১.
আজ শাহেদের সুখীতম দিনগুলোর একটা। একেবারেই অন্যরকম একটা দিন। খুব সকালে ফোনের শব্দে ঘুম ভেঙ্গেছে ওর। ওপাশে নুপুর। জন্মদিন উইশ করছে। শীতের বিছানা, কম্বলের উষ্ণতা আর ওপাশে প্রিয় কন্ঠ। অদ্ভুত এক মাদকতা ছড়িয়ে পড়ল ওর সারা শরীর আর মনে। টুকটাক কথা বলেই ফোন রেখে দেবে জানে শাহেদ। কিন্তু...
: একটু লাইনে থাকবে?
ফোন ধরে চুপচাপ শুয়েই থাকল ও। এই নীরবতাটুকুও যে কি উপভোগ্য ! বেশ কিছুক্ষন পর যেন লাইনে ফিরল ও।
: বলো
: আচ্ছা, জন্মদিনে কি পেলে তোমার ভাল লাগবে বলো তো।
: কেন? তুমি দেবে?
: সাধ্য থাকলে। কি চাই বলো?
: শুধু আমার সাথে আজ বেড়াতে যাবে তুমি?
ওপাশে নীরবতা।
: শুধু শুধু বললে কেন? আমি তো কিছু চাইনি তোমার কাছে।
: সরি শাহেদ, আসলে আমার মনটা ভাল নেই আজ...
: আমি নিজে থেকে চাইনি কিছু নুপুর।
আরো কিছুক্ষন চুপ করে থেকে রাজি হলো নুপুর।
ব্যস ! শাহেদের হয়ে গেল। ইচ্ছের ঘোড়াগুলো বুকের ভেতর দাপিয়ে বেড়াতে থাকলো। ভাল করেই জানে শাহেদ, নুপুর ভালবাসে আসিফকে। ওকে নয়। তবুও মেয়েটার সঙ্গ ওকে টানে চুম্বকের মতো। হোক ক্লাসে বা আড্ডায়, যতক্ষন ও আশেপাশে থাকে,একধরনের ভাল লাগা ঘিরে থাকে। শুধু বুকের ভেতরটা জ্বলতে থাকে যখন ও আসিফের সাথে রিকশায় ঘুরে বেড়ায়। আসিফকে নিয়ে বেশ কিছু মুখরোচক গল্প চালু আছে ক্যাম্পাসে, যার কোনটাই পজিটিভ না। আভাসে অনেকবার চেষ্টা করেছে শাহেদ বোকা মেয়েটাকে বোঝাবার। কিন্তু কারো কথায় কান দেয় না নুপুর। নিজের মত করে চিনে নিয়ে নিজের মত করেই ভাবে সবকিছু, নিজের মত করেই ভালবাসে। ”কেন শুধু শুধু স্বপ্নগুলো নষ্ট করা? ঠকেই না হয় চিনে নেবো...সে যখনকারটা তখন দেখা যাবে” বলে ও।
নুপুর বেশ ভাল student । ফিজিক্সে মাস্টার্স করছে। অনার্সে 3rd place করেছিল। স্মার্ট আর চৌকষ একটা মেয়ে। তুমুল আড্ডাবাজ। কিন্তু ছেলে বন্ধুদের সাথে কেমন যেন একটা দূরত্বও বজায় রেখে চলে। আসিফের সাথে কিভাবে জড়ালো মেয়েটা ভেবে পায় না শাহেদ। আসিফের জালে এখন নতুন মাছ। নুপুর জানে না বোধহয়। শাহেদ ওদেরকে বেশ ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেছে কয়েকদিন। নুপুরকে এসব বলা অর্থহীন। ওর ভালবাসা আর বিশ্বাসের জন্ম অন্য কোন পৃথিবীতে।
২.
খাঁ খাঁ নির্জন দুপুর। রোদের ছটায় উজ্জ্বল চারদিক। বারান্দায় দ দাঁড়িয়ে আছে নুপুর। ওর নিজের ভেতরে অন্ধকার। এত বিষন্ন লাগছে ওর। এই বিষন্নতা ওর আজকের নয়। বেশ কিছুদিন হলো নিজেকে এলোমেলো লাগছে ওর। ছোট ছোট কিছু ডিসিশান নিয়েছে। তারপরেও নিজেকে ঠিক যেন গুছিয়ে উঠতে পারছে না।
আসিফের সাথে সম্পর্কটা ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, ব্যাপারটা ওর কাছে ঝাপসা। ওকে ইদানীং একেবারেই বুঝতে পারছে না নুপুর। ছেলেটার সব ব্যাপারেই কনসার্নড থাকতে চায় ও। কিন্তু ও তো কিছু শেয়ারও করতে চাইছে না। খুব অল্পতেই মেজাজ খারাপ করে বেশ কড়া কড়া কথা শুনিয়ে দিচ্ছে। দেখা করতে বললে দেখাও করতে চাইছে না। হলোটা কি ওর?
উপলব্ধি করল নুপুর, আসিফ নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে আসলে অনেকদিন থেকেই। আগে যেমন প্রত্যেকটা ছোটখাট অদরকারী কথাও ওকে না বললে চলত না, এখন দরকারী কথা বলার জন্যও পাওয়া যায় না ওকে।নিশ্চয়ই কোন ঝামেলার মধ্যে আছে বেচারা - নিজেকে বোঝাতে চেয়েছে নুপুর। কিন্তু কি ঝামেলা? ও কিছু বলে না কেন বোঝে না নুপুর। অনেক অভিযোগের পর দুদিন আগে দেখা করতে এসেছিল ও একরাশ বিরক্তি নিয়ে। বেশ কিছুক্ষন ছিল। ঝামেলার কথা কিছুই বলল না ও। কিন্তু যা বলল, তাতে নিজের ভেতর রীতিমত কুঁকড়ে গেল নুপুর।
এরকমটা ও কখনোই চায়নি। ও সবসময়ই আসিফের নির্ভর করার, রিল্যাক্স করার একটা জায়গা হতে চেয়েছে। ওর মা নেই বলে সেই না পাওয়া যতেœর উৎসটুকুও হতে চেয়েছে নিজেই। অথচ কবে যে ওর জায়গাটা বিরক্তির হয়ে গেছে টেরই পায়নি ও। ওর সঙ্গ, ওর ফোন, ওর মেসেজ, সবই আসিফকে বিরক্ত করে এখন।
নিজের দিকে তাকায় ও। ও কি আসিফকে কোনভাবে হার্ট করেছে? মনে তো পড়ে না। তবু ডিসিশান নিলো ও, ওকে আর বিরক্ত করবে না। এইরকম একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে কাউকে আসলে পজিটিভ কিছু দেয়া যায় না। তবু কোথায় যেন কষ্ট, একরাশ শূণ্যতা। মাথার ভেতরে তৈরী হওয়া লজিক্যাল ডিসিশানগুলো বুকের ভেতরের কলকব্জাগুলো মানতে চায়না। একেবারেই মানতে চায়না। শুধু একটা মানুষ সরে গেলে পৃথিবী এত অর্থহীন মনে হয়...
মনটাকে সরাতে চাইল ও। অন্য কিছু ভাবতে চাইল।
আজ শাহেদের জন্মদিন। ওর সবচেয়ে কাছের বন্ধু।
৩.
প্রচুর গাছপালা আর ঝোপঝাড় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে টিলাটা। তার পাশ ছুঁয়ে থেমে থাকা ছোট্ট জলা। প্রিয় এই্ জায়গাটাতেই নুপুরকে নিয়ে এসেছে শাহেদ। ও ধরেই নিয়েছিল শাড়ি পরে আসবে মেয়েটা। কেন যে। কিন্তু ও এসেছে হালকা গোলাপি সালোয়ার কামিজে। তাতে কি হয়েছে। সবকিছুতেই ওকে দেবীর মত লাগে। শুধু ও অন্তর্যামী নয়। কতটুকু ভালবাসা যে ও পুষে রাখে পরাণের গহীন ভিতর, জানে না নুপুর।
”জায়গাটা তো দারুন!” বেরিয়ে থাকা একটা গাছের মোটা শেকড়ের ওপর বসল নুপুর। শাহেদ নিজের আনন্দে বকবক করে যাচ্ছে। নুপুরের চোখ সামনের বিস্তীর্ণ দিগন্তে। ফসল কাটা মাঠ। এখানে একসময় সোনালী ফসল ছিল। ওর ভেতরটার মতই।
আরো কিছু হাতি ঘোড়া মেরে নুপুরের কাছ ঘেঁষে বসল ও। চোখ তুলে তাকাল মেয়েটা। কিছু বলল না। ওর পাশে বসে হঠাৎ করে যেন সব কথা থেমে গেল ওর। একটু নড়াচড়ায় হালকা ছোঁয়াছুঁয়ি হয়ে যাচ্ছে কি যাচ্ছে না। শাহেদের মনে হাজার তারার মেলা।
: একটা কবিতা শোনাও তো।
: কোনটা শুনবে?
: তোমার যেটা খুশি।
উদাত্ত গলায় শুরু করল ও
”জানি আমি তোমার দু চোখ আজ
আমাকে খোঁজে না
আর পৃথিবীর পরে.....
........................
ওখানে স্নিগ্ধ হয় সব
অপ্রেমে বা প্রেমে নয়
নিখিলের বৃক্ষ নিজ বিকাশে নীরব”
তারপর অনেকক্ষন কোন কথা নেই। আড়ালে চোখ মুছল নুপুর। আরো কিছুক্ষন বসে থাকল ওরা। সন্ধ্যা নামছে। উঠে পড়ল নুপুর। ফিরতে হবে। এগুলো ও। পেছন থেকে গাঢ় স্বরে ডাকল ওকে
: নুপুর
: হুঁম?
ঘুরে তাকাল ও।
: তোমার হাতটা ধরে কিছুক্ষন হাঁটি?
অবাক হলো নুপুর। সাধারণত ছেলেদের ছোঁয়া এড়িয়ে চলে ও। আবার ছোঁয়াছুঁয়ি হয়ে গেলে জাত চলে যাবে - এরকমও মনে হয় না ওর। বন্ধু হিসেবে হাত ও ধরতেই পারে। কিন্তু ওর গলায় কিছু একটা ছিল। থামিয়ে দিল ওকে।
: বাসায় ফিরব শাহেদ। দেরী হয়ে যাচ্ছে।
: তোমার হাতটা ধরব নুপুর
ওর গলা এবার কিছুটা কঠিন।
: আমি তার কোন দরকার দেখছি না।
শান্ত গলায় বলল নুপুর।
: আমি যাচ্ছি। ভাল লাগছে না আমার।
হঠাৎ মাথার ভেতরে যেন বিস্ফোরন ঘটল শাহেদের। খপ করে ওর হাত ধরে হিসহিস করে উঠল ও
: আসিফ থাকলে ভাল লাগতো?
নুপুরের চোখে বিস্ময় আর ভয়। কিন্তু মায়া হলো না শাহেদের। কাউকে আর মায়া দেখাবে না ও। সেই ছোটবেলা থেকে অবহেলা অনেক সয়েছে ও। দেখতে ভাল না এই দোষ তো ওর নিজের না। সব ফ্যামিলিতে ছোট সন্তানের আদর আলাদা থাকে, শুনেছে ও। পৃথিবীর সব নিয়ম মিথ্যে করে বাবা মা এবং সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ভাইয়াই। বন্ধুদের আস্থাভাজনদের তালিকায় ওর নাম প্রথম সারিতে। কারো মন খারাপ হলে কাছে এসে মন ভাল করে নিয়ে যায় সবাই। কিন্তু ওর মনটাকে বুঝতে চেয়েছে কেউ? ও কি শুধুই বন্ধু বা ভাইয়া? প্রেমিক নয়? এ পর্যন্ত কতজনকেই তো ভাল লেগেছে ওর। কিন্তু ওদের কেঊই ওকে বিশেষ চোখে দেখার কথা ভাবেনি কখনো। কেন?
মেয়েগুলো কাছে আসে, ফরমায়েশী কবিতা শোনে, হাসিমুখে চলে যায়। মনোযোগ, গুরুত্ব, ভালবাসা, এগুলো কি ওর জন্য নয়? যথেষ্ট হয়েছে। নিজেকে বঞ্চিত আর হতে দেবে না ও। যা চায়, জোর করেই আদায় করে নেবে ও। শোধ নেবে এতদিনের অবহেলার। হ্যাঁচকা টানে হাতের মুঠোয় চলে এল গোলাপি ওড়না। ওর চোখে নিষ্ঠুরতা। ধাক্কা দিয়ে মেয়েটাকে ফেলে দিল ও। চিৎকার করে উড়ে গেল কাছের হিজল গাছে বসে থাকা এক ঝাঁক পাখি।
রাত নামছে.....
মন্তব্য
- শাহেদ মিয়া এতোটা ডেসপারেট না হলেও এখান থেকে নতুন একটা পথ শুরু হতে পারতো হয়তো। ওষ্ঠে খুব ছোট্ট এবং আচমকা একটা উষ্ণ স্পর্শ নুপুরকে নতুন করে ভাবতে শেখাতো পদার্থবিদ্যার সূত্রগুলো।
যাকগে, তবে যেভাবে শাহেদ ভেবেছে সেটাও খারাপ হয়নি। মন ছুঁয়েছে বলেই সন্ধ্যাটাকে অন্যভাবে নিজের চোখে দেখে নিলাম
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ গল্পের অন্যরকম শেষটুকুর জন্য।
দৃষ্টিভঙ্গি যে পজিটিভ
এটা বোঝা যায়।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
প্রেমের এমাথায় ভিক্ষা আর ওমাথায় ডাকাতি
কিন্তু বেশিরভাগ ভিক্ষুকেরই আর শেষ পর্যন্ত ডাকাত হয়ে উঠার সুযোগ কিংবা সাহস কোনোটাই হয় না
পুরো গল্পটাই হৃদয় ছোঁয়া। পড়তে পড়তে কি কমেন্ট করবো ভেবে রেখেছিলাম। কিন্তু শেষ লাইনে মনটাই খারাপ করে দিলেন। এরকম কখনো হয় না। শাহেদরা সারাজীবন কস্ট বয়ে বেড়ায়। নুপুরের একঝলক হাসি কিংবা একমুঠো কথার জন্য পাগল হয়ে থাকে। কিন্তু নুপুররা আসিফকেই তা দিতে চায়। যদিও আসিফফের কাছে তা বিরক্তিকর।
আমি কাউকে কাউকে ভালোবেসেছিলাম, তারা বাসে নাই;
আমাকেও কেউ কেউ ভালোবেসেছিল, আমি তাদের বাসি নাই।
রায়হান আবীর
শেষ লাইন বাদ দিলে কি কমেন্ট করতেন ?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এ গল্পটা উপন্যাস হতে পারতো।
ভালো লেগেছে।
অবহেলা সহ্য করা যায়, কিন্তু আদর-অবহেলার মাঝামাঝি স্থানটা খুব কষ্টদায়ক, যেমন কষ্টদায়ক উপেক্ষিত হওয়া। দুটোই মানুষকে দিশেহারা করে তুলে।
কিছু লেখা পড়তে পড়তে বুকে পাথরের অস্তিত্ব আবিষ্কার করি...
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কিন্তু আদর-অবহেলার মাঝামাঝি স্থানটা খুব কষ্টদায়ক-
ভীষন রকম সত্যি কথা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
করতাম যে, "প্রতিটা চরিত্র এতো বাস্তবভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে, আমার মনে হচ্ছে এই গল্পের নায়িকা আপনার খুব কাছের কেউ, আপনি নিজেও হতে পারেন:D। কারণ এমন একজনকে আমি চিনি, খুব ভাল ভাবে চিনি।" শেষলাইন পড়ে আর দিতে পারলাম না।
রায়হান আবীর
এই ভেবে তবু স্বান্তনা পাই যে মনটা এখনো পাথর হয়ে যায়নি বলেই পাথরের অস্তিত্ব আবিস্কার সম্ভব হয়েছে।
গল্পটা বাস্তবঘেঁষা।নির্দিষ্ট করে বলতে হলে- চাওয়া এবং পাওয়ার মধ্যকার যে অমিলটুকু।বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।কিন্তু বেশিরভাগ বাস্তবতাই কষ্টকর।
ভাল যে লেগেছে সেটা বলাই বাহুল্য।
-স্বপ্নাহত
- এখনো নুপুর ওখানেই পড়ে আছে? আরে ওড়না রেখেই দৌঁড় দিতে কন, রাইত নামতাছে না!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরে !
এত সিনে-মারি-ভিউ পড়েও কিছু শিখলেন না?
নুপুর ওখানে ভয়ে অস্থির। আপনি হিরো হয়ে চিৎকার দিয়ে ছুটে যান না কেন মশাই ।”নু-পু-র... ভয় পেয়ো না...আমি আসছি”
তারপর শাহেদকে
” শাইতান....”
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- শায়তানননন..... তুই নুপুরের বস্তার মতো দেহটা পাবি মাগার তার তুলার মতোন দিলটা পাবি না....
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"বঞ্চণা হতে জন্ম নেয় পুন্জিভুত ক্ষোভ,আর পুন্জিভুত ক্ষোভ জন্ম দেয় নতুন এক বিপ্লব"--কার্ল মার্কস
ছেলেটার মধ্যে এই সূত্রটি কাজ করেছে মনেহয়।
লেখাটা সাধারণ মানের। তবে বাচনভঙ্গি ভালো। ঘটনার মধ্যে বাস্তবতা কম। লেখাটার মধ্যে বাহ্যিক কোয়ালিটিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বেশী। একটু ঢালিউড ঢালিউড ভাব!
-হরিপদ কেরাণী
কিনু গোয়ালার গলি,
শেয়ালদা রেল ষ্টেশন রোড,
কলকাতা,ভারত।
নতুন মন্তব্য করুন