আজ ওর দুঃখের দিন। দুঃখের ভাগাড়ে বসে থাকতে থাকতে কোনো দুঃখের গন্ধ ওর নাকে পৌঁছতে পারেনি কখনও। কিন্তু আজ খানিক পরপর লম্বা লম্বা দমে বুকের গভীর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে তা। দমের ফাঁকে ফাঁকে ফোঁপ-ফোঁপ শব্দে নাক-মুখ থেকে বেরিয়ে আসছ...
সেদিনগুলোতে অসুস্থ মনটা নিয়ে বেশ টানাহিঁচড়ে হচ্ছিলো। বস্তুত সেবার জন্য কোনো শুশ্রুষাকারীর খোঁজ মেলেনি তল্লাটে। পারিবারিকমন্ডলে যে ক'জন শুভাকাঙ্ী ছিলেন নিশ্চুপ তারা। স্বজনের কাছে কোনো অভিযোগই গুরুত্ব পায়নি আমার।
বিশ্বাসে...
মাঘের সকাল। রোদের আলোর ভেতর রোদকে উপভোগ করতে না করতেই রোদের উত্তাপ লাগলো শরীরে। বসেছিলাম একাকী বারান্দায়। কখন হঠাৎ এসে বললে- কাল রাতেও ঘুমাওনি তুমি! সাতসকালে চায়ের টেবিলে না পেয়ে ভাবলাম- নিশ্চয়ই গাছের পরিচর্যায় ডুবে আছো। পড়ন্ত...
জরিনা বেগম। ষাটোর্ধ্ব বয়সে এসে হঠাৎই অনুভব করলেন এক বিচিত্র অনুভূতি। এখনো কানে বাজে জন্মমাত্র সুতীব্র চিৎকার- সবক'টি সন্তানের পৃথিবীতে আগমনের প্রথম ওঙ্কার ধ্বনি। কিন্তু আজ এমন হলো কেন? দশ-দশটি বাচ্চা রেখেছে পেটে; প্রতিবারই স্ফ...
অচিনে বসত নিয়া বান্ধো তুমি ঘর
আমারে আন্ধার দিয়া হলে স্বার্থপর!
কেমনে কাটাই দিন বুঝলে না তুমি
হৃদয় গহনে খরা শুষ্ক মরুভূমি।
না ছিলো যখন কেউ তোমার একার
ছি...
তারপর স্তিমিত সূর্যের কিছু লাল
আমার দৃষ্টিতে টগবগ করতে থাকবে।
বিরানপুরের পাশ ঘেঁষে সেই পূন্যতোয়া
জলের দর্পণে বিম্বিত তোমার মুখ
অমিতাভ সময়ের ঢেউ থেক...
কার পাপে কারে খায়?
কার সাজা কে যে পায়!
দেখো, পাপের অনলে সোনার বাংলার
সবুজ পুড়িয়া যায়
ও মরি, হায়রে হায়!।
আসিলো সোনার দেশে অসাড় কাজের রাজা
বাজা রে বাজা রে ত...
ন্যায়ত কবিকে আটকাতে পারে না কেউই
না সংসার, না সমাজ, না রাষ্ট্রের বাউন্ডারি
কোনো কিছুই তোয়াক্কা করে না কবির শব্দ
যা কিছু প্রেমের, যা কিছু শ্বাশ্বত মানবি...
কবির জ্বালা, কবিতা লেখার জ্বালা/ শেখ জলিল
ভাবছি, কবিতা লেখা ছেড়ে দেবো। লিখবো না আর কবিতা কিংবা গান! হালের গদ্যলেখকদের এতো কদর আর কবিদের প্রতি অবহেলা মনটা বিষিয়ে তুলছে। ঘরে জমে আছে বেশ ক'টি কবিতার বইয়ের পাণ্ডুলিপি। প্রকাশ করা যাচ...
না তুমি না আমি/ শেখ জলিল
পাখিরা পাখির মতো
নদীরা নদীর মতো
যখন যেদিকে যাই
অসমান প্রকৃতির কোনো ছোঁয়া নাই!
নদীতে সাগর, পাখিরা সুখের নীড়ে
মিলেমিশে একাকার অঢেল শান্তির ভিড়ে।
একটা বিজয়ে গণমানুষের সুখ
ফেলে আসা বিচ্ছেদে কাঁদায় নাতো ...