দিনান্তের নারী/ শেখ জলিল
নিশ্চল দিনান্তে এক নারী
কী এক তীক্ষ্ন আলোর ফলায় বিদীর্ণ করে বুক!
আপাদমস্তক এক রক্তাক্ত ব্যানার তুলে
প্রদীপ্ত পশ্চিমাকাশ যেন স্বাগত জানায়-
আয় আয় হরিৎ পাখির বিনম্র পালক
আয় আয় রক্তে ভেজা উঞ্চ-তীব্র হাত
এ দেহের ভাঁজে ভাঁজে প্রথাসিদ্ধ ওম নিবি
এ সুরের লয়ে লয়ে এক ধ্যানঋদ্ধ ঢেউ নিবি!
নিশ্চল দিনান্তে এক নারী
পাল তোলা নাও তার থৈ থৈ বুকের নদীতে দোল খায়
মাধবী জ্যোৎস্নার লাজনম্র ঢেউ চোখের দৃষ্টিতে খেলা করে
চাঁদের ছায়ায় রাতকে গচ্ছিত রেখে
অসাড় দিনান্তে বেজে ওঠে বেদনার ললিত ক্যাসেট।
কূলের সুউচ্চ টিলায় আরেকবার আছড়ে পড়ে ঢেউ-
আয় আয় হরিৎ পাখির বিনম্র পালক
আয় আয় স্বপ্ন-ধ্যান প্রদীপ্ত পৌরুষ
এ বুকের ঢেউয়ে ঢেউয়ে যূথবদ্ধ লয় নিবি
আয় সুঠাম দু’হাত আয়
আয় একটিবার আয়রে আয়!
প্রকাশ: দৈনিক ইত্তেফাক, শ্রাবণ ২৮, ১৩৯৩
মন্তব্য
জটিল!
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
কবিতা প্রকাশের বয়সই ২১ বছর!
এতো বছর পর কবির নিজের কাছে নিজের এই কবিতা কেমন লাগে? এতো বছর পর সেই পুরনো পাঠ কি কেবলই স্মৃতিময়তা? নাকি প্রেরনা ও যোগায়?
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এ তো অ-নে-ক দিন আগে!
ভালো লাগলো।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
শ্যাজা,
ধন্যবাদ। আপনার লেখাগুলোও তো বেশ ভালো লাগে।
হাসান মোরশেদ,
না, শুধু স্মৃতিময়তা নয়, এখনও বেশ প্রেরণা দিচ্ছে নতুন লেখায়। ধন্যবাদ।
আনোয়ার সাদাত শিমুল,
হ্যাঁ, বেশ আগের। সচলায়তনে আবার আপনার লেখা পড়তে পেরে খুব ভালো লাগছে। ধন্যবাদ।
সুমন চৌধুরী,
ইদানিং তো বেশ ফাটাফাটি কবিতা পাচ্ছি আপনার। ধন্যবাদ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
নতুন মন্তব্য করুন