“আরে, আপনি আপনার কার্ডটা ফেলে যাচ্ছেন, স্যার! মিস্টার বেগ?” পেছন থেকে চেঁচালো জেরিন। তারপর পিছু পিছু ছুটলো। কিন্তু ততক্ষণে দরজা ঠেলে রাস্তার ভীড়ে মিশে গেছে মাঝবয়েসি লোকটা, জালাল বেগ। কী আর করা। কার্ডটা পকেটে ঢুকিয়ে রাখলো ও। ফিরে এসে আবারো কাউন্টারে বসলো।
একটু পরে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলো ঝকঝকে চেহারার এক যুবক। ওর মনমোহিনী হাসিই বোধহয় টেনে আনলো যুবককে তার কাউন্টারে। সোজা এসে জেরিনকে বললো সে,
: ব্যাংকে আমার যেটুকু আছে, পুরোটাই উইথড্র করতে চাই।
: অবশ্যই স্যার।
: তারপর অ্যাকাউন্টটা ক্লোজ করে দিতে চাই।
: ওহ, কেন স্যার? আমাদের সার্ভিস কি আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারছে না? যদি চান, আমি কি কিছু করতে পারি এ ব্যাপারে?
: না না। ধন্যবাদ। কিচ্ছু করতে হবে না। আপনি শুধু আমার উইথড্র করার ব্যবস্থাটা করে দিন প্লিজ।
: ঠিক আছে। আপনি আসুন আমার সাথে।
নয় নম্বর রুমের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলো ওরা। হাত বাড়ালো জেরিন।
: আপনার সদস্য কার্ডটা...
ফ্যাকাসে নীল প্লাস্টিকের কার্ডটা জেরিনের হাতে দিলো যুবক। কার্ডটায় একবার চোখ বুলালো মেয়েটা।
: তো মিস্টার হাসান, আপনি তাহলে পুরোটাই উইথড্র করতে চান?
: হ্যাঁ।
: ঠিক আছে। কিন্তু বুঝতেই পারছেন, সেটা করতে কয়েক ঘন্টা লেগে যেতে পারে..
: দেখুন, আমি আসলে আগে বুঝতে পারিনি যে আমার স্মৃতিগুলো আমার কাছে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। এমন কিছু স্মৃতি আছে, যেগুলো আমি ভুলে যেতে চাই, সত্যি। কিন্তু সেগুলো বাইরে কোথাও রাখা মানে হলো মাথার ভেতরে একটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়ে যাওয়া। আর এই শূণ্যতার অনুভূতিটা ইদানিং অসহ্য লাগছে আমার। তারচে বরং ওগুলো আমার মাথাতেই থাক, ওগুলোকে মানিযে নেয়ার চেষ্টা করবো বরং। নইলে শান্তি পাচ্ছি না একেবারেই।
: হুম। বুঝতে পারছি..
জেরিন ওকে একটা চেয়ারে বসিয়ে তার মাথায় হেলমেটের মতো একটা জিনিস পরিয়ে দেয়। এদিক সেদিক অনেকগুলো তার ঠিকঠাকভাবে জুড়ে দিয়ে পকেট থেকে কার্ডটা বের করে মেশিনে ঢুকিয়ে দেয়। মেশিন সাড়া দিলে কার্ডটা বের করে আবার পকেটে ঢুকিয়ে রাথে। এবার কি-বোর্ডে খটাখট আওয়াজ তুলে কিছু কোড নম্বর প্রবেশ করিয়ে প্রসেসিং শুরু করে দেয় সে। তারপর টাইমার অন করে। আশ্বাসের হাসি হেসে বলে
: সময় লাগবে দুই ঘন্টা সাতাশ মিনিট।
হাসান কোনো জবাব দিলো না। তার মাথা এর মধ্যেই সামনের দিকে ঝুঁকে পড়তে শুরু করেছে। জেরিন উঠে লাইট অফ করে দিয়ে, বের হয়ে দরজাটা টেনে বন্ধ করে দিলো।
* * * * *
সামনের কমপিউটারটা বিপবিপ করে সংকেত দিলো। উঠে সোজা নয় নম্বর রুমে গেলো জেরিন। হেলমেট-তার খুলতে খুলতে হাসিমুখে বললো,
: হয়ে গেছে, স্যার।
ব্যস্ত হাতে বাকি ঝামেলা থেকে নিজেকে মুক্ত করে হাসান।
: কোনো সমস্যা হয়নি। কাজেই চলে যাবার মতো যথেষ্ট সুস্থ আপনি।
চেয়ার থেকে উঠে আড়মোড়া ভাংলো হাসান । হাসিমুখে মেয়েটার দিকে তাকালো সে।
: অনেক অনেক ধন্যবাদ, মিস জেরিন।
পাল্টা হাসি হাসলো জেরিনও। দরজার দিকে এগুতে শুরু করলে ওকে পেছন থেকে ডাকলো মেয়েটা
: ওহ, এই যে, আপনার কার্ডটা, স্যার।
: রেখে দিন। ওটা আর দরকার পড়বে না আমার।
হাসিমুখে ব্যাংক থেকে বেরিয়ে গেলো শাহেদ হাসান।
* * * * *
মোবাইলটা বেজে উঠলো আবার। নামটা দেখে নিয়ে বিরক্তমুখে ফোনটা অফ করে দিলো হাসান। “উফ! একটা সেকেন্ডের জন্যেও শান্তি নেই!” বারে ঠিক ওর পাশেই দাঁড়ানো লোকটা সহানুভুতি ঢাললো গলায়, “আর বলবেন না। আমার স্ত্রীও এই একই কাজ করে। এক মিনিটের জন্যও একা থাকার উপায় নেই। আরে বাবা, তুমি যখন শপিং এ যাও, আমি কি পাঁচ মিনিট পরপর ফোন করি? এইসব মহিলারা... বোঝে না যে আমাদেরকে কতো কাজ করতে হয়। একটু নিজের মতো করে কাটানোর মতো সময় তো আমাদেরকে দিতে হবে..”
“হুম। ঠিকই বলেছেন।” বিল পরিশোধ করতে করতে একমত হয় হাসান।
কাঁচের দরজা ভেদ করে বাইরের একটা ছেলে দৃষ্টি কাড়লো ওর। গাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেরি না করে বার থেকে বেরিয়ে এলো হাসান। আশেপাশে তেমন লোকজন নেই। সেই ছেলেটা গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে। চাবি ঢুকিয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করছে। হঠাৎই একটা স্মৃতি ঝিলিক দিয়ে গেলো যেন। সেইসাথে এক ধরনের ভালো লাগা ছড়িয়ে পড়লো সারা শরীর জুড়ে। হ্যাঁ। আরো একবার করবে সে কাজটা, অন্যান্য বারের মতোই, কোনো ঝামেলা হবে না, জানে সে। শুধু এই ছেলেটা এখনো জানে না, কি ঘটতে যাচ্ছে।
ছেলেটার পেছন দিক থেকে ওকে জড়িয়ে ধরলো হাসান। কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললো, “যা বলছি, করো, নইলে বিপদ হবে।“ কিন্তু কী করবে এটা শোনার আগেই ছেলেটা ধস্তাধস্তি শুরু করে দিলো। নিজের মুখে ফুটে ওঠা শয়তানি হাসিটা টের পেলো হাসান। তারপরেই ওর হাতে বেরিয়ে এলো ছুরিটা। পাশ থেকে ঠিক ছেলেটার পাঁজরের নিচে ঢুকিয়ে দিলো ও। তারপর একটা মোচড়। সহজ। হাঁটু মুড়ে বসে পড়লো ছেলেটা। একগাদা রক্তের মধ্যে ছেলেটাকে ছটফট করতে দেখে যেন হুঁশ হলো ওর। “ইয়াল্লা! এটা কী হলো! আমি!!”
পরদিন খবরের কাগজে হেডলাইন। “গত রাতে আততায়ীর ছুরিকাঘাতে ফারহান শাকিল নামে এক যুবকের মৃত্যু।”
* * * * *
টেবিলের ওপাশে উশখুশ করছে জেরিন। ধূর্ত চেহারার ডিটেকটিভ ওর কাছে একটু সরে এলো। টেবিলে ভর দিয়ে ঝুঁকে দাঁড়ালো।
: তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন, ঘটনাটা ঘটেছে কারণ আপনি এই দুটো কার্ড গুলিয়ে ফেলেছিলেন?
: হ্যাঁ। মিস্টার বেগ এসেছিলেন তার কিছু স্মৃতি জমা করতে। কিন্ত যাবার সময় তার কার্ডটা নিতে ভুলে যান উনি। সেটা আমি পকেটে ঢুকিয়ে রেখেছিলাম। তারপর আর ওটার কথা মনে ছিলো না।
: হুম। আর যখন শাহেদ হাসান এলেন তার সব স্মৃতি উইথড্র করতে, আপনি মেশিনে ঢুকিয়ে দিলেন জালাল বেগের কার্ডটা।
: জ্বি। আর যেহেতু জালাল বেগ একজন খুনের আসামী...
: এই তথ্য কিন্তু সত্যি না। বেগ কাউকে খুন করেনি।
: উনি জেল খেটেছেন, এই কথা উনিই আমাকে জানিয়েছেন।
: হ্যাঁ। কিন্তু সেটা তো ব্যাংক ডাকাতির কারণে।
: ওহ! বাঁচা গেলো। তাহলে আর যাই হোক বাবা, খুনটা আমার ভুলের কারণে হয়নি, সেটা বড় স্বস্তি। আমাকে জানালেন বলে অনেক ধন্যবাদ, অফিসার। আমি তাহলে এখন উঠি...
উঠতে গেলো জেরিন। সামনে এসে দাঁড়ালো অফিসার।
: আরে বসুন না! গল্প তো কেবল শুরু হলো...
জেরিন বসে পড়লে সারা ঘরময় হাঁটতে শুরু করলেন তিনি।
: আপনি কি জানেন, আমাদের ডিপার্টমেন্টে এখন ফরেনসিক কমপিউটার বিশেষজ্ঞরাও অন্তর্ভুক্ত। তাদের ধারণা কিন্তু অন্যরকম।
অস্বস্তি বোধ করলো জেরিন। অফিসার কথা বলতে ভালোবাসেন মনে হচ্ছে। তিনি বলে চললেন..
: আপাতদৃষ্টিতে যেটা মনে হচ্ছে, কেউ একজন আপনাদের ব্যাংকের সার্ভিস সিস্টেমটা হ্যাক করেছে। এবং কিছু তৈরি করা স্মৃতি শাহেদ হাসানের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। কারণ, হাসানের মাথায় যেগুলো ঢুকানো হয়েছে, তা মোটেও জালাল বেগের না। ওগুলো সযত্নে তৈরি করা জিনিস...
: বলেন কি! কিন্তু অতো কষ্ট কেউ কেন করতে যাবে?
: আমরাও সেটাই ভাবছি। যে লোকটা আক্রান্ত হয়েছে, সে এই শহরে নতুন। মাত্র সপ্তাহ দুয়েক হলো এসেছে। কারো সাথে তেমন ঘনিষ্ঠতাই হয়নি। কিন্তু তার এক সহকর্মীকে সে বলেছে, একটা মেয়ে নাকি তার জীবন অসহনীয় করে তুলেছে। নেটে পরিচয় হয়েছিলো মেয়েটার সাথে। একবার তার সাথে বাইরেও গেছে। কিন্তু ছেলেটা আর যোগাযোগ করেনি বলে ভয়ানক ক্ষেপে যায় মেয়েটা।
: কাজেই আপনি ভাবছেন যে এই মেয়েটা কোনোভাবে এই হ্যাকিং এর সাথে জড়িত। আর সে-ই কোনোভাবে এই তৈরি করা স্মৃতিগুলো মিস্টার হাসানের মাথায় ঢুকিয়েছে, যাতে করে সে লোকটাকে খুন করতে পারে? একটু বেশি সুদূরপ্রসারী হয়ে গেলো না চিন্তাটা, অফিসার?
অফিসার কোনো কথা বললেন না। জেরিনের দিক থেকে চোখও সরালেন না। চেহারায় অস্বস্তি নিয়ে একটু কেশে গলা পরিষ্কার করে নিলো জেরিন।
: তো কী ভাবছেন আপনারা? কিভাবে ধরবেন রহস্যময়ী এই মেয়েটাকে? শুধুমাত্র আক্রান্ত লোকটাই তো চিনতো মেয়েটাকে, না?
: হুম।
: লোকটা মারা যাওয়ায় সে উপায়ও তো থাকলো না আর। তাহলে...?
: আমি কি বলেছি যে লোকটা মারা গেছে? ওটা তো প্রেসের জন্য বলা একটা মিথ্যে কথা মাত্র, মিস জেরিন।
বলতে বলতে অফিসার জেরিনের মাথার ওপর দিয়ে ওপাশে দরজার দিকে তাকালেন। ঢোঁক গিলে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো জেরিনও। দরজার ওপরের গোল অংশটার মধ্যে দিয়ে তাকিয়ে আছে একজন, কোনোকিছুর অনুমতি চাইছে বোধহয়। মাথা ঝাঁকালো অফিসার। এরপর দরজা খুলে যে সুবেশী লোকটাকে সাথে নিয়ে ভেতরে ঢুকলো সে, তাকে দেখে ভয়ানক চমকে উঠলো জেরিন। “হাই জেরিন!” বললো ফারহান শাকিল। চিতার মতো ক্ষীপ্র গতিতে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো জেরিন। তার চেয়েও দ্রুত গতিতে ওকে আটকে ফেললো দুজন সিকিওরিটি গার্ড। মাটিতে ঠেসে ধরে রাখে ওরা হিংস্র মেয়েটাকে। ওখান থেকেই গজরাতে থাকে ও নিষ্ফল আক্রোশে। চোখ সরছে না ওর লক্ষ্যবস্তু থেকে।
: তুমি আমাকে কখনোই ভালো থাকতে দেবে না, তাই না?
বিষন্ন গলায় বললো যুবক। নীরব কিন্তু ভয়ংকর একটা হাসি ফুটলো জেরিনের মুখে। অফিসারের দিকে তাকিয়ে বললো ফারহান
: আমি শাহেদ হাসানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনতে যাচ্ছি না। কারণ যা কিছু ঘটেছে, তাতে তার কোনো দোষ নেই।
জেরিনের দিকে ফিরে বলে
: জেনে খুশি হবে জেরিন, শাহেদ হাসান পুরোপুরি সুস্থ আছেন। আর যদিও তুমি আমাকে শেষ প্রায় করেই দিয়েছিলে, আমি অতোটা নিষ্ঠুর নই। তোমার বিরুদ্ধেও আমার আর আলাদা করে কোনো অভিযোগ নেই। যদ্দুর জানি, এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে নতুন শাস্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে, পরীক্ষামূলকভাবে। স্মৃতি একেবারে মুছে দেয়া। শুনেছো তুমি?
: না...
ভয়ার্ত স্বর ফুটলো জেরিনের গলায়।
: হুম। তোমার নিজের বলে আর কোনো স্মৃতিই থাকবে না। অপরাধমুক্ত একেবারে নতুন একটা মানুষের জন্ম হবে। কিন্তু সমস্যা হলো, এই প্রক্রিয়ায় কিছু ত্রুটি এখনো রয়েই গেছে। একদম ডায়াপার ব্যবহার থেকে শুরু করে চামচ দিয়ে খাওয়া, সবই তোমাকে আবার নতুন করে শিখতে হবে।
: না প্লিজ। প্লিজ আমাকে এই শাস্তি দিও না...
: উপায় নেই জেরিন। আমি শুধু এইটুকু নিশ্চিত হতে চাই, আমি যেন কোনোভাবেই তোমার স্মৃতিতে না থাকি, ব্যস! বেস্ট অফ লাক...
ফারহান যখন বাইরে বেরিয়ে এলো তখনো তার পেছনে ক্রমাগত চিৎকার চলছেই
: না না না না
* * * * *
বিশাল আকৃতির একটা দোলনায় শুয়ে আছে জেরিন, ভেজা ন্যাপিতে, দুইদিন বয়সি শিশুর মতোই, অসহায় এবং একেবারে স্মৃতিশূণ্য...
- - - - - - - - - - - - - - - - -
মূল গল্প : রবার্ট বার্টন রবিনসন এর "মেমোরি ব্যাংক"
মন্তব্য
অদ্ভুত, অদ্ভুত সুন্দর!
থ্যাংকিউ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এমন গল্প আরো পড়েছি নাকি?
facebook
আইজ্যাক আসিমভেরও এই ঘরানার একটা গল্প আছে মনে হয়, অণু ভাই। গল্পটার নাম মনে করতে পারছি না। মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের বিজ্ঞান কল্পকাহিনী 'ক্রুগো' উপন্যাসটিও এই বিষয়কে উপজিব্য করেই গড়ে উঠেছে।
খাইসে!
মাইনষে কত্তো কত্তো লেখাপড়া করে!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বেশ কিছু বানান ভুল আছে। আর কিছু ইংরেজি শব্দ আছে, যেগুলো প্রচলিত বাংলা শব্দ দিয়ে বদলে দেয়া যেত বোধ হয়। আর পরপর দুই বাক্যে একই ধরনের ক্রিয়াপদের ব্যবহার থাকলে, পড়তে গেলে সামান্য ধাক্কা লাগে। সব মিলিয়ে ভালো লাগল খুবই।
Eternal Sunshine of the Spotless Mind সিনেমাটার কথা মনে পড়ে গেল লেখাটা পড়ে। খুবই প্রিয় একটা সিনেমা।
আপনার পরবর্তী অনুবাদগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম।
অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করা, উইথড্র করা, সার্ভিস, ডিটেকটিভ - এই শব্দগুলোকে বাংলা করলে শ্রুতিমধুর না হয়ে কেমন যেন খটোমটো শোনাচ্ছিল, তাই আর করিনি।
আর ক্রিয়াপদের ব্যবহারে সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করবো এরপর থেকে।
মুভিটা আমারো ভীষণ প্রিয়। একাধিকবার দেখা ছবিগুলোর মধ্যে এটা একটা।
ধন্যবাদ টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি, অপ্র।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এত ধন্যবাদ দিয়ে কী করব! এরচেয়ে কিছু টাকাপয়সা দেন। বাদাম কিনে খাই!
গল্প ভালো লেগেছে। "মেমরি ব্যাঙ্ক" পড়িনি তবে "Eternal sunshine of the spotless mind" এর মূল concept এর সাথে এই গল্পের কনসেপ্ট এর মিল খুঁজে পেলাম।
- জাভেদ হোসেন
থ্যাংকিউ।
ছবিটা আমিও দেখেছি। কিন্তু এটা অনুবাদ করার সময় ওটার কথা মাথায় ছিলো না। যদিও কনসেপ্ট এর মিল আছে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সাংঘাতিক!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
তাই নাকি!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দারুণ লাগলো (Y)। আপনি চমৎকার অনুবাদ করেন।
থ্যাংকস, ব্রুনো।
আসল কথা হলো, নিজের মাথায় ঘিলু নাই বলে অন্যের মাথার ঘিলুর দিকে হাত বাড়াইসি, ভাইজান।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনের ঘিলু নাই??এই কথায় তীব্র প্রতিবাদ আর নিন্দা জানায় গেলাম!! অনুবাদ ভালু পাইসি গো আফা!আপনারেও ব্যাপক ভালু পাই,চামে জানায় রাখলাম!
সুবর্ণনন্দিনী
আছে? কাজে-কর্মে তার পরমাণ তো পাই না রে ভাই!
থেংকু থেংকু।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হুম
কড়িকাঠুরে
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ওহ! এত নাটকিয়তায় ভরা! অবশ্য ডিটেকটিভ যখন জেরিনের সাথে গল্প করতে চাইল, তখনই জেরিনের যুক্ত থাকার ব্যাপারটা ধরতে পেরেছিলাম! কিন্তু শেষটা? জেরিনের দোলনায় শুয়ে থাকার ব্যাপারটা? সত্যি অভাবনীয়! আপনার অনুবাদ দক্ষতা আগেই টের পেয়েছে পাঠক। কিন্তু আপনার নির্বাচন দক্ষতা তাকেও ছাড়িয়ে গেছে! ঝুড়ির সবচেয়ে টসটসে গল্পটি যে আপনি পাঠকের জন্য বের করে আনছেন, তার জন্য কোন প্রশংসাই বোধ করি যথেষ্ট নয়!
আচ্ছা, জেরিন শাহেদ হাসানকে ব্যবহার করে ফারহানকে শাস্তি দিতে চায়; কিন্তু ফারহানের সাথে শাহেদের সাক্ষাৎ হওয়ার ব্যাপারটা কিভাবে নিশ্চিত করে সে?
অকুন্ঠ প্রশংসার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আর গল্পে ডিটেকটিভের নামটা উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছিলাম। তার নাম কাজি মামুন। প্রশ্নের উত্তর বের করার দায়িত্বটাও তারই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ফারহান একটা শপিং মলের দুটি দোকানের মালিক। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে একাউন্টস চেক করতে যায় সে। জরিনাপা শাহেদের মাথায় কিছু শপিং এর প্রয়োজন ঢুকিয়ে দিয়েছিল যেটা ঐ মলে খুব সস্তা
ডিটেকটিভের নাম বদলায়া রাখলাম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এইসব মহিলারা... বোঝে না যে আমাদেরকে কতো কাজ করতে হয়।
>এ লাইনাটা পড়ে যারপরনাই হাসি চলে এসেছে।।।
>অনেক সুন্দর গল্প, কনসেনট্রেশন প্রচণ্ডরকম ধরে রেখেছে, ভাল থাকুন
হুম। আর মেয়েদেরকে কতো কাজ যে করতে হয়, তা কি পুরুষেরা বোঝে!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বাহ। বেশতো। একেবারে ঝর্ঝরে অনুবাদ।
একলাই খাচ্ছেন!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
(Y)
ঝরঝরে অনুবাদ। খুব ভালো লাগলো।
থ্যাংকস, পথিক।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এমন একটা মেশিন কিন্যা লইতাম নাকি?
জাউজ্ঞা। অনুবাদ বেশ ঝরঝরে হৈছে ম্যাডাম।
ডাকঘর | ছবিঘর
মেশিন একখান আমার কাছে আছে।
সেইটা কিনতে মালকড়ি কতো ছাড়তে পারবেন, কইয়া ফালান।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দারুন, দারুন।
আআআআআ - আপনার মতো করে খুশিতে একটা চিৎকার দিলাম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
চমৎকার অনুবাদ। গল্পের সেলেকশনটাও দারুন হয়েছে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভাল হইছে শিমুলাপু। ইস এমন হইলে মন্দ না, অনেক স্মৃতি যদি ইচ্ছেমত ডিলিট করে দেয়া যেত,শুধু ভালগুলা রেখে দেয়া যেত।
তারপর আবার শাহেদ হাসানের মতো গিয়ে সবগুলো স্মৃতি ফেরত চাইতেন। ডিলিট করতে চাওয়া স্মৃতিগুলো ছাড়া আমরা কি পুরোপুরি আমরা?
(চামে ফিলোসফি ঝাড়লাম। )
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আহ, এই গল্পগুলো যখন সত্যি হতে থাকবে তখন আমি থাকবো না। কিছু স্মৃতি ব্যাংকের লকারে রেখে দেয়া খুব দরকার
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার কাছে রাখবেন নাকি?
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
খুব ভালো লাগলো গোলপো টা পোরে
www.bangelvoice24.blogspot.com
আপনি যে সেটা বাংলায় লিখে জানাতে চেষ্টা করেছেন, তার জন্য আপনাকে একটা বেশি ধন্যবাদ, নীরব।
ভালো থাকবেন।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আরে বাহ! অনুবাদ তরতর করে এগিয়ে চলেছে দেখি
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সুন্দর অনুবাদ হয়েছে
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
থ্যাংকস।
আপনার ছবিখান তো জটিল!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বাহ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভালো লেগেছে।
থেংকু।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বেশ বেশ।
এমন আরও অনুবাদ চাই।
সাফায়াতুল ইসলাম
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
চরম। জরিনা তো মহিলা সুবিধার মনে হচ্ছে না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুম। জরিনার ফোন নাম্বার দিমু নাকি, আরেট্টু ভালো কইরা বুঝতারতেন তাইলে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
চমৎকার অনুবাদ।
থ্যাংকস।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এইসব বিদেশী গল্পেই যতো ভ্যাজাল।
আমগো বাংলা সিনেমায় কী সুন্দর সিস্টেম। মাথায় বাড়ি পড়লেই স্মৃতি হারায়, তারপর একখান প্রেম হয়, তারপর আবার মাথায় একটা বাড়ি, বেবাক স্মৃতি ফিরে আসে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হাহাহা
ঠিকই কইসেন, নজু ভাই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনুবাদ ভালো হইছে
থেংকু।
কিন্তু আপনার কোন ব্যাপারটা স্বাভাবিক না ভাবতেসি...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন মন্তব্য করুন