কত্তো রঙের ভালোলাগা ৪

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা পারভীন শিমুল (তারিখ: রবি, ০৬/০৪/২০০৮ - ১১:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের হেডস্যার খুব সৌখিন লোক ছিলেন। ঠিক করলেন, একটা উপকরণ প্রদর্শনী মেলার আয়োজন করবেন। যেই ভাবা সেই কাজ। একটা উৎসব উৎসব সাড়া পড়ে গেল সবার মধ্যে। যে যা পারে, যেভাবে পারে বিভিন্ন উপকরণ যোগাড় করতে থাকল। এত বড় একটা ব্যাপার, পাড়ার বড় বড় মাথাদের কনসেন্ট ছাড়াও উঠতি বয়সের পোলাপাইনদের সাহায্যও দরকার। তারাও আগ্রহী হয়ে উঠল। হাজার হলেও পাড়ার স্কুল বলে কথা।

আমাদের স্কুলে আমরা টিচার পাঁচজন। আমিই সবচেয়ে লঘিষ্ঠ। কোন এক বিচিত্র কারণে এইসব পোলাপাইন তাদের সব আইডিয়ার কথা আমার মাধ্যমেই হেডস্যারের কাছে পাঠাতে চায়। আমারও খারাপ লাগে না। এদের মধ্যে কিছু পাতি মাস্তান। কান টানলে যেমন মাথা আসে, ঠিক সেরকম করে কিনা জানি না, তবে তিন চারদিনের মধ্যে এলাকার সবচেয়ে বড় মাস্তান, সবাই যাকে বড়ভাই বলে ডাকে, তিনিও ব্যাপারটিকে নিজেদের ব্যাপার করে নিলেন। তিনিও মাঝেমধ্যে আসেন, স্যারদের সাথে ভাব ধরে কথা বলেন, মাঝেমধ্যে আমার মতামত জানতে চান। কিন্তু তার আগমন স্কুলের জনগনের মনে স্বস্তি যে দেয় না এটা পরিষ্কার বুঝতে পারি।

তার কুখ্যাতির কোন প্রভাব আমার মধ্যে দেখা যায় না। আমি খুব সহজ আচরণ করি তার সাথে। সে মাস্তান হলেও অনেকেই বলে মানুষ ভাল। মদ গাঁজা খেয়ে রাতের বেলা এখানে ওখানে পড়ে থাকে। কিন্তু অকারণে কারো সাথে বেয়াদবি করে না। হাজার হলেও এম এ পাশ দেয়া মানুষ। শুধু নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে শেষ রেজাল্টটা তার খারাপ হয়েছে। লোকে তাকে বিনা কারণে ঘাটায় না।

মেলা শুরু হলো। যতটা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে বেশি সাড়া পাওয়া গেল। কাজেই দুদিনের মেলা করা হলো তিনদিনব্যাপী। মেলাতেই পাড়ার ছেলেদের দেয়া একটা বইয়ের দোকানে প্রায়ই এসে তিনি সময় কাটান। মেলার শেষদিনে উনি আমার আপত্তি সত্বেও আমাকে দুটো বই উপহার দিলেন। এইসব দূরের লোকজনের উপহার স্বস্তি দেয়না আমাকে। অস্বস্তি কাটাতে আমি তাকে দুটো রবীন্দ্র সংগীতের ক্যাসেট দেই। খানিকটা হালকা লাগে। দেনাপাওনায় শোধবোধ।

কদিনের ঝামেলা শেষে আবার সব আগের মতই চলতে থাকে। ফেরার সময় মাঝে মাঝে বড় ভাইয়ের সাথে দেখা হয়ে যায়। উনি হোন্ডার স্পিড কমিয়ে আমার সাইকেলকে কিছুদূর সঙ্গ দেন। দু একটা কথা বলেন। এরমধ্যে হঠাৎ একদিন আমাদের বাড়িতে তার আগমন। এসে বলল, ”চা খেতে এলাম।” আব্বা বাজারে। আমার জননী ভয়ে অস্থির। ছোটখাট ব্যাপারে টেনশন করার অসাধারণ প্রতিভা নিয়ে জন্মেছেন তিনি। তারই প্রকাশ ঘটিয়ে তিনি একটু পরপর বলে যাচ্ছেন, ”ও মা, এই ছেলে বাড়িতে আসছে কেন? তোর কাছে আসছে কেন? কি চায়?” ইত্যাদি ইত্যাদি।

আম্মাকে শান্ত করে আমি চায়ের আয়োজন করতে নামি। যতরকম কালো দানা, তিল, শরিষা, কালোজিরা, তেলাপোকার গু সব পাওয়া গেল, শুধু চাপাতি ছাড়া। কাজেই চানাচুর, বিস্কুট আর কটকটি দিয়েই আতিথেয়তা সারি। জানা গেল, উনি মেডিটেশনের ব্যাপারে কিছু জানতে চান। এই ব্যাপারে কথা বলায় আমার তুমুল উৎসাহ, কিন্তু আম্মার অস্বস্তি দেখে আমি তাকে ”আত্মসম্মোহন” বইটা দিয়ে তাড়াতাড়ি বিদায় করি।

এর কদিন পর বড়ভাইয়ের সাগরেদ আমাকে জানায় তার ওস্তাদের মনের কথা। আমার মনে পড়ে যায় ছোটবেলার কথা। প্রেমের ব্যাপারে আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল, কোন বড় এক মাস্তান আমার প্রেমে পড়বে এবং অসম্ভব সব কান্ড করে বেড়াবে। আর আজেবাজে পথ ছাড়িয়ে আমি তাকে নিয়ে আসব আলোর পথে। মনের গভীরে ডুব দিয়ে আমি সেই স্বপ্নটাকে খুঁজলাম। পেলাম না কোথাও।

বড়ভাই ইদানিং আমাকে এড়িয়ে চলছে। সামনাসামনি হলে আগের মতই খুব স্বাভাবিক আচরণ করব বলে ভেবেছিলাম, কিন্তু আমাকে তো সে সুযোগই দিচ্ছে না। আমাকে আসতে দেখলেই হয় কোন দোকানের মধ্যে ঢুকে পড়ে, নয়তো অন্য কারো সাথে কথা বলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু আমি যে দাম দেখাচ্ছি না এটাও যে তাকে বোঝানো উচিত। কিন্তু কিভাবে?

ক্লাস নিচ্ছি। স্কুলের মাঠ শেষে বাঁশঝাড়। চোখে পড়ল ওখানে বড়ভাই দাঁড়িয়ে। আমার দিকে তাকিয়ে আছে। অনেকক্ষন। অস্বাভাবিক লাগলো। এবং সেইসাথে প্রথমবারের মত একটু ভয় পেলাম। ছেলেটা ভয়ংকর কিছু ভাবছে কি?

সাইকেল ঠেলে হেঁটে হেঁটে স্যারের সাথে বাজারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। কাল স্কুলে তিনি থাকবেন না বলে আমাকে কি সব বুঝিয়ে দিচ্ছেন। বড়ভাই বসে আছে চায়ের দোকানে। বাঁশের সাথে হেলান দিয়ে বেন্চিতে বসে। হাতে কাপ। কিন্তু অনড়। আমার দিকে কেমন অদ্ভুত এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। দৃষ্টিটা খানিকটা বোধহয় এরকম- সামনে দিয়ে ভীষন কাঙ্খিত একটা জিনিস চলে যাচ্ছে, যার জন্য সমস্ত জীবন বাজি ধরা যায় কিন্তু তাকে নাগালের মধ্যে পাওয়া যায় না, অধিকার ফলানো যায় না, শুধু দূর থেকে প্রাণ ভরে দেখা যায়। দুচোখে অসম্ভব পিপাসা, কিন্তু নিষ্পাপ চাহনি। কোন নোংরামি নেই, প্রতিহিংসা নেই।

অচেনা অদ্ভুত এক কষ্টে আমার বুকের ভেতর মুচড়ে উঠল। কিন্তু আমি যে...


মন্তব্য

স্বপ্নাহত এর ছবি

প্রথমে শাহরুখ খান,এরপর গরুওয়ালা,অতঃপর ফিট খাওয়া ফিট বাবু আর এইবার আস্ত একটা মস্তান।

কালে কালে কত দেখবো রে বাতাসী!!

অচেনা অদ্ভুত এক কষ্টে আমার বুকের ভেতর মুচড়ে উঠল। কিন্তু আমি যে...

এত লজ্জা পাবার কিছু নাই।বইলা ফালান। চোখ টিপি

---------------------------
দুঃখ সুখের স্পর্শ নীরে
সাঁতরে বেড়াই;
নিঃসংগ এক,নিঃসংগ মেঘ।

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

প্রথমে শাহরুখ খান,এরপর গরুওয়ালা,অতঃপর ফিট খাওয়া ফিট বাবু আর এইবার আস্ত একটা মস্তান।

আহা এভাবে বলতে হয় না
বলতে হবে প্রথমে হিরো তার পর গরু (গবেট) তারপর শিল্পী তারপর মাস্তান

এই ধারাবাহিকতা তো ঠিকই আছে। নায়কের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে যখন নাজেহাল অবস্থা তখন সামনে গরু-গাধা যাই পাওয়া যাক না কেন তার প্রেমে পড়া। তারপর সেখানে বিরক্ত হয়ে টেস্ট চেঞ্জ করার জন্য শিল্প টিল্প চর্চা করে এমন কাউকে খুঁজে নেয়া। কিন্তু তার সাথে রাস্তাঘাটে বের হলে সে রিকশাওয়ালাদের সাথেও ধমক দিয়ে কথা বলতে পারে না বলে এরপরে একটা মাস্তানকে চয়েজ করা

এর পরবর্তী ধাপ হচ্ছে একজন ঠিকাদার....
(কারণ মাস্তান প্রেমে পড়লে আর চাঁদা টাদা তুলতে পারে না বলে ফকির হয়ে যায়। সুতরাং ফকিরে অতিষ্ঠ হইয়া ঠিকাদারের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া কোনো গতি নাই)

আসিতেছে...
ঠিকাদারের সঙ্গে কিছু রঙ্গিলা দিন....

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বলবো কেমনে ?
কাইল রাতের অকাল বৃষ্টিতে ভিইজা গলা তো বইসা গ্যাছে।
কোন আওয়াজ বাইরাইতাছে না।
যথেষ্ট বাতাস ছিল...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সমান সমান ভাই থেকে বড়ো ভাই
এর পরে আসবে ছোট ছোট ভাইয়েরা
তাই না ম্যাডাম?

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

সমান ভাই
বড় ভাই
ছোট ভাই
আমি সবতেরেই ভাল পাই...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অনিন্দিতা এর ছবি

এর পরের পর্বে কি এই কাহিনীর বাকি অংশ continue করা যায় না?

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এরপর কি করব আর ভাবতেছি না।
মনটা কেন জানি উদাস হইছে...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তানভীর এর ছবি

এ সিরিজটা দেখি 'মেয়ে টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি'র সমান্তরালে চলছে..."পুরুষ টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি"? হাসি

=============
"আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে"

বিপ্লব রহমান এর ছবি

অথবা মেয়েধরা বনাম ছেলেধরা? খাইছে
---
এবারের পর্বটিও জাঝা @ পোস্ট।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কি যে বলেন !
আমি কি পরিবর্তনশীলের মত ওইরকম নাকি ?
আর আমি কি কাউরে ধরছি নাকি?
এই যে হাত দেখেন
এক্কেবারে ফকফকা !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতিথি লেখক এর ছবি

তারপর কি আপুমনি বলে ফেলেন।এরপর কি রঙের ভালোলাগা দেখাবেন?কি বিচিত্র!
-নিরিবিলি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

সাতটি রঙের মাঝে আমি আসল রঙ খুঁইজা পাইতেছি না।
পাইলেই আগে আপনারে দেখাবো।
...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তীরন্দাজ এর ছবি

কাহিনী কি এখানেই শেষ? খুব সুন্দর আপনার বাচনভঙ্গী!

**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এই কাহিনী যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হবে আপনি বলেন তো...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

উদ্দেশ্যহীন এর ছবি

এ্য্য্যাহ্‌, সবাই এমন করেন কেন! দিব্যি তো মজা লাগছে পড়তে। kinda like the other side of the story. দেঁতো হাসি
শিমুল, আপনার লেখার টান, মাশাল্লাহ্‌ , খুবই সুন্দর।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দেখেন তো !
সবাই শুধু আমার সাথে কেমন কেমন জানি করে !!

.........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতিথি লেখক এর ছবি

উফ্‌
দিস ইজ নট ফেয়ার......
আমি যে...। আমি...যে...। আমি যে......কি? কি ? কি সেটা ? না বলেই এরকম কলম রেখে দিলেন কেন? ভেরী ব্যাড।
অনেকটা এরকমঃ "এই শোন, আচ্ছা থাক বলব না। "
নেক্সটটাইম এরকম করলে লীলেন ভাইরে দিয়া "ঝাঝা" দেওয়া হবে আপনাকে।

অফটপিকঃ অসাধরণ লেখেন আপনি। অবশ্যই জাঝা

---------
কালবেলা

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

নেক্সটটাইম এরকম করলে লীলেন ভাইরে দিয়া "ঝাঝা" দেওয়া হবে আপনাকে।
আমারে ধামকি দেন মিয়া !
হাতি ঘোড়া গেল তল
মশা বলে কত জল

অফটপিকঃ থ্যাঙকিউ

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

শিমুলকে তো রীতিমতো ওঝা মনে হচ্ছে। বিষধর সাপও দেখি সামনে এসে মাথা নামায়! দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

জুবায়ের ভাই এইটা কি বললেন !
নাগিন ছবির কথা মনে পইরা গেল।
শ্রীদেবী মনে না হইয়া নিজেরে অখন অমরিশ পুরী মনে হইতাছে !!

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কালে কালে কত দেখুম রে বাতাসী...
দারুণ...
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কোন কালের কথা কন ভাইজান ?
গ্রীষ্মকাল বর্ষাকাল
না
গতকাল আগামীকাল...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কনফুসিয়াস এর ছবি

আপনি যে? কী?
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আমারো তো প্রশ্ন সেইটাই...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মুশফিকা মুমু এর ছবি

উফফ আপনার এবারেরটাও দারুন দেঁতো হাসি
শেষটা খুব ভালো ভাবে করেছেন ... একটা অপুর্নতা ভাব ... বেচারা মাস্তান এর জন্য মায়া লাগছে .....

কিন্তু আমি যে...

এটা জানার জন্য এখন কতদিন wait করতে হবে মন খারাপ ....

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হুমম। ...কথন শেষ করার মধ্যে বেশ একটা নাটকীয়তা আছে। টিভি সিরিয়ালগুলো এভাবেই দর্শককে হুক করে হুট করেই শেষ হয়ে যায়।... চোখ টিপি


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

প্রথমে দুধ বালক
তারপর পেইন্টার বাবু
আর এখন আবার মাস্তানের জন্য মায়া !
বেছে নাও মুমু বেছে নাও...

........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মুশফিকা মুমু এর ছবি

কি করব ইয়ে, মানে... আমার যে সবার ওপরই মায়া পরে যাচ্ছে ইয়ে, মানে...

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বই-ক্যাসেট লেনদেনটা ভালো লেগেছে। চোখ টিপি

আহারে, প্রেমিক মন! বুঝেও বুঝে না,
নারীর মনের কথা বিধাতা জানে না!!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ওই ক্যাসেটে আমার প্রিয় একটা গানও ছিল।
আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ফন্ট আউলা ঝাউলা দেখতাছি। য-ফলা, র-ফলা সব বর্ণরে ছাইড়া একলা একলা খাড়ায়া রৈছে দেইখা, নাইলে দুইডা কথা কৈতামি কৈতাম!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কার ফন্ট আউলা হইছে !
পিসি-র না আপনার নিজের ?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নজমুল আলবাব এর ছবি

শিমুল বেগম, আপনার লগে লীলেন মিয়ার সম্পক্ক কি? কেমন? আপনে দেখি হের মতই বিশ্ব টাইপ।

হেয় হইলো বিশ্ব পেরেমিক আর আপনে পেরমিকা। চাইর পর্ব মাইরা দিছেন এরিমাঝে! মাশাল্লা।

তয় সিরিজটা সাধু হইতেছে। আর মাস্তান ভাইয়ের জন্য মায়া লাগিচ্ছে। আহা আমরাওতো একসময় এই রকম হালকা পাতলা করতাম। বালিকারা বুঝি এভাবেই... মন খারাপ

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- রং নাম্বার বাউল, কেয়ামতের আর বেশী দেরী নাই, বুঝলেন!
এখনই ফিটার লীলেনের মতো হিডেন দাড়ি রাইখা হিমালয়ের দিকে রওনা দেয়া উচিৎ।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আরে বুঝলেন না ভাইজান !
আসল ব্যাপার হইলো
great men think alike !!
আর পাওয়ারফুল লোকজন (ফিটার লীলেন, যারে দিয়া লোকজন ঝাঝা খাওয়ানো ভয় দেখায়)-র লগে এট্টা যোগাযোগ না রাখলে, বুঝতেই তো পারতাছেন...দিনকালের যে অবস্থা !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নিঘাত তিথি এর ছবি

ভালাই হাসি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।