লোকজনের বোকামি দেখে আমি মাঝেমাঝে খুবই বিরক্ত হই।
আজকের কথাই ধরুন, বিরক্ত হয়েই সিদ্ধান্তটা আমাকে নিতে হলো। গ্যাস নেবার পর সবুজ রঙের গাড়িটা স্টার্ট করতেই লাফাতে শুরু করলো, লাফাক। আমার আপত্তি নেই। কিন্তু তাই বলে কাদা ছিটিয়ে দেবে আমার গায়ে! আবার প্যাঁ পোঁ করে হর্ণ দিচ্ছে তো দিচ্ছেই। কানের বারোটা বাজিয়ে দিলো। এই বেকুব লোকটা আমার সামনেই কেন তখন এই কাজ করতে গেলো, কে জানে।
কারণটা সেও জানাতে পারবে না আর। তার মাথায় সংকেত পাঠিয়ে দিয়েছি আমি। কখন যেন পাঠালাম ..উমম, সকাল দশটা হবে বোধহয়। আর এখন বিকেল। এতোক্ষণে তো ব্যাটা নিশ্চয়ই মরে গেছে। অন্তত তাই তো হওয়ার কথা। বেক্কল লোকজন আমার দু’চোখের বিষ।
দিনের বেলা এই গ্যাস স্টেশনটাতে কাজ করি আমি। আর রাতের বেলা করি তাজা মাংসের ভুরিভোজ। মন্দ না কিন্তু ব্যাপারটা। গৃহহীন মানুষ আর বিভিন্ন পথে আসা হরেক রকম ভাসমান মানুষের সংখ্যা এই মেট্রোপলিটন শহরে নেহায়েত কম না। অন্তত লম্বা একটা সময়ের মধ্যে আমার খাবার দাবার নিয়ে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা না। সমস্যা মানে, লোকাল পুলিশ আর কি। রাস্তার মানুষ হারিয়ে গেলে সেটা নিয়ে পুলিশে নিখোঁজ সংবাদ দিতে যায় না কেউ। কাজেই ঝামেলা হয় না।
বাইরে থেকে যারা এই শহরে আসে, অনেকেই তুলনামূলকভাবে সস্তা হোটেলগুলোর খোঁজ জানতে চায়। ব্যাপারগুলো সবসময় একইভাবে শুরু হয়। যখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করি, কতোটুকু গ্যাস লাগবে, নিজে থেকেই তারা বলতে শুরু করে, কোন হোটেলে তারা উঠেছে, সেখানে সুযোগ সুবিধা কিরকম, কেন এসেছে, কিছু টুকটাক কাজের কথা। লোকজন আসলে কথা বলতে ভালোবাসে। আর সেটা বরং আমার খোঁজাখুঁজির পরিশ্রম কমিয়ে দেয় অনেকখানি। কাজ শেষ করে ডিনার করার জন্য আমি শুধু জায়গামতো পৌঁছে যাই।
মালিকের নাম বব। বব ডোবারম্যান। তার কড়া নির্দেশ, কর্মক্ষেত্রে আমাদেরকে নেমপ্লেট পরেই থাকতে হবে, এবং সেটা ডাক নাম। বব বলে, তাতে লোকজনের মনে রাখতে আর ডাকতে সুবিধা। কাজেই আমার বুকে লাগানো নেমপ্লেটে সাদার ওপর কালো দিয়ে লেখা চারটে অক্ষর ফুটে থাকে, এম, এ, সি, কে। নীল আর ধুসরে চেক একটা শার্ট আর একই কম্বিনেশনে ডোরাকাটা একটা প্যান্ট হলো আমাদের ইউনিফর্ম। কিম্ভুত! এটা কোনো ইউনিফর্ম হলো! পরলে এতো হাস্যকর লাগে, যে মাঝেমাঝে আমার ইচ্ছে করে ব্যাটাকে এই পোশাক পরিয়ে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখি। হালার পো! তবে উল্টাপাল্টা কিছু করা যাবে না। আপাতত বোকা বোকা চেহারা নিয়ে নিরীহভাবেই কাজ করে যাই। এমন একজন মানুষ, যাকে আলাদা করে চোখে পড়ার কিছু নেই। চোখে পড়লে ঝামেলা অনেক।
যেমন কাল রাতে আমি এক নিশিকন্যাকে হাপিশ করে দিলাম, অথচ খুঁজে দেখলাম, আজকের কোনো পেপারে তার উল্লেখ পর্যন্ত নেই। যেন হারিয়ে যাওয়া মেয়েটার কোনো অস্তিত্বই ছিলো না। এমনিতে নিশিকন্যারা আমার খুব একটা পছন্দ না। কিন্তু মাঝেমাঝে পছন্দের খাবার ঠিক হাতের কাছে মেলেও না। কাজেই কী আর করা! ওই দিয়েই চালাতে হয়। মাঝেমাঝে রুচি বদলানো খারাপ না। তবে অবাক ব্যাপার হলো, মেয়েটা আমার সাথে লড়াই করেছে। এরকম আগে হয়নি কখনো। প্রথমে আর সবার মতোই ওর মাথায় সংকেত পাঠালাম আমি। কাজ হলো না বলে এর পরেরটা আরো শক্তিশালি করলাম। আজব! মেয়েটার কিছুই হলো না! বাধ্য হয়ে ওকে আঘাত করতে হলো। কেটে ছড়ে যাওয়া খাবার আমার ভীষণ অপছন্দ। কিন্তু কী আর করা, ক্ষিদেও যে পেয়েছিলো ভীষণ।
ডেজার্ট হিসেবে খুলির ভেতরের অংশটা কিন্তু দারুণ! ওটার ব্যবস্থা করতে গিয়েই আসলে ব্যাপারটা খোলাসা হলো। বুঝতে পারলাম, কেন সে আমার সংকেত ধরতে পারছিলো না। তার মাথায় বসানো একটা ধাতব প্লেট। কোনো দুর্ঘটনার ফসল। এরকম তো হবেই। তবে, টেকনিক জানা থাকলে মানুষের মাথার খুলি ফাটানো এক চুটকির ব্যাপার মাত্র। ঠিক লবস্টারের খোসা ছাড়িয়ে খাওয়ার মতোই সহজ। জায়গামতো ধরে মেঝেতে ঠুকে দেয়া, একেবারে দুই ফাঁক। তারপর চামড়া সরিয়ে নারকেলের শ্বাসের মতো তুলে খাওয়া। আহ! জিভে পানি এসে গেলো! জায়গামতো ধরাটাই আসল কথা। কিন্তু নিশিকন্যার খুলির ভেতরের অংশে পৌছাতে পৌছাতে ওটার অবস্থা প্রায় ন্যাতা ন্যাতা হয়ে গেলো। শেষমেষ যখন নরম প্যাঁচানো প্যাঁচানো অংশটা দেখতে পেলাম, ততোক্ষণে আমার ডেজার্ট খাওয়ার ইচ্ছেটাই মরে গেছে। তবু খেলাম। অতো কষ্ট করলাম যখন।
মগজ খেতে ভালোই। কিন্তু তারচেয়ে বেশি ভালো হৃৎপিন্ড। তুলনামূলকভাবে নতুন রক্তে মাখামাখি হয়ে থাকা নরম জিনিসটার স্বাদই অন্যরকম। ইয়ামি! প্রত্যেকবার একটা হৃৎপিন্ড যেন আমাকে নতুন একটা জীবন দেয়।
ওহ.. আমি আসছি। একটু দাঁড়ান প্লিজ। একজন কাস্টোমার এসেছে...
....
হ্যাঁ, তারপর, কী যেন বলছিলাম... ওহ। আমার খাওয়ার কথা...
পরিষ্কার করার ব্যাপারটা যে কি বিরক্তিকর! এমনিতেই পেট ভরে খাবার পর আমার আর নড়াচড়া করার মতো অবস্থাই থাকে না, সব পরিষ্কার করার কথা ভাবতেই তাই বিরক্ত লাগে। ইশ! যদি ভরপেট খেয়েদেয়ে ইচ্ছেমতো শুয়ে থেকে থেকে তৃপ্তির ঢেকুর তোলা যেতো! কি যে ভালো হতো! কিন্তু হায়! বিধি বাম। অতো বিলাসিতা করার মতো কপাল কি আর আছে আমার!
হাতের কাছে নদীটা ছিল বলে রক্ষা। নইলে আশেপাশে পুলিশ আমার ভালো লাগে না। তবে প্রথম প্রথম এতো বুদ্ধি ছিলো না আমার। স্রেফ খাবারের অবশিষ্টাংশ নিয়ে গিয়ে নদীতে ফেলে দিতাম। ভাবতাম, ভেসে চলে যাবে দূরে। কিন্তু কাজটা বোকার মতো হয়েছিলো। তখন শহরের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামে কিসের যেন একটা খেলা চলছিলো, জমজমাট লোকজন, পুলিশ দুটো লাশ খুঁজে পেলো, ভাটার টানে চলে আসা। যদিও লাশ দুটো কয়েকদিনে যথেষ্ট পঁচে-গলে চেনার উপায় ছিলো না। তবুও দেখা গেলো যে স্থানীয় পুলিশরা একেবারে ঘাস খায় না। মাছে খাওয়া, আর অন্য জিনিসে খাওয়ার মধ্যে পার্থক্যটা তারা ঠিকই ধরতে পেরেছিলো। ওইটুকুই। এর বেশি করার সাধ্য ওদের ছিলো না। শেষে এফবিআই এসে নাক গলালো। অবশ্য তারাও বেশি কিছু করতে পারলো না। সন্দেহজনক কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলো। মৃতদের পরিচিত কেউ না থাকায় ব্যাপারটা চাপা পড়ে যেতে সময় লাগেনি।
তবে তারপর থেকে আমি সতর্ক হয়েছি। এখন ক্যানভাসের ব্যাগে ভরে কোনো ভারি মোটর পার্টসের সাথে বেঁধে তারপর পানিতে ফেলি। ববের গ্যাস স্টেশনে বারো ফুট উঁচু জঞ্জাল স্তুপ করা আছে কী করতে। বব এই পার্টস হারানোর ব্যাপারটা টের পায় কি না, বুঝি না। কখনো তো কিছু বলেনি। গতরাতের মেয়েটাকে ফেলে দেবার আগে মিশরীয় মমির মতো করে শক্ত করে বাঁধতে হয়েছে। কী করবো, হাতের কাছে কোন ক্যানভাস ব্যাগ পেলাম না। তবে আশা করি ঝামেলা হবে না। কোনোভাবে যদি ওকে উদ্ধার করা যায়ও, মাছের ভুরিভোজনের পর চেনার মতো অবস্থা নিশ্চয়ই থাকবে না। সত্যি বলতে কি, পুলিশের বরং আমার ওপর কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। আমি ওদের ভাসমান মানুষ উচ্ছেদে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছি। তাই না, বলুন?
ওহ, আরেকজন কাস্টোমার। এক মিনিট। এক্ষুনি আসছি...
...
আরিব্বাহ! এই লোক তো আজব দেখি! গ্যাসের দাম পরিশোধ করে বাড়তি একশো টাকা দিলো আমাকে। চোখ টিপে বললো, রাজি হলে আরো দেবে। সমকামী, বুঝতে দেরি হলো না। সঙ্গী খুঁজছে। আমার পছন্দের তালিকায় পুরুষরা নেই। আর সপ্তাহে দুই তিনবারের বেশি খেতেও হয়না আমার। কিন্তু যেচে পড়েই হাতের মুঠোয় আসতে চাইছে যখন, পায়েই বা ঠেলি কেন। আসুক ব্যাটা। পাঁচ বছরের এই সময়ে আমি তিনটে পুরুষ উদরস্থ করেছি মাত্র। প্রতিবারই ঠেলায় পড়ে। সেগুলো স্বাদ ভুলিনি এখনো। কেমন শক্ত শক্ত আর আঁশওয়ালা মাংস। আর হৃৎপিন্ড শেষ করার পরে কেমন একটা তিতকুটে স্বাদ লেগে থাকে মুখে। মোট কথা, আমার ভালো লাগেনি। মেয়েরাই ভালো। যাই হোক, আমিও একটু খেললাম তার সাথে। সন্ধ্যার পর, ডিউটি শেষ হলে আমাকে নিতে আসবে সে।
পাঁচ বছরের বেশি আগের কথা আমার মনে পড়ে না। কোথ্থেকে এসেছি, কোনো আত্মীয়-স্বজন আছে কি না, জানি না আমি। মাঝেমাঝে ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখি একটা জায়গা, বসতিবিহীন, বাতাসবিহীন, স্পন্দনবিহীন কিন্তু বিপদসংকুল, ভীষণ অন্যরকম একটা জায়গা। কে জানে, হয়তো অন্য একটা গ্রহ থেকে কোনোভাবে ছিটকে এসেছি, কিংবা কোনো ল্যাবরেটরিতে হয়তো পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করা হয়েছে, জানি না আমি। কিন্তু এটুকু জানি, কারো মনে সন্দেহের উদ্রেক না করেই, এখানকার আর সবার সাথেই মিশে থাকতে পারি আমি, যতোক্ষণ না কোনো ভুল করে ফেলছি। একটা ভুল, আর আমি শেষ।
আর আরেকটা জিনিস বলতে চাই... ইয়াল্লা! এটা সেই গাড়িটা না, সকালের সবুজ করোনা? কিন্তু কিভাবে সম্ভব! ওর তো বেঁচে থাকার কথা না! আমার হলোটা কী! সংকেত পাঠানোর ক্ষমতা কি হারিয়ে ফেলছি নাকি? স্বল্পস্মৃতির ছোট্ট এই জীবনে প্রথমবারের মতো আমি ভয় পেলাম। লোকটা সত্যিই অদ্ভুত। সোজা আমার দিকে তাকালো। উফ, গাড়ির ভেতরে বসে থেকেও যেন সে আমাকে ছূঁয়ে দিতে পারছে! মাথা কেমন ঝিমঝিম করছে। চিন্তা করতে পারছি না। কী যেন একটা হচ্ছে.. আমার ধারণা... না না, ধারণা না... হ্যাঁ.. সে সংকেত পাঠাচ্ছে আমার মাথায়। ঠিক আমারই মতো... ও ঠিক আমারই... কিন্তু..
..........................
(মূল গল্পকার : Perry McGee)
মন্তব্য
ব্যাক্কল লোকজন আমার দুচোখের বিষ
>ওরে দারুন! রোমহর্ষক গল্প, একটানে শেষ করতে বাধ্য হয়েছি, সংকেত পাঠানোর ব্যাপারটি খুব দারুন মনে হয়েছে তবে ফার্ষ্ট পারসন ন্যারেটিভের বর্ননাকারীকে মেল/ফিমেল চিহ্নিত করেত সমস্যায় পড়েছি।
>শেষাংশে সে একইভাবে ধরাশায়ী হবে বা হতে যাচ্ছে/অথবা অন্য কিছু ঘটতে যাচ্ছে দেখে মনে হল পরবর্তী পর্ব হয়তো জোড়োশোরে আসছে।
#ভাল থাকুন, অনেক সুন্দর থাকুন, এ প্রত্যাশায়
ছেলে না মেয়ে, এই ব্যাপারটা যে পরিষ্কার না, আপনি বলার পর খেয়াল করলাম। বাড়তি একটা বাক্য যোগ করে ওর নাম বলিয়ে দিলাম।
আরে না না! এর কোনো পরের পর্ব নাই। এখানেই শেষ, মশাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সচলায়তনে আপনার প্রথম অনুবাদ পড়লাম মনে হয়। ভালো লাগলো। টুকিটাকি ঘষামাজা করা যেতে পারে। নিয়মিত চালিয়ে যান। আগামীতে নিশ্চয়ই আরও দারুণ গল্প আসবে।
এটা কার গল্প?
হুম।
ভয়ে ভয়ে করলাম। প্রথম অনুবাদ।
গল্পকারের নাম দিতে মনে ছিলো না। দিয়ে দিলাম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পেয়ে গেলাম গল্পটা। আসলেই ভালো অনুবাদ করেছেন।
>সত্যিই প্রহরী বটে! অভিনন্দন প্রিয় অতন্দ্র প্রহরী, পাহাড়ায় যে কোন রকমের ঘাটতি হচ্ছেনা তা একেবারে প্রমানিত। ভালবাসা আপনার জন্য।
>সুলতানা পারভীনকে আবারো ধন্যবাদ
অপ্র, বাইর কইরালাইসেন!
আবারো ওয়েলকাম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হেহ, সাধে কি আর অপ্রদাকে 'লিঙ্কিং পার্ক' বলা হয়?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার আগেই দেখি তিথী বলে ফেলেছে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আম্মা গোওওও!! ডরাইসি!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
আসেন, ধুগোর দেওয়া পানিপড়া ছিটায়ে দেই।
এনশাল্লাহ, ভয় দূর হবে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
না থাক, ডরাইলেই ডর...
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
সেবা প্রকাশনীর বাইরে এত ঝরঝরে অনুবাদ সাধারণত দেখা যায় না
মাই গড!
এত্তো বড়ো কমপ্লিমেন্ট!!
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শেষ করার পর সেবার স্বাদ জিভে লেগে ছিল তো! তাছাড়া আমিও একটা প্রকাশনা সংস্থার সাথে জড়িত। আনুবাদ নিয়েই কারবার বেশি। তাই সেবা পরিবারের বাইরে তথাকথিত অনুবাদকরা পাঠকদের কী ছাইপাশ গেলাচ্ছেন তা কাছ থেকে দেখার তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে।।।।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অসাধারণ ঝরঝরে অনুবাদ! পড়ে মনেই হয়নি অনুবাদ পড়ছি। আর গল্পটাও বেছেছেন সাংঘাতিক! চিন্তা-ভাবনা গুলিয়ে দেয়ার মত! এত সুন্দর একটা গল্প উপহার দেয়ার জন্য
'এ পোশাক পরিয়ে' হবে কি?
গালটা আরেকটু কঠিন হতে পারতো!
তাহলে কি গল্পের নায়ক দু'বার ভূরিভোজ করবে? যেহেতু আরেকজনকেও সংকেত দিয়েছে?
উনি কি আমেরিকান লেখক? আর গল্পটার নাম কি 'Stranger'?
০১
ঠিকই ধরেছেন। ওটা "পরিয়ে"-ই হবে। ঠিক করে দিলাম।
০২
হাহাহা। হালার পো একেবারেই হালকা গাইল, না?
০৩
উহু। একজনকে তো সে বিরক্ত হয়ে সংকেত পাঠালো। তাকে দিয়ে পেট ভরানোর কোনো ইচ্ছে ছিলো না তার।
০৪
জ্বি। উনি আমেরিকান লেখক। মূলত হরর গল্প লিখেন।
আর যেটা অনুবাদ করেছি, গল্পটার নাম "গট আ মিনিট?"
আর সবশেষে, এতো মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আর ব্যাপারগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য এক পৃথিবী ধন্যবাদ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন সিস্টেমে পাসওয়ার্ড মনে করার ভয়ে সচলে লগাইতে যাই না। তিনবারের বেশি ভুল করলে নাকি আমারে আর জীবনেই আমার নামে চিনবে না
কিন্তু তবু শুধু একখান প্রশ্ন করার জন্য রিস্কটা নিতে হলো- তা শেষ পর্যন্ত কে কার পেটে গেলো?
অনুবাদ তো ভালই লাগলো।
থ্যাংকিউ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মহামতি লীলেন
ওদের দুজনের কেউ জানতো না, এই প্রজাতির মেয়েদের ক্ষমতা ছেলেদের চেয়ে দ্বিগুন হয়। ওদের যখন এই অবস্থা, সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম আমি। তারপর, বুঝতেই পারছেন....
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
চমৎকার লাগল।
ধন্যবাদ, জলছবি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
facebook
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনুবাদটা আসলেই ভালো হইসে। অনেকটা সেবা'র মতো- ঠিক যেরকম আমি চাই। সামান্য একটা দাবি আছে আমার, সেটা হচ্ছে নামকরণ। সামনে এই রকম অনুবাদ করলে নামগুলো স্থানীয় দিয়েন। বব হতে পারে বিল্লাল, এইরকম। এতে আর অনুবাদ মনে হয় না গল্পটাকে।
সত্যি!
আনন্দে আমার লাফাইতে ইচ্ছা করতেসে, সুহান।
নামকরণের ব্যাপারে এই কথা মনে রাখবো।
থ্যাংকিউ সো মাচ!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আবারও পুরানা তর্ক শুরু করে ফেলবো মনে হয়, সুহান! কিন্তু কী আছে জীবনে!
দেশীয় পটভূমিতে অনুবাদকে এনে ফেললে সেটা একটা আলাদা মাত্রা পায় সন্দেহ নেই। কিন্তু শুধু নাম পরিবর্তন করেই সব গল্পকে দেশীয় পটভূমিতে এনে ফেলা যায় না। যেমন এই গল্পটায়, বেশ কিছু ব্যাপার আছে।
প্রধান চরিত্র পুরুষ।
যাদেরকে খায় তারা শহরের বাইরের মানুষ, অধিকাংশই থাকে হোটেলে।
পছন্দ করে মেয়েদের খেতে।
এখন হোটেলে একা থাকবে, গাড়ি চালিয়ে আসা মেয়ে, এমনটা বাংলাদেশের বাস্তবতায় খুব, খুউউব রেয়ার হবে না? একটা উপায় করা যায়, প্রধান চরিত্রটাকেই মেয়ে বানিয়ে দিলে, শিকার ধরতেও সুবিধা হবে মনে হয় (শার্লিজ থেরনের 'মনস্টার' সিনেমার কথা মনে পড়লো হঠাৎ)! কিন্তু তাহলে একটা মেয়ে পেট্রোল পাম্পে কাজ করছে, হুম, এখানেও সমস্যা থেকে যাচ্ছে। আবার অনেক কিছুকেই পরিবর্তন করে পুরা গল্পটাকেই বাংলাদেশে ইজিলি এনে ফেলা যায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় সেটা আর 'অনুবাদ' থাকে না, 'রূপান্তর' হয়ে যায়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
(মনোযোগী শ্রোতার ইমো)
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দারুন লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
গল্পটা ভালো লাগছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
জেনে সাহস পাইলাম, মুস্তাফিজ ভাই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনি যে এরকম দুর্ধর্ষ অনুবাদক তা তো জানা ছিলো না!
প্রতিমাসে দুটো করে গল্প অনুবাদ করেন
নইলে বিরাট হুমকী দিবো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হুমকি দিয়েন নাগো! পরে গাড়ির পার্টসের সাথে বান্ধা অব্স্থায় খালে পইড়া গিয়া মৎস্যকুমারিগো লগে বউচি খেলতে হবেনে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আর চিন্তায়েন না, নজু ভাই। ধুগো নিশ্চয়ই আপনারে অতোগুলান মৎস্যকুমারিগো মইধ্যে একলা ছাইড়া দিয়া ভরসা পাবে না। অচিরেই সে-ও আপনার পিছে পিছে "ইয়া হাবিবি" বইলা রওয়ানা দিবে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নজু ভাই...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দারুণ অনুবাদ! সাবলীলতার কারণে একবারও হোঁচট খেতে হয় নাই। আরও পাবো আশা রাখি!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বাহ! চমৎকৃত হলাম। শুভেচ্ছা
থেংকু।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভীষণ ভালো লাগলো।
জেনে আমার ভাল্লাগলো তারচেয়ে বেশি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ঝরঝরে অনুবাদ। কোথাও বা করতে হয়নি। তবে গল্পটা মর্বিড। গ্যাস স্টেশনের আশ-পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ভয় লাগবে যে এখন কেউ যদি সংকেত পাঠায়?
ডরাইলেই ডর
সেইটাই...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
থ্যাংকস, সুমাদ্রী।
সংকেত গ্রহণের ধান্ধায় না থেকে বরং পাঠানোর চিন্তা করলে একটু সাহস পেতে পারেন।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
খাইছেরে!ম্যাডাম, এ গুণখান কোনখানে রাখছিলেন এতদিন?
অলস সময়
সেটা তো আমি বলবে না।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বাবারে!!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
খাইদাই আমার খারাপ লাগেনা, লোকে খাওয়ার কথা লিখলে আমার খাওয়ার অনুভূতি হয়, কিন্তু মানুষজন খাইদাই এর কথা পড়লে কেমন যেন বমি বমি অনুভূতি হয়। হরর গল্প এম্নিতে বেশ ভালু পাই, আপনার অনুবাদ ও ভালু পাইছি, খালি সাতসকালে এক্টূ শরীর গুলিয়ে উঠল।
আমার কঠিন পরাণ!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
থেংকু, তাপস'দা।
(তবু স্বীকার করলেন যে মানুষটা আপনি সুবিধার আছিলেন না। )
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
খাইছে! -- ওরে, এতো সত্যিই খাইছে!
গপ্পো ফাটাফাটি হৈছে।
[ বিঃদ্রঃ যাই হোক আমি এখন ভালু মানুষ, তাই আন্টিগো আর আণ্টি ডাকিনা ]
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনার কমেন্টের উত্তর উপ্রে উড়াল দিসে, তাপস'দা!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সেটা কেন হয়েছে বুঝেছেন! কে সুবিধার আর কে অসুবিধার। । হুঁহুঁ।
ডাকঘর | ছবিঘর
যা যা বলার সবাই আগেই বলে দিয়েছে
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
গল্পের প্রথম লাইনটা পড়ে গল্প যে বুঝিনি। আমার নিজের ই মনে হলো সংকেত জিনিসটা যদি আমার থাকতো তবে ছুটির দিন গুলোতে কোন এক সি এন জি গোয়াড়ের মতো যে শনটনভটঘত শব্দ গুলো করে তো করতেই থাকে তাদের সংকেত পাঠিয়ে আমি কুপোকাত করতাম।
যাই হোক এগুতে এগুতে গল্পে ঢুকেছি। এন্থনি হপকিন্স আরে জোডি ফস্টারের কোন এক মুভি আছে মনে হয়, মুভির শেষে হপকিন্স আপনার কথিত গল্পের মতোই বিমানে যেতে যেতে মগজের দিকে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকায়।
মুভির নামটা মনে করে বলেন তো, রোদ্দুর।
দেখতে চাই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
The Silence of the Lambs - ১৯৯১ এর মুভি। মনে হয় মুভিটা দেখেছেন। না দেখলে আবার দেখবেন। মাঝে মাঝে মনে হয় হপকিন্স এর ভোকাল স্টাইলটা অমিতাভ বচ্চন কিছুটা হলেও ফলো করেন।
এই মুভির আদলে হিন্দি একটি মুভিও হয়েছিলো যথারিতি প্রেম আর নায়ক মানেই ফেরেস্তা টাইপ ভারসন। হুমম ঐটার নাম সাংঘার্শ সেই ছবির ভিলেইন আবার দারুন অভিনয় করেছিলো ___
সাইলেন্স ইন দা ল্যাম্ব ।
এটা তো দেখেছি!
আবার দেখতে হবে মনে হচ্ছে!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মগজের ব্যাপারটা আছে এর পরের পার্ট মানে হানিবেল মুভি টাতে ২০০১ এর মনে হয় । সে নিজে মগজ ফ্রাই খায় এবং একটা বাচ্চাকে খাওয়ায়।
এটা ডাউনলোড করে রেখেছি অনেকদিন হলো। দেখা হয়নি এখনো।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এই ট্রিলোজির "দ্য সাইলেন্স অভ দ্য ল্যাম্বস" আর "রেড ড্রাগন" অসাম! "হ্যানিবল" ভালো লাগে নি তেমন একটা। বাকি দুইটার তুলনায় অনেক অনেক দুর্বল।
আমি খাওয়াখাওয়ি পড়তে ব্যাপক ভালু পাই (দেখতে গেলে অবশ্য... নিজের সাহসের কথা আর না বলি)। দারুণ অনুবাদ। আরও অনুবাদের আশায় থাকলাম।
খাওয়াখাওয়ি শুধু পড়তেই ভালু পান? না কি করতেও?
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি আসলে মানুষ খাওয়াখাওয়ির কথা বলছিলাম
আমি কি চাইনিজ খাওয়ার কথা বলসি মনে হলো নাকি?
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
জটিল অনুবাদ হইছে শিমুলজী!! আরো করেন!!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অসংখ্য ধন্যবাদ, পন্ডিতজী।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনার চেহারা লুকানো স্বভাব দেখে আমি আগেই সন্দেহ করছিলাম
অনুবাদ মজা হইছে। আরো দেন, খাই
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কী খাইতে চাইলেন, মানুষ না তো!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কঠিন হয়েছে শিমুল
আপনাকে অনেক দিন দেখিনি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দেখতে চাইলেই দেখতে পাবেন।
আমি তো আপনাকে দেখি।
চমৎকার সুপাশিপু! আপনি দেখি পুরাই ফাডায়ালাইছেন!
সুহানের মতো আমিও বলতে বাধ্য হচ্ছি, এইটা আমাকে একদম সেবার সেই অনুবাদ্গুলোর কথা মনে পড়িয়ে দিয়েছে! আরও চাই! আরওওও!! আর অবশ্যই নিয়মিতভাবে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আর বেশি বললে আমি নিজেই ফাইটা যাবো, ভাইজান!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দুইবার সেলাম ঠুকলাম। সেবা প্রকাশনীর রহস্যগল্পের স্বাদ পেলাম। অনুবাদ আসতে পারে আরো। পাঠক হা গিলে তৈরী।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমি সত্যিই আপ্লুত!
অনেক অনেক ধন্যবাদ, নীড়'দা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধুরো!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ওরে জটিল । পড়ে খিদা পেয়ে গেলো যে
অল্প খিদা? না চরম খিদা?
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন লাইনে আসলেন তাহলে। অনুবাদটা খুবই ভাল লেগেছে।
এরকম আরও লেখার আশায় থাকলাম।
সাফায়াতুল ইসলাম
থ্যাংকিউ, সাফাত।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন মন্তব্য করুন