এই নিয়ে দুই দিন হলো, ফোন করে মেহরুনের অনুযোগ; সচলায়তনের মন্তব্যগুলো সে পড়তে পারে না। মেহরুন কখনও নিজের ব্লগ লিখতে চায় নি। বাংলা টাইপ সে করতে পারে না সেটা হয়তো প্র্যাকটিক্যাল একটা সমস্যা কিন্তু কারো লেখার ইচ্ছা থাকলে এই সমস্যাটা সমাধান করতে বড়ো জোর তিনদিন লাগার কথা। কিন্তু আসলে লেখার ইচ্ছা তার প্রায় শূন্যের কোঠায়। সে পাঠক। লেখা ও লেখার পরের মন্তব্য কিছুই তার পড়ার তালিকা থেকে বাদ যায় না।
মেহরুন সামহোয়ারইনে ব্লগ পড়ছে প্রায় শুরুর সময় থেকেই। সচলায়তনের খবর পেয়ে এখানেও ঢুঁ মারে মাঝে মাঝে। কিন্তু তার মূল অনুযোগ মন্তব্যগুলো না পড়তে পারলে একটা লেখা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণাটা তৈরি হয় না। তা ছাড়া মন্তব্যগুলো খুব মজার হয়, তাই নিষেধের কারণে তার মনে হয় পাঠক হিসেবে সম্পূর্ণ রস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সে। আমি তাকে সদস্য হতে বলি। কিন্তু লেখালেখি করতে অনিচ্ছুক বলে সে নাম লেখাতে আগ্রহী না। তাছাড়া তার আরো বন্ধু-বান্ধব আছে যারা এরকম পাঠক। সে তাদের কথা মনে করেও এই আপত্তি জানাচ্ছে বলে জানায়।
আমি তাকে আমতা আমতা করে সচলায়তনের নিষেধ ও রেস্ট্রিকশনের কারণ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি। কিন্তু তার একটাই বক্তব্য পাঠককে এতটা দূরে ঠেলাটা কি উচিত?
সত্যি কথা হচ্ছে, আমি নিজে পাঠকদের বাধা দেয়ার পক্ষে বেশি যুক্তি খুঁজে পাইনি। তাই, কর্তৃপক্ষের জন্য প্রশ্নটা রেখে গেলাম। মেহরুন যেহেতু পাঠক, সে হয়তো এই লেখাটা পড়ে বুঝতে পারবে আমি কথাগুলো বলার দায়িত্ব অন্তত: পালন করেছি।
মন্তব্য
একটা কাজ করা যেতে পারে। নিজেদের মধ্যে আলোচনার জন্য একটা আলাদা বিভাগ করে দেয়া, যেটা সাধারণ পাঠকেরা পড়তে পারবেন না। কোন ধরনের সমস্যা বা মতামতগুলো সেই বৈঠকখানায় গিয়ে আমরা প্রকাশ করবো। বিগ.সি-র সাথে একমত।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
মন্তব্য খুলে দিলে মন্তব্যে নিয়ে বিতর্ক করতে উঠে পড়ে লাগবে বাইরের একটা দল।
এই বিষয়ে একটা সমাধান প্রস্তাব করুন..
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
মন্তব্যে restrict ইউজ করলে কেমন হয়?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
তুলির অভিযোগটাও একিরকম।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
মন্তব্যের এমন কোন আলোচনা হয় না যেটি বাইরের পাঠকের জন্য অসুবিধা হওয়ার কথা।দুয়েকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনায় হয়তো বাইরের কারো সমালোচনা করা হয়।
সেটাকে ইয়াহু অথবা গুগুল গ্রুপ করে সামাল দেয়া যেতে পারে।
-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...
নতুন ঝামেলা কি আর হবে?
যারা ঝামেলা করতে চায়,করুক বাইরে থেকে-পোষ্ট নিয়ে,মন্তব্য নিয়ে । আমি এটাকে তেমন কোনো হুমকী মনে করছিনা ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
পাঠকের পাঠের জন্য মন্তব্য উন্মুক্ত করে দেয়া যেতে পারে।
তবে পাঠককে এখনই মন্তব্য করার সুযোগ দিলে অযথা আক্রমণের শিকার হতে হবে। শুধুশুধু ঝামেলা ডেকে এনে পাহারাদার বসানোর উদ্যোগ নিতে হবে তখন।
আমার অভিজ্ঞতা বলছে, মানুষ এমন একটা ব্লগিং পরিবেশে মিথষ্ক্রিয়া চায়। আমাদের এমন একটা ফিল্টার পদ্ধতির কথা ভাবতে হবে, যা সচলায়তনকে ছাগুর খোঁয়াড়েও পরিণত করবে না, আবার পাঠককেও তার ভাবনার পরিশীলিত প্রকাশের সুযোগ দেবে।
সচলায়তন সম্পর্কে পাঠককে ফিডব্যাকের সুযোগ দেয়া যেতে পারে আরো কয়েক হপ্তা পর। নাম, ইমেইল (ভেরিফিকেশনের জন্য) এবং ওয়েবসাইট/ব্লগ উল্লেখ করে পাঠক মন্তব্য করতে পারেন।
কিংবা উন্মুক্ত জরিপে আমরা পাঠককে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে পারি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমিও মন্তব্য উন্মুক্ত করে দেয়ার পক্ষে। তবে তারা শুধু পড়তে পারবে লিখতে হলে রেজিষ্ট্রশন লাগবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নতুন মন্তব্য করুন