগলো না কি? আহা! বড় শান্তির বাতাস...
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
হাহাহাহহাহা ভয়াবহ কাহিনী, দুর্দান্ত ছড়া !
(এইটা তাইলে জলিলদার কাহিনী ? খেক খেক )
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সচলে দেখি আত্মজীবনীর ধুম পড়লো
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
জটিল!
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
জটিল, জটিল
সচলের ছড়াসমগ্র বের করার সময় হয়েছে। জলিল ভাইয়ের কাছ থেকে আরো চাই,.. আরো মজার মজার ছড়া..
জটিল!
তাই বলে বারবার বাগড়া...
ছড়া দুর্দান্ত হইসে!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
জলিল ভাইয়ের জায়গীরনামার গোপনীয় সংযোজনীগুলো কিন্তু দারুণ
জায়গীরনামা যখন অখণ্ড হিসেবে প্রকাশ করবেন তখন কিন্তু একগুলো চ্যাপ্টারের ভেতরেই দেবার দাবি রইল...
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
হা হা হা। হইতে হইতেও হইলো না। জলিল ভাইয়ের ব্যাডলাকটাই খারাপ।
সেরম হইছে কবিতাগুলান...
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
অনেকদিন পর ঝরাপাতার মন্তব্য।
ধন্যবাদ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
নতুন মন্তব্য করুন