বাংলাদেশ: আশায় নতুন জীবনের বসতি - ৩

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/১২/২০০৮ - ২:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যুদ্ধের ডামাডোলে দেউলিয়া জাতি

স্বাধীনতার প্রথম কয়েক মাস বাংলাদেশকে মূলত যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির ঝক্কি সামলাতে হয়েছে। কাজটি মোটেই সহজ ছিল না। যে অর্থনীতির জাতীয় প্রগতিকে ত্বরান্বিত করার কথা সেই অর্থনীতিই যেন দেশকে শূলে চড়িয়েছে। যুদ্ধে কয়েক ডজন পাটকল এবং অন্যান্য কারখানা ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিলেটের চা-বাগানের ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশী। এই বাগান থেকে বছরে ৬৮ মিলিয়ন পাউন্ড চা তৈরী হতো। এই পুরো ব্যবসাটাই ধ্বসে গেছে।

যুদ্ধের অগ্রবাহিনী: ক্ষুধার বিরুদ্ধে যুদ্ধের অগ্রবাহিনী গঠন করেছে জেলেরা। ছবিতে জেলেরা মেঘনা নদীতে মাছ ধরছে। সাধারণত গ্রামের বাজারে মাছ, সব্জি ও চালের আধিক্য থাকে। কিন্তু যুদ্ধের কারণে চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কৃষকেরা অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। তাই আপাতত কিছুদিন বাংলাদেশকে তার ৭৫ মিলিয়ন মানুষের জন্য খাদ্য আমদানি করতে হবে।যুদ্ধশেষে দেশের বৈদেশিক এক্সচেঞ্জে অর্থের পরিমাণ ছিল মাত্র ৫০০,০০০ মার্কিন ডলার। এ অঞ্চলের সব বড় বড় ব্যবসার মালিকই ছিল পশ্চিম পাকিস্তানীরা। যুদ্ধের ফলাফল বুঝতে পেরে তারা আগেভাগেই নগদ অর্থের সিংহভাগ পাকিস্তানে সরিয়ে নিয়েছে।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার বেশ ক'বছর আগে থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ বুঝতে পারছিল যে, তারা ভয়ানক অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার। যেমন, পাকিস্তানের মোট রপ্তানি আয়ের অর্ধেকেরও বেশী আসতো পূর্ব পাকিস্তানের পাট এবং অন্যান্য পণ্য থেকে। অথচ দেশের মোট জনসংখ্যার তিন পঞ্চমাংশ পূর্ব পাকিস্তানে বাস করা সত্ত্বেও এই অংশের জন্য জাতীয় বাজেটের শতকরা মাত্র ৪০ ভাগ বরাদ্দ থাকতো।

এস এ করিম বলেছেন, "নিকট ভবিষ্যতে আমাদের পক্ষে জীবনযাত্রার উচ্চ মানে পৌঁছুনো অসম্ভব। কারণ জনসংখ্যার তুলনায় এদেশের আয়তন খুব কম। কিন্তু একটি গ্রহণযোগ্য মানে পৌঁছুতে আমাদের খুব বেশী সময় লাগার কোন কারণই নেই।"

বাংলাদেশ অচিরেই ভারতের সাথে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা লাভজনক ব্যবসা আবার শুরু করতে যাচ্ছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোকে পুনরায় দাঁড় করাতে পারলেই রপ্তানি আয় বাড়তে শুরু করবে। এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত পৃথিবীর বৃহত্তম পাটকল ৩০,০০০ শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এখানে পাটের আঁশ থেকে বার্ল্যাপ তৈরী করা হয়। বার্ল্যাপই পাট থেকে তৈরী প্রধান পণ্য।

সীমিত আয়ে বাধ্যতামূলক কৃচ্ছ্রসাধন

জনাব করিম নবগঠিত সরকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক সচিব হিসেবে কাজ করছেন। অন্য সব বাঙালির মতই তার মাসিক বেতন মাত্র ২,০০০ টাকা, অর্থাৎ প্রায় ২৭৫ মার্কিন ডলার। তার অফিসের দরজায় পর্দার পরিবর্তে কম্বলের মত এক টুকরো কাপড় ঝোলানো। ভেতরে একটি সিলিং ফ্যান ঘুরছে। (এদেশের প্রায় সব সরকারী অফিসেই সিলিং ফ্যান আছে। এজন্য বাংলাদেশের সচিবালয়ে বোধহয় পেপারওয়েটের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই।) আর ঘরের একটিমাত্র বৈদ্যুতিক বাল্ব খুব ক্ষীণ কমলা রঙের আলো ছড়াচ্ছে।

স্বাধীনতার আগে জনাব করিম যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানী দূতাবাসের কর্মকর্তা হিসেবে কিছুদিন ওয়াশিংটনে ছিলেন। আমি বললাম তার এক বন্ধু আমার মাধ্যমে তার জন্য একটি উপহার পাঠিয়েছেন। উপহারটি মূলত তার ছোট্ট ছেলের জন্য। ওয়াশিংটনেই তার ছেলের জন্ম হয়েছিল। বাংলাদেশে ফিরে আসার পর থেকেই সে ওয়াশিংটনের একটি জিনিস পাবার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল।

তিনি হেসে আমার কাছ থেকে উপহারটি নিলেন: দুই বোতল "পিনাট বাটার"। এক বোতল ক্রাঞ্চি আর অন্য বোতল মসৃণ।
আনন্দের হট্টগোল: একজন মাত্র ট্রাফিক পুলিশের বাঁশির শব্দ ছাপিয়ে উঠছে রিকশার বেল ও গাড়ির হর্নের একটানা শব্দ। ছবিটি রাজধানী ঢাকার ব্যস্ততম বাজার এলাকা নওয়াবপুর রোড থেকে তোলা। ট্রাফিক পুলিশের সাদা পোশাক আর ইংরেজি ট্রাফিক চিহ্ন ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শাসনকেই নির্দেশ করছে। গত ২৫ বছরের পশ্চিম পাকিস্তানী শাসনের চিহ্ন খুব অল্পই টিকে আছে। ১৬ই ডিসেম্বর এদেশের স্কুল ও রাস্তা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক ও দেশীয় বিহারীদের ভাষা উর্দু উঠে গেছে। ১৬ই ডিসেম্বর এদেশের বিজয় দিবস।
অপরদিকে দেশের দুই বড় সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম ও চালনায় উপহার হিসেবে একের পর এক শিপমেন্ট আসছিলো। খাদ্যশস্য ও অন্যান্য খাবারে গুদামগুলো ভরে যাচ্ছিলো। রাস্তায় যানজট বেড়ে গিয়েছিল। বন্দর ও খাবার বণ্টনের স্থানগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত যান চলাচলের কারণেই এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছিলো। বাংলাদেশে তখন প্রায় এক মিলিয়ন টন খাদ্যদ্রব্য জমা ছিল। পরিস্থিতি বিচার করে টনি হেগেন তাই বলতে পেরেছিলেন, যুদ্ধের পর তাৎক্ষণিকভাবে সৃষ্টি হওয়া সংকট কেটে গেছে।

জ্বালানি সংকট: এক মজুর ভীড়ের মধ্যে শুকনো কাঠ নিয়ে যাচ্ছে।১৯৭২ এর বসন্ত পর্যন্ত হেগেনই বাংলাদেশে জাতিসংঘের ত্রাণ কর্মসূচীর প্রধান ছিলেন। খানিকটা খাটো ও মোটা করে, হাতে সবসময় চুরুট ধরানো থাকতো। তিনি জাতিতে সুইস। স্থূল কথাবার্তা বলতে পছন্দ করেন, ক্ষুধার্তদের খাদ্য দানে কোন রকম বিলম্ব তার সহ্য হয় না। এ বছরের মার্চে বাংলাদেশে খাদ্যের মজুত ছিল সর্বনিম্ন। এর আগের কয়েক দশকেও কোনদিন এমন অবস্থা হয়নি। সেই সংকটপূর্ণ অবস্থায় তিনি ঘোষণা করেছিলেন, "দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে।"

তার এই ঘোষণায় আশাতীত সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। এক মাসেরও কম সময়ে অবস্থা সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যায়। বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে স্বয়ং হেগেনই বলেছেন, "আমাদের এখন যে পরিমাণ খাদ্য মজুত আছে তা দিয়ে আগামী পাঁচ-ছয় মাস স্বচ্ছন্দে চলে যাবে। এই বছরটা কোনভাবে পার করতে পারলে, আশা করা যায়, অদূর ভবিষ্যতে অবস্থা অনেক ভাল হবে।" তার ঢাকার অফিসে বসে আমি এই কথাগুলোই শুনলাম।

কিন্তু হেগেন এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, কেবল ধনী দেশের উদ্বৃত্ত খাবার গরীব দেশে স্থানান্তর করলেই সমস্যার সমাধান হবে না। তিনি বলেন, "আমরা যদি আসলেই এই জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করতে চাই, তাহলে প্রথমেই দানের প্রথাগত ধারণা ত্যাগ করতে হবে। এখানে নগদ অর্থের প্রয়োজনীয়তা যত বেশী কম্বল বা শিশু খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা তত বেশী না।"

এই কথার মাধ্যমে তিনি অবশ্যই বোঝাতে চেয়েছেন, ধ্বংস হয়ে যাওয়া সেতু পালং শাক দিয়ে পুনর্নির্মাণ করা যাবে না। কিংবা আরামদায়ক পশমি কাপড়ের মজুত দিয়ে দেশের মুদ্রার মান ফিরিয়ে আনা যাবে না। যুদ্ধের আগে এখানকার অর্থনীতি যেমন ছিল বর্তমানে আবার সে অবস্থায় ফিরে যেতে সরকারী হিসেব মতে প্রায় ৩ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন।

এ বছর জাতিসংঘ ছাড়া বাংলাদেশে ৫০টিরও বেশী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করেছে। সবাই হয়তো একসাথে করেনি, এক সংস্থা এক সময়ে তো অন্য সংস্থা অন্য সময়ে। কলকাতার বিখ্যাত মাদার তেরেসা যুদ্ধের পর বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। "আংকল এরিক্‌স চিলড্রেন্‌স হেল্প" এর পক্ষ থেকে এল ই ওয়ালহেগেন-ও এসেছিলেন। রাশিয়ানরা বিশাল বিশাল হেলিকপ্টারে করে এসেছে, লালাভ চেহারার নিউজিল্যান্ডীয়রা সি-১৩০ এ করে চলে এসেছে। এই সি-১৩০ তাদের সরকারের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে নেয়া, বিমানের ক্রুরা সব খাকি শর্টস পরা। এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট সার্বভৌম ভূখণ্ড মাল্টাও একটি বিমান সরবরাহ করেছে। মাল্টা মূলত রোমভিত্তিক "সোভারেন মিলিটারি অ্যান্ড হসপিট্যালার অর্ডার" হিসেবে টিকে আছে।

নৃশংসতার ছাপ এখনও মুছে যায়নি: বাঙালি রমণীদের চোখ থেকে। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ বাঙালিদের চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য পাকিস্তানীরা আক্রমণ করে। তাদের আক্রমণের মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল বুদ্ধিজীবী, আওয়ামী নেতৃবৃন্দ ও হিন্দু সম্প্রদায়। কারণ এদেরকেই তারা স্বাধীনতার ইন্ধনদাতা মনে করতো। শাখারীপট্টির হিন্দু কলোনির ৩০,০০০ অধিবাসীর মধ্যে ৮,০০০ ই মারা যায়। কলোনীর এই মহিলাটি কলসী কাঁখে পানি আনতে যাচ্ছে। সেও জীবিতদের একজন।কেয়ার (CARE) যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যাওয়া কয়েক মিলিয়ন বাড়িঘরকে নতুন বাড়িঘর দিয়ে প্রতিস্থাপিত করেছে। পুনর্বাসনের জন্য তারা নতুন বাড়িঘর নির্মাণ করেছে। রেড ক্রসের সাথে সংযুক্ত মেডিক্যাল টিমগুলো অসুস্থদের সেবা করে যাচ্ছে। কিন্তু, সবকিছু ছাপিয়ে উঠেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের নীল-সাদা এমব্লেম আশার প্রতীক হয়ে দেখা দিয়েছে। ৬০০-রও বেশী ট্রাক আর দুই ডজন "মিনি-বাকার" এর গায়ে শোভা পাচ্ছে জাতিসংঘের এই প্রতীক। এই মিনি-বাকারগুলোর ধারণক্ষমতা ৩,১০০ টন। এগুলো নদীপথে পরিবহনের জন্য নৌকায় খাদ্য ও মালামাল সরবরাহ করে।

এক ইঞ্জিনের ছোটখাট বিমানেও জাতিসংঘের প্রতীক আঁকা আছে। সেদিন বাংলা নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের জন্য ঢাকায় জড়ো হওয়া সাধারণ মানুষ ও সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে থেকে আমিও এরকম একটা বিমান দেখলাম।

বাংলা ১৩৭৯ সাল শুরু হয়েছে। নববর্ষকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য মন্দ্রস্বর গাওয়া হলো, দুই শাশ্বত আনন্দকে বরণ করে নিল সবাই। এ এমন এক আনন্দ, যুদ্ধ বা ক্ষুধা কোনকিছুই যার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। বৃষ্টি ও ভালোবাসার গান গাওয়া হলো এভাবে, "The dark clouds of the monsoon are like your dark hair falling."

সারা দিনে অনেক ধরণের গান শোনা হলো, অনেকগুলো সঙ্গীতানুষ্ঠানই উপভোগ করলাম। পানির স্তুতি বর্ণনা করে গাওয়া একটি গান উল্লেখ করার মতো, হারমোনিয়াম বাজিয়ে গাওয়া হয়েছিল। গানের কথা অনেকটা এরকম ছিল, "of the rivers and the rains and the floods that nourish the soil."

মৌসুমী বৃষ্টিতে বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলই বিশাল হ্রদে পরিণত হয়। বন্যার পানিতে মাটি আরও উর্বর হয়ে উঠে। বন্যা শেষে জেগে ওঠা মাটি একটি নতুন ঋতুর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকে। এই দেশে চাষ করার মতো মোট ২৬ মিলিয়ন একর জমি আছে। এর মধ্যে ২২ মিলিয়ন একরেই ধান চাষ করা হয়। তিন বছর মেয়াদী চাষে এদেশে মোট ১১ মিলিয়ন টন ফসল উৎপাদিত হয়। কিন্তু ৭৫ মিলিয়ন লোকের আহার সংস্থানের জন্য ১৩ মিলিয়ন টন খাদ্য প্রয়োজন। এখনও তাই দুই মিলিয়ন টন ঘাটতি রয়েছে।
নৃশংসতার ছাপ এখনও মুছে যায়নি: লোকসংস্কৃতিতে। রিকশার সিটে আঁকা ছবিতে এখনও ফুটে উঠছে সেই বর্বরতা। পাকিস্তানীরা হাজার হাজার নারীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণকে হিন্দু ও ইসলাম ধর্মে সবচেয়ে বড় অসম্মান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৩ বছর বয়সী এক মেয়েকে পাকিস্তানীরা কয়েক মাস সেনা ক্যাম্পে বন্দী করে রাখে। যুদ্ধ শেষে মেয়েটির বাবা তাকে এক নারী পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে তার গর্ভপাত ঘটানোর পর তার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। এখন সে কারিগরি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এদেশের অধিকাংশ নারীই যেখানে ঘরের কাজ করে সেখানে সে কাজ শিখে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।

[চলবে...]

<< গত পর্ব


মন্তব্য

শিক্ষানবিস এর ছবি

গানের লাইন দুটির অনুবাদ করিনি। কারণ কোন গানের কথা বলা হচ্ছে তা-ই বুঝতে পারিনি। কেউ বাংলা গানটা জানলে সাহায্য করুন। গানের ইংরেজি লাইন দুটি আবারও তুলে দিচ্ছি:
"The dark clouds of the monsoon are like your dark hair falling."
এবং অন্য গানটি হল:
"of the rivers and the rains and the floods that nourish the soil."

পুতুল এর ছবি

জনাব করিম নবগঠিত সরকারে বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক সচিব হিসেবে কাজ করছেন।
এই লাইনে, বিদেশ বিষয়ক= পররাষ্ট্র হলে কেমন হয়? তেমনি শস্যদানা= খাদ্যশস্য ।
গান গুলোর কোন কূল-কিনারা করতে পারলাম না, কিন্তু ভাবছি। অনুবাদ যথারিতী অসাধারন সাবলীল।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

শিক্ষানবিস এর ছবি

খুব ভালো দুটো সংশোধনী দিয়েছেন। পররাষ্ট্র শব্দটা আমার কেন মনে আসলো না সেটাই ভাবতে পারছি না। খাদ্যশস্যটাও খুব দরকারি ছিল। ধন্যবাদ।
গান দুইটা দেখতে থাকেন। আমিও দেখছি।

বিপ্রতীপ এর ছবি

পড়লাম...বরাবরের মতোই ভালো...পুরোটা শেষ হলে এক পিডিএফ-এ আনলে ভালো হবে...সংগ্রহে রাখার মতো একটি অনুবাদ... চলুক

১।
গানটা ঠিক ধরতে পারছি...প্রথমটা 'তার চেয়ে কালো কন্যা তোমার মাথার চুল' গানটা নাকি? মনে হয় লেখকও ভাবানুবাদ করেছেন বাংলা গান শুনে, তাই ঠিক ধরাটা বেশ কঠিন...

২।

মৌসুমী বৃষ্টি বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলকেই বিশাল হ্রদে পরিণত হয়

পরিণত করে...

৩।

যুদ্ধের ডামাডোলে দেউলিয়া জাতি
দেউলিয়া'র বদলে নিঃস্ব ব্যবহার করলে বেশি ভালো শুনাত কি?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

শিক্ষানবিস এর ছবি

২ নম্বরটা ঠিক করে দিয়েছি। ৩ নম্বরের ক্ষেত্রে আমার মনে হয় দেউলিয়াই রাখা উচিত। কারণ লেখক সরাসরি "Bankrupt" ব্যবহার করেছেন। তারপরও ভেবে দেখছি।
গানের খোঁজ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। তবে এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। আরেকটু অপেক্ষা করি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চলুক চলুক


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

নিরিবিলি এর ছবি

খুব ভাল চলুক...হাসি

অভ্রনীল এর ছবি

ভালো লাগলো...

অফ-দ্যা-ট্র্যাক-কমেন্ট
ইমেইল দেখে মনে হল আইইউটিয়ান... কোন ব্যাচ? আমি ট্রিপল ই '০২...

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

শিক্ষানবিস এর ছবি

ঠিকই ধরছেন। আমি '০৫ ব্যাচের। তার মানে এখন ফাইনাল ইয়ারে আছি। আপনে যে আইইউটিয়ান সেটা অবশ্য আগেই জানতাম। রায়হান আবীর, পরিবর্তনশীল, স্বপ্নাহত, আমি- সবাই একই ব্যাচের।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

খুব অসাধারণ একটা কাজ হচ্ছে। চলুক।...
জয় বাংলা।।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

ফারুক হাসান এর ছবি

রিকশার সিটে আঁকা ছবিটায় কি যেন আছে, গায়ের লোম দাড়িয়ে যায়...

এই পর্বটাও দারুন লাগলো। শিক্ষানবিস, আপনার অনুবাদের হাত আসলেই চমত্ কার।

-----------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী,
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।