তখন পড়ি ইন্টারমিডিয়েটে। অতি আদরে সবসময় আগলে রাখা এই আমি নতুন নতুন ছাড়পত্র পেয়েছি একা পথ চলার। যদিও সেটা শুধুমাত্র অতি প্রয়োজনকালীন সময়ে, তবুও আমার ভাল লাগতো। শহর থেকে গ্রামে যেতে লাগে সব কিছু মিলে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা। এই পথটুকু কোন কারণে একা যেতে হলে আমার রীতিমতো অ্যাডভেন্চার অ্যাডভেন্চার ফিলিংস হতো।
একবার কি যেন একটা সমস্যা হলো। খুব সম্ভব কি যেন একটা ওষুধ দিয়ে আসতে হবে। কিন্তু আর কেউ ফ্রি নেই। কাজেই আমি। ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো। তাতে কি? মহা উৎসাহে আমি চলে গেলাম বাড়িতে। আম্মা তো প্রথমেই খানিকণ ”সর্বনাশ ! একা কি করে এলি? ভয় লাগলো না?” জাতীয় কথাবার্তা বললেন। যাই হোক । সারাটা দিন থেকে আমি বাড়ি থেকে রওয়ানা হলাম বিকেলের দিকে। সন্ধ্যার আগে আগে পৌঁছানোর কথা।
ভ্যান থেকে নেমে আমি অপেক্ষারত বাসের টিকেট কিনি। বাসটা একেবারেই ফাঁকা। কয়েকজন লোকের সাথে বেশ কয়েকটা মেয়ে ও মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। বোঝা যাচ্ছে এরাও যাত্রী। কিন্তু উঠছে না কেন এরা? কে জানে। আমি আমার একমাত্র ছোট ব্যাগটা নিয়ে উঠে পড়ি বাসে। লোকজন যেন একটু উশখুশ করলো। পুরো ফাঁকা বাসে আমি তিন নম্বর সিটে জানালার পাশে বসে পড়ি। আমার সামনের সিটে একটি মাত্র মানুষ বসে আছে। সামনের সিটে মাথা গুঁজে দিয়ে আছে লোকটা। একটু পরপর দীর্ঘশ্বাস ফেলছে। একবার মনে হলো যেন ফুঁপিয়ে উঠলো। অসুস্থ নাকি?
আমি গলা বাড়িয়ে জানতে চাই, ”শুনুন, আপনার কি শরীর খারাপ লাগছে?”
মাথা নাড়তে নাড়তেই মুখ তোলে লোকটা। অনেক কালো, মোটা ও ঘামে ভেজা মুখ লোকটার । কি যেন একটা সমস্যা বোধহয় আছে, আমি ধরতে পারছি না। আশপাশের লোকজন হঠাৎ আমাদের ব্যাপারে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠলো। এক ভদ্রলোক জানালার বাইরে থেকে ইশারায় বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে, লোকটি আসলে মদ খেয়ে টাল। এড়িয়ে থাকাই ভালো। আরে তাই নাকি? মাতাল ! আমার মাতাল দেখা ওই সিনেমা পর্যন্তই। সামনাসামনি কখনো দেখিনি। কাজেই তাদের সাবধানতায় পানি ছিটিয়ে আমি বরং আগ্রহী হয়ে উঠি।
: কি হয়েছে আপনার?
: কিছু না।
খানিকটা জড়ানো গলা। ঢুলু ঢুলু চোখে আমার দিকে তাকায় লোকটা।
: নাম কি তোমার?
: শিমুল
: শিমুল...শিমুল
হঠাৎ আমার নাম করতে করতেই লোকটা শব্দ করে কেঁদে ওঠে। ওই অল্প সময়ের মধ্যেই আমি ভেবে নিলাম, নির্ঘাত এই লোকের প্রেমিকার নাম ছিলো এটা। অতীতের কথা মনে পড়ে গিয়ে খারাপ লাগছে।
: আহা কাঁদছেন কেন?
: শিমুল...আমার ভাতিজির নাম শিমুল।
মাথা নেড়ে কেমন দুলে দুলে একটু কান্না আর একটু করে কথা বলতে থাকে লোকটা।
: আমার ভাতিজির নাম শিমুল। ওর বাবা নাই।
আবার কান্না
: মারা গেছে। আমার কাছে রেখে মারা গেছে ওর বাবা।
: তাতে কি হয়েছে? আপনি তো আছেন।
: নাই। আমি নাই। আমি তো থাকি না।
: চাচি তো আছে। একই কথা।
: এক কথা না। এক কথা না।
: কেন কি হয়েছে?
আবার কিছুক্ষণ কান্না করে লোকটা।
: আপনি কাঁদবেন না প্লিজ...
এবার ফোঁপাতে ফোঁপাতে একটু থামে।
: তুমি খুব ভালো মেয়ে। কোন ক্লাসে পড় ?
: আমি ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি।
: কোনডিয়ার?
(বোধহয় বলতে চেয়েছে কোন ইয়ার। জড়ানো গলায় শোনা গেলো ওরকম। মনে মনে বলি, আমি সুন্দরবনের ডিয়ার।)
: ফার্স্ট ইয়ার
আবারো লোকটার কান্না শুরু হয়ে যায়। অদ্ভুত তো ! এই লোক কতক্ষণ কাঁদবে? মাতালরা এভাবে কাঁদে নাকি?
: আবার কি হলো?
: আমার ভাতিজিও ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে।
: এটা তো ভালো কথা । কাঁদছেন কেন?
: পারবে না।
: কি পারবে না?
: পড়তে পারবে না।
: কেন?
আবারো কান্না।
: কেন পারবে না?
: চাচি...পড়তে দেয় না।
: হোস্টেলে রেখে দিলেই হয়।
: ওর বিয়ে দিতে হবে।
: ওমা ! এখনি কেন? পড়াশোনা শেষ করুক...
মাথা নেড়ে কান্না। এবার অনেকক্ষণ। বোধহয় ঘুমিয়ে পড়লো।
ততক্ষণে লোকজন উঠে পড়েছে। গাড়ি ছাড়িছাড়ি করছে। আমি একটু রিল্যাক্সড হয়ে বসি।
একটু পর মাথা তোলে লোকটা। মাথা ঘুরিয়ে আমাকে দেখে।
: তোমার নাম যেন কি?
: শিমুল
: আমার ভাতিজির নামও শিমুল...
ঠিক আগের ইনফরমেশনগুলোই এদিক ওদিক করে প্রায় তিনবার একই গল্প চলতে থাকলো। এই লোকের সাথে আরো একজন শুটকা পটকা মাতাল ছিলো। সে আবার খিস্তি খেউড় করে যাচ্ছে। যাই হোক। আরো কিছুণ পর লোকটা আমাকে পাঁচটা চকলেট বের করে দেয়।
: তুমি খুব ভালো মেয়ে। চকলেট খাও।
আমি এবার একটু গুটিয়ে যাই। লোকটা বারবার চকলেট নিতে বলে। আমি না বলি।
: না, ঠিক আছে। চকলেট খাবো না। থ্যাংকস।
: কেন? খাবে না কেন? চকলেট খাও না?
: খাই। কিন্তু এখন খেতে ইচ্ছে করছে না।
: না। একটা খাও। নাও।
: আসলে গাড়ির ভেতর কিছু খেলে আমি বমি করে ফেলি।
: তাহলে চকলেট রেখে দাও। পরে খেও।
এবার আমার না করার কিছু থাকে না। আমার হাতে পাঁচটা চকলেট। আমি ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখি।
: বাসায় গিয়ে খাবে তো?
: খাবো
: ফেলে দিও না।
: দেবো না।
: তুমি খুব ভালো মেয়ে।
বাস গন্তব্যে এসে থামে।
: চাচা, আমি আসি।
ভদ্রতা। পাঁচটা চকলেট দিলো যে, তাকে না বলে নামাটা ভালো দেখায় না। নেমে পড়ি আমি। রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। পাশে এসে দাঁড়ালো লোকটা। একটা রিকশা তার পাশে এসে দাঁড়ালো। বোধহয় বাঁধা রিকশা।
: স্যার ওঠেন।
: শোন, তুই আজকে ওকে নিয়ে যা।
আমাকে দেখিয়ে দেন তিনি। এবার আমি প্রথমবারের মতো ভয় পাই। বলে কি? কোথায় না কোথায় নিয়ে যাবে কে জানে।
: না না । আমি আরেকটা রিকশা নিচ্ছি। কোন অসুবিধা নেই। আপনি যান।
: না। এটাতে যাও। ও তোমাকে নামিয়ে দিয়ে আসুক।
: প্লিজ। আমি বললাম তো লাগবে না। আমি চলে যেতে পারবো।
আমাকে পুরো ইগনোর করে লোকটা রিকশাওয়ালাকে বলে
: আমার ভাতিজি। দেখেশুনে নিয়ে যাবি।
রিকশায় উঠে ক্রমাগত দোয়াদরুদ আওড়ে যেতে থাকি আমি। পরিচিত পথ বেরুতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচি। রিকশা থেকে নেমে আমি ভাড়া মেটাতে যাই। সে কিছুতেই ভাড়া নেবে না। বলে, চেয়ারম্যান স্যার জানলে রাগ করবেন। রিকশা ঘুরিয়ে চলে যায় রিকশাওয়ালা।
বিচিত্র অভিজ্ঞতা। সব মাতালরা হিংস্র হয় না তাহলে !!!
মন্তব্য
বাঁচা গেছে
যদি লোকটির মেয়ে পড়তো কলেজে
তাহলে গাড়ি থেকে নামার সময় বলতে হতো- আব্বা আসি...
০৩
অত দিন থেকে রাস্তায় ঘুরি
একটাও মাতাল দেখলাম না এখনও
অথচ...
(রতনে রতন চিনে?
হাহাহা... দারুণ বলসেন
শিমুল আপু, বরাবরের মতো কঠিন হইসে...
ধইন্যবাদ জনাব।
কিন্তু ফিটার লীলেনের কমেন্টের ০২ অংশ গেলো কই?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- হেহ হেহ হেহ
আগে তো দেহি খিয়াল করি নাই। তাইলে মাতাল তো দেহি ফিটু ভাইয়ের লগে আমরা বেবাকেই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
matal dekhlen, OJU noshto hoilo na?
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ভালো কথা বলছেন !
বাসায় আইসা চোখেরে অযু করান উচিত আছিলো মনে হয়।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
একদিন তরল হয়ে নিজেরে আয়নার ভালমত দেখতে হবে !
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
শুভ মাতাল দর্শন.......(!)
---------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
জ্বি !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনি বড় ভাগ্যবান ! আজ পর্যন্ত দিবালোকে মধ্যবয়স্ক মাতাল চাক্ষুশ করার সৌভাগ্য আমার হয় নি।
লীলেন ভাই এর প্রশ্নটা কি আমিও করব
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
জ্বি না
লীলেন ভাই এর প্রশ্ন একটাই একশোর মতো।
সেইটাকে দ্বিগুন করার কোন ইচ্ছা নাই।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- লীলেন ভাই তো জট্টিল এট্টা কোয়েচ্চেন কইচ্চেন দেহি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তার কোয়েচ্চেন সোজা রাস্তায় গেছে কোনদিন !!!
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এই পোস্ট যদি আমার বউ পড়ে তাইলে সুপা শিমূলরে আমাদের বাড়িতে দাওয়াত দিতে দেরি করবো না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- ক্যান ভাবীরে চাচী ডাকার কেউ নাই বুঝি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চাচী শব্দটা উচ্চারণ করিয়া ধুগো নজু ভাইয়ের ভায়রা ভাই হইবার সুযোগ নষ্ট করিতেছে।
যাউকগা
নুপুর ভাবী কি বাসায় ফিরছে, নজু ভাই?
দাওয়াতটা...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- এর মইধ্যে আবার ধুগোরে টানাটানি করেন ক্যান জনাবা! নজু ভাই আর নূপুর ভাবী কাম আপা'র লগে সম্পর্ক ফিক্সড হৈয়া গেছে ধুগো'র। এইসব টানাটানিতে সহজে ছিঁড়বো না!
আপনেই বরং নজু ভাইরে চাচা, আর নূপুর ভাবী কাম আপারে চাচী ডাকা শুরু করেন। লগে অবশ্য আমারেও নজু ভাইয়ের হিসাবে চাচা ডাকতে পারেন। আমি সেন্টু খামু না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পাগলের সাঁকো নাড়ানো ক্যানো ভাই এই অক্ষণে?
বগুড়ার সেরা মাতাল বলে পরিচিত ছিল টকি কমিশনার। এই লোক আমার বাবার বন্ধু ছিলেন। খুব ছোটবেলায় দেখেছি বাড়ীর সামনের মাঠে বিরাট মারামারি মধ্যরাতে। চরদখলের কায়দায় দুই দল হা রে রে রে করে এসে বেঁধে গেল। সব শেষ হয়ে গেলে দেখি, মাঠের কোণায় বেঁটে আমগাছের তলায় কল্লাহীন একটা লোক কী যেন খুঁজছে। তখন ৩/৪ বছর বয়স। বাড়ীর সবাই জানালা দিয়ে সেই স্কন্ধকাটা মানুষকে দেখছি। পরে শুনি টকি কমিশনারের ঘড়ি হারিয়ে গিয়েছিল মারামারিতে। আর বেঁটে বলে তাকে স্কন্ধকাটা মনে হয়েছিল। এই লোকের মতো ভাল লোক, পরহিতকরি মানুষ শহরে কম ছিল। তিনি যখন মারা যান, অজস্র লোক জমা হয়েছিল তার জানাজায়।
আরেকটা ঘটনা: চার বন্ধু মাতাল হয়ে রাস্তায় শিস বাজাতে বাজাতে যাচ্ছে। একজনের বেগ পাওয়ায় সে রাস্তা থেকে নেমে দেয়াল টার্গেট করে দাঁড়িয়ে যায়। এর মধ্যে পুলিশের ভ্যান এসে টপাটপ তিনজনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ঐ মুহূর্তে চতুর্থজনও অন্ধকার থেকে উঠে দেখে পুলিশের পিকআপে বন্ধুরা বসে আছে। আর গাড়ি চলছে। ব্যাটা তখন পিছে পিছে দৌড়ায় আর বলে, ও স্যার হামাকও ল্যান, ও স্যারেরা হামাকও ল্যান। স্যারেরা থেমেছিল আর চারজনকেই ছেড়ে দিয়েছিল।
আরো পরের কথা: (এ নিয়ে সুমন চৌধুরীর একটা পোস্ট আছে) দুই বোতল দেশি আর এক টিফিনকারি নিয়ে মুক্তমঞ্চে গোল হয়ে বসেছে সব কটা। গান চলছে। কেউ কেউ হাঁটতে হাঁটতে উঠে গেছে অ্যাম্ফিথিয়েটারের অর্ধবৃত্তাকার সিঁড়িতে। একটু পরে দেখা গেল চার-পাঁচজন গলা জড়াজড়ি করে হুহু করে কাঁদছে।
তার আগে: ভোর বেলা সালাম-বরকত হলের সামনে দিয়ে মসজিদে যেতে গিয়ে দেখে, হলের সীমান্তপ্রাচীরের কাজ করা কাঁটাঝোপের থেকে দু'টি মাথা বেরিয়ে আছে। দেহটা ওপাশে। মাথা দুটি ঘুমিয়ে থাকায় বোঝা গেল, কাণ্ডটা গত রাতের। ব্যাপার কি? না আগের রাতে হলের ফিস্ট ছিল। ফিস্ট শেষে কয়েক গ্যালন বাংলাও ছিল। বাংলা খেয়ে দেশপ্রেমে চাঙা হয়ে মহাশয়েরা ইন্ডিয়া আক্রমণের অপারেশনে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু ক্রলিং করে এগোতে গিয়ে সীমান্তে কল্লা আটকানো অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলে সেরাতে ভারতজয় আর সম্পন্ন হয় নাই।
শিমুল, সাঁকো নাড়াইছেন, এখন দ্যাখেন কত জনের মনে কত কিছু ফাল দিয়া ওঠে। এখন সামলান!
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
যার মনের মধ্যে যা
ফাল দিয়া তো তা উঠবই, জনাব।
তয়, সাঁকো নাড়াইতে মজা লাগে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ফারুক ভাইকি বগুড়ার লোক নাকি? তারেক জিয়ার আবার জ্ঞাতি নাতো? খাইছে, ডরাইছি।
শিমূল তোমার লেখা পড়ে ভাবছি নিজের অভিজ্ঞতাটা লিখে ফেলবো নাকি? কেমন চারধার ঘুরে ???
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
অবশ্যই লিখবেন !
১০০ বার লিখবেন !!
আমরা আপনার লেখা থেকে বন্চিত হতে চাই না।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমিও ভয় পাচ্ছিলাম পড়তে পড়তে...অনেক ভালো লাগল। বুঝলাম
সব মাতালরা হিংস্র হয় না তাহলে !!!
ভয় পাচ্ছিলেন কেন?
বাংলা সিনেমার ওদের কীর্তির কথা মনে করে?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অ্যাডভেন্চার অ্যাডভেন্চার ফিলিংস দিয়ে শুরু করেছিলেন তাই অনেক কিছুই মনে হয়েছিল।:)
আমাদের বন্ধুমহলে শেষ পর্যন্ত ঘটা সেরা মাতালুক্তি তুহিনের, আমরা ওরে কানু বইলা ডাকি । স্কুলে ওই যে অরুন স্যার অর নাম কানু আর অর ভাইয়ের নাম মানু রাখছিল তা এখনো চলতাসে । তো যাইহোক এক বিয়াতে বরযাত্রী হিসাবে সারারাইত পানভোজন কইরা ভোরের দিকে বেদম টাল কানু কয়, "দোস্ত তাড়াতাড়ি আরেক পেগ দে ! অযু করুম, নামাজ পড়তে যামু !"
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
"দোস্ত তাড়াতাড়ি আরেক পেগ দে ! অযু করুম, নামাজ পড়তে যামু !"
হা হা হা
জটিল !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি ভাবছিলাম মাস্তি কা পানশালা সিরিজ আপাতত বন্ধ রাখুম... কিন্তু শিমূল যা শুরু করলো... এখন তো... তার উপরে আজকা আবহাওয়াটা কি সুন্দর...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ
হামকো পিনে কা বাহানা চাহিয়ে...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- কিশকো!?!
অরে তোরা ধর আমারে!!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সিনেমার মাতালরাই খালি খ্রাপ হয়...বাস্তবের মাতালরা ভালো...আমার উপরের জনের কথাই ধরেন না...বড়ই দিলখোলা মানুষ তিনি
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
আমিও তো তাই দেখলাম !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- আমিও!!
নাইলে কি আর আমার মতো হতভাগারে সবার অলক্ষ্যে নিজ-শালিকার ফটুক পাঠায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কন কি !
শালীন্বেষী আর লোকজন সব গেলো কই?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপা @ দারুন লিখেছেন।
আমি দুইজনকে মাতাল হতে দেখেছি। এর মধ্যে একজন কখনো মদ্যপান করেনি। আর দ্বিতীয় জনকে কেউ এক গ্লাস মিনারেল ওয়াটার দিয়ে একটু ঢুলে ঢুলে বললেই হলো...ভাই ... এবসলিউট ভদকা.... তার আর মাতাল হতে সময় লাগেনা।
প্রথম জন বন্ধুদের সাথে বারে যায়। সবাই মদ্যপান করে আর সে বসে থেকে গল্পগুজব করে আর সিগারেট ফুকে। (প্রতি সাড়ে ৩ মিনিট অন্তর বউকে ফোন করে কথা বলে)। কিন্তু অন্যরা মাতাল হবার আগেই সে বয়কে ডেকে মাতলামি শুরু করে। পরে যারা পান করেছে তারা মাতালকে বাসায় রেখে আসে।
হা হা হা
দারুণ তো !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বড়ই সুস্বাদ লেখা আর কমেন্ট সবগুলা।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিষাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
দুই মাতাল রেল লাইন ধইরা যাইতেছিল।
একটা যাইতেছিল লাফাইয়া লাফাইয়া, সে কয় - দেখছস দোস্ হালারা সিঁড়ির ধাপগুলা কিরম দূরে দূরে দিছে আমি লাফাইয়াও ঠিকমতো লাগ পাইতাছি না।
অন্য মাতালটা চলছিল হামাগুড়ি দিয়ে, সে কয় - হ দোস্ ঠিক কইছস। আর দেখ হারামজাদারা কি খাডো রেলিং দিছে দুইপাশে, আমি শুইয়াও ঠিকমতো ধরতারি না।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিষাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হা হা হা
: দোস্ত, আর খাইস না। অনেক বেশি খাইয়া ফালাইছস।
: বেশি খাইছি তুই বুঝলি ক্যামনে?
: বুঝলাম ক্যামনে মানে ! তোরে রীতিমতো ঘোলা দেহা যাইতাছে !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মাতাল কখনও খারাপ হয়, শুনিনি তো!
কিন্তু মাতাল বাচাল হয়!
বিশেষ করে গোষ্ঠ-পানে বাচালতা বৃদ্ধি পায়। আর সৃজনশীল কথাবার্তা অনেক কাজেও দেয়। পরবর্তী পোস্টে কিঞ্চিৎ আলোকপান করার ইচ্ছা রইলো!
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
আলোকিত হবার অপেক্ষায় থাকলাম।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
" সব মাতালরা হিংস্র হয় না তাহলে !!! "
আমি মাতাল বহুত দেখসি কিন্তু কোন হিংস্র মাতাল েখনো দেখিনাই।
নটরডেমে আমাদের একজন ইংলিশ স্যার ছিলেন যিনি একদিন ক্লাসেই আসতে পারেন নাই সামান্য বেশি (!) গিলে ফেলার কারনে। তো সেই স্যার ছিলেন কালার ব্লাইন্ড (সম্ভবত মাতালতার কারনেই)। দেখা যেত ক্লাসে এসে সে হয়ত সবুজ শার্ট পড়া কাউকে দাঁড়াতে বলছেন, "হেই ইউ! গ্রীন শার্ট, স্ট্যান্ড আপ!" তো সবুজ শার্ট পড়া ছেলে দাঁড়ালে বলত "নট ইউ, বিসাইড ইউ!" তারপর সবুজ শার্টের পাশের ছেলে দাঁড়ালে হয়তো বলতো "নট ইউ, বিহাইন্ড ইউ"। এভাবে বেশ কয়েকজন দাঁড়ানোর পর সব শেষে তিনি যাকে দাঁড়া করাতেন দেখা যেত তার গায়ে কমলা রঙের শার্ট! প্রথমবার গ্রীন শার্ট বলে আসলে তিনি সেই সবুজ শার্টকে দাঁড়াতে বলেছিলেন।
_________________________________
| আবজাব | আদি ব্লগ |
_________________________________
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
আমাকে সরল পেয়ে কেউ একজন বুঝিয়েছে, মাতাল হলে লোকজন নাকি রঙ চিনতে পারে না। তখন সাদাকে বলে কালো, আর কালোকে সাদা!!
এতো নিশ্চয়ই হয় না !!!
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শিমুল আপু, দারুন লেখা। বেশ আগ্রহের সাথে কথোপকথন পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম শেষে কি হবে! সেই পাঁচটা চকলেট কি করেছিলেন? খেয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত নাকি ফেলে দিয়েছিলেন?
আর মাতাল দেখে ভয় পাওয়ার কি আছে! মাতালরাও তো মানুষ!
সেই পাঁচটা চকলেট আমাকে খেতে দেয়া হয়নি রে ভাই। ঘরের লোকজন ফেলে দিয়েছে।
আর মাতালরাও মানুষ মানে?
তারা তো রীতিমতো ভালো মানুষ...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সব মাতালরা হিংস্র হয় না!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
অবাক হয়ে সেটাই দেখলাম, জলিল ভাই।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
উঁহু, হলো না। কোন মাতালই হিংস্র হয়না। গল্পের মাতাল তো, তাই। জেনুইন মাল হলে বলত...না , তুমি কিছুতেই শিমুল হতে পার না । তুমি বকুল । পলাশবাড়ির বকুল.....এদিন কোথায় ছিলে চাঁদ? তোমার না বাসস্টপে আমার জন্য অপেক্ষার কথা ছিল......য়া: বাবা কি বলতে কি বলি.....মা কিছু মনে করোনি তো.......ধ্যাস্
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
খাইছে !
এইরকম নাকি !!
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ইউক্রেনে বসবাস এবং অগণ্য পানাসরে উপস্থিত থাকার কারণে মাতাল কাহাকে বলে এবং উহা কতো প্রকারও কী কী, তার প্রত্যেক প্রকারের অজস্র উদাহরণ স্বচক্ষে দেখা হয়ে গেছে।
মজাদার লেখা।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নিশ্চই "শাকিলনেশুড়ে" কে দেখেননি। এই মাল রাশায় ছিল, এখন ন্যুওয়র্কে। মদের বোতলের ছবি দেখেই চান্দু র নেশা হয়ে যেত, অথচ ৫ পেগ টানার পর দিব্যি খুঁচরো পয়সা গুনতে পারত !
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
ধন্যবাদ, সন্ন্যাসীজি।
ওগুলো নিয়েও নাহয় চালু হোক আরেকটা সিরিজ !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ইশ !
কি আবদার !!
আমার এক মন্তব্যের উত্তরে লেখা আপনার কথাগুলোই আপনাকে ফিরিয়ে দিলাম
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
জীবনে একবারই মাতাল হয়েছিলাম।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আর ইচ্ছে নেই ?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনার অন্যান্য লেখাগুলোর মতই এটাও ভাল লাগল আপু।
মাতালদের সাথে কথা বলতে আমার খুব মজা লাগে, জানিনা কেন।
তবে হু তোমার সাথে গলা মিলিয়ে বলতেই হচ্ছে সব মাতাল আসলেই হিংস্র হয়না।
--------------------------------------------------------
"মাতালদের সাথে কথা বলতে আমার খুব মজা লাগে, জানিনা কেন।"
মানে হলো অনেক মাতাল চেনা আছে।
তাহলে আমরা সেগুলো গল্প কবে শুনবো, ভুতের ছাও?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ওমা আসলেই অনেক ভয়ের, খারাপ লোক হলে হয়ত বাসা চিনে রাখতো পরে অন্য অসুবিধা করত। ভাগ্গিস লোকটা ভাল ছিল।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
সত্যিই মুমু
লোকটা বড় ভালো ছিল।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আরে মাতাল ছাড়া আবার মানুষ ভালো হয় না কি? আজকের আবহাওয়াটা আসলে ভালো মানুষদের জন্যই কেবল...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ
ঠিকই কইছেন !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শিমূল, ওই একবারই? মাতাল দেখেছি, কিন্তু কখনো মাতালের সাথে এরকম সহ্ণদয় কথোপকথন হয় নি
তবে যদি 'প্রায় মাতাল' দেরও ধরি, তাহলে আমিও বলবো তারা বে এ এ শ অহিংস্র মানুষ
আমিও এখন সে ধারণাই পোষণ করি। ওরা আসলেই বুদ্ধ অনুসারী।
সিনেমাওয়ালারা ক্যান যে খালি খালি...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
লেখাটা পড়তে দেরি হলো। কীভাবে চোখ এড়ালো কে জানে!
আমার অভিজ্ঞতা বলছে, দুই-একজন (এরা সম্ভবত হাজারে একজন) বাদে মাতালদের মতো সহৃদয় ও অহিংস মানুষ পাওয়া কঠিন।
ফারুক ওয়াসিফ কথিত টকি কমিশনারকে আমি চিনতাম, যদিও সে তখন কমিশনার ছিলো না। যদি ভুল না করে থাকি, এই টকি বয়সে আমাদের চেয়ে কিছু এগিয়ে, মালতীনগরে বাড়ি। মুক্তিযোদ্ধা ছিলো সে। যুদ্ধের পরে বগুড়ার বিহারী কলোনির আতংক ছিলো সে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
দেরিতে পড়লেও ধন্যবাদ জানাই সাথে সাথে, জুবায়ের ভাই।
টকি কমিশনারের নাম শুনেছি শুধু, দেখার সৌভাগ্য হয়নি।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন মন্তব্য করুন