রিনি যখন ওদের ছোট্ট শহরের সীমানা পেরিয়ে ভার্সিটিতে পড়ার জন্য ঢাকায় এল, আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নের পাশাপাশি অনেক হাবিজাবি ভাবনাও ছিল। বিশাল এই ঢেকে রাখা শহরের সাথে একটু একটু করে পরিচিত হতে থাকে ও। এই শহর ও শহরের মানুষগুলো কখনো ওকে করে তোলে মুগ্ধ, কখনো ব্যথিত, কখনো আনন্দিত আবার কখনো বা বিস্মিত।
এখানে এসে প্রথমে ও উঠেছিল ওর এক চাচাতো বোনের বাসায়। সঙ্গত কারণেই সেখানে বেশিদিন থাকার কথা ভাবেনি ও। বোনের অনুপস্থিতিতে দুলাভাইয়ের অতি ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠার প্রচেষ্টা ওকে বাধ্য করে খুব দ্রুত অন্য একটা আশ্রয়ের খোঁজে নামতে। হোস্টেলে একটা সিট যোগাড়ে সবচেয়ে বেশি হেল্প যে করতে পারবে বলে শুনলো, তার কাছেই গেল ও।
সুমিত, কি বলে পরিচয় করিয়ে দেবে ওর, একজন উদীয়মান কবি, ভাল আবৃত্তিকার, একনিষ্ঠ নাট্যকর্মী, শখের পেইন্টার ? নাকি ভীষন রকম বোহেমিয়ান, আত্মভোলা এক তরুণ হিসেবে ? সিনিয়র স্টুডেন্ট, অথচ ওকে কখনো ক্লাস করতে দেখে না কেউ। বিভিন্ন ধরনের সংগঠনে জড়িয়ে আজ এখানে মানব বন্ধন, কাল ওখানে রক্তদান, তো পরশু আবার অন্য কোথাও ত্রান বিতরণ। কোথায় নেই ও?
নাবিলা রিনিকে নিয়ে যায় সুমিতের কাছে। গাছের নীচে দাঁড়িয়ে ক্যানভাসে আঁকিবুকি কাটছে ও। পরিচয় পর্ব শেষ হলে ওর সমস্যার কথাটা জানায় ও।
: হুম... হোস্টেলে সিট চাই ?
: জ্বি
: থাকার একটা ব্যবস্থা নাহয় করে দিলাম, কিন্তু তার বিনিময়ে তুমি আমাকে কি দেবে?
: জ্বি ?
: হ্যাঁ, আফটার অল পৃথিবীটা চলছেই তো লেনদেনের ওপর, তাই না ?
: আপনাকে দেখে আমার কিন্তু এরকম মনে হয়নি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমার জায়গা আমিই খুঁজে নেবো।
গটগট করে উল্টো পথে হাঁটা ধরলো রিনি। মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে ওর। সব পুরুষই কি একরকম? পিছু ডাকল সুমিত। খানিকটা যেন অবাক।
: এ্যাই মেয়ে, শোন। এই নাবিলা, ওকে ধরে নিয়ে আয় তো।
নাবিলা হাসতে হাসতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে ওকে। হাতের উল্টো পিঠে নাক ঘষে সুমিত। এবারই প্রথম ওর দিকে মনোযোগ দিয়ে তাকালো ও।
: হ্যাঁ, অত ক্ষেপে যাবার মতো কি কিছু বলেছি আমি ? ও আচ্ছা...এই গ্রাম থেকে আসা আদর্শবাদী মেয়েগুলোকে নিয়ে আসলে বিপদ। আরে বাবা, নাবিলা বলছিল তোমার গানের গলা নাকি চমৎকার। সত্যিই ভাল হলে একটা ফাংশানে গাইতে হবে। আমি সেটার কথাই বলেছি।
একটু লজ্জা পেল রিনি। আবার আঁকায় মনোযোগ দিল সুমিত।
: দেখি, শোনাও তো দু লাইন...
ওর যা অবস্থা, গান গাওয়ার উপযোগী মোটেও না। চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকল ও।
: আরে বাবা গাও না। পছন্দ হলে ব্যবস্থা পাক্কা। এই বান্দার এক জবান।
সাথে নাবিলার গুঁতোগুঁতি। গাইলো ও
”রাধা চলেছে মুখটি ঘুরায়ে
কাঁদে শ্যামের বাঁশরী...”
আরো একবার ওকে দেখলো সুমিত।
: গুড ! লোকজনকে গাইতে বললেই কেন যে ”আহা আজি এ বসন্তে ” গায়, বুঝিনা। নাবিলা, কাল ওকে ফয়সালদের গ্রুপে নিয়ে যাস তো। আমি বলে দেবো। আর তুমি মেয়ে, পরশু আমার সাথে একবার দেখা করবে, ওকে ?
সেই পরিচয়। হোস্টেলে সিট যোগাড় করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু অসাধ্য সাধন করে শাহবাগে দুই রুমের একটা বাসা যোগাড় করে দিলেন তিনি। রিনি আর স্নেহা থাকতে শুরু করে একসাথে। নিজস্ব একটা আশ্রয় পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে রিনি। গান দিয়ে শুরু। সুমিতের পাল্লায় পড়ে ধীরে ধীরে রিনিও জড়িয়ে পড়তে থাকে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে।
এসবের সাথে জড়াতে জড়াতে আরো একটা শক্ত বাঁধন নিজের ভেতর অনুভব করতে থাকে রিনি। ভীষন রকম বাউন্ডেলে এই মানুষটা ওর আশেপাশে থাকলেই অন্যরকম একটা উচ্ছাস নিজের ভেতর টের পায় ও। সব বাঁধা পেরিয়ে অসাধ্যও যেন সাধন করতে পারে ও। কিন্তু যে মানুষটাকে নিয়ে ওর এই উথাল পাথাল ভাবনা, সে কি ওর ব্যাপারে ফিল করে কিছু ? ছোটখাট ব্যাপারগুলোতে সুমিত যখন ওর ওপর নির্ভর করে, ওর যে কি ভাল লাগে। কেমন যেন সংসার সংসার ফিলিংস হয় ওর।
সেদিন খুব চিন্তিত মুখ নিয়ে এল ওর কাছে।
: রিনি শোন, বিপদে পড়েছি রে।
: কেন, কি হলো আবার?
: গ্রামের এক চাচা খবর পাঠিয়েছে। তার মেয়ে আসবে ইন্টারভিউ দিতে। তার থাকার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সে আবার হোস্টেলের মেয়েদের সাথে থাকবে না। ওরা নাকি খুব ডেসপারেট হয়। বল তাহলে...
হেসে ফেলে রিনি।
: কোন চিন্তা করো না, সুমিত ভাই। ওকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিও। দুই দিনের ব্যাপার তো। নো প্রবলেম।
: উফ বাঁচালি।
একটু হেসে হাতের উল্টো পিঠে নাক ঘষে ও। নিরুদ্বেগ ওর যাত্রাপথের দিকে একরাশ মমতা নিয়ে তাকিয়ে থাকে রিনি।
এভাবেই দিন যেতে থাকে। মাঝে মাঝে এই সেই কাজ বুঝিয়ে দিতে একটু ছোঁয়াছুঁয়িতে বিবশ হয়ে যায় রিনি। আচ্ছা, সুমিত কি ওকে নিয়ে আলাদা কিছু ভাবে? ওকে পছন্দ করে, নির্ভরও করে অনেক ব্যাপারেই। কিন্তু শুধু কি ওইটুকুই? ওর বেশি কিছু নয়? মাঝে মাঝে ওর সমস্যাক্লিষ্ট মুখ দেখে অস্থির লাগে। দুহাতে ওর মুখটা নিয়ে বলতে ইচ্ছে করে, "শোন, তোমার সব টেনশন আমাকে দিয়ে দাও। অত ভেবো না প্লিজ, সব ঠিক হয়ে যাবে।” মনে মনে হাজার কথার ফুলঝুরি ওড়ায় ও। উড়তে থাকে নিজেও।
ইদের ছুটির দুইদিন আগে হঠাৎ ছাত্র আর পুলিশের মাঝে শুরু হয় দাঙ্গা। ইস্যু, অ্যাক্সিডেন্টে ছাত্র আহত। ছুটে পালাতে গিয়ে ভীড়ের মধ্যেই পরিচিত কন্ঠের কাতরানি শুনতে পায় ও। কোনমতে ওকে নিয়েই নিরাপদ জায়গায় আসে রিনি। এবার ভাল করে তাকাবার সুযোগ পায়। কপাল থেকে রক্ত ঝরছে সুমিতের। চোখ ভিজে যাওয়ায় ও দেখতে পাচ্ছে না ঠিকমত। আশেপাশে পরিচিত কাউকে দেখল না ও। যাদেরকে দেখল, নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত।
সাতপাঁচ না ভেবে ওকে বাসায় নিয়ে এল রিনি। যত্ন করে ক্ষত পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দিল। অনেকটা রক্ত গেছে। সুমিত হাবিজাবি কি যেন বকে যাচ্ছে। স্নেহাকে ডাকতে গিয়ে মনে পড়ল ওর, দুদিন আগেই বাড়ি চলে গেছে ও। এত হোমসিক মেয়েটা ! ডাক্তার ডাকতে পারলে ভাল হতো। কিন্তু ওকে এই অবস্থায় একা রেখে যেতে মন সরছে না। স্যুপ বানাতে গিয়ে টের পেল বাইরে মেঘের গর্জন। ঝড়ের পূর্বাভাস।
নিজের হাতে খাইয়ে দিল ওকে। ওর ঘোর এখনো কাটেনি। কেমন ঘোলাটে দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। স্যুপ খাইয়ে দুটো পেইনকিলার খাইয়ে দিল ওকে। কি যেন একটা কবিতা বিড়বিড় করতে করতে ঘুমিয়ে গেল ও। রিনির সময় আর কাটে না। বাইরে ঝড় উঠে এল। জানালাগুলো দ্রুত হাতে লাগাতে না লাগাতেই ইলেকট্রিসিটি চলে গেল। মোমবাতি জ্বালিয়ে নিল ও। কাছে এসে মাথায় হাত বুলাতে গিয়ে টের পেল, প্রচন্ড জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে ওর। এত জ্বর দেখে ভয় পেল ও। একবার ভাবল বাড়িওয়ালিকে ডাকবে কি না। ঝামেলার কথা ভেবে সে চিন্তা বাদ দিল। পরে দেখা যাবে।
মাথায় জলপট্টি দিতে শুরু করল ও। মাঝে মাঝেই কেঁপে কেঁপে উঠছে ও। জ্বর কমছে না দেখে ওর টি শার্ট খুব সাবধানে খুলে নিল রিনি। গা মুছিয়ে দিতে থাকল। কিছুক্ষণ পরপর মা মা বলে ডেকে উঠছে সুমিত। আনেকক্ষণ পর রিনির মনে হলো জ্বর বোধহয় একটু কমেছে।
অদ্ভুত লাগছে রিনির। অনেক রাত। মোমবাতির রহস্যময় আলো আঁধারি। বাইরে ঝড়ের প্রচন্ড মাতামাতি। পাশেই প্রায় অচেতন প্রিয় পুরুষ। একটু পরপর গভীর মমতায় সুমিতের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ও। ওর নিজের বুকেও কি তোলপাড়? কাছেই কোথাও প্রচন্ড জোরে বাজ পড়ল। চমকে উঠল সুমিত। হাত বাড়াল রিনি। গুটিয়ে গেল সুমিত। চোখে মুখে আতংক নিয়ে বলে উঠল
: কে ? কে ?
: সুমিত ভাই, আমি রিনি। কি হলো তোমার?
: রিনি? কে রিনি? ওহ রিনি...
: হ্যাঁ রিনি। কি হয়েছে ? এমন করছো কেন?
: ওহ রিনি...রিনি কি যেন দেখলাম..আমার...আমার ভীষন ভয় করছে...কি যেন ওটা..ওটা কি? ভয় করছে রিনি...
: ভয়ের কিছু নেই। এই তো আমি বসে আছি। ওকে? ভয় নেই।
ওকে ছুঁয়ে অভয় দিলো ও। রিনির কোলে মুখ ডুবিয়ে দিলো সুমিত। বাইরে থেকে থেকেই চমকে উঠছে বিজলি। আরো অনেক অনেকক্ষণ পর থেমে যায় ঝড়। শান্ত হয় পৃথিবী।
লম্বা একটা ছুটির পর আবারো সবকিছু আগের মতই চলতে থাকে। রিনির কি যেন হয়েছে আজকাল। সবসময় সুমিতের কাছাকাছি থাকতে ইচ্ছে করে। বাড়িতে ওর বিয়ের কথা চলছে। অন্য কারো হয়ে যেতে হবে, একথা ভাবতেই খুব কষ্ট হয় ওর। কিন্তু এটাও বুঝতে পারে ও, বাউন্ডেলে এই মানুষটাকে ধরাবাঁধা নিয়মের সংসারের ছাঁচে ফেলে দিলে ও বোধহয় ঠিক এই মানুষটা আর থাকে না। বুঝেছে রিনি, যে কোন বাঁধনেই ওর তীব্র ভয়। ভয় ওর রুটিনমাফিক জীবনে। ওর ওপর সবসময় কেউ খবরদারি করবে, এটা ওর ভীষনরকম অপছন্দ। তারচেয়ে থাক ও, মনের গভীরে ওর ভালবাসার মানুষটি হয়ে।
তিন বছর পর...
পার্কে ওদের দেখা করার কথা। অনেকক্ষণ আগেই এসেছে রিনি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লোকগুলো নিজেদের মধ্যেই ব্যস্ত। একটু দূরে চার পাঁচটা বাচ্চা খেলছে, দৌড়াচ্ছে। ওদের দিকে তাকিয়ে পুরোনো দিনের কথা ভাবছে ও। হঠাৎ মাথার পেছনে গাট্টা খেল ও। ফিরে তাকাল। সেই মানুষটি। কত যুগ পর। প্রথমেই সুমিতের একগাদা অভিযোগ। না বলে হঠাৎ করে কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল ও। কেন যোগাযোগ করেনি। ও না থাকায় কত সমস্যা ওকে একা ফেইস করতে হয়েছে। নাবিলার কাছ থেকে নাম্বারটা না পেলে তো ওকে খুঁজেই পেতো না। ইত্যাদি ইত্যাদি।
: তুমি বেশ শুকিয়ে গেছো, সুমিত ভাই।
: মা-খালাদের দৃষ্টি দিয়ে দেখলে সবার ওরকমই মনে হয়। আর তুই ছিলি না, যত্ন করে আমাকে রেঁধে বেড়ে খাওয়ায় কে বল...হুঁহ...নানি এসেছে আমার। আরে তোর কথা বল না। সেই তখন থেকে তো আমিই বকবক করে যাচ্ছি।
: আমার কথা...
ঠিক এই সময় ছোট্ট একটা বাচ্চা এসে ওর কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ল।
: মাম থাবো...মাম
পাশে রাখা বড় একটা ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে বাচ্চাটাকে খাওয়াতে খাওয়াতে পাশে বসা মানুষটাকে একবার দেখল ও। অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে ও। পানি খেয়ে ব্যাগের দিকে হাত বাড়াল বাচ্চাটা। মোবাইল বের করে রিনির দিকে তাকিয়ে হাসল।
: তথা বলি ?
: এখন না বাবা, পরে...
: এততু বলি না...
: বাববা, বললাম তো পরে, এখন খেলো...
: তাইলে ততলেত
চকলেট খুলিয়ে নিয়ে মুখে পুরে মিশে গেল সমবয়সীদের সাথে।
: বাচ্চা ! তুই বিয়ে করেছিস ? বলিসনি তো। কবে করলি ?
অবুঝ বাচ্চার দিকে তাকিয়ে যেভাবে হাসে, সেভাবে সুমিতের দিকে তাকিয়ে হাসল রিনি।
: আরে বল না বাপ ! কি সেই তখন থেকে কি একটা মুখস্ত হাসি ঝুলিয়ে রেখেছিস ! তোর বাচ্চাই তো ওটা, না ?
মাথা নাড়ে রিনি হাসিমুখে।
: না
: তাহলে ?
: কুড়িয়ে এনেছি
: তুই বিয়ে করিসনি ?
: কই আর হলো
: হঠাৎ বাচ্চা পোষার শখ হলো কেন ?
: ইশ ! ভাষার কি ছিরি ! খুব লোনলি লাগছিল সুমিত ভাই। একেবারে নিজের করে কাউকে কাছে পেতে চাইছিলাম। ওকে নিয়ে নিলাম।
দেবদূতের মত বাচ্চাটার দিকে অনেকণ তাকিয়ে থাকে সুমিত।
: মেয়েরা খুব অদ্ভুত হয়, না ? যখন খুশি তখনই নিজের একটা পৃথিবী বানিয়ে নিতে পারে ওরা।
; হুম
একটা বল ওদের পায়ের কাছে এসে পড়ল। দৌড়ে এল দেবদূত। হাতে তুলে নিয়ে বলটা বাড়িয়ে ধরল সুমিত। দেবদূত থমকে দাঁড়াল। চোখে দ্বিধা। আরো দু পা বাড়াল। হাতের উল্টো পিঠে নাক ঘষলো। রিনির দিকে তাকাল একবার। সবুজ বাতি দেখতে পেয়ে বলটা নিয়েই ছুট দিলো আবার। শুরু হয়ে গেলো খেলা। আনমনে বললো সুমিত
: বাচ্চাটা সুন্দর...
সুমিত দেখছে বাচ্চাটাকে। রিনি দেখছে সুমিতকে। ওর চোখে মমতা। অনেকণ ওদিকে দেখতে দেখতে হঠাৎ কি যেন মনে পড়লো সুমিতের। দ্বিধা ফুটলো চেহারায়।
: বাচ্চাটা ...
মনে আছে রিনি, সেই বৃষ্টির রাত...তুই আমাকে কখনো কিছু বলিসনি। আমি কনফিউজড ছিলাম...তোকে নিয়ে পুরো একটা দিন আমি রিকশায় ঘুরেছি, আসল কথাটা জানতে, তোর চোখে অভিযোগ খুঁজেছি, পাইনি...কিন্তু...
দ্বিধা নিয়েই সুমিত তাকালো রিনির দিকে। রিনি স্থির। ধীরে ধীরে দ্বিধার ভাবটা কেটে গেল সুমিতের। চেহারায় ফুটলো অস্থিরতা।
: বাচ্চাটা কি আমার, রিনি ?
জবাব দিল না রিনি। স্থির তাকিয়েই রইলো। সুমিত আবারো দৃষ্টি ফেরায় বাচ্চার দিকে। ধীরে ধীরে ওর চোখের দৃষ্টি বদলে যেতে থাকে। দেবদূতকে দেখতে ভাল লাগছে ওর। বুকের ভেতরটা ভরে যাচ্ছে কোমল একটা অনুভূতি দিয়ে। এটাকেই কি ভালবাসা বলে ? ওইদিকে চোখ রেখেই রিনিকে কাঁপিয়ে দেয়া প্রশ্নটা করলো ও
: এই বাউন্ডেলেটাকে বিয়ে করবি রিনি ?
মন্তব্য
ভীষণ নাটকীয় ঘটনা।
ভাল লাগল পড়তে।
ধন্যবাদ।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভালোলাগলো।
কিন্তু গল্পে একটা খটকা আছে। রিনির বাবা মা কি আসল ঘটোনা কিছু জানে?
---------------------------------
তাই তো !
রিনির বাবা মাকে আসল ঘটনা জানাতে আমার তো একেবারেই মনে ছিল না।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বাংলাদেশে অত বেক্কল মাইয়া আছে?
বাংলাদেশের মেয়েরা প্রেম করে লাফাঙ্গার সাথে
আর বিয়ে করে ঠিকাদার
জ্বি
আপনাকে বলেছে !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অপূর্ব সোহাগ
ভালো হয়েছে,
থ্যাংকিউ ।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ব্যাক্কল মাইয়ারা কিন্তু সুখী হয়। মনের ভিতরে কোনো জিলাপীর প্যাঁচ থাকে না। থাকে কিছুটা আত্মতৃপ্তি। আর চালাকগুলা? দুই নৌকায় পাও রাইখ্যা লাইফ পার করে তালগাছের মত। রিনি মাইয়াটারে মোটামুটি আত্মতুষ্টই মনে হইলো। ধন্যবাদ শিমুল।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
আপনার সাথে পুরোপুরি একমত, জুলিয়ান।
বোকা মেয়েরা আসলেই সুখী হয়। আর সুখী হবার জন্য আত্মতুষ্টিই যথেষ্ট।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনি কি বোকা ?
আপনি কি সুখী ?
কারণ আপনি বোকা আর সুখী না হলে এ কথা বলতেন না।
---কামাল
জ্বি
আমি বেশ বোকা এবং সুখী।
সুখটা আসলে নিজের ওপর ডিপেন্ড করে বলেই আমার মনে হয়।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
চমৎকার গল্প। পটভূমি এবং চরিত্রগুলো বিদেশী হলে বাস্তবধর্মী হতো। বাংলাদেশে কি একজন রিনির 'single mom' হওয়া সম্ভব? সমাজের কথা না হয় বাদই দিলাম, কিন্তু রিনির কি মা-বাবা, ভাই বোন কেউই কি নেই, তারা কি এ ব্যাপারটা মেনে নেবে? রিনি কি এত সহজে স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করতে পারবে?
-সাহোশি
থ্যাংকস, সাহোশি।
সত্যিই বাংলাদেশে এ সময় এখনো আসেনি।
আর তাই এটা "অন্য সময়"।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নিচের বাচ্চা পালতে সিঙ্গল মাদার হতে হবে কেন? বলবে স্বামী মারা গেছে বা ছেড়ে গেছে বা পালক নিয়েছে। এ বিষয়ে কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা থাকলে গল্পের এমন কিছু লাভ হতো বলে মনে হয় না।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
পুরা বাংলা ঠোঙা নাটকের গল্প। হেঃ হেঃ
লীলেনদার সাথে সহমত। এইরকম মেয়ে বাস্তবে পাওয়া যাবে না। পেলে প্রতিবছরই একটা করে বাচ্চা হবে।
তয় শিমুলাপা, আপনার লেখনী খুব ভাল। পড়তে ভাল লেগেছে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
বন্দুক কান্ধে নিয়া এইরকম কথা কইলে পরতিবাদ করি ক্যামনে, কন।
তয় দ্রোহী ভাই, সাহিত্যধর্মী লেখাতে যে কমপিটিশান দেখতাছি, তাতে কইরা মনে হয় আস্তে আস্তে বাংলা ঠোঙা নাটকের দিকে গেলে একটা বুদ্ধির কাজ হইলেও হইতে পারে।
কি কন ?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
তবে হ্যাঁ, এটা দিয়ে উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত ভারতীয় বাংলা সিনেমার দারুণ প্লট হয়। ইস! শিমুল আপনি যদি ২৫-৩০ বছর আগে এটা লিখতেন এবং সিনেমা বানাতেন। নারী জাতি একটু কেঁদেটেদে নিতে পারতো আর পুরুষরা পেত এক আদর্শ ত্যাগী প্রেমিকার আইকন। আর পুরুষের বুকের পাটা আরো চওড়া হতো, আর ভাবতো, আহা আমরা যা-ই করি, মেয়েরা তো আমাদেরই ভালবাসবে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হা হা হা
ভদ্রভাষায় ওই বাংলা সিনেমার মতই তো হলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দ্রেীহীর সাথে আমিও এক মত পুষণ করি; বাঙলা ছি:নেমা হয়ে গেল না?
লেখার সময় অবশ্য আমার নিজেরও তাই মনে হয়েছিল।
বাঙলা সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখায় মালকড়ি কেমন পাওয়া যায়, একটু বলেন তো ভাইজান। তাইলে ওইদিকে একটু টেরাই মাইরা দেখি...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
"এই বাউন্ডেলেটাকে বিয়ে করবি রিনি ?"
বাউন্ডেলের সাথে বাউন্ডেলের বিয়ে হলে ভাল হয়, কারন আমি বাউন্ডেলে না তবে বাউন্ডেলেকে বিয়ে করে তার খেসারত দিচ্ছি।
-- ইফতেখার
বাউন্ডেলের সাথে বাউন্ডেলের বিয়ে হলে কে কার খোঁজ রাখবে বলেন। আবার দুজনেই যদি ঘরকুনো সংসারী হয়, তাহলে তো দুজন দুজনকে দেখতে দেখতেই বিরক্ত হয়ে যাবার কথা।
তারচেয়ে একজন সংসারী, একজন বাউন্ডেলে, সেটাই কি ভাল না?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শুধু বাউন্ডেলে হলে সংসার চলবে কিভাবে, সংসার করার মনও থাকতে হবে, আর যদি সংসার করার ইচ্ছা নাই থাকে বিয়ে করেছে কেন।
ষে এখন আবার সন্যাসী হতে চায়।
তাহলে বোঝেন এমন বৌ এর সাথে কি সংসার করা যায়।
------ইফতেখার
- ইফতেখার বস, মাইরের উপর কোনই অষুধ নাই। কয়েক পদের বাঁশের কঞ্চি নিয়া আইসা পালতে থাকেন। সময়মতো খালি ঐখান থাইকা একটা বাইর কইরা টেবিলে ঠাঁশ কইরা একটা বারি মারবেন। তাতে কাজ হোলেও হোতে পারে। না হলে, এ্যাকশনে যেতে হবে, ডাইরেক্ট এ্যাকশন।
ফলাফলঃ দুনিয়া কোকাকোলার মতো ঠান্ডা হৈয়া থাকবো। বিফলে মূল্য ফেরত।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বাস্তবতা দিয়ে কল্পনার সীমানা টানিনা আমি। তাই কি সম্ভব আর কি সম্ভব না সে বিচারেও যাইনা।
নাটকিয় গল্প। ভাল লাগলো। অনেক ভাল।
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মিলে গেল।
আমার নিজের বেলাতেও কল্পনার কোন সীমারেখাই টানি না আমি।
ওখানে আমি যা খুশি তাই করতে পারি।
থ্যাংকস।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
খুবই ভালো লাগল মিষ্টি প্রেমের গল্পটা
পিচ্চিটাকে আদর করতে ইচ্ছে করছে
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
যে পিচ্চিটাকে দেখে গল্পটা লিখেছি আমি, বেশ খানিকটা দূরে থাকায় তাকে আমার আদর করা হয়ে ওঠেনি। শুধু দূর থেকে ভেংচি কেটেছি। পিচ্চিটা সত্যিই সুন্দর ছিল।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে! ঐ যে কে যেন বলেছিল না, 'ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন', আর এইখানে মনে হতেই পারে যে, ফিকশন ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ট্রুথ। এই বিবাদের মীমাংসা নাই। কিন্তু এরকম হয় এবং এর থেকেও চরম অসম্ভব ঘটাতে পারে, শিমুল কথিত কোনো বোকাসোকা 'সুখী' হতে চাওয়া মেয়ে। শরতের গল্প-উপন্যাস তার প্রমাণ। এটাকেও আধুনিক শরত-কাহিনী কেউ বলতে পারেন। এবং শরতের গল্পের মতোই সুলিখিত, সরস এবং আর্দ্র। লেখক এভাবেই গল্পটি লিখতে পছন্দ করেছেন, সেটাকে সম্মান করি। আমি ভাই সারল্যের আশেকান। উন্মোচন না আসুক, সোজাসাপ্টা জীবন এবং ঐ যাকে বলে অভিজ্ঞতা, তা আসুক না?
তবে এ গল্পের প্রধান যে দূর্বলতা, তা রিনির সিদ্ধান্তটি। সে পুরুষটিকে তার ভেতরে পুনর্জন্ম দিয়ে ধরে রাখবে আমৃত্যু। এই সাহস ও প্রেম এবং ঐ 'বাউণ্ডুলে দায়িত্বশীল' প্রেমিকের একদিন রিকশায় ঘুরে বুঝতে চাওয়া যে, রিনি কী ভাবছে তার ওপর দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নেবে, সে কী করবে_ এই খানেই গল্পটির প্রাণভোমরা লুকিয়ে ছিল। শিমুল সেটাকে সোনার কৌটায় লুকিয়েই রাখলেন। পাঠককে জানালেন না। তাতে গল্পের তেমন ক্ষতি হয়েছে মনে হয় না।
তবে লেখক যে, গল্পের নায়িকার মতো করেই পুরুষ চরিত্রটিকে অকারণে ছাড় দিলেন এবং তার 'রোমান্টিক মহত' ভাবমূর্তিকে ভাংলেন না, এখানে একটু পক্ষপাত হয়ে গেছে বলে মনে হয়।
.....................................................................
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
এই বুদ্ধিগুলো আগে দিলেই তো হতো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ওয়াসিফ।
আশা করি এর পরের লেখাতেও সমস্যাগুলো ধরিয়ে দেবেন।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মেয়ে বলে কি! আচ্ছা অসুবিধা নাই, বেতন ইত্যাদি কী পরিমাণে দেবেন জানাইয়া সত্বর পত্র পাঠান। সময় মতো কাজে যোগ দিব। তবে ওভারটাইম চলিবেক না।
................................................................................................
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে। আমাদের মা আজো লতাপাতা খায়।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
কয় কি !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হাবি জাবি অনেক লেখার ভীড়ে যেন পরিপক্ক হাতের ছোঁয়া পেলাম।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
গল্প লিখতে গেলে আমার আক্ষরিক অর্থেই হাত পা কাঁপতে থাকে। কারণ আমি টের পাই আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে যা লিখি, তাতে বাস্তবতার পরিমাণ থাকে খুবই কম। তবু এভাবে কেউ বললে একটু সাহস পাই। উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ, রেনেট।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- রিনি মেয়েটা মোটেই ভালো না। বেচারা সুমিত ভাইকে একলা অরণ্যে পেয়ে তার ইজ্জতের ওপর দিয়ে এরশাদ চাচ্চুর ট্রাক্টর চালিয়ে দিয়েছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা হা
রিনিকে শুধু আপনিই চিনলেন।
এমনি কি আর লোকে বলে, রতনে রতন চেনে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দারুন সাহসী মেয়ের গল্প। আরো চাই।
এইরকম সাহসী মেয়ের গল্প আরো লিখলে লোকজন আমাকে ধোলাই দেবে, মশাই।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন মন্তব্য করুন