কিছুদিন আগে একটা স্কুলের অ্যাডমিশন টেস্ট হলো নার্সারির বাচ্চাদের । বয়স সাড়ে চার থেকে পাঁচ । ওদেরকে করা অনেক প্রশ্নের মধ্যে দুটো ছিল জাতীয় সংগীত কোনটা আর বঙ্গবন্ধু কে ছিলেন । জানা প্রশ্নে তৈরী করা বাচ্চাদেরকে হতবুদ্ধি দেখাচ্ছিল । জাতীয় সংগীতের প্রশ্নে কেউ কেউ ইচ্ছেমতো বাংলা বা হিন্দি গান গাইল । কেউ কেউ পারলো । আর বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে কারো কারো জবাব যমুনা সেতু । আমি কেমন যেন অদ্ভুত ফিল করলাম । আমাদের এই মহান ইতিহাস সম্পর্কে ওদেরকে জানানোর সঠিক পদ্ধতি বা সময় আসলে কোনটা বলেন তো...
মন্তব্য
চিন্তার কিছু নেই। ওরা বড় বাচ্চা। আমাদের বর্তমান কালে সবাই বাচ্চাদের কাছ থেকে মনে হয় একটু বেশীই আশা করে থাকে। তার চেয়ে বাচ্চাদের স্বাভাবিক বিকাশে সাহায্য করলে ভাল হয় বলে আমার মনে হয়। স্বাভাবিক বিকাশ বলতে যার যে বিষয়ে আগ্রহ, ছোটবেলায় সেটা নিয়েই মেতে থাকতে ভাল লাগে - তা নিয়ে বাবা-মা উতসাহ দিলেই ভাল হয়। ইতিহাস, সমাজ - এ বিষয়গুলো নিয়ে এমনিতেই জ্ঞান চলে আসবে।
---------------------------------
আমি ততদিন নাস্তিক ছিলাম যতদিন না আমি বুঝেছি যে আমি নিজেই ঈশ্বর।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
দশ থেকে বারো হলে সমস্যাই ছিলো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ভালো কথা বলেছেন তো!! শিশুদের সঠিক ভাবে দেশকে চিনাতে হবে ।
কিংবদন্তী (www.kingbadantee.blogspot.com)
এতো বাচ্চা! আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ইন্টারভিউএ বলেছিল যে ১৯৭১ এ যুদ্ধ হয়েছিল ব্রিটশদের সাথে। সে আরো বলেছিল, কবিতা আবৃতির কোর্স করতে এসেছে বয়ফ্রেন্ডকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য।
কোন কিছুই আসলে কোন কিছুকে ছেড়ে নয় । এইচিত্র টা আমাদের সার্বিক অবক্ষয়ের একটা অংশ মাত্র ।
আমাদের ছোটবেলায় ও তো একুশে ফেব্রুয়ারীর রাতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফুল সংগ্রহ করে প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে যেতাম খালি পায়ে ।
আজকে শিশুরা?
----------------------------------------
পাখীটা উড়ে যেতেই চাঁদ উঠে পড়লো-
আজো সেই রক্তমাখা মুন্ডুটাই উঠলো ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আর নয় অকারণ দুঃখ দুঃখ খেলা
এবার হাসিমুখ নিশিদিন সারাবেলা
'
=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা
এসব শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশের পাশাপাশি এখন থেকেই ধীরে ধীরে আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতির কথা জানানো প্রয়োজন। সেটা গল্পের মতো করে ই হয়তো হতে পারে। পরিবার থেকেই এটা শুরু হওয়া প্রয়োজন। আর তার ধারাবাহিকতা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে ও থাকতে হবে। তবে গোড়ায় গলদ তো হয়ে আছে। ৩৬ বছরে আমদের যা করার কথা ছিল তার অনেক কিছুই করতে পারিনি। এসব তো তারই পরিনতি। তবে হাল ছাড়লে তো চলবে না। আমরা নিশ্চয়ই পারবো। সবকিছু শেষ হওয়ার আগে কেউ না কেউ দাড়িঁয়ে যাবে।
পড়াশোনা মানে মানুষকে মেশিন বানানো
শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে এই সিস্টেমটা বাদ দিলেই সবাই অন্যদিকে মনোযোগ দেবার সুযোগ পাবে হয়তো
আমি আপনার সাথে একমত যে পড়ালেখা আমাদের মানুষ বানাতে পারছে না, মেশিন বানাচ্ছে। তবে আমার মনে হয় শিক্ষা ব্যবস্থার একটা আমূল পরিবর্তন করতে হবে যেখানে অন্যান্য শিখন পদ্ধতির পাশাপাশি পড়াশোনার একটা যোগসূত্র থাকবে। পড়াশোনাকে তো পুরোপুরি বাদ দেওয়া যায় না। কি মনে হয়?
নতুন মন্তব্য করুন