বেশ কিছুদিন থেকেই রাতে ঘুমাতে ভয় পাচ্ছি। আমার শত্রুও কখনো বলেনি জোঁক আর কুমির ছাড়া আমি আর কিছু ভয় পাই। সেই আমি রাতরাত কেমন ভীতুর ডিম হয়ে যাচ্ছি। আজব!
আপাকে আমরা শাইখ সিরাজের বোন বলি। ছাদের ওপর তার বিশাল অবস্থা। মরিচ, টমেটো, সিম, লাউ, লেটুসপাতা, ধনেপাতা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, শশা, বেগুন, আরো কী কী যেন সব। এবং এইসব যেদিন কোনো তরকারিতে ব্যবহার করা হয়, খাবার টেবিলে অতি আগ্রহ নিয়ে সে আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। এবং খাবারে এই বেহেশতি পরিবর্তন কেন আমরা নিজে থেকে ধরতে পারি না, সেটা নিয়ে বিস্ময় বা কষ্ট প্রকাশ করে। আমি শুধু শশার পার্থক্যটা বুঝি। কাঁচা খাই বলেই হয়তো।
একদিন ভোরবেলা সে উত্তেজিত হয়ে দৌড়ে এসেছে। ঘুমন্ত আমার মাথার কাছে এসে আরো উত্তেজিত হয়ে বলছে, "তিনটা ধরসে, তিনটা ধরসে। দেখে যা, আমার গাছে তিনটা ধরসে"। "আচ্ছা ঠিকাসে।পরে দেখবো।" ঘুমঘুম গলায় বলি আমি। ছুটির দিন বাবা, একটু ঘুমাই। ঘন্টা দুয়েক পর আবার জোর করে ধরে নিয়ে গেছে ছাদে।
এর আগেরবার যখন আমাকে খুব দারুণ কিছু একটা দেখাবে বলে নিয়ে গিয়েছিলো, ছাদে গিয়ে প্রথম গোলাপটা চোখে পড়তেই "ওয়াও" করে উঠেছিলাম। তার অভিমানমাখা মুখ দেখে বুঝতে দেরি হয়নি, উপস! রং নাম্বার। একটু পরে জানলাম, সে আমাকে পাকা টমেটো দেখাতে নিয়ে এসেছিলো।
এবারে আর সেই ভুল করি না। চোখ কচলাতে কচলাতে বলি, "দেখি, আগে তোমার তিনটা ফুলই দেখি। কোথায়?" সে কিছুক্ষণ আহত চোখে তাকিয়ে থাকে। তারপর বলে, "তিনটা ফুল কেন হবে, টিনডা, টিনডা।" তখন আমি জানলাম, টিনডা নামেও পৃথিবীতে একটা জিনিস আছে, যেটা নাকি খানিকটা কুমড়ার মতো দেখতে। এবং এই বিষয়ক কিছু জ্ঞান আহরণ করলাম। তো দিনের অনেকটা সময় তার কাটে এইসব নিয়ে। আমরা যখন কোনো কাজে ডেকে ডেকে হয়রান হয়ে অবশেষে ফোনে খুঁজি, দেখি ফোন বাজে ঘরের ভেতর। তার কোনো পাত্তা নেই। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে আর কার ভালো লাগে। বকাবকি করি, অন্তত ফোনটা যেন নিয়ে যায় সাথে। মাঝেমাঝে নিয়ে যায় সাথে করে। তারপর ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। ভোলা মন। পারিবারিক ঐতিহ্য।
সেদিন যথারীতি ফোন ভুল করে রেখে এসেছে ছাদে। মনে পড়লো রাতের বেলা। বললাম, আমি নিয়ে আসি। ঘরের সকল চার্জার নষ্ট। সুবহানাল্লাহ! বললাম, সমস্যা নাই। মোবাইলের আলোতেই চলবে। থাকি তিনতলায়। চারতলার একটা রুমে দুটো মাত্র প্রাণির বসবাস। বাকিটা পুরো ফাঁকা। সিড়ি বেয়ে গটগট করে উঠে গেলাম পাঁচতলার ছাদে। আপার মোবাইলে কল দিচ্ছি, বাজছে। ছাদের দরজা খুলতেই অপ্রত্যাশিত অনুভূতি। ভয়! অন্ধকার ছাদ। আলোর ছিটেফোটা নেই কোথাও। পিচ ব্ল্যাক! টিমটিমে আলো আর শব্দ দেখে এগিয়ে গিয়ে কোনোমতে মোবাইলটা নিয়েই উল্টোদিকে দৌড় দিই। ছাদের ওপরের খোলা ঠান্ডা বাতাস বিন্দুমাত্র রোম্যান্টিকতা জাগাতে পারে না আমার ভেতর। সায়োনারা।
কয়েকরাত ধরে মাঝেমাঝেই এইসব ভয়জনিত সমস্যার উদয় হচ্ছে। আমি রীতিমতো বিব্রত। দিনের আলোতে মহাবিরক্ত। এসব কী!!!
সেদিন রাতেও ঘুমাতে গেছি। বালিশে কান রাখতেই মনে হচ্ছে কী সব ধুপধাপ শব্দ। মাথার কাছে এসে কে যেন দাঁড়াচ্ছে। অস্বস্তিকর। এদিক ওদিক তাকিয়ে আবার কান রাখি। আবারো সেই একই ব্যাপার। একবার ভাবলাম, লাইট জ্বালিয়ে রাখি নাহয়। ঘুমে ঢলে পড়ার আগ পর্যন্ত গল্পের বই পড়ার কথাও ভাবলাম। কিন্তু গল্পের বইটা আমি তখনই সরিয়ে ঘুমাতে গেছি, পড়তে পড়তে যখন চোখে ঘোলা দেখতে শুরু করেছি। চোখ খোলা রেখে সতর্ক থাকতে থাকতেই বোধহয় একসময় ঘুমিয়ে পড়ি।
পরদিন। কথায় কথায় বোনকে বলে ফেললাম ভয় পাওয়ার কথা। "আমাকে ডাকিসনি ক্যান?" তার চোখে স্বভাবসুলভ মায়া। "তুমি সারাদিন চাষবাস করে ক্লান্ত থাকো। আর কয়েকদিন থেকেই এরকম হচ্ছে ক্যান জানি। কতোবার ডাকবো তোমাকে?" এবার তার চোখের দৃষ্টি বদলায়। "কিসব ভুতের গল্প পড়িস সারাদিন। আর ভুতের ভয় করিস। ওইসব পড়িস না তো আর।"
" ভুতের বই! ভ্যাম্পায়ার বলো!" আমি ব্রেকিং ডন পড়ছি। এডওয়ার্ডদেরকে ভুত বলে! আমি রীতিমতো আহত বোধ করি।
ভাগ্নি কাছেই ছিলো। এবার তার দিকে ফিরে আপা বলে, " এই শোন, এরপর ওর হাতে এই বই দেখলে টান দিয়ে নিয়ে ফেলে দিবি, বুঝছিস! আজাইড়া ঢং!" তার কন্ঠে স্পষ্ট বিরক্তি। গল্পের বইয়ের অত্যাচারে রতি আমাকে তার সারাদিনের গল্পগুলো সব শোনাতে পারে না বলে সুযোগ পেয়ে সেও ফোঁড়ন কাটতে ছাড়ে না, "একটু রেসপেক্ট নিয়ে বলো আম্মু, বলো খালামনি টোয়াইলাইট সিরিজ পড়ে, টোয়াইলাইট সাগা।"
আরো একধাপ গলা চড়িয়ে এবার বোনের গলা, "হু, টয়লাইট হাগা!" কি অপমান! আবার আমার দিকে ফিরে, "খবরদার পড়বি না আর এইসব!" আরে আজিব! আমি বোঝানোর চেষ্টা করি। এডওয়ার্ডের মতো কারো প্রেমে পড়ার ব্যাপারটা যে কী দারুণ একটা ব্যাপার হতে পারে, সেটাই তো বুঝলো না মহিলা। ভ্যাম্পায়ারও যে কি সুইট আর কেয়ারিং হতে পারে! ওদেরকে আবার ভয় পাওয়ার কী আছে। এগুলো ভয়ের বই কেমনে হয়!
আমার ভালোলাগার ধরন বাজে। ভালোলাগা সবকিছু দিয়েই আমি খুব বেশিরকম প্রভাবিত হই। স্টেফানি মেয়ারের লেখা কেমন ম্যাজিকের মতো লাগে। এইরকম অনুভূতি চন্দ্রবিন্দুর "মন" গানটা শোনার সময়েও হয়। কিছু যেন একটা গলে গলে বুকের একেবারে গভীরে ঢুকে যায়। যেতে থাকে। একটা কষ্ট, একটা স্বপ্ন যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। অতি আবেগিক ডায়লগ না, যে কোনো ধরনেই ভরসার জায়গাগুলো, নিশ্চিন্ত মনে নির্ভর করার মতো জায়গাগুলো আমাকে টানে অনেক বেশি। টোয়াইলাইট প্রথমটা পড়ার পর এইসব পুতুপুতু লাভ স্টোরি পড়বো না বলে ঠিক করেছিলাম। আমার ভেতর লজিকের পরিমাণ এমনিতেই ভয়াবহ রকম কম। স্বপ্নের জগতে বাস। আর এইসব মাটির সাথে দূরত্বই বাড়ায় শুধু। বইগুলো দূরেই ছিলো। তারপর আবার কেন যে... আবার সেই পুরোনো ভালোলাগায় ফেরা। একটু একটু করে। নিউমুন। এক্লিপস। ব্রেকিং ডন।
অন্তত কিছু কিছু ভালোলাগা হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়। অদ্ভূত!
মন্তব্য
''হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না...এক কে করি দুই৷
হেমের মাঝে শুই না যবে, প্রেমের মাঝে শুই।
তুই কেমন করে যাবি?
পা বাড়ালেই পায়ের ছায়ায় আমাকে তুই পাবি৷
তবুও তুই বলিস যদি যাই, দেখবি তোর সমুখে পথ নাই৷
তখন আমি একটু ছোঁব,
হাত বাড়িয়ে জড়াব তোর বিদায় দুটি পায়ে...
তুই উঠবি আমার নায়ে,
আমার বৈতরণী নায়ে৷
নায়ের মাঝে বসব বটে, না-এর মাঝে শোব৷
হাত দিয়েতো ছোঁব না মুখ,
দু:খ দিয়ে ছোঁব৷''
#যাত্রা-ভঙ্গ : নির্মলেন্দু গুণ
হাত বাড়িয়েও সব ভালোলাগা সবসময় ছোঁয়া যায় না...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
প্রিয় কবিতাগুলোর একটা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধুরো!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
টোয়ালাইট দেখার পর প্রথমেই যেটা মনে হয়েছে আমার এমন একটা বয়ফ্রেন্ড দরকার, যাতে দেশবিদেশ ঘুরতে কোন টাকাপয়সা না লাগে।বয়ফ্রেন্ড এর ঘাড়ে চড়ে সব কিছু দেখে আসা যাবে ভাবতেই বেশ ভালো লাগছিল। লেখা বেশ লাগ্লো। আমার নিজের ও ব্যাপক ভূতের ভয় ছিল, এখন ও ভয় পাই হুটহাট,পরে নিজের উপরেই ভীষন বিরক্ত হই।
হাহাহা
ভালো বলেছেন।
এইরকম অযৌক্তিক ভয় পেলে আমিও নিজের ওপর বিরক্ত হই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
One Flew Over the Cuckoo's Nest বইটা পড়েন, না পেলে এই গল্প নিয়ে বানানো মুভিটা দেখেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
বইটা খুঁজবো।
মুভির থেকে বইগুলো অনেক অনেক এবং অনেক বেশি ভালো হয়। এ পর্যন্ত যে কয়টা দেখসি আর কি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সিনেমাটা খুবই দারুণ। দেখতে পারেন। বইটা পড়ি নি।
বইটা পাবেন এখানে, পিডিয়েফ আকারে ডাউনলোড করতে পারবেন এখান থেকে, আর যদি সিনেমাটার চিত্রনাট্য পড়তে চান, সেটা পাবেন এখানে।
খুব নাম ডাক শুনে টোয়ালাইটের প্রথম সিনেমাটা দেখা শুরু করছিলাম কিন্তু শেষ করতে পারি নাই
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আমি টোয়াইলাইট পুরোটা দেখিনি। নিউমুন এর অল্প একটু দেখসি।
মুভি দেখে আমার আহামরি কিছুই মনে হয় নাই, নিবিড়। কিন্তু বইগুলোর বর্ণণা আমার কাছে মাথা খারাপ হয়ে যাবার মতো সুন্দর লাগে।
আমার সমস্যাও হইতারে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শিমুলাপু, আপনার সব লেখা আমি পড়েছি, সবই খুব ভাল লেগেছে। কখনো মন্তব্য করে সেটা জানানো হয়নি। আজকেরটাও ভাল লেগেছে। তবে আজকে মন্তব্য করার কারণ আপনার লেখা না।
আপনার আপাকে আমার পক্ষ থেকে স্যালুট জানাবেন। দেশ নিয়ে আমার অনেক স্বপ্নের একটা হচ্ছে, দেশের প্রতিটা বাড়ির ছাদে গাছ থাকবে। দেশ যেহেতু ছোট, অনেক মানুষকে জায়গা দিতে হয়, তাই সবাই যদি নিজ নিজ ছাদ ব্যবহার করে, তাহলে দেশটা আসলেই অনেক সবুজ এবং সুন্দর হবে। আপার এই গুন সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক। আপার প্রতি অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও শুভকামনা।
গৃহবাসী বাউল ভাই,
আপনার মন্তব্য আমি আপাকেই পড়তে বললাম। তার চোখে পানি এসে গেছে দেখলাম। কথা বলার জন্য তার একটু সময় লাগলো। বগুড়ায় থাকলে সে আপনাকে নির্ঘাত একবেলা খাইয়ে দিতো, বললো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়েছে আপনার সহৃদয় কমেন্টের জন্য।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
গাছপালা আমার ব্যাপক পছন্দ, সেটা টমেটোই হোক আর গোলাপ। লেখাও পছন্দ হয়েছে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
তার সবগুলো গাছ কাভার করতে পারি নাই, ফাহিম। রাতে আমাকে বলসে, "কুত্তা, অতোগুলো বরই খাইলি, আর আমার বরই গাছের কথা কিছু লিখিসনি!"
ছাদের বরই যে অতো সুস্বাদু হয়, আমার ধারণার বাইরে ছিলো। ওগুলো সত্যিই দারুণ ছিলো।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
'বাড়ির ছাদে বাগান করা', একে আমি ইতিবাচক শখ হিসাবেই গণ্য করি। বাড়িতে ছোট্ট বাচ্চা থাকলে, সে হাটতে গিয়ে পড়ে গেলেও এটা যেমন আগ্রহভরে সবাইকে জানানো হয়, ঠিক তেমনি ছাদের বাগানে নতুন কোন ফুল বা ফল আসলেও একই রকম আগ্রহ থাকে কাউকে না কাউকে দেখাবার জন্য। সৃষ্টির আনন্দকে শেয়ার করা আরকি
আপনার লেখাটাও অবশ্য ভালো লেগেছে। ভাল থাকবেন।
ঠিকই বলেছেন।
নতুন কিছূ একটা ধরলে হয়, না দেখানো পর্যন্ত জান ভাজা ভাজা করে ফেলে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনিও কি আমার মতো ঘোর লাগা মানুষ?
কী যে হয়েছে! এই লেখাগুলো ছাড়া আজকাল কিছুই পড়তে ইচ্ছে করে না।
খারাপ অভ্যাস!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
টোয়াইলাইট!
এই সিরিজের প্রথম সিনেমাটা নিয়ে যদিও অনেক আগে একটা লেখা লিখেছিলাম। বইগুলো পড়া হয় নি। আগ্রহও নাই তেমন। সিরিজের প্রথম দুইটা ছাড়া বাকি সিনেমাগুলোও দেখা হয় নি। সেটারও আগ্রহ নাই তেমন।
সারাদিন বেত হাতে মনে হয় ছাত্রদের ভয় দেখান। আর সেটাই এভাবে ফিরে আসে আপনার কাছে।
হাই তুইলেন না। এই মুভি পছন্দ না হইলে অন্যটা দেখেন। পিথিমীতে কি সিনেমার অভাব?
আপনার লেখাটার কথা মনে আছে।
আমি এই সিনেমাগুলো দেখার ব্যাপারে আসলে মোটেও আগ্রহী না।
বাঁশবাগান উজাড় হয়ে যাচ্ছে, অপ্র। বেত কোথায় পাবো?
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এই সিরিজের বইয়ের কথা মনে হলেই "বেল"-মাথা কিছু চোখে ভাসে!
নিজের ফিউচার দেখতে পান নিঘঘাত!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ছাদের ঠিকানাটা দেন তো ! আপনার আপাকে খুশি করার জন্যে হলেও গিয়ে খেয়ে আসি সব !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হাহাহা
উত্তর দিকে মুখ ফিরায়া সোজা নাক বরাবর হাটা দ্যান রণ'দা!
দেখবেন সোজা আমাদের খাবার টেবিলে পৌঁছে গেছেন।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বেলারে খুব ভালু পাই।
-নামুস
আরি! শরমে তো মইরা যাইতেসেন দেখি!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বুঝছি!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সত্যি!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
টোয়ালাইট সিরিজটা কেন জানি ভাল লাগে না, আমি হ্যারি পটার যুগের বাচ্চাতো, সেজন্যই বোধহয় ভাল লাগে না।
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। লেখালেখির জগতে এখনো সচল আছেন দেখে ভাল লাগলো।
সাফায়াতুল ইসলাম
মুভির কথা একেবারেই বলিনি।
আমি শুধু বইয়ের কথা বলেছি, বাচ্চাটা!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নিজের সামান্য কিছু অনূভূতি ছাড়া এ লেখাতে কিছুই পেলাম না। তবে একথা সত্য একটানে পড়ে ফেলেছি। এটা বোধহয় আগে আপনার যে লেখাটা পড়েছি তার জন্যে। খুবই ফালতু কিছু দিয়েও যে একটা কিছু লেখা যায় তা শিখলাম। ধন্যবাদ।
এরপরের লেখাগুলোতে বাড়তি একটা ট্যাগলাইন জুড়ে দেবো, "নিজস্ব অনুভূতি"। এড়িয়ে যেতে সহজ হবে।
কারণ ব্যক্তিগত নিজস্ব অনুভূতির বাইরে তেমন কিছুই লেখার নেই আমার। পারিও না।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
'এক্লিপস' ছাড়া এই সিরিজের প্রতিটা বই বাজে। স্টেফানি খালা যতই বলুক স্বপ্নে পাউয়া মৌলিক সব আইডিয়ার সন্নিবেশ, আমাকে বেশ বোর করেছে। তবে আমার চাচী টু রুম্মেইটের এই টোয়াইলাইট প্রীতি দেখে আমি বলেছিলাম দাঁড়া, পড়ে তারপরেই কমেন্ট করবো! 'এক্লিপস' পড়ে মনে হয়েছিলো নাহ, খালামনি সাসপেন্স, থ্রিলার, প্লটবিল্ডিং, অ্যাকশন এক্সিকিউশন কিছুটা পারেন। বইটার সবথেকে জটিল চরিত্রটা কিন্তু আসলে 'বেলা' অথচ সবাই এডু ভ্যাম্পুকে নিয়েই মাতোয়ারা। সিনেমা দিয়ে বইয়ের হালকা ভাবটা দূর করা যেত, পরিচালক আর অভিনেতারা পুরা জিনিসটাকে আরো বড় জোক বানিয়ে ছেড়েছে।
যাই হোক, টোয়ালাইটের মতন ফালতু জিনিসের পিছে আর সময় খরচ না করি, বরং আপনাকে একটা চিকা মেরে দিয়ে যাই... কেন মারলাম? আকলমান্দের জন্যে ইশারাই যথেষ্ট হবে মনে করি! পিপি'দা অভিযোগ তুলেছেন নাকি উপযুক্ত পরিবেশ পাচ্ছেন না, আর আপনি তো দেখি 'পরিবেশে'র মাঝেই আছেন!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হাহাহা
এইসব ভুজং-ভাজং দিয়া লাভ নাই, যাযাবর ভাইয়া।
আমাকে দিয়ে ওসব হবে না।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হপে হপে! বুঝতে হপে, কেন এত ভয়টয় খাচ্ছেন! আপনি ঐ ছাতের গপ্পো না লিখলে কিন্তু... মুহাহাহাহাহা!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ইয়াল্লা!
বলিনি বুঝি?
আমি তো আর ওসব খাইটাই না।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আইচ্ছা, দেখবানে... আইজকে মইধ্যরাইতে কেউ যদি মাথার কাছে দাঁড়ায়ে ডাক দেয়, সুপাশিঁপুঁউঁউঁউঁউঁউঁউঁ বলে, আমারে আর খুঁইজেন না মিয়া!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
টেনশান থেকে এরকম হয়
কিন্তু করার মতো কোনো টেনশান তো খুঁজে পাই না আমি...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন মন্তব্য করুন