আজ ক্লাস করবো না। এই বিষয়ে বাচ্চাদের বাহানার অন্ত নেই। এতোদিন পর ক্লাস শুরু হলো, আজ পড়বো না। কাল থেকে তো ছুটি শুরু, আজকে নাহয় পড়া থাক। কারেন্ট চলে গেছে, গরম খুব, পড়বো না এখন। কি সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে, এর মধ্যে কি পড়া যায়? ফার্স্ট পিরিয়ডে ক্লাস টেন, কমার্সের একটা টেস্ট ছিলো। আমার সঙ্গে ছিলো সেকেন্ড পিরিয়ড। আমার পিরিয়ডের অনেকটা সময় নিয়ে ওদের টেস্ট শেষ হলো। যখন ক্লাসে ঢুকলাম, বাকি আছে আর দশ মিনিট। কিন্তু ওরা পড়বে না। ওদের কথা, ওরা টায়ার্ড। দুই একবার বলার চেষ্টা করলাম, একটা টেবিলের শুধু পাঁচটা সেনটেন্স করুক। নাহয় তিনটা। ওরা দেখি একসাথে চিৎকার করে। এক ফাজিল বলে, "আজ আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে ম্যাম, প্লিজ আজকে ক্লাস নিয়েন না।" এক নিঃশ্বাসে এই দুটো কথার অদ্ভুত কম্বিনেশনে হাহা করে হেসে ফেলি আমি। পটাবি তো বাপ, একটু বিশ্বাসযোগ্য করে পটালে তো হয়!
গত বছরের কথা। ক্লাস টেন। সামনেই প্রিটেস্ট বলে টেস্ট পেপার সলভ করতে শুরু করেছি আমরা। ওদেরকে বললাম কোনো একটা নির্দিষ্ট বোর্ডের প্রশ্ন বের করতে। একেকজনের একেক পাবলিকেশন্সের টেস্টপেপার। কাজেই বের করার জন্য একটু সময় দিতে হয়। তো দেখি, একটা ছেলে গুনগুন করতে করতে পৃষ্ঠা ওল্টাচ্ছে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে একটু হাসলাম। একটু পর দেখি আরো দুই তিনটা গলা ওর সাথে তাল মেলাচ্ছে। এজন্যই বলে, বান্দরকে লাই দিতে নেই। কিন্তু আমি এবারো কিছু বললাম না। মনে হলো, চ্যাপ্টারটা খুঁজে বের করতে যতোটুকু সময় লাগে, এইটুকু স্বাধীনতা তো ওরা পেতেই পারে। একটু পরে আমি শুরু করলাম। রেডি? বলতে ওরাও থেমে গিয়ে মনোযোগ দিয়েই শুনতে থাকলো। ক্লাসের মাঝামাঝি সময়ে দেখি পাশের ক্লাস থেকে প্রচণ্ড শব্দ ভেসে আসছে। ওদের ক্লাসে গিয়ে দেখলাম, ওদের টিচার নেই। বললাম, যতো খুশি চেঁচাও, কিন্তু দরজা চাপিয়ে দিয়ে, আমি ক্লাস নিতে পারছি না। ওরা খুশিমনে বাধ্য ছেলেমেয়ের মতো দরজা চাপিয়ে দিলো।
আমার ক্লাসে ফিরে দেখি প্রায় অর্ধেক স্টুডেন্ট মিলে কোরাস গাচ্ছে। মেয়েদেরও কয়েকজন আছে। রাগ হওয়ার কথা। কিন্তু আমার ভালোই লাগলো। অস্থায়ী শেষ হলে রাজনৈতিক বক্তাদের মতো হাত তুললাম আমি। থেমে গেলো ওরা। বললাম, "তোমরা তো এই স্কুলের সুখিতম ফরম মনে হচ্ছে!" আবারো কোরাসে, "জ্বি ম্যাডাম.." সত্যি। এই হাসিমাখা মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে মন ভালো না হয়ে উপায় নেই। মনের ভেতরেও হাসি নিয়ে আমরা আবার কাজ শুরু করি। ক্লাস টেনের এই ফরমটাকে এইসব ক্রিয়েটিভিটির কারণেই অনেক অনেকদিন মনে থাকবে আমার।
এই বছরের ক্লাস টেন। কয়েকদিন আগে, পড়াচ্ছি "দ্য ফিশারম্যান অ্যান্ড দ্য জিনি"। ওদেরকে বলি, "গরীব ফিশারম্যান যা রোজগার করে, সেটা দিয়ে বউবাচ্চা নিয়ে সংসার চালাতেই তার দফারফা"। একজনের ত্বরিৎ উক্তি, "সংসার চালাতে পারবে না তো বিয়ে করসে ক্যান?" মনে মনে মাথা চুলকে স্বীকার করতে বাধ্য হই, কথা তো ঠিকই।
পরীক্ষা দেয়ার সময় এদেরকে একটা আলাদা শিটে নাম, ক্লাস, রোল লিখে সিগনেচার করতে হয়। পরীক্ষার হলে ডিউটি দিচ্ছি। শিটে সবার সিগনেচার হয়ে গেলে চেক করতে গিয়ে চোখ আটকে যায়। জিজ্ঞেস করলাম, "ক্লাস নাইন, ১৬৯ রোল কার?" দাঁড়ালো। জানতে চাই, "তোমার নাম তালি?" সবাই গুবগুব করে হাসতে থাকে। ও মাথা নাড়ে। শিটটা ওকে দেখাই। ও-ও আমাকে দেখায়, ওর নামের শেষ অংশ কেউ কেটে দিয়েছে। ওর নাম তালিমুল। পরীক্ষার সময়েও এদের মাথায় কতো বদমাইশি খেলা করে!
জয়েন করার পর আমরা যে ব্যাচটাকে প্রথম পাই, তাদের সাথে সম্পর্কটা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি আবেগমাখা ছিলো। প্রথম প্রেমের মতো বোধহয়। ওদের গুটিকয়েক মাঝেমাঝে এখনো যোগাযোগ করে। একজন খুব চাইতো, স্কুলের বাইরে যোগাযোগে সে আমাকে দিদি ডাকবে। ডাকতোও। একেকবার একেক নাম্বার থেকে ফোন করে বলতো "চিনতে পারছেন?" চিনতে পারি না আমি। অভিমানী ছেলের অভিমানের তীব্রতা দেখে একটু অপরাধবোধও করতাম। কিন্তু একটা মানুষের একটা ফোন নাম্বারের বেশি সেইভ করা আমার ধাতে নেই। আর ওদের অসংখ্য ফোন নাম্বার।
ওদের মধ্যে একজন ছিলো খুবই ডাকাবুকো টাইপ। কাজকর্মও সেরকমই ছিলো। টিচারদের বেশিরভাগেরই অভিযোগ ছিলো ওকে নিয়ে। ও নাকি রক্তচোখে চশমার ফাঁক দিয়ে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকে। অস্বস্তিকর অনেকের কাছেই। আমার কাছে অভিযোগের কারণ, আমি ওর ফরমটিচার। ওকে ডেকে জানতে চাইলাম, এইরকম কেন করে ও। উত্তর দিলো, লোকজনের রিয়্যাকশন দেখতে এর ভালো লাগে, তাকিয়েই থাকে, আর তো কিছু করে না। এই ছেলে স্কুল থেকে বেরিয়ে বলে বেড়াতো, আমি নাকি ওর ছোটো বোন!!! বহু স্টুডেন্ট এসে আমাকে আবার জিজ্ঞেসও করতো এই কথা।
মাতৃহীন একটা ছেলেকে পেয়েছিলাম। বাজে ছেলেদের সাথে মিশে ড্রাগস নিতে শুরু করলো যখন, প্রচুর বকতাম আমি। এসএসসির রেজাল্ট বের হওয়ার পর চমকে দিয়ে পা ছুঁয়ে সালাম করতে যাচ্ছিলো আমাকে। আমি নাকি ওর মায়ের মতো কাজ করেছি। আমি অবশ্য বুঝতে পারিনি বকাবকি ছাড়া আমি আদৌ কিছু করেছি কি না।
ওদের বেশিরভাগেরই যোগাযোগ ফোনকল না। তিন-চার-ছয় মাস পরপর দুয়েকটা মেসেজ। তেমনি একজন মেসেজ পাঠালো কিছুদিন আগে। "পড়াশোনা শেষ হওয়ার আগেই চাকরিটা বোধহয় আমি পেয়েই গেলাম।" ওর মেসেজের ভাষা দেখে আমার বেলা বোসের গানটার কথা মনে পড়ে যায়। ফান করে ওকে লিখি, "বেলা বোসকে জানিয়েছো?" রিপ্লাই করতে দেরি হয় না ওর। "তাকেই তো জানালাম।" সেন্স অফ হিউমার! স্টুডেন্টদের মধ্যে যাদের এই গুণ প্রায়ই মুগ্ধ করে আমাকে, এই ছেলেটা তার মধ্যে অন্যতম। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, আমার জন্মদিনে প্রথম তিনটা উইশের মধ্যে একটা মেসেজ থাকবেই থাকবে এই মেসেজওয়ালার, বেশিরভাগ সময়েই সেটা হয় প্রথমটা। এই নাগরিক যান্ত্রিকতার মধ্যেও মনে রাখে কী করে, কে জানে...
এই সবকিছুই একটা সাধারণ, কিন্তু সুখি মানুষের পাওয়ার খাতায় জমা হতে থাকে...
মন্তব্য
মনটা যে অসম্ভব ভালো গেল লেখাটি পড়ে! ঐ সব সুন্দর মনের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য রইলো অশেষ শুভ কামনা। অনেক ধন্যবাদ মানুষ গড়ার কারিগরকে!!
শুধু সুন্দর মন দেখলেন, ওদের বদমাইশিতে মাঝেমাঝে জান ভাজা ভাজা হয়ে যায়, আসমা আপা!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এই সবকিছুই একটা সাধারণ, কিন্তু সুখি মানুষের পাওয়ার খাতায় জমা হতে থাকে... ---- দারুন বলেছেন।
_____
বুনোফুল
আপনার নিকটা সুন্দর, বুনোফুল।
সচলে একজন লিখতেন, জারুল ফুল। অনেকদিন লিখতে দেখি না তাকে। মনে পড়ে গেলো তাকে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বাহ। এরকমই তো চাই।
তাহমিদুর রহমান
কিন্তু সবসময় যে এরকম হয় না...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার আম্মা কলেজে পড়ায়, বাড়ির ছেলেদের চেয়ে ক্লাসের ছেলেদের সাথেই তার খাতির বেশি দেখতাম। বোর্ড রেজাল্টের দিন দরজায় টোকা দিয়ে এক প্যাকেট মিষ্টি হাতে ধরিয়ে দিয়ে "ম্যাডামের জন্য" বলে দ্রুত পালিয়ে যেত ছেলে মেয়ের দল, ঐদিন আমাদের ফ্রিজের শেলফ মিনি আলাউদ্দিন মিষ্টান্ন ভান্ডারে রূপ নিত।
ভারি ভালো লাগল আপনার অভিজ্ঞতা। ছাত্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অত্যন্ত উঁচুদরের শিক্ষকের লক্ষণ।
..................................................................
#Banshibir.
ফাঁকিবাজ শিক্ষকের লক্ষণ বলেন, মশাই!
এই ফাঁকে একটা কথা বলে ফেলি আপনাকে। আমি সেই ফাঁকিবাজ ছাত্রের মতো, যাকে চকলেট দিলেও আগে মাথায় আসে, অংক শেখাচ্ছে না তো! আপনার পোস্টে যখনই ঢুকি, দেখি আপনি কায়দা করে ইতিহাস শেখানোর পাঁয়তারা করছেন। আর আমি উল্টাদিকে দৌঁড় দেই। খুবই অশিক্ষকসুলভ আচরণ!
আপনার নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে পোস্টও দিয়েন মাঝেমাঝে, এই অধমের কথা বিবেচনা করে
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ইয়ে দেশে বিদেশে লিখি তো!
পরের পর্ব আপনার পছন্দ হবেনা, আমার শিক্ষকদের নিয়ে লিখব এক পর্ব দেশে বিদেশে
..................................................................
#Banshibir.
এটা তো অবশ্যই পড়বো।
অনেকের যেমন বাজে অভিজ্ঞতা থাকে, আমার নেই। আমি কখনো অতো নিষ্ঠুর টিচার পাইনি পুরো স্টুডেন্ট লাইফে। দেখি, আপনার টিচাররা কেমন ছিলেন।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
জীবনটাকে সুন্দর করে দেখার জন্যে গুটিকয়েক মধুর স্মৃতি আর সম্পর্ক ই যথেষ্ঠ। তার জন্যে বিশাল কোন আয়োজনের দরকার পরে না। সামান্য আন্তরিকতা অনেক কিছুই বদলে দিতে পারে; বদলেও যায়; শুধু বদলে যাও..বদলে দেও এর বিশাল আয়োজন-এ কিছু বদলায় না - যখন সেখানে মমতাগুলো সোনার হরিনের মতো..
আপনার জন্যে শুভকামনা।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
জীবনটাকে সুন্দর করার জন্য আসলেই বিশাল আয়োজনের কোনো দরকার নেই - ঠিকই বলেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনি খুব ভালু মাস্টর। শুধু একটাই আপসোস দুনিয়ার হজ্ঞল মাস্টররা যদি এমন হৈত।
মাস্টরির দিনগুলিকে খুব মিস করি। কি এক আজব সময় ছিল, ভার্সিটিতে পড়তাম আবার স্কুলেও শিফটে পড়াতাম। এরপর আর সেইভাবে মাস্টরি করা হয়নি। কলেজে পড়ানোর জন্য পরে অনেক সুযোগ এলেও তা কাজে লাগাইনি। তবে ইদানিং আবার সেই যে কপাল সেই মাথা। সদ্য একটা কলেজে পড়িয়ে এলাম।
তিন চারদিন গেস্ট হিসেবে পড়াতে গিয়েছিলাম। প্রথমদিন চুপচাপ থাকলেও ২য় দিনেই লেজ খুলে গেলো। পড়াচ্ছিলাম মিডিয়া রিলেশন। হঠাত করেই এক ছাত্র বলে উঠে- স্যার আপনার গালে এত দাড়ি কেন? চুলকায় না? কাটেন না কেন? ...... আমি কিছু বলতে যাচ্ছিলাম ঠিক সেই মুহূর্তেই এক ছাত্রী বলে উঠে - মন্দ লাগে না তো!! ......... কি যা তা অবস্থা!
ভালোই লাগে ছাত্রদের এইসব খুনসুটি। তবে ইদানিং আমারে যা আলস্যে পেয়েছে মনে হচ্ছে আর দৌড়ঝাঁপ এর কাজ আমাকে দিয়ে হবেনা। হয়তো নেক্সট কিছু টিচারি মেরেই আবার শুরু হবে। হয়তো...
ডাকঘর | ছবিঘর
তাপস ভাই@ মন্দলাগে না তো।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
হাহাহা
সেই তো, মন্দ লাগে না তো তাপস'দা!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি পড়েছি খুব কম। কেউ তার শিক্ষকতার বিষয়াবলী নিয়ে এত সুন্দর মিষ্টি করে লিখেছেন -- এমনটা পড়িনি আগে।
থ্যাংকিউ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
যদি সম্ভব হয় বলবেন কোন স্কুলে আপনি পড়ান।
আপনার মত শিক্ষক যে বাস্তবে আছে আমি ভাবতে পারি না। আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি বগুড়ার একটা স্কুলে পড়াই।
তা কেন, সাইদ, শিক্ষক হিসেবে আমি কি বেশি কিছু করি? তা কিন্তু না, মাঝেমাঝে ওদেরকে ওদের মতো শুধু অল্প কিছুটা সময় দেই। ঝাড়ির সময় ঝাড়িও কিন্তু কম দেই না!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
যারা কম হাসে তাদের হাসি সুন্দর হয়............গম্ভীর শিক্ষকের সাবলীল কথাও যে সুন্দর হয় তা এই লেখাটা পড়ে বুঝা গেল......শিক্ষকরা মানবিক হয়ে উঠছেন, স্কুল পালানো ছেলেদের কি হবে......
সবকিছুই সমান তালে চলে গো দিদি, পোলাপাইন স্কুল যেমন এখনো পালায়, ধরা পড়লে পানিশমেন্টও ঠিকই পায়, তবে আমাদের সময়ের মতো কঠিন শাস্তি না, আগের চেয়ে অনেক কম মাত্রায়, এই যা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমার জীবনে এইরকম শিক্ষক পাই নাই এবং আমার ধারণা আমার মত অভিজ্ঞতা অনেকেরই। ভেঙ্গে দিন প্রচলিত ধারায় শিক্ষকদের পড়ানোর কৌশল। শুরু হোক নতুন ধারা।
আপনার জন্য শুভকামনা।
হাহাহা
আমাকে খুব মহান শিক্ষক ভেবে নিয়েন না, প্লিজ। আমি শুধু কিছুটা সময় ওদেরকে ওদের মতো থাকতে দেয়ার চেষ্টা করি, এইটুকুই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এইরকম লেখা খুব ভাল্লাগে আপা। আম্মু টিচার তো, তাদের এই অভিজ্ঞতাগুলো মোটামুটি কাছ থেকে দেখি। ভালোই লাগে
সেটাই সুহান। এরকম টক-ঝাল-মিষ্টি অভিজ্ঞতা কমবেশি সব টিচারদেরই থাকে।
আমি শুধু শেয়ার করার সুযোগটা পাচ্ছি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হুমম, আপনার বৃশ্চিকেরাও একদিন আমার মতো মাথায় টুপি আর হাতে তসবিহ নিয়ে জায়নামাযে বসে বসে ক্বলব পরিষ্কার করার জ্বিকিরে জ্বিকিরে চারিপাশ ভরিয়ে তুলবে। এই দুইন্যা আর কয়দিনের, কন!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ!
আর এইরকম ভবিষ্যৎ ভাবনায় তাদেরকে এখনই শিখায়া দিতে হবে, বলো বাচ্চারা একসাথে, ইয়া হাবিবি!!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এইভাবে বলার অর্ডার দিলেই হবে? আপনার পোলাপাইন্দের সবাইরে একটা করে টুপি আর একটা করে তসবিহ সাপ্লাই দিয়া তারপর না ডাকু গব্বর সিং-এর মতো গলা খাকাড়ি দিয়া চিল্লায়া কৈবেন, 'জ্বিকির কর বাসান্তি!'
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আফসোস!! এরকম কোন ম্যাডাম পাইনাই
হ।
আর এরকম ম্যাডামের কানমলা খাইলে তখন আবার এই চোখের পানির ব্যাকগ্রাউন্ড আলাদা হইতো, গ্যারান্টি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
গিভ এন্ড টেকের দুনিয়ায় নিঃস্বার্থ ভালবাসা তো বিরল!
এই ব্যাপারগুলো মনে করিয়ে দেয় এখনও পৃথিবীতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাই সত্যিকারের ভালবাসা ধারণ করে।
তাদের সংস্পর্শে থাকা সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার।
নিঃস্বার্থ ভালোবাসা কই দেখলেন, অনিন্দিতা?
আমি ওদেরকে কিছু উল্টাপাল্টা সুযোগ দেই, আর বিনিময়ে ওরা আমাকে দেয় ক্লাসটা ঝামেলাবিহীনভাবে নেয়ার সুযোগ। এখানেও গিভ অ্যান্ড টেক রে ভাই!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি তো প্রেমে পড়ে গেলাম এর
খুব ভালো লাগলো লেখাটা।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
হাহাহা
প্রেমে পড়লেও সমস্যা নাই, তারানা। ছেলে এক্কেবারে আগুনের গোলা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কি সুন্দর একটা লেখা, নিজের কলেজ জীবনের কথা মনে পড়ে গেলো। আমাদেরও এমন একটা স্যুইট ম্যাডাম ছিল
লিখে ফেলেন না সেই সুইট ম্যাডামকে নিয়ে।
লিখেন কলেজ জীবনের কথাও।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শেষ লাইনটা সেরা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এবং সত্যি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এই সবকিছুই একটা সাধারণ, কিন্তু সুখি মানুষের পাওয়ার খাতায় জমা হতে থাকে...
জমা হতে থাক, আপনি এভাবেই থেকে যান। শুভকামনা।
কই আর এভাবে থাকা যায়! কিছূ কিছু ক্লাসে হাসিমুখে ক্লাস নেয়ার মতো পরিস্থিতিই তো তৈরি করতে পারি না। সেই ক্লাসগুলোতে রাগ-রাগ মুখে বকাঝকা করতে করতে ক্লাস নিতে হয়।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
চলুক।
ট্যাগে "বৃশ্চিকেরা" জুড়ে দিতে পারেন। তাহলে পরবর্তীতে কখনও শুধু এই ট্যাগ ধরেই সিরিজের সব লেখা খুঁজে পাওয়া যাবে।
তাই নাকি!
জানতাম না তো!
শব্দটা জুড়ে দিলাম ট্যাগে।
আপনাকে থেংকু।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনার ট্যাগ ঠিক হচ্ছে না। "স্কুল বাচ্চাকাচ্চা বৃশ্চিকেরা" হয়ে আছে। ঠিক করেন। প্রতি শব্দের মাঝে কমা (,) দিয়ে আলাদা করতে হবে।
জ্বি স্যার।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
"বৃশ্চিকেরা" তাহলে সিরিজ হচ্ছে। ভালই হবে।
সাফায়াতুল ইসলাম
সিরিজ বললে ভয় লাগে।
ওদেরকে নিয়ে টুকটাক লিখতে ইচ্ছে করলে লিখবো আর কি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন মন্তব্য করুন