সূর্যগ্রহণ: ২২ জুলাই ২০০৯

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: বুধ, ২২/০৭/২০০৯ - ৫:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ থেকে চল্লিশ লক্ষ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষ অস্ট্রালোপিথেকাস অ্যাফারেনসিসরা সূর্যগ্রহণ দেখে অন্য সব পশুপাখির মত ছুটাছুটি শুরু করতো। আজকের বিবর্তিত দিনের ঘটনা সেরকম হবে না। আজ সকালে নীড় থেকে খাবারের সন্ধানে বের হওয়া পাখিগুলো খাবার পেতে না পেতেই আবার নীড়ে ফিরতে বাধ্য হবে। সংশয়ী পাখিরা হয়ত এই আকস্মিক অপচ্ছায়া দেখে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবে, ছুটোছুটি করতে থাকবে। কিন্তু আমরা স...আজ থেকে চল্লিশ লক্ষ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষ অস্ট্রালোপিথেকাস অ্যাফারেনসিসরা সূর্যগ্রহণ দেখে অন্য সব পশুপাখির মত ছুটাছুটি শুরু করতো। আজকের বিবর্তিত দিনের ঘটনা সেরকম হবে না। আজ সকালে নীড় থেকে খাবারের সন্ধানে বের হওয়া পাখিগুলো খাবার পেতে না পেতেই আবার নীড়ে ফিরতে বাধ্য হবে। সংশয়ী পাখিরা হয়ত এই আকস্মিক অপচ্ছায়া দেখে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবে, ছুটোছুটি করতে থাকবে। কিন্তু আমরা সারা রাত জেগে অপেক্ষা করবো সেই আকস্মিক অপচ্ছায়ারই জন্য। এটাই তো বিবর্তন, এটাই তো বিকাশ। বিবর্তনের প্রভাব বুঝতে হলে আজ সকালের দিশেহারা পাখিদের সাথে কিছুক্ষণ কাটিয়ে দেয়াই কি যথেষ্ট নয়?

কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে। একটু পরেই শুরু হতে যাচ্ছে একবিংশ শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। বাংলাদেশ মান সময় বুধবার (২২শে জুলাই, ২০০৯) সকাল ০৬ টা ৫৮ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে গ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ১২টা ১২ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে শেষ হবে। পূর্ণগ্রাস গ্রহণের স্থায়িত্ব হবে প্রায় ৬ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড। তবে আমাদের দেশ থেকে এত সময় ধরে গ্রহণ দেখা যাবে না। জাপানের ইয়ো জিমা দ্বীপের আশেপাশে থাকলে পুরো সৌন্দর্য্যটা উপভোগ করা যেতো। আমাদের দেশের ক্ষেত্রে হিসাবটা এরকম:

পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁও থেকে পুরো ১০০% গ্রহণ দেখা যাবে। সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট হতে সকাল ০৭টার মধ্যে বাংলাদেশে গ্রহণ শুরু হবে। সকাল ৯টা হতে ৯টা ৫মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশে গ্রহণ শেষ হবে। আর পূর্ণ গ্রহণের স্থায়িত্বকাল হবে প্রায় ৩ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড।

গ্রহণ যেন পঞ্চগড়ের জন্য বর নিয়ে এসেছে। দেশ-বিদেশের অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং সাধারণ মানুষের আগ্রহের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়। প্রথম আলো এবং বিডিনিউজ এর খবর থেকে জানলাম, দর্শনার্থী ও পর্যবেক্ষকদের ভীড়ে গমগম করছে পঞ্চগড়। অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন, সোসাইটি, অনুসন্ধিৎসু চক্র সবাই উঠেপড়ে লেগেছে এই ঐতিহাসিক মূহূর্তটি পর্যবেক্ষণের ফ্রেমে বন্দী করে রাখতে।

গ্রহণ এসেছে উৎসব হয়ে। এই উৎসব সভ্যতার ইতিহাসের প্রথম দিকেও ছিল। কল্পবিজ্ঞানের যাত্রাও শুরু হয়েছিল এই গ্রহণের মধ্য দিয়ে। ইয়োহানেস কেপলার "সোমনিয়াম" এ লিখেছিলেন, ডাইনি বুড়ির সহায়তায় গ্রহণের সময় চাঁদের ছায়া বেয়ে চাঁদে পৌঁছে গেছে এক জ্যোতির্বিজ্ঞানের ছাত্র। রূপকথা, পুরাণ আর কুসংস্কারেরও শেষ নেই গ্রহণ নিয়ে। একসময় ঠিকমতো সূর্যগ্রহণের ভবিষ্যৎবাণী করতে না পারায় জীবনও দিতে হয়েছে অনেক জ্যোতিষীকে। কিন্তু বর্তমানে সবকিছু ছাপিয়ে উঠেছে উৎসব এবং গ্রহণের বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব।

গুরুত্বটা সবচেয়ে ভাল বোঝা যায় আইনস্টাইনের "সাধারণ আপেক্ষিকতা" প্রমাণের মধ্য দিয়ে। ১৯২১ সালে ইংল্যান্ডের আর্থার এডিংটন আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা প্রমাণ করেছিলেন, এক সূর্যগ্রহণের সময়। বিশাল রাষ্ট্রীয় ফান্ডিং নিয়ে পূর্ব আফ্রিকায় গিয়েছিলেন এডিংটন, কেবল সূর্যগ্রহণের সময় একরাশ তারার ছবি তোলার জন্য। সেই ছবিই বদলে দিয়েছিল পৃথিবীর চেহারা, আমাদেরকে বুঝতে শিখিয়েছিল যে, পৃথিবীতে বাস করা এত সোজা না। বাস করতে হলে আরেকটু ভাবতে হবে। বর্তমানেও এরকম গ্রহণকালীন গবেষণার ধারা চালু আছে। নেট ঘেটে দেখলাম এবারের সূর্যগ্রহণের প্রধান আকর্ষণ "মহাকর্ষের তারতম্য" নিয়ে একটি গবেষণা। চৈনিক বিজ্ঞানীরা এবারের গ্রহণের সময় মেপে দেখবেন, সূর্যগ্রহণের প্রভাবে সৌর মহাকর্ষের কতটা তারতম্য ঘটে। এটা নাকি বিপ্লবও ঘটিয়ে ফেলতে পারে।

আমরাও না হয় অপেক্ষা করি চমৎকার কিছু ফলাফলের আর সাক্ষী হয়ে থাকি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের...


আমরা গ্রহণ দেখছি হলের একেবারে শেষ মাথায় জড়ো হয়ে। পাঁচ তলা থেকে বেশ ভালই দেখা যাচ্ছে। নিচের দিকে মেঘ ছিল। কিন্তু সূর্য একটু উপরে উঠে আসার পরই মেঘের জ্বালাতন থেকে মুক্তি পাওয়া গেছে। তারপরও মাঝেমধ্যে মেঘ জ্বালাতন করবে, সন্দেহ নেই। ঢাকার সবার জন্যই বোধহয় ব্যাপারটা সত্য। তবে ঘন মেঘ না থাকায় ঢাকাবাসীরাও সূর্যগ্রহণ উপভোগ করতে পারবেন, ৯৩%। হ্যা, ঢাকা থেকে পূর্ণগ্রাস দেখা যাবে না, দেখা যাবে ৯৩%।

আমি গতকালই ওয়েল্ডিং গ্লাস কিনে নিয়েছিলাম। এটা খুব ভাল কাজে দেয়। তবে গ্লাসের ভেতর দিয়েও একটানা তিন সেকেন্ডের বেশি তাকিয়ে থাকা উচিত না। যতবার ইচ্ছা তাকানো যাবে, তবে একটানা ৩ সেকেন্ডের বেশি না। এক্স-রে শিট বা সানগ্লাস দিয়ে তাকানো ক্ষতিকর। এগুলো ব্যবহার না করার পরামর্শ রইল।


গ্রহণ শুরু হয়ে গেছে। উপর থেকে আস্তে আস্তে সূর্য ঢেকে যাচ্ছে। চাঁদ তার ছায়া বিস্তার করতে শুরু করেছে পৃথিবীর উপর।

০৮:৩১ - ঢাকা থেকে ৯৩% গ্রহণ দেখে খুব একটা আশ মেটেনি। আমি মূলত পঞ্চগড়ে তোলা ছবি ও পর্যবেক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী মহলে হওয়া পর্যবেক্ষণের ফলাফল পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।


auto
ছবিতে এবারের সূর্যগ্রহণের গতিপথ দেখা যাচ্ছে। নিল বর্ডার দিয়ে ঘেরা ধূসর অংশটাই সূর্যগ্রহণের গতিপথ। অর্থাৎ এসব স্থান থেকে পূর্ণগ্রাস দেখা গেছে। বাংলাদেশের পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাওয়ের উপর দিয়ে রেখাটি গেছে। এছাড়া ভারত, নেপাল, ভুটান, চীন, জাপানের উপর দিয়ে গেছে। এসব স্থান থেকেই কেবল পূর্ণগ্রাস দেখা গেছে। রেখার যত উপরে বা যত নিচে যাওয়া যাবে ততই কম দেখা যাবে। যেমন ঢাকায় ৯৩%, চট্টগ্রামে ৮৭% দেখা গেছে।

- বাংলাদেশ থেকে এমন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ আবার দেখা যাবে ১০৫ বছর পর ২১১৪ সালের ২রা জুন।
- এছাড়া এটি পুরো পৃথিবীতেই একবিংশ শতাব্দীর দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ।


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমি জানি না আপনার পরিকল্পনা আছে কীনা! তাও বলি, সময় সুযোগ হলে ২০১২ সাল (কিংবা/এবং ২৩ সংখ্যা) নিয়ে মায়ান'দের প্রোফেসী নিয়ে একটা বিস্তারিত লেখা দেন। এটা একটা অনুরোধ।

এই লেখাটা এখন পড়ছি। অনলাইনে দেখে জানিয়ে ফেললাম আব্দারটুকু।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শিক্ষানবিস এর ছবি

মায়ানদের ডুমসডে ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে আমারও আগ্রহ আছে। তাদের জ্যোতির্বিদ্যায় উন্নতির কথা তো সর্বজনবিদিত। তারা ঠিক কি মনে করে এমন সিদ্ধান্তে এসেছিল সেটা নিয়ে আরেকটু ভালভাবে জানা দরকার। দেখি, চেষ্টা করবো লিখতে। নজরে আনার জন্য ধন্যবাদ।

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমি যদ্দূর জানি - মায়ান ক্যালেন্ডারে সাইকেল আছে তিনটা। তার ভেতরে একটা সাইকেল পূর্ন হয় ৩৬০০ বছরে। এবং মায়ানরা বিশ্বাস করে এই ৩৬০০ বছরের প্রতি সাইকেল শেষে একটা প্রলঙ্করি কিছু ঘটে পৃথিবীতে। মায়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০১২ সালে একটা ৩৬০০ বছরের সাইকেল পূর্ন হতে যাচ্ছে। তাই অনেকেই আশঙ্কা করছে ২০১২ সনে হয়তো কোন একটা প্রলঙ্করি ঘটনা ঘটবে।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

১৯৯৫ সালেরটা পুরাটাই উপভোগ করেছিলাম ছাদের উপর থেকে। এসএলআর ক্যামেরার লেন্সের উপর এক্স-রে ফিল্ম বসিয়ে পুরা এক রীল ভরে ছবিও তুলেছিলাম। সেই স্মৃতি ভোলার নয়। যিনি সুযোগ পাবেন, যান গিয়ে দেখে আসেন। জীবদ্দশায় তো আর দেখা হবেনা!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আহা, সেই দিনটা। কলেজে আমাদের জীবনের প্রথম ক্যুইজ ছিলো সেদিন। শেষ করে ফিজিক্স ল্যাবের সামনে দেখি বাবা পিশোতো জানালার কাঁচে আগুনের শিখার কালি লাগিয়ে সেটা চোখে লাগিয়ে জনে জনে দেখাচ্ছে।

যখন পূর্ণগ্রাস চলছিলো, তখন কোনো ক্লাস ছিলো না। সব পুলাপান বারান্দায়। তিনতলা থেকে টের পাচ্ছিলাম হঠাৎ কেমন শীতল একটা অনুভূতি। এর আগে স্বজ্ঞানে কখনো সূর্যগ্রহণ প্রত্যক্ষ করি নাই।

মজাই ছিলো সেদিন। বাংলা ক্লাসেও চন্দ্র-সূর্য-পৃথিবীর ছবি এঁকে সূর্যগ্রহণ বুঝানো হয়েছে আমাদের। পড়া নাই, তাতে পুরা কলেজে উৎসব আমেজ চলে এসেছিলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সেটা সকাল ৯ টা ১০টার দিকের ঘটনা মনে হয়, ঠিক মনে নাই। তবে এখনো সেই মুহূর্তের অনুভূতি টের পাই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- খালি সময় পিপিদা? বার শুদ্ধা মনে আছে। মঙ্গলবার ছিলো সেদিন। সেই সকালের পুরো সময়টাই অনুভূতিতে প্রকট। হাত বাড়ালেই যেনো ছুঁতে পারবো। কেনো এমন হয় জানি না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হিমু এর ছবি

পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যাবে না?

আবছামতো মনে পড়ছে, ৯৫ এর আগেও বোধহয় একবার দেখেছিলাম। আংশিক না পূর্ণগ্রাস মনে পড়ছে না। তবে ৯৫ এর ঘটনাটা পরিষ্কার মনে আছে।

সূর্যের সামনে শুক্র গ্রহের ট্র্যানজিট দেখেছিলাম একটা বাটিতে পানি ঢেলে। দুপুরে সূর্যের এত তেজ যে পানিতেও এর প্রতিবিম্বে চোখ রাখা যায় না ঠিকমতো, গগলস পরে দেখতে হয়েছিলো।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হুম, আমার বোঝার ভুল ছিল। দেখা যাবে, তবে বাংলাদেশ থেকে ১০৫ বছরের মধ্যে আর দেখা যাবেনা।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সহকারী কিউরেটর সুকল্যাণ বাছার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এ সূর্যগ্রহণকে বিরল বলা হচ্ছে এ কারণে যে ১০৫ বছর পর বাংলাদেশ থেকে আবার পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। সেটি হবে ২১১৪ সালের ২ জুন। ১৯৯৫ সালের ২৪ অক্টোবর সর্বশেষ পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখা গিয়েছিল।"
বিডিনিউজ২৪.কম

শিক্ষানবিস এর ছবি

চমৎকার হেডারের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

অনিকেত এর ছবি

একেবারে সময় মত কোপ দিয়েছ বস----
চমৎকার লেখা---এইটাই আশা করছিলাম

শুভেচ্ছা

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

আমারও সূর্যগ্রহণ দেখতে মন্চায়।

শিক্ষানবিস এর ছবি

খানিকটা হতাশা: ঢাকার আকাশে মেঘ জেঁকে বসেছে। সূর্য এখন মেঘের আড়ালে। আর আধা ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ণগ্রাস শুরু হওয়ার কথা। এর মধ্যে মেঘ কাটবে কি-না নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। একটু আগেও ভাবতে পারিনি এতটা মেঘ করবে।

আবহাওয়া দপ্তর বলেছিল, পঞ্চগড়ে এ সময় মেঘ করবে না। সে হিসেবে সেখানকার বিজ্ঞানী, পর্যবেক্ষক, দর্শনার্থীরা ভালই উপভোগ করছেন মনে হচ্ছে। কিন্তু সেখানকার লাইভ আপডেট পাইনি কোন। গ্রহণ শেষ হলে হয়ত জানা যাবে।

শিক্ষানবিস এর ছবি

অবাক করে দিয়ে মেঘ সরে গেল। আবার দেখা যাচ্ছে সূর্য। অর্ধেকের বেশি ঢেকে গেছে। চাঁদের গোলমালে সূর্য নিজেই চাঁদের রূপ নিতে শুরু করেছে যেন।
আর বিশ মিনিটের মধ্যেই পূর্ণগ্রাস শুরু হবে। মেঘের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ঢাকা থেকে পূর্ণগ্রাস দেখা যাবে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ছবি তোলেন। এখন তো ডিজিটাল যুগ, তুলে লাইভ পোস্ট করে দেন হাসি

শিক্ষানবিস এর ছবি

ক্যামেরার অভাবে ছবি তোলা গেল না। আর ঢাকা থেকে তোলা ছবি খুব একটা ভালও আসতো না। ৯৩% দেখে ঠিক আশ মেটেনি। পঞ্চগড়কে খুব মিস করছি।
পঞ্চগড়ে তোলা ছবি নেটে আসলে তখন দেখতে হবে, এছাড়া আর উপায় কি!

অমিত আহমেদ এর ছবি

মেঘের কারণে ঠিক মতো দেখতে পারলাম না। আমি দেখেছি ক্যামেরার এলসিডি-তে। একটা ওয়েল্ডিং গ্লাস থাকলে দারুন হতো।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এক্স-রে ফিল্ম থাকলে ওটা দিয়ে দেখো, কাজ হবে।

অমিত আহমেদ এর ছবি

আমার বাজে ডিজিটাল পয়েন্ট-শুটে তোলা দু'টো ছবি।

সূর্য চাঁদ ও মেঘে ঢেকে যাবার পরে।
Solar Eclipse 2009

আস্তে আস্তে আবার উন্মোচিত হচ্ছে।
Solar Eclipse 2009


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হুম, অফিসে আসতে আসতে এক ফালি চাঁদের মতো সূর্য্যিমামাকে দেখা হয়ে গেল।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌দুর........ কিছুই তো দেখলাম না মেঘবৃষ্টির জ্বালায় মন খারাপ

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অমিত আহমেদ এর ছবি
প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দেখেন, অমিত ক্যানাডা থেকে গিয়ে ঢাকায় সূর্যগ্রহণের ছবি তুলে আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছে। তত ভালো ক্যামেরাও নাই ওর। আপনারা যারা ঢাকায় আছেন তারা কি কোন ছবিই তোলেননি?

শিক্ষানবিস এর ছবি

এই তিনটা ছবি বেশ ভাল লাগছে। মেঘের কারণে দৃশ্য বোধহয় আরও সুন্দর হয়েছে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুণ ছবি, অমিত ভাই। চলুক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বন্ধু লুত্ফর রহমান নির্ঝর পঞ্চগড়ে আছে। সে কিছু ছবি আপাতত আপ্লোড করেছে ফেসবুকে... বাকীগুলো র' ফর্মেটে... ঢাকায় এসে আপ্লোড করবে। নির্ঝর এখন অনলাইনে নাই, সম্ভবত ঘুমাচ্ছে। তাই অনুমতি ছাড়াই তার কয়েকটা ছবি দিলাম এখানে। পরে ওর অনুমতি নিয়ে নেবো।
auto

auto
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কল্পনা আক্তার এর ছবি

ছবি গুলোর জবাব নেই.................আধাঁর এতো সুন্দর হতে পারে!!

........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

অমিত আহমেদ এর ছবি

ছবি তো দারুন এসেছে। এই ধরণের ছবির জন্যই মনে হয় ভালো ক্যামেরা কিনতে হবে।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

শিক্ষানবিস এর ছবি

যাক অবশেষে প্রফেশনাল ছবি পাওয়া গেল। এককথায় মুগ্ধ। ডায়মন্ড রিং এবং পূর্ণগ্রাস- দুটাই চমৎকার এসেছে। পারলে আরও ছবি দিয়েন। আমি ফেসবুকে দেখতেছি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

একটা কারেকশন আছে... এই ছবিগুলো পঞ্চগড় না, কুড়িগ্রাম থেকে তোলা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার তোলা একটা ছবি।
auto

-----
উদ্ভ্রান্ত পথিক

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবির লিংক দিলাম তাও দেখাচ্ছে না কেন ইয়ে, মানে...

সরাসরি লিংক

-----------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পৃষ্ঠার ডানদিকে দেখবেন 'শেয়ার দিস' নামে একটা অপশন আছে। ওটাতে ক্লিক করলে বেশ কিছু অপশন পাবেন। সেখান থেকে 'গ্র্যাব দিস এইচটিএমএল' জাতীয় যে অপশন, সেটা সিলেক্ট করে, কোডটা কপি করে সরাসরি এখানে পেস্ট করে দিন। দেখবেন সঠিক আকারের ছবিটা দেখা যাবে এখানে।

আপনার তোলা ছবিটা দুর্দান্ত হয়েছে। মুগ্ধ হয়ে গেলাম দেখে।

শিক্ষানবিস এর ছবি

আপনের ছবিটাও খুব ভাল লাগল। একেবারে অন্যরকম। মেঘের মধ্যে এত সুন্দর ছবি আসতে পারে ভাবিনি।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ
উদভ্রান্ত পথিকের তোলা ছবি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ পিপিদা দেঁতো হাসি
বিডিআর ভাই আর শিক্ষানবিশের ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলাম দেঁতো হাসি
---------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

শিক্ষানবিস এর ছবি

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক বলছে, এটাই হতে পারে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দেখা সূর্যগ্রহণ। কারণ এটা পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চলের উপর দিয়ে গেছে। ভারত, চীন এবং বাংলাদেশ- তিনটাই সবচেয়ে জনবহুল ১০ দেশের মধ্যে আছে। এই হিসাব তাই ঠিক হওয়ারই কথা।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ইয়োহানেস কেপলার "সোমনিয়াম" এ লিখেছিলেন, ডাইনি বুড়ির সহায়তায় গ্রহণের সময় চাঁদের ছায়া বেয়ে চাঁদে পৌঁছে গেছে এক জ্যোতির্বিজ্ঞানের ছাত্র।

বস, এটার একটু বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া যায় না ??

---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

শিক্ষানবিস এর ছবি

কোন ইংরেজি অনুবাদ না পাওয়ায় সোমনিয়াম পড়িনি। মোহাম্মদ আবদুল জব্বারের একটা লেখায় এটা সম্পর্কে এমনটা জেনেছিলাম। সেই স্মৃতি থকেই লিখলাম। আপনি উইকির এই নিবন্ধ এবং এর নিচে সংযুক্ত একটি লিংক অনুসরণ করে কিছু ভাল তথ্য পেতে পারেন:
http://en.wikipedia.org/wiki/Kepler%27s_Somnium

স্বপ্নাহত এর ছবি

তুমি মিয়া ইদানীং যেই নিপুণতায় বিজ্ঞানের সাথে সাহিত্য মিশানো শুরু করসো তা' দেখে আমি রীতিমত হিংসিত।

আর আজকে ঘুম থেকে টাইনা তোলার জন্য থ্যাংকু। নইলে তো মিস অফ দ্য মিলেনিয়াম এর ভাগীদার হইতে হইতো দেঁতো হাসি

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

কীর্তিনাশা এর ছবি

ছবি আমিও তুলছি দুইখান আমার খোড়া ক্যামেরায়। তয় এখন দিতারতাসি না। পরে দিমুনে হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুণ লাগল পোস্টটা। আমি কিন্তু মনে মনে তোমার কাছ থেকে এইরকম একটা পোস্ট আশা করতেছিলাম হাসি

স্বপ্নাহত যেটা বলল, তোমার লেখায় বিজ্ঞানের সাথে ইদানিং সাহিত্যও কিন্তু দুর্দান্তরকমভাবে আসতেছে। দারুণ লাগে পড়তে। চালায়া যাও।

মায়ানদের কী নাকি একটা মন্দির টাইপের আছে যেটার স্থাপত্য নাকি অদ্ভুত, সূর্য আর ছায়ার সাথে কী যেন একটা সম্পর্ক আছে। আমি অনেক আগে শুনছি, মনে নাই ঠিক। তুমি নিশ্চয়ই বলতে পারবা এই সম্পর্কে।

সৌরভ এর ছবি

ইয়াকুশিমায় জড়ো হয়েছিলেন হাজার খানেক মানুষ, দিন তিনেক অপেক্ষায় শুধু এই মুহূর্তের জন্য। তাদেরকে হতাশ করে দিনভর তুমুল বৃষ্টি। সারা দেশেই বৃষ্টি হওয়ায় জাপান থেকে মোটামুটি কারুরই দেখার সুযোগ হয়নি বললেই চলে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

মান খারাপ হলেও নাই মামার চেয়ে কানা মামা চোখ টিপি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এত কম সময়?

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস, এটা কোন চান্কুর করা, ওদের ঐখানে মনে হয় খুব কম সময় ছিল

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

পরিবর্তনশীল এর ছবি

\সকাল বেলা ঘুম থিকা উইঠা সূর্যগ্রহণ দেখতে বেশ আমোদ পাইছি। ঈদ ঈদ লাগছে। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

জাহিদ হোসেন এর ছবি

চ্যানেল আই তে দেখছিলাম সংসদভবনের সামনে বেশ কিছু লোকে জড়ো হয়েছে সূর্যগ্রহণ দেখবার জন্যে। একজনে বারবার বলছেন পুরনো এক্সরে ফিল্ম চোখের উপর দিয়ে না দেখতে, তাতে চোখের ক্ষতি হয়। পাঁচ সেকেন্ড পর দেখলাম পাশেই কয়েকজনে পুরনো এক্সরে ফিল্ম চোখে লাগিয়েই দেখছে। কে কার কথা শোনে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আসলেই কি ক্ষতি হয়? জানা ছিলনা, আমি ভেবেছি এটা ডিমার হিসেবে কাজ করবে। ক্ষতিটা কিভাবে হবে ঠিক ধারণা করতে পারছিনা। এক্স-রে ফিল্ম তো ইতোমধ্যেই এক্সপোজড, ওতে ইমালশন বা কেমিক্যালস তো থাকার কথা নয়।

১৯৯৫ এর সূর্যগ্রহণ পুরোটাই আমি এক্সরে ফিল্ম চশমার কাঁচে টেপ দিয়ে লাগিয়ে দেখেছিলাম। কোন অসুবিধা টের পাইনি। কোন সূত্র থাকলে জানার আগ্রহ রইল। হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এক্সপোজড এক্সরে ফিল্মে সমস্যা একটাই। গাঢ় না হওয়ার কারণে এক পরতে কিছুই দেখা যায় না, প্রায় খালি চোখের মতোই। আলোর তেজ বেশি অনুভূত হয়। তবে বেশ কয়েক পরত হলে ভালো হয়। তবে এক্সপোজড ছাড়া ফিল্মগুলো মনে হয় ব্যবহার করা ঠিক না, বিজ্ঞাপনে এমনটাই শুনতাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ঠিক বলেছেন ধুগো, মনে পরেছে, আমি দুই পরল করে কাঁচের সাথে লাগিয়েছিলাম হাসি তাতেও বেশী সুবিধা না হওয়ায় আমার কিছু আন্ডারএক্সপোজড সেলুলয়েড ফিল্ম ছিলো, সেটা দিয়ে ভালো দেখা গিয়েছিল। আপনার মন্তব্যের সূত্র অনেক কিছু মনে পরে গেলো। দেখুন না, ১০-১২ বছরেই কতটা ভুলে গিয়েছি!

স্নিগ্ধা এর ছবি

পোস্ট, ছবি - সবকিছুর জন্যই ধন্যবাদ রইলো!

দ্রোহী এর ছবি

সুন্দর একটা লেখা। ছবিগুলোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।