মগজের ভাঁজে ভাঁজে ইদানিং মৃত্যুর দুন্দুভি বাজে
হিমশীতল রাত্রির থাবা খামচে ধরে বুকের পাঁজর
বড়ো কষ্ট হয় নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে, পরিশ্রান্ত দিনের নিটোল অবসরে।
সে কি জানে আমিও নিঃশেষ হচ্ছি অন্দরে কন্দরে
বৈরী বাতাস উড়িয়ে নিচ্ছে সুখের কনক নিকানো উঠোন থেকে!
রাতের আকাশটা বিদীর্ণ করে উড়ে যায় স্বপ্নের হাওয়াই জাহাজ
নিমেষে পাখনা মেলে এই মন সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে
স্বপ্নেরা এমনই দীর্ঘ যে স্বদেশ ও বিদেশের সীমানা একাকার হয়ে যায়
তাকে পাই অনুক্ষণ মন ও মননে, সবুজে শ্যামলে প্রতিদিন
সে কি বোঝে এই পাওয়ায় জীবন ও মৃত্যুর দেয়াল নেই কোনো?
যতোবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়েই সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে।
০১.০১.২০০৯
মন্তব্য
অনেকদিন পর আপনার কবিতা পড়লাম। "দুন্দুভি" আর "দামামা" কি একই জিনিস?
- মনেহয় না। একটা পাগলা নেগেটিভ আর বাকিটা মনেহয় পাগলা পজেটিভ অর্থে।
যেমন যুদ্ধের সময় যখন সাইরেন বাজে তখন লোকজন প্রাণভয়ে বাংকারে পালায়। এই সাইরেন হলো পাগলা ঘন্টি ওরফে 'দুন্দুভি'। আর ধরেন টিপু সুলতান যখন যুদ্ধ করতে যেতো ঐরাবতে চড়ে। তখন আগে, পিছে, মাঝে কিছু পাবলিকের কাজ ছিলো গলায়-কাঁধে বিশাল আকারের ডুগডুগি বাজানো। মানে শিরা-উপশিরায় রক্তের নাচন জাগানোর জন্য। যেনো ঐ বাদ্য শুনলেই সোলজারদের মনে হয়, "ছাইড়া দে আমারে অর মায়রে বাপ। আইজকা সব শ্যাষ কইরালামু!" এইটা হলো 'দামামা'।
এই সংজ্ঞা অবশ্য কোনো শব্দকোষে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এইটা ধুগোকোষে পাওয়া গেলেও যেতে পারে। শিউর না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অবশ্য বাংলা শব্দকোষে দুন্দুভি ও দামামা সমার্থক।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
কবিতাটা ভাবগম্ভীর এবং আবেগময় হয়েছে । উপভোগ্য হয়েছে বলা যায় ।
এমন একটা লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।।
অনেক ধন্যবাদ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
- মামু, এবার বই বের হচ্ছে তো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জ্বি মামু, শুদ্ধস্বরের কল্যাণে চেষ্টা সফল হতে যাচ্ছে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
অনেক দিন পর জলিল ভাইয়ের দেখা পাওয়া গেল । কবিতা ভাল লাগছে ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ নিবিড়।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
স্বপ্নেরা এমনই দীর্ঘ যে স্বদেশ ও বিদেশের সীমানা একাকার হয়ে যায়
স্বপ্নের বিশ্ব তো ভিসামুক্ত।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
ঠিক বলেছেন কবি।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
শুভ জন্মদিন...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
শুকরিয়া।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
স্বপ্নেরা এমনই দীর্ঘ যে স্বদেশ ও বিদেশের সীমানা একাকার হয়ে যায়...
একেবারে সত্যি কথা।
ভালো লাগলো কবিতা, জলিল ভাই।
কিন্তু দেখা যায় না কেন ইদানিং?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ। আবার সচল হবার চেষ্টা করছি।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
নতুন মন্তব্য করুন