তারা থেকে তারান্তরে ছুটে চলার দিন এসে গেছে

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: সোম, ০৩/১১/২০০৮ - ৩:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথমেই "স্টার ট্রেক" দেখেছেন এমন সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারণ, স্টার ট্রেক না দেখেও এখন আমি এই সিরিজের একটা চরিত্র নিয়ে কথা বলবো। কিরা কেটে বলছি, একান্ত বাধ্য না হলে এই অনধিকার চর্চা করতাম না।
আমি স্পককে নিয়ে কিছু লিখব। স্পক ভালকান গ্রহের অধিবাসী। এই গ্রহটা "৪০ এরিড্যানি" তারাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এই গ্রহের অধিবাসীদের বিশেষত্ব হচ্ছে, এরা আবেগের বশবর্তী না হয়ে সম্পূর্ণ যুক্তি দিয়ে চালিত হয়। আমাদের দিক থেকে দেখলে তাদের আরেকটা বড় বিশেষত্ব হচ্ছে, তারাই আমাদের অর্থাৎ মানুষদের দেখা প্রথম বহির্জাগতিক প্রাণী।

এবার আসল কথায় আসা যাক। প্রথমে তারার দিকে লক্ষ্য করুন। তারার নাম ৪০ এরিড্যানি। তার মানে এটা অবশ্যই "এরিড্যানাস" নামক তারামণ্ডলে অবস্থিত। এই তারামণ্ডলের একটা বাংলা নামও আছে: যামী মণ্ডল। আমি এখন থেকে যামী শব্দটিই ব্যবহার করবো। যামী মণ্ডলের এই তারার দূরত্ব পৃথিবী থেকে মাত্র ১৬.৫ আলোকবর্ষ। এই দূরত্ব কিন্তু অনেক কম। কারণ মহাবিশ্বে আর মাত্র ৬০-৭০টা তারা আছে পৃথিবী থেকে যাদের দূরত্ব এর চেয়ে কম। যামী মণ্ডলে অবস্থিত এরকম আরেকটা তারার নাম "এপসাইলন এরিড্যানি"। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ১০.৫ আলোকবর্ষ। এটা পৃথিবীর নবম নিকটতম তারা। যাত্রা শুরু করলে মাত্র আটটি তারার পরেই এপসাইলন এরিড্যানিকে দেখা যাবে। আমরা হয়তো সেরকম যাত্রার পরিকল্পনা এখনও করিনি, কিন্তু ঘরে বসে সব খবরই রাখছি।
auto
দূর দেশ থেকে আসা তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গ আমাদের কাছে সব তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছে। অতি সম্প্রতি আমরা জেনে ফেলেছি, এপসাইলন এরিড্যানির একটা গ্রহ জগৎ আছে। ২০০০ সালেই একটা গ্রহ আবিষ্কৃত হয়ে গেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গ্রহ নাকি বৃহস্পতির মতো, বলয়ও থাকতে পারে। গ্রহটার নাম প্রচলিত নিয়মেই রাখা হয়েছে: "এপসাইলন এরিড্যানি বি"। ২০০২ সালে মার্কিন বিজ্ঞানীরা বলেছেন, আরেকটা গ্রহ থাকার সম্ভাবনা আছে। এই গ্রহটা এখনও সনাক্ত করা যায়নি, কিন্তু নাম ইতোমধ্যে দিয়ে দেয়া হয়েছে: "এপসাইলন এরিড্যানি সি"।

এই পর্যন্ত সব ধীরে-সুস্থেই এগোচ্ছিলো। কিন্তু ২০০৮ সালে এসে আমাদের যামী-সন্ধান নতুন বাঁক নিল। হঠাৎ করে আমরা এপসাইলন এরিড্যানির গুরুত্ব বুঝে ফেললাম। এই তারা কত গুরুত্বপূর্ণ, খবরটা পাওয়ার আগে আমি নিজেই তা বুঝে উঠতে পারিনি।
খবরটা গ্রহাণু বেষ্টনী (asteroid belt) নিয়ে। এপসাইলন এরিড্যানি তারার চারদিকে নাকি দুই দুইটা গ্রহাণু বেষ্টনী আছে, যেখানে আমাদের সৌরজগতে গ্রহাণু বেষ্টনী আছে মাত্র একটা। প্রশ্ন উঠতে পারে, গ্রহাণু বেষ্টনী জিনিসটা কি, আর এটা থাকার কারণে হঠাৎ একটা তারার গুরুত্বই বা এতো বেড়ে গেলো কেন।

প্রথম প্রশ্নের উত্তরটা তো পান্তা ভাত। গ্রহাণু বেষ্টনী বলতে কোন তারার আশপাশের এমন একটা অঞ্চল বোঝায় যেখানে অসংখ্য গ্রহাণু একসাথে ঘুরোঘুরি করছে। আমাদের সৌরজগতের গ্রহাণু বেষ্টনীটা কোথায় তা বোধকরি অনেকেই জানেন: মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝখানে। সৌরজগতের মানচিত্র দেখলেই বুঝবেন, মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝে একটা বিশাল ফাঁকা জায়গা আছে। এখানেই দল বেধে অসংখ্য গ্রহাণু ঘুরোঘুরি করে, সূর্যকে কেন্দ্র করে।
এবার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দেই। আমাদের সৌরজগতের দিকে একবার তাকালেই বুঝতে পারবেন, কেন গ্রহাণু বেষ্টনীর গুরুত্ব এতো বেশী। এমনিতে এতোগুলো গ্রহাণু পৃথক পৃথকভাবে একটা তারাকে প্রদক্ষিণ করতে পারে না। অনেকগুলো ছোট ছোট বস্তু একসাথে হলেই একটা বড়সড় গ্রহ তৈরী হয়ে যাওয়ার কথা কিংবা এই ছোট ছোট বস্তুগুলোর অন্য গ্রহের সাথে লেগে যাওয়ার কথা। গ্রহাণু বেষ্টনীর ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি বৃহস্পতির কারণেই। বৃহস্পতির কক্ষপথের সাথে মিথস্ক্রিয়া এবং সূর্যের আকর্ষণের কারণেই গ্রহাণুগুলো স্থিত হতে পড়েছে। এগুলো অনেক আগের কাহিনী, যখন সৌরজগৎ গঠিত হচ্ছিলো তখনকার।

গ্রহাণু বেষ্টনী গঠনের বিস্তারিত ব্যাখ্যায় আমি যেতে চাচ্ছি না। কারণ আমার লক্ষ্যে পৌঁছুতে হলে তার খুব একটা প্রয়োজন নেই। শুধু জেনে রাখুন, একটা গ্রহাণু বেষ্টনী থাকা মানেই তার ভেতরের দিকে পৃথিবীর মত কঠিন ভূত্বকবিশিষ্ট গ্রহ আছে আর বাইরের দিকে বৃহস্পতির মত গ্যাসীয় দানব গ্রহ আছে।
এবার নিশ্চয়ই গুরুত্বটা ধরতে পেরেছেন। এপসাইলন এরিড্যানির প্রথম গ্রহাণু বেষ্টনী এর থেকে ৩ জ্যোতির্বিজ্ঞান একক (পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব) দূরে। এর ঠিক পরেই এপসাইলন এরিড্যানি বি এর অবস্থান। আর দ্বিতীয় গ্রহাণু বেষ্টনীটা ২০ জ্যোতির্বিজ্ঞান একক দূরে। তার মানে এর পরে একটা বিশাল গ্রহ না থেকে পারেই না। আর ভেতরের দিকে কত গ্রহ আছে কে জানে। আমাদের সাথে তুলনা করলে বিষয়টা আরও চমকপ্রদ হয়ে উঠে। আমাদের একমাত্র গ্রহাণু বেষ্টনী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় ৩ জ্যোতির্বিজ্ঞান একক। আর সূর্য থেকে ইউরেনাসের দূরত্ব প্রায় ১৯ জ্যোএ।

সৌরজগতের সাথে এপসাইলন এরিড্যানি জগতের মিল আরও আছে। সৌরজগতে নেপচুন গ্রহের পরে "কাইপার বেষ্টনী" (kuiper belt) নামে একটা অঞ্চল আছে যেখান থেকে অনেক সময় ধূমকেতু আসে। আর এই ভিনদেশী তারার চারদিকেও একটা "ধূমকেতু বেষ্টনী" আছে। আমাদের কাইপার বেষ্টনীর ভেতরের প্রান্তে যেমন নেপচুনের অবস্থান, ঠিক তেমনি এপসাইলন এরিড্যানির ধূমকেতু বেষ্টনীর ভেতরের প্রান্তে একটা গ্রহ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সত্য প্রমাণিত হলে এটা হবে যামী মণ্ডলের এই অদ্ভুত জগতের তৃতীয় গ্রহ। মাতৃ তারা থেকে এর দূরত্ব ৩৫ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ জ্যোএ পর্যন্ত হতে পারে।
এতোসব মিল দেখে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এপসাইলন এরিড্যানির জগতকেই স্পকের জগৎ আখ্যা দিতে শুরু করেছেন। এই ২৭শে অক্টোবর বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার ফল প্রকাশ করলেন, ঐ দিনই ইউনিভার্স টুডেতে লেখা হলো: বিজ্ঞানীরা নাকি স্পকের জগৎ খুঁজে পেয়েছেন। কেউ আবার রূপকথার জগতে চলে যাবেন না যেন। মনে রাখবেন, এপসাইলন এরিড্যানির গ্রহগুলোতে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে সেখানকার কোন কোন গ্রহে হয়তো কিছুকালের মধ্যেই প্রাণের বিকাশ ঘটতে যাচ্ছে। এই সম্ভাবনা আমি উড়িয়ে দিচ্ছি না। কারণ, সেটি ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেনা ব্যাকম্যান নিজেই বলেছেন,

This system probably looks a lot like ours did when life first took root on Earth, the main difference we know of so far is that it has an additional ring of leftover planet construction material.

ওদিকে স্মিথসোনিয়ানের জ্যোতির্বিজ্ঞানী Massimo Marengo বলছেন,
Studying Epsilon Eridani is like having a time machine to look at our solar system when it was young, ... Epsilon Eridani looks a lot like the young solar system, so it’s conceivable that it will evolve similarly.

auto
দুজন বিজ্ঞানীই পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভবের সাথে এই নতুন তারা জগতে প্রাণের সম্ভাবনাকে মিলিয়ে দেখেছেন। এখান থেকেই আমাদের স্বপ্ন শুরু হতে পারে। বাস্তবানুগ স্বপ্ন, যে স্বপ্নের অনেক উপকরণ আমরা হাত দিয়ে ছুঁতে পারি। এই বাস্তব স্বপ্নের একটা অংশ বিজ্ঞান, আরেকটা অংশ প্রযুক্তি। বিজ্ঞানের অংশটা তো আমরা জেনেই নিলাম। আমরা এই দুটি উক্তি থেকে বুঝে নিলাম, এপসাইলন এরিড্যানি তারার জগতটা আমাদেরই মতো। আমাদের মতো বলতে বর্তমানের আমাদের মতো না। আজ থেকে ৩২০ কোটি বছর পূর্বে আমরা যেরকম ছিলাম সেরকম।
৩২০ কোটি বছরের হিসাবটা কিন্তু খুব সহজ। বর্তমানে এপসাইলন এরিড্যানির বয়স ৮০ কোটি বছর। আর আমাদের সূর্যের বয়স ৪০০ কোটি বছর। এবার যোগ-বিয়োগ করে দেখে নিন।
এছাড়াও বিজ্ঞানীরা বলেছেন, আমাদের পৃথিবীতে যখন প্রথম প্রাণের উদ্ভব ঘটেছলো সে সময় সূর্যের বয়স ৮০ কোটি বছরের মতোই ছিলো। এটা ভেবেই তো মারেঞ্জো তার বিখ্যাত টাইম মেশিন উক্তিটা দিয়ে দিলেন। টাইম মেশিনে চড়তে কে না চায়। বাস্তবিক টাইম মেশিনের বদলে রূপক টাইম মেশিনের মাধ্যমেই হয়তো আমরা নাক্ষত্রিক যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।
auto
এবার প্রযুক্তির কথায় আসা যাক। প্রযুক্তি বলতে আন্তঃনাক্ষত্রিক অভিযানের প্রযুক্তিকে বোঝাচ্ছি। অন্য কোন তারায় নভোযান প্রেরণের মতো প্রযুক্তি কিন্তু আমাদের হাতে আছে। কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে তা হতে পারছে না। সেই ১৯৭৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের "হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টিটিভ"-এ আন্তঃনাক্ষত্রিক অভিযানের সম্ভাবনা বিষয়ক একটি গবেষণাপত্র পেশ করা হয়েছিলো। রবার্ট এল ফরওয়ার্ড সেই গবেষণাপত্রে মাত্র ৩৫ বছরের মধ্যে আন্তঃনাক্ষত্রিক ভ্রমণের উপযোগী যান নির্মাণের আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। সে হিসেবে ২০১০ সালে আর্থলিংয়ের তৈরী কোন নভোযানের অন্য তারার পানে ছুটে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না, তার কারণ নিয়ে অন্য কোন সময় ভাবা যাবে; নিরাশার কথা না বলে আশার দিনে আশার কথাই বলি।

আশার কথা হচ্ছে, এপসাইলন এরিড্যানি সম্পর্কে এসব নতুন তথ্য জানার ফলে আন্তঃনাক্ষত্রিক অভিযানে নতুন করে আগ্রহের সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের ব্যবহারোপযোগী প্রযুক্তিগুলোকে বাস্তবে প্রয়োগ করার দিন চলে আসতে পারে।
ইতোমধ্যে একটা গন্তব্যহীন আন্তঃনাক্ষত্রিক নভোযান আমরা প্রেরণ করেছি। ভয়েজার ২ অনেক আগেই সৌরজগৎ পেরিয়ে গেছে। তার কোন নির্দিষ্ট গন্তব্য নেই। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে সে "লুব্ধক" (আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা, পৃথিবীর পঞ্চম নিকটতম) এর বেশ কাছ দিয়ে উড়ে যাবে। রবার্ট ফরওয়ার্ড তার গবেষণাপত্রে লক্ষ্য হিসেবে আলফা সেন্টরাইয়ের নাম করেছিলেন। এখন হয়তো গন্তব্য পরিবর্তিত হবে। পরিবর্তিত হওয়াই তো উচিত। গ্রহহীন তারায় গিয়ে তো আমাদের কোন লাভ নেই। গ্রহহীন তারায় গমন আর ভূত্বকহীন গ্রহে গমন একই কথা।

তই আজকের এপসাইলন এরিড্যানির খবরটা শুধুই জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের নয়। স্পিটজার মহাকাশ দুরবিন দিয়ে নাসা হয়তো জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের কাজই করেছে। কিন্তু এই আবিষ্কার মানুষের স্বপ্নসীমা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এভাবেই নতুন জ্ঞান নতুন দরোজা খুলে দিচ্ছে, নতুন অনেকগুলো চোখের সৃষ্টি করছে। সেসব চোখ দিয়ে আমরা অনেক দূর পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি, সময়েও অনেক দূর, দূরত্বেও অনেক দূর। এতো দূর, যে সেখানে যেতে হলে চন্দ্রাভিযানের চেয়ে অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদের। আমি নিশ্চিত, অচিরেই সে সিদ্ধান্ত নেয়ার মানুষ আসছে। অচিরেই আমরা এক তারা থেকে আরেক তারায় ছুটোছুটি করতে যাচ্ছি। স্টার ওয়ার্স না হোক, অন্তত স্টার ট্রেকের অনেক কিছু বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে। সেই নাক্ষত্রিক যুগে প্রবেশের চাবিকাঠি হতে যাচ্ছে স্পকের জগৎ, এপসাইলন এরিড্যানির জগৎ।


মন্তব্য

তুলিরেখা [অতিথি] এর ছবি

ভালো লাগলো লেখাটা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্রহওয়ালা তারা বহু আবিষ্কার হয়েছে। বেশীরভাগই অবশ্য গ্যাস জায়ান্ট টাইপ গ্রহ (বৃহস্পতি, শনি এইধরনের গ্রহ-- আকারে বিরাট কিন্তু বেশীটাই গ্যাসীয়,দাঁড়াবার জায়গা নাই মন খারাপ ), যেখানে কিনা প্রাণ থাকা খুব আনলাইকলি। এই নতুন সব গ্রহ আর কিভাবে খুজে পাওয়া গেলো-সেসব নিয়েও লিখুন সময় করে।
আবারো ধন্যবাদ। আপনার লেখাগুলো আলাদারকম ভালো লাগে নতুন বহু কিছু জানা যায় বলে। এই সুযোগে জানিয়ে গেলাম।

শিক্ষানবিস এর ছবি

হুম, এখন আমাদের জানা বহির্জাগতিক গ্রহের সংখ্যা তো ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এপসাইলন এরিড্যানির মতো তারাজগৎ বোধহয় কোথাও পাওয়া যায়নি। সুবিধা হচ্ছে এই তারাটা আমাদের অনেক কাছে। দেখা যাক কি হয়।

হিমু এর ছবি
শিক্ষানবিস এর ছবি

থ্যাঙ্কিউ

কীর্তিনাশা এর ছবি

লেখায় জাঝা

অনেক নতুন তথ্য জানতে পাড়লাম

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

শিক্ষানবিস এর ছবি

তথ্যের যুগে আপনাকে কিছু নতুন তথ্য জানাতে পেরেছি জেনে ভাল লাগলো।

কনফুসিয়াস এর ছবি

ওয়েল ডান!
কিন্তু তোমার কাছে আরেকটা লেখা পাওনা আমার, ভুলে যেও না।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শিক্ষানবিস এর ছবি

ধন্যবাদ কনফু ভাই।
আপনার পাওনার কথা ভুলি নাই। ফর্ম উঠলেই একটানে লিখে ফেলবো। ততদিনে আপনার সবগুলো লেখা পড়তে থাকি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুন পোস্ট! খুবই ভালো লাগলো। সুন্দর লিখসো চলুক

শিক্ষানবিস এর ছবি

ধন্যবাদ, রনি ভাই। আপনার উৎসাহ কিন্তু আমার অনেক লেখার চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।

গৌতম এর ছবি

আপনি কি জানেন আপনার এ ধরনের লেখার জন্য বসে থাকি?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষানবিস এর ছবি

বলেন কি!!
শুনে অতি আনন্দিত হলাম।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।