আমি শায়লা। শায়লা শারমিন। বাবামায়ের একমাত্র মেয়ে। ছাত্রী ভালোই ছিলাম। কোনো টিউটর তখনো প্রয়োজন পড়েনি। টুকটাক প্রবলেম হলে মা কিংবা বাবা দেখিয়ে দিতেন। ক্লাস এইটে যখন পড়ি, একটা অংক দেখাতে নিয়ে গেলাম বাবার কাছে। অংক বোঝাতে গিয়ে বাবা আমার বুক স্পর্শ করেন। ভয়ে, আতংকে আর লজ্জায় যতোটা না কিশোরী শরীর কেঁপে উঠেছিলো, তারচেয়ে অনেক বেশি কেঁপে উঠেছিলো তার মন। শামুকের মতো গুটিয়ে গিয়েছিলাম নিজের ভেতর। অসুস্থ মা-কে বলার চেষ্টা করেছিলাম। মা বোঝেননি। নাকি বুঝতে চাননি কে জানে। বলতে পারিনি শেষমেষ। কাউকেই না। নিজেকে এতো নোংরা লাগতো! সারাক্ষণ মনে হতো শরীরটা অশুচি হয়ে আছে।
তবু ওই বাড়িতেই বেড়ে উঠতে থাকি আমি। ভেতরে কিসের যেন বিষ। সবকিছুই আগের মতোই থাকে। শুধু আমার রেজাল্ট দিনকে দিন খারাপ হতে থাকে। মা বিরক্ত। বকাবকি। কিন্তু পড়তে আমার আর ভালো লাগে না। কঠিন পড়া দেখলেই শুধু দম বন্ধ হয়ে আসতে থাকে। বাবা যখন ব্যস্ত হয়ে পড়লো তার ব্যবসাপাতি নিয়ে, অবশেষে মা-কে রাজি করাতে পেরেছিলাম বান্ধবীদের সাথে সপ্তাহে তিন দিন একটা স্যারের কাছে পড়তে যাবো। কয়েদিদের মতো করে কেটে যায় আমার ধুসর হয়ে যাওয়া কৈশোর। বাসায় যতোক্ষণ থাকি, মুখটা হয়ে থাকে পাথরের মতো শক্ত। নিজের চারদিকে দুর্ভেদ্য এক বলয় তৈরি করে ফেলি। সহজে কেউ ঘাটায় না আমাকে।
অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পরিচয় হয় রেশাদের সাথে। ও তখন মাস্টার্স ফাইনালের স্টুডেন্ট। সবার থেকে আলাদা লাগে ওকে। ওর চিন্তা-ভাবনা, আচার-আচরণ পর্যবেক্ষণ করি দীর্ঘদিন ধরে। তারপর জব অফার পাওয়া মাত্রই হুট করে বিয়ে করে ফেলি ওকে। বাবা-মার অমতেই। আহ! কতোদিন খোলা হাওয়ায় প্রাণ ভরে নিশ্বাস নেই না!
ওদের বাড়িতে মানুষ মাত্র তিনজন। ওর বোন রুমা, ভাই রেহান, আর বাবা। মা নেই। চলে গেছে অন্য কারো সাথে। ওরা তখনো অনেক ছোট। মায়ের জন্য কোনো সহানুভূতি নেই ওদের। নিজেরটা ভালো বুঝেছে, করেছে যা করতে ভালো লাগে। তাকে নিয়ে আর কারো ভাবনার কিছু নেই। ওদের সব ভালোবাসা বাবার জন্য। মাঝবয়েসি, আপাতদৃষ্টিতে হাসিখুশি মানুষ। সযত্নে আগলে রেখেছেন তার তিন ছেলেমেয়েকে। অল্প কিছুদিন হলো রিটায়ার করেছেন। বিয়েটা মেনে নিয়েছেন তো নিয়েছেন, হানিমুনের জন্য বেশ মোটা অংকের টাকা রেশাদের হাতে গুঁজে দিতেও দেরি করেননি। সপ্তাখানেক স্বপ্নীল সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরি আমরা।
পড়াশুনার পাশাপাশি নিজের সংসার বুঝে নিতে থাকি একটু একটু করে। সবকিছু ঠিকঠাক। তবু কিসের যেন খোঁচা অনুভব করি ভেতরে ভেতরে। আমার শ্বশুরমশাই যখন তার ছেলেমেয়েদের সাথে কথাবার্তায় মেতে ওঠেন, আমি শুধু সতর্ক দৃষ্টিতে মাপতে থাকি। রুমাকে যখন তিনি আদর করেন, আতংকিত বোধ করি আমি। ইচ্ছে করে এক টানে মেয়েটাকে নিয়ে আসি আমার বুকের ভেতর, নিরাপদ জায়গায়। ও যে এখনো পৃথিবী চেনে না! একটা অনতিক্রম্য দূরত্ব ধরে রাখি আমি বাবার বয়সী মানুষটার সাথে। আর কেউ ব্যাপারটা খেয়াল করে কিনা জানি না. তবে লোকটা বোঝে, সেটা তার দৃষ্টি দেখে বুঝতে পারি। তার দৃষ্টিতে আরো একটা ব্যাপার টের পাই। সেটা কি অসহায়ত্ব? নাকি অন্যকিছূ? তবে আমাদের ভেতরের ভদ্রতাসূচক দূরত্ব ভাঙার জন্য স্বাভাবিক আচরণের বাইরে কিছু করেন না তিনি।
ভার্সিটি, বাসা, আর অবসরে পারিবারিক আড্ডা, এভাবেই দিনগুলো কেটে যেতে থাকে। আট মাস। চলে যায় চোখের নিমেষে।
সেদিন ক্লাস, ল্যাবওয়ার্ক সেরে বাসায় ফিরতে ফিরতে অনেকটা দেরি হলো। ক্লান্ত ভীষণ। খেয়ে একটু গড়িয়ে নেবো ভেবেছিলাম। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি, টের পাইনি। ঘুম ভেঙে দেখি, রেশাদ কখন উঠে গেছে টের পাইনি। শব্দ শুনে বুঝলাম ওরা তিন ভাইবোন টিভিতে খেলা দেখছে। বিরক্ত লাগছে সবকিছু। খোলা কোনো জায়গায় একা একা হাঁটতে পারলে ভালো লাগতো। যাওয়া দরকার। উঠে হাতমুখ ধুয়ে নিই। আয়নায় নিজেকে দেখতে দেখতে একটু সাজি। সময় নিয়ে একটা শাড়ি বাছাই করি। তারপর পরনের কাপড় খুলে ছুঁড়ে ফেলি বিছানায়। উপস! সাইড টেবিলে রাখা ছবিটাকে সাথে নিয়ে মাটিতে পড়ে ওটা। ফটোফ্রেম। কাঁচ ভাঙার শব্দ।
"শায়লা, মা.. কী হয়েছে?" কয়েক সেকেন্ড পরেই দরজার ওপাশে শ্বশুরের কন্ঠে উদ্বেগ। দুটো টোকা দিয়ে দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি। আমার দুই হাত উঠে আসে বুকের কাছে। মাথাটা কেমন ঝিমঝিম করে ওঠে। তীব্র চিৎকার বেরিয়ে আসে গলা চিরে।
কিসের যেন স্পৃহা ভেতরে সাপের মতো ফনা তোলে। আমি রেশাদের বুকে মাথা রেখে কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকি, বলতেই থাকি। ওদের তিনজনের চোখে ঘৃণা আর অবিশ্বাসের ছায়া ঘনিয়ে ওঠা পর্যন্ত বলতেই থাকি। স্যরি, ওল্ড ম্যান! জানি অন্যায় করছি। কিন্তু আমার কিছুই করার নেই। কিচ্ছু না।
পরদিন স্থানীয় খবরের কাগজে অসংখ্য খবরের একটা - সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে একজন প্রবীন ব্যক্তির আত্মহত্যা।
মন্তব্য
দুঃসাহসিক লেখা। চমৎকার, সত্যই যদি এটা গল্প হয়ে থাকে। আর সত্যি হলে আপনি একজন হত্যাকারী। আপনি যাই হোন না কেন, সেটা বড় কথা নয়, কথা হল, আপনার লেখার ধরণ, কাহিনীর বিন্যাস বেশ ভাল, আরও ভাল লেখা চাই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হুবুহু এই গল্পটাই কোথায় যেন পড়েছি মনে হলো। ট্যাগ দেখলাম পুরোনো পত্রিকা আর সত্য ঘটনা অবলম্বনে।কোন পত্রিকা?
এই ধরনের ঘটনা যাদের জীবনে ঘটে, তাদের অন্য ছেলেদের সাথে (রেশাদ) প্রেম/বিয়ে কিন্তু অত সহজ না, কেননা তারা আর কাউকেই বিশ্বাস করতে পারেনা।
হুবহু?
এই জবানবন্দী থেকে আমি শুধু সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট আর শ্বশুরকে অভিযুক্ত করার ব্যাপারটাই নিয়েছি।
সানন্দা। যদিও ওটা পেয়েছিলাম বাদামের ঠোঙা হিসেবে। তবে পৃষ্ঠাটা আস্ত ছিলো। তবে কতো পুরোনো, বলতে পারবো না।
একমত। আসলে ওটা কি প্রেম ছিলো? নাকি চেনা আর বিষাক্ত গন্ডি থেকে বেরুনোর একটা পথ? আমি পথ হিসেবেই এনেছি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি আসলে সচেতনভাবেই এইরকম খবর/গল্প এগিয়ে চলি। মানুষের যে কত রকমের অসুস্থতা থাকতে পারে সে বলার বাইরে! আমার জানামতে বাবা'র দ্বারা কন্যা নির্যাতিত হওয়া কোনো নৈমিত্তিক ঘটনা নয়। সেজন্য এটাকে আমি ব্যতিক্রম/বিরল অসুস্থতা হিসেবেই দেখি! বাবা/মায়ের হাতে শিশু কোরবানীর ঘটনাও তো আমাদের সমাজেই ঘটে! সে তো নির্যাতনের চাইতেও ভয়ঙ্কর!
ব্যক্তিগত ভাবনার কথা বললাম!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এগুলো অসুস্থতাই তো, অনার্য। তবে যতোটা কম ভাবি, অতোটা কম কি?
বিভিন্ন সোর্স থেকে আমি এইরকম অন্তত ছয়-সাতটা ঘটনার কথা জানি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভাল লেগেছে। সাহসিকতার সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এড়িয়ে চলতে চাওয়া টপিক। কিন্তু অনেক প্রয়োজনীয়। তবে "সববয়সী" ট্যাগটা যথোপযুক্ত কিনা ঠিক বুঝতে পারছিনা। আরো অনেকে লিখুক এই টপিকগুলি নিয়ে। এটা সময়ের দাবি।
"১৮ বছরের উর্দ্ধে" ট্যাগটা দেখলে, যাদের পড়া উচিত নয়, তারাই বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে না কি?
আর যে মেয়েটা এই নির্যাতনের শিকার হলো, সে তো অনেক ছোট ছিলো, তাই না? জানুক না তার বয়েসী আরো কেউ...
আপনাকে ধন্যবাদ, বাবুই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দারুণ বলেছেন।
গল্প
ধাক্কা খেলাম !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ঘটনাটা যে ওরকমই, রণ'দা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দুর্ধর্ষ একটা গল্প
থ্যাংকস
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
। পড়ে ধাক্কা খেলাম । চমৎকার লিখেছেন।
যখন পড়েছি, আমিও ধাক্কা খেয়েছি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
গল্প হিসাবেও এইটা একটা দারুণ গল্প|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
শুধুই একটা গল্প হলেই ভালো হতো।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ঠিক ।
facebook
একটু অন্যরকম ঘটনা। প্রথম অনুচ্ছেদ পড়েই হকচকিয়ে গেছি। মনে প্রানে চাই এটা যেন যদি সত্য না হয়। এটা মাত্রা ছাড়ানো অসুস্ততা।।।।
আমিও তাই চাই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কয়দিন আগে ধাক্কা খেয়েছিলাম 'The girl with the dragon tattoo' ছিনেমাটা দেখে। আজকে আবার এই লেখাটা পড়ে।এইসব ঘটনা কি আসলেই ঘটে, ভাবতেছি
সিনেমাটা দেখিনি।
আমাদের জানাজানির বাইরেও বিশাল পৃথিবী, চুপচাপ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বাস্তব গল্পের আঙ্গিক এবং গল্পের বাস্তবতা এই দুটিকে অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন। কখনো কখনো তা হয়ে যায় ক্লিন পারভারট টাইপ কিংবা নিছক সস্তা বিনোদন।
কিন্তু এই গল্পে সেই ব্যালেন্স আছে। ভয়ানক ভাবে নাড়া দিয়ে যায়। ওয়েল ডান
ডাকঘর | ছবিঘর
আমি আপ্লুত, তাপস'দা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আবারো !
চমৎকার, অসাধারণ লিখেছেন !
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দরোজার আড়ালের অনেকগুলি সত্য থেকে একটা সত্য আপনি কত সুন্দর আর বোল্ড ভাবে তুলে ধরলেন। অথচ কোথাও নোংরামি নেই (বর্ননার ক্ষেত্রে)। খুব ভালো লাগলো।
স্বপ্নখুঁজি@ এরকম মাত্রা ছাড়ানো অসুস্থতা আমাদের চারপাশে অহরহ। শুধু- দেখা হই নাই..শোনা হই নাই চক্ষু মেলিয়া ..
cresida
ভালো লাগলো আপনার বলার ধরনটাও।
অনেক ধন্যবাদ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সানন্দায় ঠিক এমন একটা ঘটনা পড়েছিলাম, সত্য ঘটনা। ভালো লিখেছেন।
ওটাই।
ওখানে বোধহয় শ্বশুর বেঁচে ছিলেন। ঠিক মনে নেই। যদ্দুর মনে পড়ে, আমি বোধহয় খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম লোকটার জন্য, কোনোকিছু না করেও কিভাবে মাথানীচু করে সারাজীবন কাটাবেন, এটা ভেবে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অবিশ্বাস্য রকম সাহসী লেখা!
আর লেখার ধারটুকু আরো টের পেলাম যখন মনে পড়ল ঐ একই কী বোর্ড থেকেই পিতাজী পুরাণ বেরিয়েছে!
তীব্র বৈপরীত্য প্রকাশের সামর্থে মুগ্ধতা না জানিয়ে উপায় কোথায়?!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বিষয়টা আমাদের পরিচিত হলেও স্রেফ লেখার গুণেই এটা অসাধারণ একটা গল্প।
সত্যজিতের ব্যাপারে একটা কথা খুব প্রচলিত ছিলো/আছে- 'এভরিথিং হি টাচেস, টার্নস ইনটু গোল্ড'।
আপনে সত্যজিত নাইবা হৈলেন, তারপরেও আপনে মিয়া লেখালেখিটা সিরিয়াসলি শুরু করেন, ঈমানে কই- রেডকাউ বাটারঅয়েলের মতো আপনার হাতেও যাদু আছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইয়াপ, গপ্পোটা ভারী ধাক্কা দিলো দিয়েছে।
ধুগো, এইসব কী কন!
থ্যাংকিউ, সুহান।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এরকম ধাক্কা দেওয়া গল্পগুলোতে মুগ্দ্ধতা জানানোর জন্য লগাতে ইচ্ছে করে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি ভেবেছিলাম, তোমার হয়তো ভালো লাগবে না।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এরকম নির্মম বাস্তবতার সম্মুখীন হতে সব সময়ই অস্বস্তিবোধ করি, এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করি। সব কিছু সহ্য করা আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। শৈশব/বাল্যবেলায়/কৈশোর অনেককেই এধরণের যৌন হয়রানি-নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়। এটা আমাকে প্রচণ্ড ব্যথিত করে। এ বিষয় গুলো নিয়ে অনেক অনেক লেখা দরকার, আলোচনা দরকার, সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। আর নির্যাতনকারীকে আইনের আওতায় আনার সুলভ ব্যবস্থা দরকার।
এদের বোধগুলো কেন সুস্থ হয়ে গড়ে উঠে না.........কেন কেন................
_____________________
Give Her Freedom!
একমত।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
থ্যাংকস।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
চমকপ্রদ!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এমনটা ঘটে। সব বাবা বাবা না। যে বিষয়ের অস্তিত্ব আছে বলে কোনদিন ভাবনাটাও মাথায় আসেনি, সেই জিনিস জেনে যাওয়ার পর শুধু আমৃত্যু স্তব্ধতা... আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই নিয়ে লেখার জন্য, আপনার সৎসাহসের প্রশংসা করি। আর আপনার লেখার প্রশংসা করবার সাধ্য কি!
অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকে এইরকম আঘাত, স্বাভাবিক মানসিকতায়, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে কি আর কেউ? কে জানে...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কঠিন একটা বিষয়। শক্ত লেখনি।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ধন্যবাদ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এই কমিক স্ট্রিপটি দেখুন Stuffed friend
দেখলাম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মুগ্ধতা জানবেন।
অনেক ধন্যবাদ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
গল্প হিসাবে বেশ ভাল লেগেছে। বেশ সাহসী লেখা। কিন্তু কেন যেন মনে হয় এই ধরনের 'সত্যি' ঘটনা প্রকাশ না হওয়াই ভাল।
নিজেকে এই অসুস্থ সমাজ এর একজন ভাবতেই বড় অনুশোচনা হয়।
এইসব অসুস্থতা আড়ালে থাকাই উচিত কি না, এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি আসলে কিছুটা কনফিউজড।
মানসিক বিকারগ্রস্ততা দিয়ে কেউ কি উৎসাহিত হয়?
বুঝি না ঠিক।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধাক্কা। বেশ ভাল রকমের ধাক্কা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হুম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
গায়ে শীত কাঁটা দিল লেখাটি পড়ে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ব্যাপারটাই যে ওরকম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বউ সানন্দার নিয়মিত পাঠক। তাই জবানবন্দীটা পড়া ছিলো। কিন্তু আপনার গল্প সেই জবানবন্দীর চেয়ে মারাত্মক ক্ষুরধার। লেখা নিয়ে তো কোন কথা হবে না। অনেক আগেই একবার একটা লাইন ব্যবহার করেছিলাম - অভিনন্দন লেখিকা। আবারো বললাম সেটা।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
সাহস দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, ঝরাপাতা...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন মন্তব্য করুন