অপমান

হা হা হা !

বুঝছি বুঝছি!

বেচারার মাথায় তো অনেক বুদ্ধি।

----------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মন খারাপ। তাই কমেন্টাইলাম না।

কী তামাশা..!!

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

মজার লেখা...!!

খুব কঠিন নয় গো শিমুল। বুঝতে পারলাম তো।
মেঘের পরে
মেঘের কথকতা

হাঃ হাঃ
খুব মজা হোলো ।

ওরা যখন আমার শার্টের কলার ধরে ঠেকনা দিয়ে, গলায় গামছা বেঁধে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যেতে শুরু করল, আমার একটু সন্দেহ হলো, এরা কি আজ আমাকে অপমান করবে নাকি? টানতে টানতে ওরা আমাকে নিয়ে গেলো হাটের মধ্যে। হায়রে, আজ না হাটবার। এরা তো তাহলে যেন আমাকে অপমান করার ধান্ধা করেছে। হাটের মধ্যে বসিয়ে রেখে ওরা আমার চুল কেটে মাথা নেড়ে করে দিলো। তারপরে, মাথায় কী যেন আবার ঢেলে দিলো। জিহ্বা দিয়ে চেটে দেখি, ঘোল। আমি মনে করেছি, বাবা আজ মনে হয় আমার বাঁচন নাই। এরা আমাকে অপমান না করে তো ছাড়বে না। এর মধ্যে কারা যেন আবার কোথা থেকে একটা গাধা নিয়ে আসলো। গাধা কেন নিয়ে আসলো এখানে, এই সময় বুঝতে পারলাম না। ওমা, ওরা দেখি আমাকেই টেনে হিঁচড়ে তুলো দিলো গাধার পিঠে। এরকম করে হাটের মধ্যে চক্কর দিতে শুরু করল যখন, আমি তখন বুঝে গেলাম এদের মতলব ভালো নয়। এরা আজ আমাকে সবাই মিলে অপমানই করবে গো।
------------------------------------
কত পাইলাম কইয়েন। নিজের বাড়ী, শ্বশুর বাড়ী কোনটাই বগুড়াতে না

অট: প্রহরীরে আপনে এমন করে ধরছেন কেন? বেচারি কারে কী করছে? মতলব তো আসলেই ভালো না, অপমান করা ধরছেন।

হা...হা...হা....

অপমানের বাকি কি রইল................!!

(জয়িতা)

হাজার হলেও বগড়্যা লিয়া কতা, না আস্যা থাকপার পারি নাকি?

আলমগীর সাহেব, থ্যাকনা কিন্তু ঠেকনা নয় 'আছাড় মারা' জাতীয় ব্যাপার।

দারুণ হয়েছে শিমুল। তবে

এই কৌতুকটার একটা প্রাচীন ভার্সন শুনেছিলাম যে, নায়েব জমিদারকে চিঠি লিখছে:
''হুজুর,
পর সমাচার এই যে, এইদিকে আজিকাল পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আপনার এখন না আসাই ভাল। উহারা সেইদিন আমাকে পথের মধ্যে দাঁড় করাইয়া, কয়েক ঘা চপেটাঘাত করিয়া অবশেষে গায়ের বস্ত্র খুলিয়া লইল, সকলের সামনে দাঁড় করাইয়াও রাখিল। তাহাতেই শেষ নয়, এখন শুনিতেছি এইবার পাইলে নাকি অপমানও করিবে!

তাই নাকি? ঠেকনা-র আরেকটা মানে তো ঠেকনা দেওয়া মানে কোনো কিছুর পতন ঠেকানোর জন্য অস্থায়ি খুঁটি হিসেবে কাজ করা। আমি অশুদ্ধ বলি নাই। আর শুদ্ধ অশুদ্ধ তো ব্যবহারে চালু করে দেওয়া আর বাগবিধির বিষয়। চালু করে দিলেই হলো।

দারুন তো গল্পটা, কি গাধা, আমি প্রথমে ভাবসিলাম মনেহয় কোনো গরু কথা বলতেসে যাকে বাজারে নেয়া হচ্ছে বিক্রির জন্য, মজা পেলাম

Lina Fardows

হা হা হা হা !!! হেভি মজার লেখা , ঝাক্কাস লেখা!!! পিলাস

তয় আপনার এই ভাষা অনুবাদ করার জন্য শুধু অতন্দ্র প্রহরী না আনিস ভাইও আছে।

হামার এনা সন্দো হলো, এরা( আনিস ভাই আর প্রহরী) কি আজ হামাক অপমান করবি নিকিন

হঠাত কড়্যা এ্যঙ্কা ল্যেকা.. কী হ্যছে আপনের?

উঙ্ক্যা কিছু হছে।

ক্যা আফা, ক্যান্কা আসেন? হাঙ্কেরে ভাষাডা কোলে খুব মজার, ঠিক লয়?
কিন্তুক কয়ডা কথা আ্যাসলো যে! কঠিন সমালোচনা করমু, কোয়্যা থুচ্চি

...

বগুড়ায় যাওয়া হয়নি দীর্ঘকাল। এরই মধ্যে বগুড়ার ভাষা এতোটাই বদলে গেলো!

অনেক শব্দের উচ্চারণ সঠিকভাবে লেখা প্রায় অসম্ভব, জানি। তবু নিচে "বোল্ডিত" শব্দগুলো বগুড়ার ভাষায় ভিন্নভাবে উচ্চারিত হয় বলেই জানতাম।

অরা যখন হামার শাটের কলার ধরে থ্যাকনা দিয়ে, গলাত গামছা বাইন্দে হিড়হিড় কইরে টাইনে লিয়ে যাবার ধরলো, হামার এনা সন্দো হলো, এরা কি আজ হামাক অপমান করবি নিকিন? টানতে টানতে অরা হামাক নিয়ে গেলো হাটের মইদে। হাইরে... আজ না হাটের বার। এরা তো তালে বেন ("ব্যান" লিখলে সঠিকতর হতো) হামাক অপমান করারই ধান্দা করছে। হাটের মইদে বসে থুয়ে অরা হামার চুল কাইটে মাতা নাইড়ে করে দিলো। তান্তরে মাথাত কি বেন আবার ঢাইলে দিলো। জিবা দিয়ে চাইটে দেখি, ঘোল। হামি মনে মনে কচ্চি, বাবা, আজ মনে হয় হামার বাঁচন নাই। এরা হামাক অপমান না কইরে তো ছাড়বি না। এরি মইদে ক্যারা বেন আবার কুত্থেকে এডা গাধা নিয়ে আইলো। গাধা কিশোক নিয়ে আইলো এটি, এই সুমায়, বুঝব্যার পানু না। ময়, অরা দেখি হামাকই টাইনে হিচড়ে তুলে দিলো ওই গাধার পিটোত। ইন্কা করে হাটের মইদে চক্কর দিব্যার ধইরলো যকন, হামি তকন বুঝে গেলাম এগেরে মতলব ভালো লয়। এরা আজ হামাক সগগুলি মিলে অপমানই করবি গো....

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায় (যদিও অনেকে বলেন যে উচ্চাভিলাষী ন্যাড়ারা দ্বিতীয়বার যায় বেলটা কুড়িয়ে আনতে)। আমার হাতের উপর অনেক মায়া-মমতা আছে, অকালে হাতটা ভাঙতে চাই না

লেখা বড়োই মজা লাগলো। কিন্তু আপামনি, আপনারে কে/কারা অপমান করতে চায়, বলেন দেখি একবার! কত্ত বড়ো তা(দে)র সাহস! পিটায়া তামা বানায়া দিবো না!

শিমুল, ফাটাফাটি লেখা-----!!

বগুড়ার ভাষার থেকে তো বগুড়ার দইটাই বেশি ভালো মনে হচ্ছে এখন, একটু পাঠিয়ে দিন না

আদৌ কি পরিপাটি হয় কোনো ক্লেদ?ঋণ শুধু শরীরেরই, মন ঋণহীন??

শিমুল্লাপা ভাল লাগল, পুরা গুল্লি। তয় একখান প্রশ্ন বিড়ালের হাত নিয়ে এত সমস্যা কেন???

কঠিন প্রান বলতে হবে ! এখনো অপমানিত হয়নি, আমার মত পুঁটি মাছের প্রান হলে প্রথম লাইনেই অপমানিত হয়ে যেতাম ।

উফ, বাবারে কি কাহিনি।
এরকম এক কাহিনি শুনেছিলাম তপন রায়চৌধুরী গল্পে। বরিশালের গল্প ছিলো সেটা। সেখানে এক যুবক নায়েব চিঠিতে মনোকষ্ট জানাচ্ছিলো জমিদারকে, তাকে নাকি শত্রুরা সবার সামনে জুতা মেরেছে, শুধু তাই না,অপমান করবে বলে ভয় দেখাচ্ছে! জুতা কিছুই না কিন্তু সম্মানী লোকের মানী ছেলে সে, তাকে যদি অপমান করে তাহলে সে.....
সে অঞ্চলে নাকি জুতামারা কিছুই না!!!!!!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মানীর মান জুতা দিয়া বাইড়াইলেও যায় না, তা সে বোগড়ার হোক বা না হোক

হাহাহাহাহাহাহাহা
ওরে!!! ব্যাপক মজা পাইলাম !!

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

এখানে দেখি ম্যালা বোগড়ার লোক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

জাইদির জুতা খাওয়ার পর বুশ মনে হয় ওই চিঠি লিখসে "ভাগ্যিস বেটা আমাকে অপমান করে নাই..."

দারুন ব্লগ একটা।

বগুড়া কোথায়?

লেখাটা ভালো হয়েছে। তবে পূর্ব বগুড়া আর পশ্চিম বগুড়ার ভাষার একটা মিশ্রণ হয়ে গেছে। এটা অন্যদের পক্ষে ধরা কঠিন।

ক্যাগো শিমুলাপা হামি কি ঠিক কইল্যাম?