বোধের অস্তিত্বে অন্ধকার, তুমি দূর হও।
কালো রাতের আঁধার থেকে অসহায় আত্মারা তোমাকে ডাকে
নিকানো উঠান থেকে ধর্ষিতা শাড়ির আঁচল তোমাকে ডাকে
এ নিশ্চুপ অন্ধকারে তুমি জ্বলে ওঠো
তুমি জ্বলে ওঠো বহ্নিমান চোখ
জ্বলে ওঠো ভোরের আকাশ
বিদেহী আত্মার ক্ষুধার্ত আহ্বান-
সোনালি সুরুজ, আদিগন্ত নীল তুমি জাগো, জাগো।
যেভাবে প্রতীক্ষা করেছিলো বায়ান্ন থেকে সত্তর
যেভাবে প্রতীক্ষা করেছিলো মার্চ থেকে ডিসেম্বর
যেভাবে প্রতীক্ষা করেছিলো লাউয়ের ডগা
যেভাবে প্রতীক্ষা করেছিলো নিকানো উঠান
আমরা তেমন প্রতীক্ষায় আছি।
নিকষ আঁধারে জেগে আছে মা, জেগে আছে স্বদেশ
জ্বলে ওঠো জাগ্রত বিবেক, জ্বলে ওঠো সাহসী মানুষ
বোধের অস্তিত্বে এ আঁধার তোমার না
এ তুচ্ছতা তোমার না।
সুদীর্ঘ রাতের পর একটি সোনালি সূর্যোদয় থাকে
শিশুর কোমল হাসি ধরে রাখে নিরাময় চাঁদ
অকান্ত ভাটার পর জেগে ওঠে প্রবল জোয়ার।
আমরা একটি সোনালি ভোরের জন্য দু’হাত বাড়াই
দুধেল গাভীর জন্য তুলে রাখি সুসবুজ ঘাস
রাতের আঁধার ঢেকে জ্বেলে রাখি তারাদের বাতি।
বোধের প্রকোষ্ঠে সূচালো আঁধার শোনো
এই পবিত্র অঙ্গন তোমার না
ছলছল নদীর কল্লোল তোমার না।
সোনালি আকাশ থেকে বোধের আঁধার তুমি দূর হও
পবিত্র স্বদেশ থেকে পাপিষ্ঠ লোবান
তুমি দূর হও, দূর হও।
প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৭
মন্তব্য
পড়লাম। অন্ধকার দুরের প্রত্যাশায় রইলাম। ধন্যবাদ।
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
জ্বলে ওঠো জাগ্রত বিবেক, জ্বলে ওঠো সাহসী মানুষ....ধন্যবাদ আড্ডাবাজ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
যুদ্ধ এখন শুদ্ধ আলো।।
আর নয় অকারণ দুঃখ দুঃখ খেলা
এবার হাসিমুখ নিশিদিন সারাবেলা
'
=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা
দারুন ভালো লাগলো.....
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন