আমার এক কাজিনের মেয়ে। ওর বয়স যখন দু বছর, বেড়াতে এলো বাসায়। পুরোনো ইতিহাস আজ আর মনে নেই, তবে আপা "পরী" করে ডাকলে আমি কেন যেন ভীষণ ক্ষেপে যেতাম। সে মহা উৎসাহে পিচ্চিকে শেখানোর পায়তারা করলো আমাকে যেন সে পরী নামে ডাকে। পিচ্চি কেমন একটা লাজুক লাজুক চোখে আমার দিকে তাকায়। বলবে বলবে করেও কোথায় যেন আটকে থাকে। ওর মায়ের দিকে তাকায়। ওর মা কী বোঝে কে জানে। বলে, "পরী না, ফুলপরী বলো, মা, ফুলপরী।" এবং অবাক ব্যাপার, এবার সে একবার লাজুক স্বরে উচ্চারণ করে "ফুলপরী"। সেইসাথে একটা মিষ্টি হাসি। ওর আধোআধোভাবে বলাটা আবার কানে যেন মধুবর্ষণ করলো। আমি তাই একবার আপার দিকে অগ্নিদৃষ্টি ঝেড়ে নামটা মেনে নিই।
ওর বড়ো হওয়ার সাথে সাথে নামটা ছোট হয়ে ফুলপরী থেকে শুধু "ফুল" হয়ে যায়। আরো একটু বড়ো হয়ে যখন টুকটাক লিখতে পড়তে শিখছে, স্কুলে যেতে শিখছে, এবং সেইসাথে মোবাইলে মেসেজ লিখতেও শিখছে, আমাকে প্রথম মেসেজ পাঠালো। "fool, ami ekon message patate pari"......
আমি তো টাশকি! এই পরম সত্য এই মেয়ে এই বয়সেই আবিষ্কার করে ফেললে তো মুশকিল! সারাটা জীবন পড়ে আছে সামনে। হে হে করে আমি বলি, "ফুল বানান এভাবে লিখে না মা, এই শব্দটার মানে তো বোকা। আমি কি বোকা?" আল্লায় বাঁচাইসে, সে মেনে নেয় যে, না... আমি বোকা না।
কয়েকদিন পর আবার মেসেজ। এবার আর বোকামির কারবার নাই। সে লিখলো, "full, tumi kobe dakhay asba?" ... একটু প্রমোশন দিয়ে সে আমাকে কৃতার্থ করে দেয়। কৃতার্থ অবস্থাতেই ওকে ফোন করি, এটা সেটা বলার পর বলি
: আচ্ছা, এই ফুল মানে কী?
: কী আবার? ভর্তি।
: তাহলে আমার নাম কি ভর্তি?
এবার অনেকটাই বিরক্ত হয়ে ও বলে
: এই বানান ঠিক না, ওই বানান ঠিক না, তাহলে তোমার নাম কিভাবে লিখবো? আমি কি তাহলে ফ্লাওয়ার লিখবো? কিন্তু ওটা তো তোমার নাম না।
: হুম। তাহলে এখন থেকে বানানটা আমরা phool... এভাবে লিখবো, আচ্ছা?
আদর করে বুঝিয়ে দেই ওকে। আর যদি ভুল না করে, তাহলে তার জন্য রয়েছে পুরষ্কার। দেখা হইবা মাত্র ওর পছন্দমতো খাইদাই। ওর বয়স সেই পাঁচ থেকে এখন এগারো। পয়সা গেছে, যাক। কিন্তুক ইজ্জতটার তো আর ফালুদা বানায় নাই...
ওর নাম পুষণ। বাসায় এসেছিলো কিছুদিন আগে। ওই ঘরে থাকলে এই ঘর থেকে ওকে ডাকি "কুশন" বলে। কিভাবে যেন ঠিকই টের পায় ও। কাছে এসে চোখ গরম করে বলে, "আমার নাম পুষণ"। খুব ভালোমানুষের মতো মুখ করে জবাব দিই, "আমি তো তাই বললাম।" ও কিছু বলে না। শুধু সন্দেহ চোখে নিয়ে তাকিয়ে থাকে। ওর দিদা ওকে ডাকে "পুষি" বলে। সঙ্গত কারণেই এই নামটাতেও ওর ঘোর আপত্তি।
এই একই ব্যাপার ঘটতো আমার আরেক কাজিনের বেলায়। ওর নাম নাসিমা। একটু ছোট করে কাছের মানুষরা ডাকে, "নাসি"। একটু দূরে থেকে ওকে যখন ডাকতাম, "এই মাছিইইই..." দূর থেকে ও জবাব দিতো, "আসি আপা..." আমরা কুটিকুটি হয়ে হাসতাম।
আমাদের এক কলিগ। নাম তার মোহতারেমা বেগম। কী যেন একটা ব্যাপারে তার খোঁজে তার এলাকায় পৌঁছে গেল এক গার্ডিয়ান। তার বাসার কাছাকাছি পৌঁছে একটা দোকানে তিনি খোঁজ করছেন, ’আচ্ছা, মোতাহারের মায়ের বাসা কোনটা, বলতে পারেন?’ দোকানদার তো চেনে না। অমুক স্কুলে অমুক সাবজেক্ট পড়ায়, ইত্যাদি ইত্যাদি ডিটেইলস দিয়ে শেষমেষ তিনি হাজির হন মোতাহারের মায়ের বাসায়। তার ছেলের নাম ব্রত। কিন্তু অতি স্বাভাবিক কারণেই আমরা তাকে এখন মোতাহার বলেই জানি।
সুবিধাজনক নাম না হলে একটু এদিক ওদিক করে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিতে পাবলিক বেশি সময় নেয় না। সচলে হয়রান আবীর নামটা অবশ্য শুনতে সুইট-ই লাগে। তবে সব নাম তো আবার এতো সুইট হয়না। কাজেই নামের ব্যাপারে সেইফ থাকাটা একটা সৌভাগ্যের ব্যাপার বলেই ধরে নিতে হয়।
মন্তব্য
আমার এক কলিগ ছিল নাম পশুপতি, ফোন ধরে গম্ভীর গলায় বলে উঠত...পশু ইস হিয়ার।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হাহাহাহা
জটিল !
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এই কাহিনি মনে হয় আগেও কইছিলাম যে আমার একটা পুডল আছিল নাম 'ক্রুজ'। আমাদের দারোয়ান তারে ডাকতো 'বুরুজ'। কিছুতেই ক্রুজ তার মুখ দিয়ে আসতো না। ঘটনা এমনই দাড়াইল যে আমরা ক্রুজ রে ডাক দিলে সে কোন রেসপন্সই দেখাইতো না, বুরুজ ডাকলে পরে লাফ দিয়ে আসতো।
পুষনের এখন বয়স কত? এখন কি ডাকে? phool ই নাকি অন্য কিছু?
দৃশা
এগারো কি বারো।
এখনো ফুল-ই ডাকে। (ফুলি না কইলাম)
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হমমম । নাম বিষয়ে জুবায়ের ভাইয়ের একটা পোস্টের কথা মনে পড়লো । আমি আমার ছেলেমেয়ের নাম রাখার সময় কিছু বিষয় মনে রাখবো -
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
- পুলাপান হওয়ার আগে তো বিয়া করতে হয় শুনছিলাম (মেম্বর কৈছে, বক্তব্যের ইসকিন শটও আছে)। আপনে বিয়া করছেন?
আপনের পুলাপান হৈলে আমার কাছ থাইকা বুদ্ধি নিয়েন নামের ব্যাপারে। দারুণ বুদ্ধি আছে। মনে করেন, বাই ডিফল্ট ধইরা নিবেন যে লোকজন বড়ই বদ। এরা আপনের পুলাপানের নামের বিকৃতি করবোই। সেইজন্য, তাগোরে সেই সুযোগটা না দিয়া আপনে নিজেই পুলাপানের নাম যতোটা সম্ভব বিকৃত করে রাখবেন। এই যেমন ধরেন, "কাউয়া", "বিলাই", "পঁচা", "গেদা", "পল্টু", "ঘটি", "কলসী", "বদনা" ইত্যাদি।
এইবার বুলি কন আর গালি কন, কোনো দেশের যতো বড় কের্দানই আসুক, এইসব নামের কোনো বিকৃত রূপই বাইর করতে পারবো না এনশাল্লা, গ্যারান্টিড। এতে করে আপনার পুলাপান থাকবে নাম বিকৃতিমুক্ত। আর খেলার মাঠে তাই কারো নাক-মুখ ফাটায়া আসার সম্ভাবনাও কম। এলাকায় আপনেরে লোক ভালো জানবে। আপনে যখন সাদা রঙের লুঙ্গির কোনা এক হাতে তুলে ধরে হেঁটে হেঁটে হাটে যাবেন, লোকে আপনাকে দেখিয়ে বলবে, "ঐ দেখো হাসু ভাই যায়, তাঁর পুলাপানেরা বড়ই ভালো। কারো লগে ঝগড়া বিবাদ করে না!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খাইসে!
পোলাপাইনের নাম রাখতে গিয়া হাসিব মিয়া যদি বউয়ের পিটনা না খাইসে, আমি নাম বদলায়া রাখুম।
তার থিকা ধুগোর কথা শোনেন মিয়া!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নামে কি আসে যায়? কানা ছেলে নাম কি পদ্মলোচন হতে মানা? নাম দিয়ে কি হয়? ইত্যাদি রকমের অনেক উপদেশ মূলক কথা বার্তা ছোট বেলা পড়েছি। শিমুল আপুর লেখাটা পড়ে বুঝলাম নাম দিয়ে অনেক কিছু যায় আসে।ধন্যবাদ।
কামরুজ্জামান স্বাধীন।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ব্রাট (বিরাট) মজা পাইলাম... এই "ব্রাট" শব্দটা শুধু আমাদের একজন স্যার-ই বলতেন। তার নাম মামা হাশেম ( M.M.A. Hashem) । তার এম.এম.এ যে মামা হয়ে গিয়েছিল এটা তিনি জানেন না। আরেকজন স্যার ছিলেন তার নাম ছিল ( এখনও আছে ) তনয় দে। তিনি ইংরেজীতে বানানটা লিখতেন tanay dey। আমি প্রথম দিনেই তার নাম দেখে বলে বসলাম " টানায় দে" । এরপর থেকে আমরা তাকে এ নামেই ডাকতাম।
হিমাগ্নি
আপনি কি "কুয়েট"-এ পড়তেন?
আমি এখনো কুয়েটেই পড়ি ... (2nd yr) আপনি বুঝলেন কিভাবে???
জ্বি, উনি জ্যোতিষী বাবা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার এক এক্স-কলিগ কাম বন্ধুর সুপারভাইজার ছিলেন হাশেম স্যার। ওর মুখে অনেক আলাপ শুনসি। "তনয়" নামটাও শুনসি। যদ্দূর মনে পড়ে, যদি ভুল না করে থাকি, তনয় ওর বন্ধু ছিল। তাই দুয়ে দুয়ে চার মেলালাম
পড়াশুনা ভালো হোক আপনার। ভালো থাকবেন।
হিমাগ্নির অতীতকালের রহস্য হলো হাশেম স্যার এখন কুয়েটে না। ওনাকে ডিপার্টমেন্টের সবাই খুব খুব খুব মিস করি।
লেখাটি নির্মল আনন্দ দিলো, গুগল/ফেইসবুক একটা নামের চেকার তাদের সার্চলিস্টে/অ্যাপ্লিকেশন অ্যাড করতে পারে -- যেখানে থাকবে আপনার নাম সেইফ কিনা বা ছোট কি করলে কি দাড়াতে পারে তার চেকিং। আইডিয়াটা খারাপ না, কি বলেন!?
--শফকত মোর্শেদ
আইডিয়া টা আসলেই খারাপ না.........!!!
আসলেই খারাপ না...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
খুবই মজা পাইলাম।
আমার এক খালার নাম মিনা।আমারা আদর করে তাকে 'মিন্টু মামা' ডাকি।একবার খালুর সামনে 'মিন্টু মামা' ডেকে ফেলছিলাম।খালু আন্টির দিকে তাকায়া জিজ্ঞেস করছে,"মিনা,মিন্টু মামাটা আবার কে?"
আপনার প্রহেলিকা নামটা আনকমন।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নামের সমস্যায় আমিও আছি। আমার এত্ত সুন্দর একখান নাম থাকতে আমার সহকর্মীরা আমারেও পিছনে "পরী" কইয়া ডাকে, জিগাইলে কয় আদর কইরা ডাকি!!
আর আমার নিক নামের যন্ত্রনায় তো "জন্ম থেকে জ্বলছি অবস্থা".....
তয় শিমূলপা হয়রান আবীর নামটা আসলেই সুইট (রায়হান না শুনলেই হয়)
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হ...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
তা আপনি fool নিবেন না অশ্রু নিবেন?
আমার নাম নজরুল। কিন্তু সারাজীবন অসংখ্যবার শুনতে হইছে নরজুল। তাতে অবশ্য আমার খুব একটা আপত্তি হয় নাই, আর যাই হোক, 'নর' বলছে 'নারী' বলে নাই
আমার ডাকনাম দেলগীর। এটাকে বেশিরভাগ লোকে উচ্চারণ করতে পারে না। সর্বোচ্চ শুদ্ধ উচ্চারণ দেলদোগীরও শুনছি। এই দুক্ষে এই নাম কাউরে বলিই না আর।
আমার নাম নজরুল হইলেও আমার পূর্ববর্তী দুই ভাইয়ের নাম আনোয়ার আর মনোয়ার। এলাকার লোকজন নির্দ্বিধায় পূর্ববর্তী দুই ভাইয়ের সঙ্গে মিলায়ে আমারে 'জানোয়ার' নাম দিয়ে দিছিলো। এবং সেই নামে ডাকতো।
আমরা লিও ক্লাব করতাম, সেখানে এক বড় ভাই ছিলো, তার নাম রামপ্রসাদ। তারে আমরা সারাজীবন ডাকছি রামদা।
এইবার একটা বহিরাগত গপ। এদেশের বিখ্যাত খল অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। তার কাছ থেকেই গপটা শোনা। তিনি একবার এক বাড়িতে গেছেন, দারোয়ানরে বললেন গিয়া বলো এটিএম ভাই আসছে। একটু পরে দারোয়ান এসে জানাইলো আফায় মাফ করতে কইছে, 'এতিমগরে পয়সা দেওয়া হয় না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হাহাহা
বিশাল কাহিনী, নরজুল ভাই।
তয়, আমি অশ্রু নিবো না।
দুইদিনের দুনিয়ায় কান্নাকাটি ভালু পাই না।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার যে কতো নাম...সর্বশেষ প্রাপ্তি হইলো "টিটির বাবু"
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নো ওরিজ। টিটির বাবুটা 'কুইট' ছিল ধরে নিয়েই ডাকছি সবাই।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
টিটির বাবু... আসলেই তো কুইট।
বালিকা গাল ফোলায় ক্যান?
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার ডে-কেয়ারের ছোট্ট বাবুরা আমাকে গৌতম বলতে পারে না- আদর করে বলে দৌতম। কী যে সুইট লাগে শুনতে!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমারো সুইট লাগলো, দৌতম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমারো মেলা নাম । (এক্টাও কমুনা। নামগুলা বিশেষ সুবিধার্না )
দারুণ লিখছেন পরী আপু
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
একবার এক চীনামাটির বাসনওয়ালা এল বাড়িতে, দারোয়ান চাচাকে বলল - চীনামাটির ডিনার সেট আন্ছি।
দারোয়ান চাচা রিলে করল - চীন দেশ থেকে দিনার সী আসছে!
এখনো কারো কোন কথা না বুঝলে আমরা বলি - চীন দেশের দিনারসী তো?!
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হাহাহাহা
মজা পাইলাম খুব।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার নাম তো জনাব মোহাম্মদ ধূসর গোধূলি একেবারে বদলায়াই দিসেন! এখন আমাকে সচলায়তনের ভেতরে-বাইরে প্রায় সবাই 'বিডিআর' নামেই ডাকে! তবে ইদানীং অনেকে 'অপ্র' প্রেফার করে দেখি! খারাপ লাগে না শুনতে!
আরও কাহিনী আছে।
বাসায়, স্কুলে, কলেজে, ভার্সিটিতে যে নামে আমাকে ডাকা হতো, সেটা ডাক নাম। চাকরি পাওয়ার পর পুরা নামের প্রথম অংশ ব্যবহার করা শুরু করলাম (অবশ্য এই নামটা ক্ষেত্রবিশেষেই ব্যবহার করতাম অনেক আগে থেকেই)। কিন্তু সেটা আবার অফিসের চৈনিকদের জন্য উচ্চারণ করতে খুব অসুবিধাজনক! তাই পুরা নামের শেষের অংশ ব্যবহার করলাম, ওরাও উচ্চারণ করতে পারে, আর এই নাম এখন অনেক জায়গায় ছড়ায়ে গেসে। এটাকে আমার "কর্পোরেট নাম" বলা যায়
বিশেষ কারণে অপ্র নামটা ভালু পাই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার এক বন্ধু আছে নাম বাটার রেড গভরর্মেন্ট (মাখন লাল সরকার)।
আরেক পরিচিত নাম আশফাক্, ঐ বেচারা এখন আমেরিকা প্রবাসি, সেদিন শুনলাম এফিডেভিট করে নাম পাল্টাইছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
বেচারা...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভাগ্যিস আপনি আপনার ভাগ্নিকে আরো কয়েকবার চেষ্টা করতে দেননি, তাহলে দেখা যেত সে "foul" লিখে ফেলেছে।
আমাকেও আমার স্কুলের বন্ধুরা একটা বিশেষ নামে ডাকতো, সেটা এখানে বলা যাবে না।
আমার আর আমার ছোটভাইয়ের "First Name" একই। আমার ছোটভাইকে ওর ফ্রেন্ডরা ফার্স্ট নেমে ডাকতো। একদিন ওর এক বন্ধু বাসায় ফোন দিয়েছে, আমি ফোন ধরছি। সে বলছে, আবদুল্লাহকে চাই। আমি বললাম, আমিই আবদুল্লাহ। বলেই মনে পড়লো, ও আমাকে চাচ্ছে না। তখন আমার ছোটভাইকে ডেকে দিলাম।
দেশে সবাই আমাকে আমার শেষ নামে ডাকে কিন্তু এখানে বেশিরভাগই সেটা ঠিকমত উচ্চারন করতে পারে না এজন্য আমি সবাইকে আমার নামের প্রথম অংশ বলি যেটা উচ্চারন করতে কোন সমস্যা হয় না। এখন আমার দুইটা নাম, বাংলাদেশীরা এক নামে ডাকে আর বিদেশীরা আরেক নামে।
পাগল মন
"foul" ???
আল্লাহ মেহেরবান! সেই সুযোগ সে পায় নাই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার আর আমার ছোটবোনেরও "First Name" এক।
'রিফাত'কে চাই, এমনটা বললে মাঝেমাঝে ভজঘট বাঁধে বৈকি!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
স্কুলে পড়তে সবাই চেতাইতো সালওয়ার কামিজ বইলা, গুরুজনেরা মনে করত সালমা বড়ই সুন্দর নাম। ক্লাস টেনে পড়ার সময় কি একটা প্রতিযোগিতায় নাম দিসিলাম, সেখানে সেটারে বানাইলো শ্যাওলা। এইখানে ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি ডাকে সোলওয়ে, ( এই নামে এখানে একটা রাস্তা আছে।) সালওয়ার সঙ্গে হালুয়ার ছন্দ আবার ভাল মিলে। নাম নিয়া যন্ত্রনা এই জীবনে মিটবে বলে মনে হয় না, কাজেই এইটা এখন বিনোদন হিসেবে দেখি।
শ্যাওলা নামটা কিন্তু সুইট আর স্মার্ট লাগতেসে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হা হা হা... আপনার কাজিনের মেয়েকে অনেক অনেক আদর।
আমারও একটা আছে, এখনও কথা বলার ট্রেইনিং নিতেছে। দেখা যাক কেমন ভজঘট পাকায়!
বাচ্চাদের আধো আধো বোল আর শুরুর দিকে হাঁটতে শেখা
কি প্রচন্ড রকম ভালো যে লাগে, শব্দের সাধ্য নাই যে বোঝাতে পারে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমাদের স্কুলের এক টিচারের নাম ছিল নুরুল আলম (Nurul Alam)।কিন্তু আমরা তাকে ডাকতাম (নামের আদ্যাক্ষরের কারণে) সোডিয়াম স্যার।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নাম নিয়া তেমন কোনো ঝামেলা নাইক্কা আমার!
তাই নাকি?
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নাম নিয়া অনেক কাহিনি আছে, কমুনে পরে। এখন দৌড়ের উপর আছি
দৌড় থামার অপেক্ষায় থাকলাম...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার এক Student এর নাম ছিল কায়ানাত, তো ওকে একটা কাজে আমার কাজিনের অফিসে পাঠিয়েছিলাম। অফিসের সিকিউরিটির ছেলেটা কায়ানাতকে Reception এ বসতে বলে, আমার কাজিনকে গিয়ে খবর দিচ্ছে -
'স্যার কেয়ামত ম্যাডাম আইছে।'
নাম আসলেই একটা জিনিস..
অনন্ত আত্মা
মোতাহারের মা
নতুন মন্তব্য করুন