চলতে থাকে আমার গ্রামীন জীবন। সপ্তাহে দুইদিন শহরে ফিরে এসে নিজের ক্লাস করি। আর বাকি চারদিন গ্রামে ক্লাস করাই। শুধু সমস্যা একটাই। আশেপাশে আমার সমবয়সী এমন কেউ নেই, যার সাথে মন খুলে কথা বলা যায়। যারা ছিল, তাদের কারো বিয়ে হয়ে গেছে, আর কেউ অনেক অনেক পড়বে বলে গ্রাম থেকে দূরে। সবেধন নীলমনি ক্লাস নাইনে পড়া আমার চাচাত বোন, বিনু। স্কুলের পর বাকি সময়টা ও আমার কাছে কাছে থাকে।
আমাদের পেছন পাড়ায় পাড়াত এক ফুপু থাকেন। অজানা কি এক কারণে উনি আমাকে খুব পছন্দ করতেন। মাঝে মাঝেই এটা সেটা রান্না করে আমাকে ডেকে পাঠাতেন। আদর করে খাওয়াতেন। একদিন বিনু এসে খবর দিল, ফুপু যেতে বলেছে। গেলাম। গিয়ে দেখি এলাহী কান্ড। ওদের বাড়ির পাশে যে ফাঁকা জায়গাটা ছিল, সেটা ঘিরে দেয়া হচ্ছে। শুনতে পেলাম ফুপুর ভাতিজা তার বোচকা বাচকি নিয়ে এখানে চলে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ তার বাপ তাকে বাসা থেকে বাসা থেকে নামিয়ে দিয়েছে। শুনিয়া আমি অতিশয় আহলাদিত হইলাম। এইসব বাপে তাড়ানো মায়ে খেদানো ছেলেপিলে সবসময়ই আমার পছন্দ। আমি রতœটিকে দেখব বলে অপক্ষো করতে থাকলাম।
কয়েকদিন পর। ছুটির দিন। দশটা সাড়ে দশটা হবে। সবে গোছল সেরে বেরিয়েছি। বিনু এসে টানাটানি, ফুপু এক্ষুনি যেতে বলেছে। গিয়ে দেখি জায়গাটার বহু পরিবর্তন। বোচকা বাচকি সব এসে গেছে। বোচকা বাচকি মানে হলো বাছুরসহ চৌদ্দখান গরু। বিশাল সাইজ একেকটার। আমি মালিকের খোঁজে আগ্রহ নিয়ে এদিক ওদিক তাকাই। তার সাইজও কি এরকম বিশাল হবে নাকি?
আরো কিছুক্ষন পর বারান্দায় বেরিয়ে এলো মালিক। লম্বা, শুকনা পটকা একটা ছেলে। চেহারায় আত্মবিশ্বাস এবং চটপটে ভাব। এই কদিনে ওর অনেক গল্প শুনেছি। চেহারায় আলগা কোন ভাব নেই। কাজেই কথা আমিই আগে শুরু করি। অল্প কদিনেই আমাদের মধ্যে একটা বন্ধু বন্ধু সম্পর্ক গড়ে উঠল। শুধু আমি ওর এক বছরের সিনিয়র, এটা শুনে কেন যেন ও একটু বিষন্ন হলো।
মানুষ হিসেবে ছেলেটা বেশ ইন্টারেস্টিং। বিএ পাশ করেছে। যথেষ্ট হয়েছে। আরো পড়ালেখা করে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না। তাছাড়া ইনকাম সোর্স তো ওর আছেই। দুধ বিক্রি করে ও যথেষ্টই আয় করে। গরুগুলো ওর জান। আর এটা নিয়েই বাপের রাগ। একজন নামকরা প্রফেসরের ছেলে দুধ বেচে খাবে? কাভি নেহি। তারচেয়ে বাসা থেকে নেমে যা। ও তাই নেমে এসেছে।
গরুর যতেœ আপোষহীন। চারটা ফ্যান আছে ওর, গরমের দিনে গরুদের বাতাস খাবার জন্য। ওর একটা গরু ছয় লিটার করে দুইবেলা বারো লিটার দুধ দেয়। যেটাকে রাত একটায় একবার দোয়াতে হয়। রাখাল বালক আবার ভীতুর ডিম। ডিমলাইট ছাড়া ঘুমাতে পারে না। রাতে একা বাইরে যেতে পারে না। কাজেই মধ্যরাতে ওর কাজের ছেলে সহিদুলের ঘুম ভাঙিয়ে কাজটা ওকে করতে হয়। একরাতে সহিদুল উঠল না। ছোট মানুষ ও। এরকম হতেই পারে। কিন্তু রাখাল বালক বুঝল না। সকালবেলা নামায পড়ল না, বেলা হয়ে যায় তবু ও বিছানা ছাড়েনা। গোবর পরিষ্কার করা, খাবার দেয়া, দুধ দোয়ানো, আরো অনেক কাজ বাকি। কিন্তু ও ওঠে না। সহিদুল গোয়ালের চাবি চাইল, চাবিও দেয় না। নাশতা খাবার জন্য সাধাসাধি, খায়ও না। গোয়ালা এসে দুধ চাইল, ”দুধ আর দেব না।” বাড়িশুদ্ধ মানুষ অনুরোধ করে শেষমেষ রাজি করালো। ও উঠে গোয়ালাকে দুধ দিল। নতুন বাছুরটাকে অকারণেই মারল। সবাই বলে, ”ওই ছোটমানুষের ওপর রাগ করা কি তোর সাজে?” উল্টো ও মেজাজ দেখিয়ে বলে, ” ওর ওপর রাগ করব না তো কার ওপর করব? সহিদুল ছাড়া আমার আর আছেটা কে?” আচ্ছা ছেলেমানুষ !
সেদিন আমাদের বাড়ি এলো ভীষন সর্দি নিয়ে।
: এতো ঠান্ডা লাগলো কি করে?
: আমি যে মশারি টাঙাতে পারি না।
: তাতে কি?
: রাতে লেপ গায়ে ঘুমাচ্ছিলাম। দেখি মশা কামড়ায়। বাঁচতে দিলাম ফ্যান ছেড়ে। ফুল স্পিডে ছিল। সকালে দেখি এই অবস্থা।
হেসে উঠি আমি। মানুষ এইরকম আজব হয়?
একদিন বিকেলে আমি আর বিনু হাঁটছিলাম রাস্তা দিয়ে। বাঁশঝাড়ের কাছে যে খেজুর গাছটা, ওটার কাছে এসে হঠাৎ আমার খেজুর চোখে পড়ল। কোথথেকে যেন ও এসে হাজির। বাজারে যাচ্ছে।
: চলেন চা খেয়ে আসি।
: বাজার থেকে?
: হ্যাঁ
; তাহলেই হয়েছে। তারচে বরং খেজুর খাওয়াতে পারেন। লম্বা গাছে আমি উঠতে পারি না।
আপনি পারেন?
আমি ঠাট্টা করে বলেছি। কিন্তু রাখাল বালক দিব্যি প্যান্ট গুটাইয়া শাখামৃগের ন্যায় তরতর করিয়া গাছে উঠিতে লাগিলেন। গাছ থেকে নেমে কয়েক পা এগুতেই বাঁধল বিপত্তি। পায়ের নীচে নরম ঠেকল কি? এচ্ছি...
আমি তবু কিছু ভব্যতা জানি। বিনু তার কৈশোরিক চপলতায় বাঁধভাঙা হাসিতে কলকল করে উঠল। বিব্রত রাখাল ঘাসের সাথে পা মুছতে মুছতে খেজুরের ঝাড় বাড়িয়ে ধরল। কিন্ত গু পাড়ানো মানুষের হাত থেকে কিছু নিলে সেটা আর খাবার উপযুক্ত থাকে কিনা আমরা দ্বিধাগ্রস্ত। যাই হোক ভদ্রতাবশত আমি ঝাড়টা নিলাম। আর ও রওয়ানা হলো বাড়ির দিকে। পরে শুনেছি গোছল করে পাক পবিত্র হবার আগে ও নাকি গরুর কোন কিছুই টাচ করে না। আজব।
ওর এইসব কান্ড দেখে আমার মজা লাগে। ভাল লাগে। ওর চোখেও আমার জন্য ভাল লাগা ঝিলিক দেখি। বন্ধুতায় তো এরকম থাকবেই। তবে জেদ ওর অনেক বেশি লাগামছাড়া। যখন তখন রাগ হলে দরজা বন্ধ করে কাটিয়ে দেয় সারাটা দিন। কখনো কখনো তারো বেশি। একজন রাগ করে সব বাদ দিয়ে বদ্ধ ঘরে অন্তরীন, এটা দেখলেও আমার ভাল লাগে। তবে অবাক ব্যাপার হলো আমি ডাকলে কখনো কখনো ও বেরিয়ে আসে। কিন্তু আমি সচরাচর কাজটা করিনা।
এরকমই একদিন। ওদের বাড়িতে ওর আরো কিছু ভাই বেরাদর এসেছে। এদের একজন ঢাকা কলেজ আর অন্যজন পড়ে জাহাঙ্গীরনগরে। ভাবের সাগরে দুজনেই ভাসমান বিধায় আমি আগ্রহী হলাম না। ওরা দেখি অভিমানী বালকের মান ভাঙানোতে রত। বালক অšতরীন। আমি ফুপুকে খুঁজে বের করে তার শালটা পৌঁছে দিলাম। আমাদের বাড়িতে ফেলে এসেছিলেন উনি। চলে এলাম।
পরদিন বিকেলে ও আমাদের বাড়ি। একথা ওকথা বলার পর আমাকে বলল, ও আশা করে ছিল, আমি ওকে ডাকব। আমি বলি
: ঢাকা থেকে লোকজন এসে ডাকাডাকি করে গেল, লাভ হলো না। আর আমি তো বাড়ির কাছের মানুষ।
গলায় একরাশ গভীরতা এনে ও বলল, ” আপনি ডাকলে খুলতাম। জানেন, ঘরে থাকলেও আমি বুঝতে পারি, আপনি কখন এসেছেন, কতক্ষন আছেন। কথা না শুনলেও বুঝতে পারি।”
আমি অবাক হই। ওর দিকে মায়া নিয়ে তাকাই। আমি ওকে শুধু বন্ধু ভাবি। কিন্তু বালক যে ভুল পথে যায় !
মন্তব্য
এই পর্বটা ঝাক্কাস হইসে...
আরো ভুল পথে হাঁটা বালকের পদধ্বনির প্রতীক্ষায় কান পেতে রইলাম
কানকথাঃ বালিকা কি একবারও ভুল পথে পা বাড়ায়নি?
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
LoVe is like heaven but it hurts like HeLL
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
শুকরিয়া...
কানকথাঃ নিজের ক্ষেত্রে ভুল নির্ভুলের সঙ্গা বালিকার এখনো জানা নাই।
..........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হক কথাঃ সংজ্ঞা তাড়াতাড়ি শিখে ফেলাটাই মনে হয় বুদ্ধিমতীর কাজ হবে।আর সাথে দুই একটা উদাহরণও
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
LoVe is like heaven but it hurts like HeLL
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
দারুন!!!
দেখেন বালিকা যেন ভুল না করে বসে।
-নিরিবিলি
সেইজন্য দোয়া রাইখেন।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বালক ভুল করে জলে নামে, গাছেও উঠে ।
আর বালিকারা ?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বুক ফাটলেও মুখ ফাটে না। কিংবা ব্লগে ফাটাফাটি (পোস্ট)
হা হা হা
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কি আর কইতাম... দুধ বালকরে ভাল লেগে গেল...
---------------------------------
এসো খেলি নতুন এক খেলা
দু'দলের হেরে যাবার প্রতিযোগিতা...
আর বালিকা কি দোষ করলো?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
রসিকা সাহসিকা!
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
দ্বিগুন ধন্যবাদ।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ভালো লাগছে সিরিজটা।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ধন্যবাদ জুবায়ের ভাই।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মজা লাগছে সিরিজটা।
হুউউউ...চলতে থাকে যেন !!!
ধন্যবাদ।
দেখা যাক কি হয়।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- 'অল সীন আই'-এর ডরে কিছু কইতেও ডর করে! তাও কয়েকটা জিনিষ না জিগাইয়া পারলাম না।
১) আগের পর্বের মি. মাশাল্লাহ'র কী হৈছিলো?
২) গু মাড়ানো বালকের হাতের খেজুরের পরিণতি জানতে চাই!
৩) সাইকেল চালানো, গাছে ওঠা ছাড়া আর কী কী পারেন?
৪) আপাততঃ মনে নাই-
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
১) ................
২) খেজুর খাই নাই। চোক্ষের আড়ালে ফালায়া দিছি।
৩) আরো ম্যালা কিছু...
৪) আপাততঃ বলারও আর কিছু নাই-
........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সহজ সরল নাদান বালক পেয়ে তাকে ভুল পথ দেখিয়ে দিয়ে আবার ভুল পথে যাবার খোঁটা?
..................
সিরিজটা দুর্দান্ত
একেবারে মেদবিহীন
যাক
অবশেষে শিমুল তার লেখাগুলো লোকজনকে দেখাতে রাজি হলো
এটাই সৌভাগ্য
যে যায়, সে যায়ই রে ভাই
কাউকে পথ দেখাতে হয় না।
...................
এভাবে বললে লজ্জা পাই তো !
.................................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আহা এমন জায়গায় শেষ করে দেন কেন?
ভাল লাগা এখানেই শেষ?
ভালো লাগার শেষটা যে কোথায়
কখনো বুঝতে পারিনা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ইস দুধ বালকের জন্য খুব মায়া লাগছে, বালিকা কি হ্যা বলবে ???
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
মায়াবতী মুমু
বালিকার মতিগতি আমি নিজেও ঠিক বুঝে উঠতে পারি না যে...
........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অসাধারণ! আপনার লেখাগুলোর মাঝে সবচেয়ে ভালো লেগেছে এই লেখাটি। গল্পের যেমন শুরু, তেমন বর্ণনা ও সমাপ্তি।
...অসম্ভব রকমের ভালো।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে জলিল ভাই।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কি ভাবে যেনো এই লেখাটি চোখ এড়িয়ে গিয়েছিলো। তাই অনেক দেরীতে হলেও বলছি।...
লেখাটি এক কথায়-- দারুন!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
থ্যাংকস...
........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ঝরঝরে, মুচমুচে, গোলগাল, মিষ্টি - লেখাটা !
মজা পেলাম লেখাটা পড়ে।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
চমৎকার। লেখাত মাঝে ভীষন স্বাভাবিক সারল্য খুব ভালো লাগছে।
একই সাথে এ-ও বলি, এই সুন্দর সরল গ্রামীন জীবনের গল্প এমন করে অনেকদিন কোথাও পাই নি। আমরা এমন ছবি তেমন করে কখনও নিজের জীবনে দেখি নি, জানিই নি বাংলাদেশের সত্যিকারের সৌন্দর্য।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
এই দিন দিন না
আরো দিন আছে
সুযোগ অনেক আসবে দেশটাকে চিনে নেবার
কাছে থেকে জেনে নেবার।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন মন্তব্য করুন