কোথাও বেড়ানো হোক বা না হোক, এই পবিত্র কাজের জন্য আমি যে সবসময় এক পা বাড়িয়ে থাকি, সে খবর এতোদিনে স্কুলেরও জানা হয়ে গেছে। সেজন্যই কি না জানি না, এখানে ওখানে কোথাও পাঠাতে হলে কর্তৃপক্ষ প্রথমেই আমাকে খোঁজে।
গত বছর যেমন ১০ দিনের একটা ওয়ার্কশপে পাঠালো রিফাত সানজিদার শহরে, আমার ছোট্ট আর কিশোরীবেলার শহরে। আমার সাথে আরো একজন। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেছিলো, একলা একলা দুটো মেয়ে অতোদূরে যাবে? দুটো মেয়ে, আর একলা! এই জামানাতেও! আজিব! লাফালাফিতে আমরা দুজন কেউ কারো চেয়ে কম যাই না। কাজেই কারো আপত্তিকে পাত্তা না দিয়ে বোঁচকাবাঁচকি নিয়ে রওয়ানা দিই আমরা। জায়গাটা ছিলো চিটাগাং ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। উফ! ক্যাম্পাসের ভয়াবহ সৌন্দর্য দেখে প্রেমে পড়ে যেতে এক সেকেন্ড দেরি হয় না আমার। তিন দিক দিয়ে পাহাড়ে ঘেরা কি যে ফুটফুটে স্কুলটা! আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয় স্কুল বিল্ডিং এরই একটা রুমে। আমরা ৫টা মেয়ে থাকি রুমটাতে। বিল্ডিংটা একেবারে পাহাড়ের কোলেই। হাতগুলো দশ বারো হাত লম্বা হলেই জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিব্যি ছোঁয়া যেতো কাছের পাহাড়টাকে। একটু রাত হলেই পাহাড় থেকে নেমে আসে বেশ কিছু হরিণ আর বুনো শুয়োর। দোতলার বারান্দা থেকে আধো আলো আধো ছায়ায় মুগ্ধ হয়ে সেই দৃশ্য দেখি আমি। কখনো আমরা।
ওখানকার প্রিন্সিপাল ভীষণ ছটফটে, করিৎকর্মা আর চমৎকার একজন মানুষ। পতেঙ্গা বিচ, ভাটিয়ারী সানসেট পয়েন্ট আর বিএমএ ভিজিট আগে থেকেই নির্দিষ্ট করা ছিলো। আমরা বললাম, কক্সবাজার যাবো। উনি আমাদেরকে সেখানেও নিয়ে গেলেন। ক্লাসের চাপ তো ছিলোই। তারপরেও মনে হয়েছে যেন পিকনিক করতে গিয়েছিলাম। ভীষণ ভালো লেগেছে সবকিছু মিলিয়ে। প্রসঙ্গত বলে রাখি, আমার দেখা অসম্ভব সুন্দর তিনটে পথ, যে পথে বারবার বারবার এবং বারবার যেতে চাই - সিলেট থেকে জাফলং, কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি, আর চিটাগাং ক্যান্ট পাবলিক কলেজ থেকে ভাটিয়ারী সানসেট পয়েন্ট। অসাধারণ!
এ বছর কানেক্টিং ক্লাসরুমের ওপর একটা ট্রেইনিং। ব্রিটিশ কাউন্সিল এর। দুইদিনের। আবারো আমি। সাথে আর দুইজন। এবার মেয়ে আমি একটাই। বগুড়ার কয়েকটা স্কুল থেকে আমরা গেলাম দল ধরে। এবারে সাভারে, ব্র্যাক সিডিএম। সাভারে নেমে আট-দশ কিলোমিটার হাড্ডি-মাংস-এক-করা-লক্কর-ঝক্কর-মার্কা জার্নি শেষে গেট পেরিয়ে ব্র্যাক সিডিএম ক্যাম্পাসে ঢুকলাম যখন, সারাদিনের ক্লান্তি আর বিরক্তি ভুলে মুখ দিয়ে সশব্দে বেরিয়ে এলো, ওয়াও! এতো সুন্দর সবকিছু! থাকতে দিলো পাঁচতলার একেবারে শেষ মাথার যে রুমটাতে, সেখানকার শুভ্রতাও মুগ্ধ করার মতো। ভেতরের বারান্দাটা ঘর থেকে আলাদা করা পুরোটাই স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে। একটু খেয়াল না করলে বোঝার উপায় নেই। ধুলোবিহীন বারান্দায় বেরোলেই চুল আর মন এলোমেলো করা চমৎকার বাতাস। ভীষণ লম্বা সেই বারান্দায় একা বাতাসে মন ভাসিয়ে দিয়ে, নিচের লেকটাতে ভাসতে থাকা বোটগুলোর দিকে তাকিয়ে উদাস হয়ে ভাবতে থাকি, এই প্রোগ্রামটা সাতদিনের হলেই বা কি এমন হতো।
ঢাকায় ডিবেটিং কমপিটিশন। টিমে মেয়ে চারটে। সবক'টাই ক্লাস টেন পড়ুয়া। রাতে থাকার ব্যাপার আছে। সাথে যাবে কে? সুলতানা পারভীন। আমাকে ডেকে বলা হলো, যান, একটু বেরিয়ে আসেন। এবার তো বিপদে পড়ি। প্রথম কথা, এতোদিন যে বেড়ানো-কাম-ট্রেইনিংগুলো হলো, তাতে আমাকে দেখেশুনে রাখার লোক ছিলো। এবার দায়িত্ব আমার ঘাড়ে! তাও যদি ঢাকা শহর চিনতাম! অন্য ৬২টা জেলার যে কোনোটাতে হলে কোন ব্যাপার ছিলো না। কিন্তু ঢাকা! না বাবা না। স্রেফ না বলে চলে এলাম। একে ওকে পার করে তিনদিন পরে আবারো ঘুরে দায়িত্বটা আমার কাঁধেই এসে পড়ে। এবার অফিশিয়াল অর্ডার। মুখ ব্যাদান করে রওয়ানা দিই এবার। অবশ্য মুড ভালো হতে সময় লাগে না। বাচ্চাদের স্বভাবই এই। মন ভালো করিয়ে দিতে জানে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ওখানেই থাকা। ওখানেই কমপিটিশন। স্কুলের সাথেই বড় একটা মাঠ, সবুজ নরম ঘাসে ছাওয়া। রাতের খাবার শেষে মাঠ জুড়ে হাঁটাহাঁটি। খালি পায়ে নরম ঘাসের ছোঁয়া লাগতেই অন্যরকম একটা অনুভূতি। ওদেরকে বলি স্যান্ডেল খুলে ছুঁড়ে ফেলতে। ওরা মহানন্দে তাই করে।
রংপুর থেকে আসা এক টিচার গান গায় দারুণ। রাত এগারোটা পর্যন্ত তিনি খোলা আকাশের নিচে বসে একের পর এক গান শোনালেন। তিনি চলে গেলেও আমার সাথে থেকে যায় আমারগুলো। নরম ঘাসে, ঠান্ডা বাতাসে হাঁটতে হাঁটতে কতো যে কথা বলে ওরা। ভুলেই যায় বোধহয় আমি ওদের টিচার। রাত একটার দিকে ঘুমাতে যাই আমরা। আমার বাড়তি পাওনা, বাচ্চাদের স্কুলের চেহারার বাইরের একটা চেহারা দেখে ফেলা। এদের কেউ লেবু চিপতে পারে না। কেউ মশারি টাঙাতে পারে না। আবার কেউ চুল মুছতে পারে না। এগুলো করে দেয়ার সময় নিজেকে কেমন মা মা লাগে আমার। অদ্ভুত! ফেরার সময় ওরা আর ফিরবে না। আরো একটা দিন থাকবে। বাস যেন মিস হয়ে যায়, তার জন্য কতো দোয়া দরুদ! কি যন্ত্রণা!
স্কুলে গার্ল গাইডস চালু করা হবে। কাকে দেয়া যায় দায়িত্ব। এই অধম আছে কী করতে। অবশ্য এটাতে আমি আপত্তি করি না। এখানে ওখানে ক্যাম্পিং, ঘোরাঘুরির সুযোগগুলো চোখের সামনে নাচানাচি করতে থাকে। যদিও এ সম্পর্কে জানি না আমি কিছুই। স্টুডেন্ট লাইফেও গাইড ছিলাম না। শুধু জানি, সাদা আর বটল গ্রিনের কম্বিনেশনে ড্রেস পরে এরা অনেক ভালো ভালো কাজের সাথে জড়িত থাকে। গাইড মানেই পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি...। এবার এই সংক্রান্ত একটা ট্রেইনিং। গার্ল-গাইডার্স প্রশিক্ষণ কোর্স। পাঁচ দিনের। আমাদের শহরেই। এখানেই! ও মা! একটু দূরে
নিয়ে যাবে না? যাই হোক, দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হইতে শুধু দুই পা ফেলিয়া...। সবাই তো আর তারেক অণুর মতো কপাল নিয়ে জন্মায় না। কী আর করা! প্রতি স্কুল থেকে দুইজন টিচার এই ট্রেইনিং নেবে। কাজেই জোর করে পাঠানো হলো আরো একজনকে। সে মহাবিরক্তি নিয়ে আমার সাথে এলো।
প্রথমদিন গার্লগাইডিং এর ইতিহাস সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞানদান করার পর আমাদেরকে ওয়ার্ল্ড সং শেখানো হলো। আমাদের ট্রেইনার একবার গেয়েই আমাদেরকে বলে, নিজেরা প্র্যাকটিস করেন এবার। “আমি তোমার মনের ভেতর একবার ঘুরে আসতে চাই” টাইপ গান হলে তাও নাহয় হতো। একেবারে অচেনা একটা গান, তাও আবার বিদেশি, একবার শুনে গায় কিভাবে। হাসতে হাসতে পড়ে যেতে যেতে সুরে বেসুরে আমরা গান গাইতে থাকি। শোনার মতো গানা হলো বটে! পুরো কোর্সে বেশ কয়েকটা গান আমাদেরকে শিখতে হলো।পতাকা তোলার সময়ের গান, দ্বীপ জ্বালানোর সময়ের গান, ক্যাম্পিং এ বিভিন্ন কাজের সময়ে বিভিন্ন গান। দিনের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় যখন, তখনো একটা গান, এটা খানিকটা চার্চে দাঁড়িয়ে গাওয়া প্রার্থনাসঙ্গীতের মতো। তবে সবচেয়ে মজা লেগেছে যে গানটা, সেটা হলো, জুলু জাম্বা লু লু, লু লু মাছিকা...
নানারকম ইশারা ইঙ্গিত করা শিখলাম। কিভাবে কাউকে কাছে ডাকতে হবে, কিভাবে দূরে সরিয়ে দিতে হবে, এইসব। বাঁশির কোন শব্দের মানে কী, মানে, বাঁশি বাজিয়ে কে কী বলতে চায়, আহরন করলাম সেইসব জ্ঞানও।
পতাকা উত্তোলন শেখানো হলো। পতাকা ভাঁজ করা বা গিঁট দিয়ে উত্তোলনের ব্যাপারটাতে যে জটিলতাটুকু আছে, সেটা স্কুল লাইফে কখনো বুঝিনি। এই আনুষ্ঠানিকতার জন্য লাগে আবার তিনজন, যাদেরকে বলা হয় কালার পার্টি। স্কুল মাঠে পতাকা নিয়ে কাজকারবার করার সময়ে কিশোরীবেলার অনুভূতি তীব্রভাবে অনুভূত হলো। শুধু পতাকার দড়ি না, আমাদেরকে বলা হয়েছিলো বিভিন্ন রকমের দড়ি নিয়ে যেতে। সেগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গিট্টু দেয়া শিখলাম। রীফ নট - এটাকে অতো কায়দা করে না শিখিয়ে সোজা বাংলায় "মরা গিট্টু দ্যান" বললেই বা ক্ষতি কী ছিল বুঝলাম না। ক্লোভ হীচ - গরু খুঁটির সাথে বাঁধার সময়ে এই বাঁধনে বাঁধতে হয়। তাবু টাবু টাঙানোর সময় নাকি এই গিট্টু দিতে হয়। ফিশার ম্যানস নট - জেলেরা মাছ ধরার পর যে খুলিতে মাছ নিয়ে যায়, বা আগেকার দিনের মিষ্টির হাঁড়িকে যে বাঁধনে জড়ানো হয়, যে বাঁধন যাবে না ছিঁড়ে। কুয়ার মধ্যে পড়ে গেলে তাকে তোলার জন্য কোন বন্ধনে জড়িয়ে কাছে টানতে হবে, এবং সেই সাথে আরো অনেক কিসিমের গিট্টু।
হাইকিং এ গেলে কী কী জিনিস সাথে নিতে হবে। বসার কিছু নেই, সেই আসন কিভাবে বানাতে হবে। চা খাবে, চুলা নেই, চুলা কিভাবে বানাতে হবে, এইসবও শেখালো। হাইকিং এ রাস্তাঘাটে রেখে যাওয়া সংকেতের মানে উদ্ধার করতে শিখলাম। ট্রেইনার যা কিছু শেখায়, আমি তুমুল আনন্দ নিয়ে শিখতে থাকি। অকারণেই নিজেকে কেমন তিন গোয়েন্দার একজন মনে হতে থাকে। আনন্দ দ্বিগুন করার জন্য প্রস্তাব রাখি, আমাদেরকে অন্তত এক রাতের জন্য ক্যাম্পিং এ নিয়ে যাওয়া হোক। ঘর হইতে দুই পা আসলাম, আর দুই পা ফেললেই হয়ে যাবে। আমরা নিজের হাতে তাবু টাঙাবো, চুলা বানিয়ে সেই চুলায় চা বানাবো। চা খেতে খেতে সবাই মিলে গান গাইতে থাকবো, জুলু জাম্বা লু লু, লু লু মাছিকা...
আমার প্রস্তাব অতি বিনয়ের সাথে বাতিল ঘোষিত হয়।
এইসব কিছু শেষ হয়ে গেলে আমাদেরকে পরীক্ষা দিতে হলো। নাম, টেন্ডারফুট পরীক্ষা। নামের মাজেজা জানা নেই। তবে, মনে হয় কোমল পায়ে এক ধাপ অগ্রসর হওয়াকে বোঝানো হয়েছে। পরীক্ষার পর শপথ করে দীক্ষা দিয়ে আমাদেরকে ব্যাজ পরিয়ে দেয়া হলো। সেই সাথে শেষ হলো আমাদের ট্রেইনিং। পুরো ব্যাপারটার মধ্যে একটা ছেলেমানুষি ব্যাপার ছিলো বলে মজা পেয়েছি, না কি যে কোনো ব্যাপার থেকে মজা নেয়াটা আমার স্বভাবে পরিণত হয়েছে, বুঝতে পারছি না।
মজা টজা যাই করি না কেন, চেষ্টা করবো আমার মেয়েগুলোর মানসিকতায় ইতিবাচক কিছু পরিবর্তন আনার। দেখি কতোটুকু পারি...
মন্তব্য
আপনি বেশ কাজের মনে হচ্ছে!মন্দ কী? আপনার মত যদি হতে পারতাম! ভাল লাগলো
সবই আইওয়াশ, মিতি, সবই আইওয়াশ...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
লাইফ ইজ ওয়ান্ডারফুল
এই লোকের গানগুলা বেশ লাগে শুনতে।
গানটা শুনতেসি, মুর্শেদ ভাই।
দারুণ লাগতেসে।
থ্যাংকিউ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সিডিএম-এর ওই প্রশিক্ষণে কাঞ্চন রায় নামে কারোর সাথে পরিচয় হয়েছিল?
নৌকা চালিয়েছিলেন? আমি পরপর তিনদিন প্রায় ঘণ্টাদুয়েক করে নৌকা চালিয়েছিলাম। মিনি স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলেছিলেন? ফর ইউর ইনফরমেশন, ওইটা কিন্তু আগে মুরগীর খামার ছিল। ওই যে আড়ং মুরগি আছে না, সেগুলোর সাপ্লাই যেত ওখান থেকে সারাদেশে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নামটা শুনেছি বোধহয়, চেনা লাগছে। কিন্তু আমার পরিচয় হয়নি। কে ভদ্রলোক?
যেদিন আমরা ওখানে পৌঁছলাম, সেদিনই রাতে দুইজন লোক বোট উল্টে পড়ে গিয়েছিলো। সেই কারণে আমার বডিগার্ডরা আর শত অনুরোধের পরেও আমাকে বোটে উঠতে দেয়নি।
ফুটবল খেলিনি। কিন্তু মাঠটার ডিজাইন, এবং যেভাবে, যার ওপর, যেমন করে তৈরি করা হয়েছে, এইসব কারিশমা দেখে টাশকি! শুধু এ মাথা থেকে ও মাথা আর মাঠটার এপাশে ছাদের ওপরে অনেকক্ষণ ধরে হাঁটলাম আর হাঁটলাম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ইস আপনার কত মজা শিমুলাপু।
যন্ত্রণাও কম না!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
' আমার বাড়তি পাওনা, বাচ্চাদের স্কুলের চেহারার বাইরের একটা চেহারা দেখে ফেলা। এদের কেউ লেবু চিপতে পারে না। কেউ মশারি টাঙাতে পারে না। আবার কেউ চুল মুছতে পারে না। এগুলো করে দেয়ার সময় নিজেকে কেমন মা মা লাগে আমার।"
এই লেখাটা এতো মায়া মায়া , আপনার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি। অতীতে অনেকে পড়েছে আমি জানি, আপনি যদি নতুন করে প্রেমিক পদে লোক নিয়োগ দেন, দয়া করে আমাকে জানাবেন।
নিজে কিছুকাল স্কাউটিং করেছি, তাই চেনা শব্দগুলো শুনে মজা লাগলো, রীফ নট, ক্লোভ হিচ, আরো কি কি যেনো। ছ'খানা বেসিক গেরো, দু'খানা ল্যাশিং, ডায়াগোনাল এবং স্কয়ার, ঘুম চোখে দৌড়ঝাঁপ।
ভালো থাকবেন।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
স্কাউট ছিলেন? যাক, বিপদে পড়লে তাহলে এটা সেটা জিজ্ঞেস করা যাবে।
হুম, কয়েক পদের গিট্টু, হুইপিং, সীট ব্যান্ড, ডবল ওভার হ্যান্ড, এইসব।
স্নেক ল্যাশিংটা মজার।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
রিফাত সানজিদার শহরে এসেও যে দেখা না করে চলে যায়, সে কক্ষনো তিথীর পেমিকা হতে পারে না। না না নাআআআআআআআআআআআআআ।
কতদিন কোথাও যাই না...
কাজে নয়, পরীক্ষা দিতে নয়, শুধু আরাম করে হাত- পা ছড়িয়ে দম নেওয়ার দিনগুলো চলে গেছে রঙ হারিয়ে, চলে গেছে মুখ ফিরিয়ে...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
না হওয়াই ভালো, অন্তত প্রকাশ্যে
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনার সাথে চাকরি বদলাবদলি করতে হবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বদলানোর দরকার নাই।
তারচে আসেন, একসাথে মিলেমিশে করি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ফাইভ স্টার।
এত্ত মিষ্টি লেখা লেখেন ক্যান? পড়ছি। তয় এইবার তক্কেট দ্যান আন্টি, পিলিজ।
ডাকঘর | ছবিঘর
এই না মিষ্টি খাইলেন, আবার তক্কেট!!
দাঁতে পোকা হবে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভীষণ মায়া মায়া একটা লেখা
থ্যাংকিউ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সৌরভ কবীর
থ্যাংকস।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
(গুড়)
facebook
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দারুণ! সুখপাঠ্য।
ধন্যবাদ, দাদা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপু ,অনেক মায়াময় লেখা। এগিয়ে যাক আপনার পথচলা আর সার্থক হোক মহান ব্রত । অজস্র তারকা দিলাম।
থ্যাংকিউ, অমি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
চট্টগ্রাম গেলেন, ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন, ভার্সিটির দিকে যাননি? কী যে মিস করেছেন!! ভাটিয়ারি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে লেকটাতে বোটে করে ঘোরা যায়, ওটা ট্রাই করেননি? আশেপাশের যে পাহাড়গুলো দেখেছেন সেগুলোই বিখ্যাত জালালাবাদের পাহাড় যেখানে সূর্যসেনের বাহিনীর সাথে ব্রিটিশদের বিখ্যাত জালালাবাদের যুদ্ধটা হয়েছিল। আর একটু গেলেই ভাটিয়ারির জাহাজ ভাঙার ঘাট দেখেও আসতে পারতেন। আছেন দেখছি হেভী মজায়।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ভার্সিটির অনেক প্রশংসা শুনেছি। যাবোও ভেবেছিলাম। কিন্তু একটা মাত্র ছুটির দিনে, যখন যাবো, তার আগের দিন ভার্সিটিতে একটা খুন হয়ে গেলো। ওখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত বলে আর যাওয়া হয়নি। চলে গেলাম ফয়'স লেকের দিকে। আফসোস থেকে গেছে।
অতো সুন্দর পাহাড়, আর যুদ্ধ, যায়, বলেন?
নিজেদের ইচ্ছেমতো ঘোরার সুযোগ আসলে ছিলো না। পরে কখনো আবার, তিথীর সাথে দেখা করতে যাবো যখন, তখন...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ফাঁকিবাজি করলেন- প্রতিটি ভ্রমণ নিয়ে আলাদা আলাদা লেখা কই...
তাড়াতাড়ি ছাড়ুন...
ইয়ে, মানে...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনি বগুড়ায়? কোন স্কুলে? আপনার মতো অন্তত একজন শিক্ষিকা হলেও যেন আমার মেয়ে পায়, এই কামনাই করি।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
শুধু তো মায়া মায়া দিকটা দেখলেন, পাষাণ রূপটা তো এখনো দেখেন নাই।
ওইটা দেখার পর বইলেন, ম্যাম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ম্যাম? এই আমি আস্তা একটা ১২০ কেজি ওজনের দাঁড়িয়ালা প্রাক্তন পাঁঠা। আর আমারে বলে কিনা ম্যাম?
প্রাক্তন মানুষটারে তো চিনি। কিন্তু আকিকা না কইরাই দুম কইরা নাম বদলায়া ফালাইলে কেমনে চিনুম!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
জুলু জাম্বা লুলু লুলু মাসিকা লুলু মাসিকা
লুলু মাসিকে কিঙ্কি ওসাকা উসস আফ্রিকা জুম!
...........................
Every Picture Tells a Story
ভারি মজায় আছেন!
জুম জুম জুম
একটু দাঁড়ান মুস্তাফিজ ভাই, মাথায় পালক টালক গুঁজে আসি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মায়াভরা লেখা। খুব ভাল লাগল।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ, কবি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি ঢাকার বাইরে লাইফে, একবার সিতাকুন্ড আর একবার গফরগাঁও ঘুরতে গিয়েছিলাম। দেশ তেমন দেখতেই পারিনি। মা বাবা চোখের আড়াল হতে দিত না। এদিকে অবশ্য ইংল্যান্ড আর ফ্রান্স চষে বেড়ানো হয়ে গেছে। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার ভ্রমন কাহিনী
দেশ দেখলেন্না, আর বিদেশ ঘুইরা শেষ কইরালাইলেন!
এইটারে ভ্রমন কাহিনী কইলে তারেক অণু কর্তৃক আপনার পিঠের ওপর রিয়েল মাইর পড়ার সমূহ সম্ভাবনা, ডেমোন।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দারুন তো!
..................................................................
#Banshibir.
থেংকু।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মায়ায় ঢোবানো একটা লেখা
দেশে ফিরলে তোমার ইস্কুলে মাষ্টারী নিতে হবে---
শুভেচ্ছা নিরন্তর
অবশ্যই, অনিকেত'দা।
একশোবার!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
জুলু জাম্বা লু লু, লু লু মাছিকা...
গানটার অডিও রেকর্ড করে দিলে ভালৈত
হুম, গান রেকর্ড করে শোনাই, আর সব লোক দৌঁড়ে পালাক...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমাকে ধনেপাতা কেনু?
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দুটো মেয়ে কি করে একলা হয় এই ব্যাপারটা আজ পর্যন্ত আমার মাথায়ও ঢুকল না, নাটোর ট্রিপে একটা স্থানীয় কিশোর ছেলে আমাকে আর আমার আধপাগলা বান্ধবীকে সারাক্ষন সংগ দিয়েছে, বিদায় দেবার সময় বলল,দুটো মেয়ে একলা ছেড়ে দিতে নাকি তার সাহস হল না, তাই সে বীর পুরুষ আমাদের পিছু ছাড়েনি।
এই লাইন গুলো দারুন সুইট।
সেটাই।
সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে ঠিকই। তবে কচ্ছপগতিতে...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনি তো চির সবুজ থাকবেন
আমার মতে একমাত্র ছোটদের সাথে সময় কাটালেই মনটা সজীব থাকে।
এই ধরণের লেখা আরও লিখুন।
"আমার মতে একমাত্র ছোটদের সাথে সময় কাটালেই মনটা সজীব থাকে।" - আমারো তাই বিশ্বাস।
আর সেজন্যই এই কাজটা আমার এতো পছন্দ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আরে! খুব ভাল লাগলো শুনে যে আপনি আমার স্কুলে গিয়েছেন। ৯ বছর পড়েছি ওখানে। কি সুন্দর ছিল সেই দিন গুলি। বড় সুন্দর পরিবেশ। থাকতাম বি এম এ তে। প্রতিদিন ভাটিয়ারী থেকে ক্যান্টনমেন্ট লিঙ্ক রোড দিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করতাম। কত লাকি ছিলাম আমি বুঝেন!
এক মুঠো হিংসা!
সত্যিই আপনি ভীষণ লাকি রে ভাই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আহা! কি মনে করিয়ে দিলেন? তিনবার গিয়েছি, প্রতিবারই একই রকম অভিভূত হয়েছি। আরও ঘুরতে থাকুন, ঘুরাঘুরি মনের জন্য বিরাট ওষুধ এই ব্যস্ত নাগরিক জীবনে
লেখা (গুড়)
সিলেট থেকে জাফলং, আর কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি, দুইবার করে গিয়েছি। আরো অনেকবার যাওয়ার ইচ্ছে আছে।
কিন্তু ক্যান্টনমেন্ট থেকে ভাটিয়ারি আর হবে কি না...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ঘুরাঘুরি পছন্দ করি, এককালে ম্যাথ অলিম্পিয়াডের হয়ে অনেক ঘুরতাম। বিদেশে আসার পর অল্পবিস্তর ঘুরা হয়, একটু নির্ভার হয়ে ঘুরে ফাটায়া ফেলব।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
স্টুডেন্ট লাইফে একে তো ভ্যাব্দা ছিলাম, দুইয়ে বাপ-মায়ের নিষেধাজ্ঞা। যাওয়া হয়নি তেমন কোথাও...
তাই চান্স পাইলেই এখন সুদে আসলে উসুল করার চেষ্টা করি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
টেন্ডারবাজী তো জানতাম, আজকে শিখলাম টেন্ডারফুটি! 'বাজি' থেকে 'ফুটি'- বেশ একটা হাদুমপাদুম গোছের ব্যাপারস্যাপার আছে মনেহচ্ছে।
কখনো ক্যাম্পিং-এ গেলে আর গাতক হায়ার করার সিস্টেম থাকলে আমারে নিতে পারেন। ঈমানে কৈলাম, সবার ঘুম হারাম করে দিবো। না, নো বান্দ্রামী, নো শয়তানী। আমার গাওয়া গান শুনলে শ্মশানের মরাও উঠে দাঁড়াবে। খালি দাঁড়াবেই না, ডরের চোটে খাড়া চালি মারবে শ্মশান পাতালি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আসল কথা হইলো, পুরা ব্যাপারটাই হাদুমপাদুম গোছের।
আপনের গান আমরা শ্মশানে যাইয়া শুনবো না কই শুনবো সেইটা পরের ব্যাপার, দেশে তো আসেন আগে মিয়া!
দূরে থিকা খালি লাফালাফি!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ট্রেনিং বিষয়টা খুব বিরক্তিকর লাগে! সারাদিন ঘ্যানর-ঘ্যানর ভাল্লাগে না। তবে সাভারে ব্র্যাকের ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে অনেক ভালো লেগেছিল। এতো সুন্দর পরিবেশ! আপনার লেখাটা পড়ে সেই দিনগুলো মনে পড়ে গেল...
সেইটাই
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
। ইদানিং চাকুরীতে আর ঘুরাঘুরি লাগে না , খুব মিস করই।
ট্যুরের চাকরিগুলো আমার খুব লোভনীয় লাগে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কী চমৎকার একটা লেখা! খুব ভালো লাগল। আন্তরিকভাবে শুভকামনা জানাই যেন আপনার মেয়েদের জন্য আপনার পরিকল্পনা সফল হয়।
অফটপিক: আরও অনুবাদ পড়তে চাই।
আমিও আপনার মায়ামায়া বিষন্ন লেখাগুলো আরো অনেক পড়তে চাই।
লিখেন না তো!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
তাহলে আপনি শেষ পর্যন্ত স্কাউটিং মানে গাইডিংও শুরু করলেন? আমাদের টাইমে শুরু করলে আরও ভাল হতো। তখন অবশ্য স্কুলে গার্লস গাইডিং ছিলই না। থাকলে ভালই হতো।
হাইকিং এর মজাই আলাদা। আমার স্কাউট লাইফের এই জিনিসটাই আমি সবচাইতে বেশি উপভোগ করতাম।
ইস, সেই দিন গুলো যদি আবার ফিরে আসতো।
সাফায়াতুল ইসলাম
এখনো স্টুডেন্ট দশা কাটলোই না। এখনি পুরোনো দিনগুলো ফিরে চাও!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আহ্ মনে পড়ে গেলো সেই স্কাউটিং, ক্যাম্পিংএর দিনগুলো । কি মজার অভিজ্ঞতা ।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
লিখে ফেলেন তো, ঝরাপাতা!
আমিও কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করি আপনার লেখা থেকে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন মন্তব্য করুন