১. বয়স কতো?
এক নামকরা স্বাস্থ্যরিপোর্টার এক বৃদ্ধাশ্রমে বসেছিলো। সে এক সাদা লম্বা দাড়িওয়ালা বৃদ্ধলোকের কাছে গিয়ে বললো- আমি কি জানতে পারি স্যার আপনার বয়স কতো?
- ছিয়ানব্বই বছর। বৃদ্ধ উত্তর দিলো।
- কেন আপনি মনে করেন এতো বেশি বছর এখনও বেঁচে আছেন?
- আমি কোনো ধূমপান করি না। আমি কোনো বিয়ার বা মদ্যপান করি না।
রুমের অন্য কোণায় আরও বেশি এক বৃদ্ধলোককে দেখে স্বাস্থ্যরিপোর্টার সেদিকে এগিয়ে গেলো। তার কাছে গিয়ে বিনীতভাবে বললো- আমি কি জানতে পারি স্যার আপনার বয়স কতো?
- নিরানব্বই বছর।একটু বেশি বৃদ্ধ উত্তর দিলো।
- কেন আপনি মনে করেন এতো বেশি বছর এখনও বেঁচে আছেন?
- আমি ধূমপান বা মদ্যপান করি না। আর আমি বিয়েও করিনি।
তখন এক নার্স ঢুকলো রুমে। সে হুইলচেয়ারে করে আরও বেশি বৃদ্ধ এক লোককে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছিলো।স্বাস্থ্যরিপোর্টার তার সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো- আমি কি জানতে পারি স্যার আপনার বয়স কতো?
- এক শ' দশ বছর। আরও বেশি বৃদ্ধ উত্তর দিলো।
- কেন আপনি মনে করেন এতো বেশি বছর এখনও বেঁচে আছেন?
- আমি ধূমপান বা মদ্যপান করি না। আমি এখনও বিয়ে করিনি এবং আমি কখনও মাংস খাই না।
রুমের একেবারে অন্য কোণায় এক অশীতিপর বৃদ্ধকে দেখতে পেলো স্বাস্থ্যরিপোর্টার। তার মাথায় কোনো চুল নেই, একটি দাঁতও অবশিষ্ট নেই এবং সে খুব কমই চোখে দেখে বা কানে শোনে। একটু কাছে গিয়ে স্বাস্থ্যরিপোর্টার তাকে জিজ্ঞেস করলো- কেন আপনি মনে করেন এতো বেশি বছর এখনও বেঁচে আছেন?
- আমি দিনে চল্লিশটি সিগারেট খাই, পাঁচ বোতল মদ পান করি। আমার বিশটি সন্তান আছে। আর আমি শুধু মাংস ও চকোলেট খাই, কখনও ফল খাই না।বৃদ্ধের উত্তরে স্বাস্থ্যরিপোর্টার খুবই অবাক হলো। হঠাৎ মনে হলো তার বয়স জিজ্ঞেস করার কথা।
- আর আপনার বয়স কতো স্যার?
অশীতিপর বৃদ্ধ ধীরে ধীরে উত্তর দিলো-
মা--ত্র প--য়--ত্রি--শ ব--ছ--র ।
২. তিন মাতাল
গভীর রাতে তিন মাতাল এক ট্যাক্সি থামালো। পড়িমরি করে তারা উঠেও পড়লো তাতে। ড্রাইভারকে উচ্চস্বরে বললো- চালাও।
ট্যাক্সি ড্রাইভার হাবভাব দেখে বুঝতে পারলো তারা পুরাই আউট। তাই সুইচ অন করে ট্যাক্সি স্টার্ট দিয়েই আবার তা বন্ধ করে দিলো। তিন মাতালকে বললো- আমরা চলে এসেছি স্যার।
ট্যাক্সি ড্রাইভারের কথামত প্রথম মাতাল তাকে ভাড়া দিলো। দ্বিতীয় মাতাল তাকে ধন্যবাদ জানালো। কিন্তু তৃতীয় মাতাল তাকে কষে লাগালো এক চড়।
ট্যাক্সি ড্রাইভার হতভম্ব হয়ে গেলো। সে ভাবছিলো ট্যাক্সি যে এক চুলও নড়েনি সেটা তাদের কেউই বুঝতে পারবে না। তাই সে তৃতীয় মাতালকে জিজ্ঞেস করলো- এটা কী হলো?
তৃতীয় মাতাল মাথা দোলাতে দোলাতে বললো- এরপর থেকে হুঁশ করে কম প্সিডে ট্যাক্সি চালাবে, আমাদেরকে তো মেরেই ফেলেছিলে প্রায়!
[কৌতুকগুলো ইংরেজি থেকে অনূদিত]
মন্তব্য
প্রথমটা খুব মজার! ২য়টা আগে শুনেছি। তবে আবার পড়ে মজা পেলাম।
--------------------------------------------------------------------------------
অনেক ধন্যবাদ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
ভাইরে, আপনার কাছে গোপাল ভাঁড় ফেল মেরে গেল যে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সবই যে অনূবাদ! আমার কৃতিত্ব কই?
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
মজা পেলাম, আগে শুনিনি
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
সুন্দর স্মাইলি। আপনার ভাণ্ডার তো সমৃদ্ধ!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
১) এত বছর বাঁচার দরকার কী?
২)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
মনে হয় বেঁচে থকি হাজার বছর!
কেউ কেউ বাঁচতে চায়।
ধন্যবাদ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
35 বছরে ২০টি বাচ্চা! সারছে।
মনে হয় বিয়ের পিঁড়িতে বা গেট টুগেদারে কম যায়নি!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
হাহাহা
প্রথমটা জটিলস!
জলিল ভাইকে নতুন রূপে দেখতে পেলুম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
.....তাই নাকি?
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
সুন্দর মন্তব্য, স্মাইলি, উত্তম-জাঝার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
লাফটার ইজ দ্য বেস্ট মেডিসিন । কিছু পুরোন কৌতুকের কথা মনে পড়ে গেল।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
দুই দুই!!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
প্রথম গল্পের শেষে মাত্র না হওয়াটাই স্বাভাবিক।
বৃদ্ধ উত্তর দেবে... পঁয়ত্রিশ বছর...
আনন্দ আহরণ করছেন দেখা যায়....
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
মজা পেলুম
...........................
Every Picture Tells a Story
দুটো গল্পেই অনেক মজা পেলাম। ধন্যবাদ জলিল ভাই।
নতুন মন্তব্য করুন