অনুবাদকের কথা
১৯৭২ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে এক দল সাংবাদিক এসেছিলেন। নতুন দেশের জনগণ একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও গণহত্যার প্রভাব কিভাবে কাটিয়ে উঠছে, তা দেখাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। সফর শেষে দেশে ফিরে গিয়ে উইলিয়াম এস এলিস এ নিয়ে একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করেন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ম্যাগাজিনের সেপ্টেম্বর, ১৯৭২ সংখ্যায় এটি প্রকাশিত হয়। সেই ২৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনেরই বাংলা ভাবানুবাদ এটি। সাথে ভিয়েতনাম যুদ্ধের আলোকচিত্রী ডিক ডুরেন্সের তোলা ছবিগুলোও আছে।
ন্যাট জিওর এই প্রচ্ছদ প্রতিবেদন সম্পর্কে আমি প্রথম জানতে পারি সহব্লগার বিপ্লব রহমানের একটি লেখা থেকে। লেখার সাথে তিনি ন্যাট জিওর মূল প্রতিবেদনের স্ক্যান করা পৃষ্ঠাগুলো জুড়ে দেন। সেখান থেকেই অনুবাদ করছি। বিপ্লব রহমান সে লেখার মাধ্যমে অনুবাদের উন্মুক্ত আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমিই রাজি হয়ে গেলাম। রাজী না হওয়ার কোন কারণই ছিল না। এমন একটা লেখা অনুবাদ করতে পারাটাও গর্বের।
বিপ্লব রহমান ন্যাট জিওর মূল ইংরেজি লেখাটি সংগ্রহ করেছিলেন প্রয়াত ব্যবসায়ী আহমেদ উল্লাহ্'র ব্যক্তিগত লাইব্রেরি থেকে। আহমেদ উল্লাহ পরিবার এতোদিন ধরে এটি সংরক্ষণ করে না করলে সচলায়তন পর্যন্ত লেখাটা আসতেই পারতো না। বিপ্লব রহমান বছর চারেক আগে সেখান থেকে সিডি আকারে লেখাটি সংগ্রহ করেছিলেন। তাই প্রয়াত আহমেদ উল্লাহ্র প্রতি কৃতজ্ঞতা। বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ গবেষক এম. এম. আর. জালাল সবসময়ই এর সংরক্ষণ, অনুবাদ ও পুনঃপ্রকাশে উৎসাহ জুগিয়েছেন। তার প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা।
লেখার শিরোনাম আমি দেইনি। ইংরেজি শিরোনাম ছিল "Bangladesh: Hope Nourishes a New Nation"। বিপ্লব রহমানের ব্লগে আরেক সহব্লগার আলমগীর বাংলা শিরোনাম হিসেবে "বাংলাদেশ: আশায় নতুন জীবনের বসতি" প্রস্তাব করেন। শিরোনামটা পছন্দ হয়েছে। তাই এটাই রেখে দিলাম।
প্রয়াত মুহম্মদ জুবায়ের এর ভাবানুবাদ করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিষ্ঠুর সময় তা হতে দেয়নি। তিনি অকালেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আজ অনুবাদ করতে গিয়ে তার কথাই মনে হচ্ছে। এই সামান্য অনুবাদ প্রয়াস তাই মুহম্মদ জুবায়েরকে উৎসর্গ করলাম।
*****
বিশাল প্রান্তরে আড়াই লক্ষ মানুষ উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছিলো। অবশেষে তাদের নেতা ক্লান্ত শরীরে এসে মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়ালেন। তিনি প্রথমে কি বলবেন তা সবাই জানতো। তারা যেন উত্তর দেয়ার জন্যও প্রস্তুত ছিলো।
নেতা চিৎকার করে বললেন, "জয় বাংলা"। সাথে সাথে লক্ষ মানুষের লক্ষ কণ্ঠ থেকে প্রত্যুত্তর এলো। মুখে মুখে প্রতিধ্বনিত হলো, "জয় বাংলা"। প্রতিধ্বনিগুলো যেন বজ্রের গর্জনে রূপ নিলো।
তারা এই নেতাকে "বঙ্গবন্ধু" ডাকে। বঙ্গবন্ধুর সাথে তার জনতার এই বাক্য বিনিময়কে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদের এক সমবেত সঙ্গীত বলা যায়। সেই সঙ্গীত, যার গায়েনেরা জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়েছে, তারপরও মাথা নত করেনি; অবশেষে পৃথিবীতে একটি নতুন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। জয় বাংলার ধ্বনি মিলিয়ে যেতে না যেতেই বঙ্গবন্ধু সবার উদ্দেশ্যে একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন,
"আপনাদের কি আগামী দুই, এমনকি তিন বছরেও আমার কাছে আর কিছু না চাইবার ইচ্ছা আছে?"
হ্যাঁ, সবাই চিৎকার করে উঠল। ক্ষুধা আর রোগ-শোকে অনেকের চিৎকার করার শক্তিটুকুও ছিল না। তারপরও নিজেদের ইচ্ছাটুকু পুরোপুরি প্রকাশ করার জন্য তারা এটুকু করল।
বঙ্গবন্ধু হলেন শেখ মুজিবুর রহমান, এই দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং জাতির জনক। দেশটির আয়তন প্রায় উইসকনসিনের সমান, সাড়ে সাত কোটি মানুষের এই ছোট্ট রাষ্ট্রটি একসময় পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিতি পেতো। আজ তারা স্বাধীন। আজ তারা নেতৃত্ব আর অনুপ্রেরণার আশায় এই শেখ মুজিবুর রহমানের দিকেই চেয়ে আছে। ক্ষুধার তাড়নায় বেঁচে থাকার সংগ্রামটাই তাদের জন্য এখন মুখ্য, এমন অবস্থাতেও তারা নেতার দিকে মুখ ফিরিয়েছে। কোন র্যালিতে শেখ মুজিব উপস্থিত হওয়া মানেই অতীন্দ্রিয় এক কনসার্ট শুরু হয়ে যাওয়া। ময়মনসিংহ শহরের এক র্যালিতে আমি এটাই লক্ষ্য করলাম। দুর্ভিক্ষের প্রকোপে তার অনুসারীরা মরতে বসেছে, তারপরও নেতার মধ্য দিয়ে তারা স্বাধীনতার স্বাদ খুঁজে পাচ্ছে।
ঐ দিনই, র্যালিতে যাওয়ার আগে শেখ মুজিব ময়মনসিংহের কয়েক মাইল দক্ষিণে টর্নেডোর আঘাতে বিধ্বস্ত এক গ্রাম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। আমিও তার সাথে ছিলাম। গিয়ে দেখেছিলাম, টর্নেডো প্রায় আধ ডজন গ্রামকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। কয়েক শত মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তাদের বাঁশ আর ছনে তৈরী বাড়িগুলো ঘণ্টায় ১৫০ মাইল বেগের ঝড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, এর সাথে আছে কলেরার আতংক। এপ্রিলের তীব্র গরমে মৃত পশুগুলোর শরীর গলে পড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে হাটছিলেন, তার চেহারায় দুঃখ আর ১৮ ঘণ্টার একটানা খাটুনির ছাপ সুস্পষ্ট। এই অবস্থাতেও তার আগমন বার্তা ছড়িয়ে পড়ার পর পুরো গ্রাম যেন জেগে উঠলো। হাজার হাজার গ্রামবাসী জড়ো হয়ে গেল।
একটা আম গাছের গুড়ির উপর দাড়িয়ে আমি তাদের দিকে তাকালাম, আমি দেখলাম, আমি এমন কিছু মানুষকে একসাথে দেখলাম যাদের মধ্যে এক ধরণের একমুখীনতার প্রবণতা খুব প্রকট ছিল। সেই মিলনমেলায় ছিল: লুঙ্গি পরিহিত পুরুষেরা- যাদের হাতে এদেশের সোনার ফসল ফলে, বাচ্চা কোলে রমণীরা, ছোট ছোট ছেলেমেয়ের দল যাদের ফিকফিকে হাসিতে ছিল কেবলই উচ্ছ্বাস।
হঠাৎ করে এতো লোক জড়ো হয়ে যাওয়াটা বাংলাদেশে বেশ স্বাভাবিক। কারণ, এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১,৩০০ জন। পৃথিবীর সব মানুষকে যদি যুক্তরাষ্ট্রের পরস্পরসংলগ্ন ৪৮টি অঙ্গরাজ্যে বাস করতে দেয়া হয় তারপরও সেখানকার জনসংখ্যার ঘনত্ব এত বেশি হবে না।
শেখ মুজিব তাদেরকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। চাপাচাপি করে যারা যথেষ্ট কাছে আসতে পারছিলো তারাই কেবল তার কথাগুলো শুনতে পারছিলো। কিন্তু এক্ষেত্রেও শেখ মুজিব আগের মতো রইলেন, কোন প্রতিশ্রুতি দিলেন না। জানালেন, যে ক্ষত নিয়ে দেশের জন্ম হয়েছে তা শুকোনোর আগে কোন প্রতিশ্রুতিই দেয়া সম্ভব না। এর পাশাপাশি "জয় বাংলা" শ্লোগান চলল। এখানকার আর একটি ঘটনাই উল্লেখ করার মতো- এক বৃদ্ধা তার হাত আর হাটুতে ভর করে বাতাসের তোড়ে উত্তপ্ত মাটিতে ছড়িয়ে পড়া চাল কুড়োচ্ছিলেন, একটি একটি করে। তাই দেখে প্রধানমন্ত্রীর দলের এক সদস্য বললেন, "আল্লাহ তাদের শক্তি দান করুন!"
[চলবে...]
মন্তব্য
এই সাহসী এবং মহৎ উদ্যোগের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন রইল ।
ধন্যবাদ আপনাকে
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
জয় বাংলা !!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
দারুন অনুবাদ! আমি মূল ইংরেজিটা লেখাটাও কিছুটা পড়েছিলাম সেদিন। তোমার অনুবাদের হাত সত্যিই অসাধারণ! অন্তত আমি সচলে এ পর্যন্ত যা দেখলাম, তাতে বেস্ট। চলুক এই সিরিজটা
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
অনেক ধন্যবাদ প্রহরী ভাই। নিজের অনুবাদ এত ভাল, ভাবতেও ভয় হচ্ছে। তারপরও উৎসাহ পেলাম। সময় সময় পরামর্শ দিয়েও সাহায্য করবেন, এই আশায় রইলাম।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
ভাল অনুবাদ করছেন।
শিরোনামটা দেয়ার পর মনে হচ্ছিল: "বাংলাদেশ: আশায় বসতি নতুন জীবনের" হলে মনে হয় বাড়তি মধুর শোনাত। আপনার যেটা ভাল লাগে, সেটাই সই।
ধন্যবাদ।
শিরোনাম এটাই থাক। কারণ ইংরেজি শিরোনাম (Bangladesh: Hope Nourishes a New Nation) এর সাথে এটাই বেশী যাচ্ছে।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
মাত্র সাইত্রিশ বছর আগের কথা, অথচ পড়ে মনে হল কয়েক শতাব্দী আগের কথা। এই বাংলাদেশে আমরা দেখি নি।
অনুবাদ আসলেই চমৎকার হয়েছে শিক্ষানবিস। এই লেখায় জাঝা ছাড়া দেওয়ার কিছু নেই।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ঠিক, সে বাংলাদেশ আমরা পাইনি। সেসব কথা শুনলে তাই এলিয়েন এলিয়েন লাগে। দেশে অনেক পরিবর্তন এসেছে, মানুষগুলোও বোধহয় আগের মত নেই।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
শিক্ষানবিস... লেখাটা একবারে পড়বো বলে রেখে দিলাম, আর এখন আসলে সময়েরো খুব চাপ...
না পড়েই (বিপ্লব) দিলাম...
সাথে ধন্যবাদ ফ্রি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই। লেখাটা একবারে পড়লেই বোধহয় বেশী ভাল লাগবে। শীঘ্রই শেষ করে ফেলবো আশাকরি।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
৫ তারকা আর বিপ্লবদাকে ধন্যবাদ দিতে ভুলে গেছিলাম... তাই আবার আসতে হলো। আলমগীর ভাইকে ধন্যবাদ শিরোমনি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ছবির নিচের ক্যাপশনের ফন্ট সাইজ একটু কমিয়ে দেখবে কি? মূল লেখার ফন্ট সাইজের সাথে এক হয়ে গেছে তো, তাই...
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
হ্যা, ক্যাপশনের ফন্ট সাইজ কমাতে পারলে ভাল হতো। কিন্তু উপায় জানি না। ইমেজের কমান্ডের ভেতরে "size" কমান্ড কাজ করছে না। মডারেটররা কেউ এক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারেন। কিংবা প্রহরী ভাই, আপনি জানলে জানান।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
দুঃখিত, দেরিতে চোখে পড়ল মন্তব্যটা। আসলে আমারও জানা নেই। ধারনা ছিল, ক্যাপশনে "সাইজ" কমান্ডটা দিয়েই কাজ হবে। যেহেতু হয়নি, এক্ষেত্রে তাই মডারেটররাই সহায়তা করতে পারবেন।
আমি একটা হাতুড়ে বুদ্ধি দিতে পারি। ম্যানুয়ালি কমেন্টটা বসিয়ে দেখ- কাজ হয় কি না। প্রিভিউ দেখে নিও, যদি দেখ ঠিকমতই আসে, তাহলে এভাবে করে দেখতে পারো। তবে এক্ষেত্রে হয়ত ছবির জায়গা বদলাতে হতে পারে।
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
কী ব্লগার? ডরাইলা?
শীঘ্রই পেয়ে যাবেন...
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
গুরুত্বপুর্ন কাজ
দয়া করে আমার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দিবেন না
"মুক্তযুদ্ধ" নিয়ে যারাই কাজ করেন (রাজাকাররা ছাড়া) তাদের সকলের প্রতিই আমার স্যালুট ছিল
আছে এবং থাকবে ।
হ্যাট্স অফ খান মুহম্মদ !
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
স্যালুট।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
অনুবাদের কথা আর নতুন করে বলব না, সবাই বলে দিয়েছে।
উৎসর্গটা খুব ভাল লাগল। ছবিটা সুন্দর এসেছে। সব মিলিয়ে একটা শিক্ষানুবীসিয় কাজ।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এককথায় অসাধারন। প্রবল আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি পরবর্তী পর্বগুলোর জন্য।
দারুণ ! লেখাটায় চমৎকার সাবলীলতা এসেছে। সাথে সাথে যে কাজটা করছেন সেটা তো আরো গুরুত্ববহ।
অভিনন্দন রইলো।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
শিক্ষানবিসের অনুবাদ তো ভালো হবেই। পরেরটা ছাড়ো তাড়াতাড়ি
চমৎকার অনুবাদ। ধন্যবাদ।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
বিজ্ঞানের খটোমটো বিষয়গুলোও অতীব সাবলীল হয়ে পড়ে আপনার অনুবাদে। আর তাই এই লেখার অনুবাদটি অতীব প্রাঞ্জল হওয়ায় আমি বিস্মিত হইনি একেবারেই। আর খুবই দারুণ একটা কাজও হচ্ছে।
লেখাটি মুহম্মদ জুবায়েরকে উত্সর্গ করার জন্য তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
উৎসাহ দেয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। কাজটা খুব ভারী মনে হচ্ছে। এর আগে যত অনুবাদ করেছি তার সবই কটমটে প্রবন্ধ ছিল, বিশেষত বিজ্ঞান বিষয়ক। কিন্তু এই প্রবন্ধে অনেক আবেগের কথা আছে। জানি না কতটুকু পারবো। আশাকরি, সবাই সময় সময় পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবেন।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
পড়তে গিয়ে মনে হয়নি যে অনুবাদ পড়ছি ... সেই লেভেলের ভালো হয়েছে
একটা সংশোধনী, জনসংখ্যার ঘনত্বের অংশে প্রতি বর্গকিলোমিটার ১৩০০ জনের জায়গাটা সম্ভবতঃ প্রতি বর্গমাইলে ১৩০০ জন হবে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
অনেক ধন্যবাদ। "প্রতি বর্গকিলোমিটারে" হওয়া উচিত, ঠিকই ধরেছেন। ঠিক করে দিয়েছি।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
বেশি জোশ হৈতেসে। মনেই হচ্ছিলনা যে অনুবাদ পড়ছি। অধীর আগ্রহে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
অনুবাদ টা দারুন হচ্ছে ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
দারুণ অনুবাদ! মনেই হয়না অনুবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন