বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাজা: আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/১২/২০০৭ - ৮:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মৌনমিছিলও ভাঙছে জরুরি আইন
স্বাধীন হওয়া বিচার বিভাগ অসাধারণ এক রায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষকের কারাদন্ড ঘোষণা করেছে।
অভিযোগ আছে যে রায় ঘোষণার পূর্ববর্তী তারিখ রায় ঘোষণা স্থগিত রেখে ঢাকা গিয়েছিলেন বিচারক। তারপর এই রায়।

অসত সেনাপ্রধানরা যখন আমাদের মতো দেশে ক্ষমতাদখল করে তখন প্রতিবাদের জায়গা ঐ বিশ্ববিদ্যালয়। সর্বশেষ স্বৈরাচার বিরোধী অভিযানের মাধ্যমে বাংলাদেশে সেনাশাসনের আশংকা অনেকটা দূর হয়েছে বলেই সাধারণভাবে মনে করা হয়। দেশকে সেনাশাসনের দুর্নীতি থেকে রক্ষার একটা বড় চাবিকাঠি হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রেরা। তারা বিবেক ও অগ্রসর সেনা হিসেবে কাজ করেন।

আগের একটা লেখায় অনুমান করেছিলাম যে এবার সুযোগ পেয়ে নেপথ্য সেনাশক্তি এই প্রতিবাদের জায়গাটাকে উপড়ে ফেলার ব্যবস্থা করবে। তারপর দেশে উর্দির শাসন বা শক্তিশালী অবস্থান প্রতিষ্ঠিত হবে।

আমার বিবেচনায় বিচারের এই রায় সেরকম পরিণতিরই ইঙ্গিত করে। আপনাদের প্রতিক্রিয়া কী?

ড়্যাব দিয়ে গুলি করে মারা হালাল আর প্রতিবাদ করাটা হারাম!!!

(বিস্তারিত খবর পড়তে পারেন বিবিসি বাংলা ওয়েবসাইটে।)

ছবিসূত্র: বিডিনিউজ২৪: ছাত্রশিক্ষকদের মুক্তি দাবীতে ছাত্রদের বিক্ষোভ।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

রায়-পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া দেখার অপেক্ষায় আছি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

জরুরি আইনে সাজা হয়েছে।
তারপর ঘাটে ঘাটে আপিল চলবে।
কিন্তু ক্ষমতাশীনরা যে ভয়টা ছাত্র-শিক্ষকদের মনে ঢুকিয়ে দিতে চাইছেন, সেটা পেরেছেন।
রাজনৈতিক দলের লেজুড় ছাত্র-সংগঠনের মিছিলে ছাত্ররা যায় না সে অন্য বিষয়। এখন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন বলেও কিছু থাকবে না।

একটা দেশ, একটা সমাজ কোনো বিরুদ্ধমতকে বেঁচে থাকতে দিতে চায় না। চেক এ্যান্ড ব্যালান্সের কথা ভাবে না। এটা কতো ভয়ংকর?
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষকদের ও তাদের পরিবারের সবার প্রতি এই অবিচারের জন্য খারাপ লাগছে। তবে এই আকামের জন্য অনির্বাচিত সরকারকে ভুগতে হবে, প্রতিবাদের কণ্ঠ চেপে ধরা যায়, উপড়ে ফেলা যায় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের মুক্তি দেয়া হয় কারণ তারা অর্থনীতির কল-কাঠি নাড়িয়ে সরকার উল্টে দিতে পারেন বলে।
আর শিক্ষকদের জেলদন্ড দেয়া হয় তারা সেনা-জোর-জবরদস্তি ছাড়াই দেশ চালিত হোক এই স্বপ্ন দেখেন বলে।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সুমন চৌধুরী এর ছবি

বিচার বিভাগ কতটা স্বাধীন আসলে? এই প্রশ্নটা সামনে আসতে হবে এখন।



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

সেই কথা সুমন।
যদিও আগে বলা হয়েছে তবু কেউ কানে তুলতে চায় না যে,
বিচারকদের পৃথকীকরণ - বিচারকদের চাকুরি সুপ্রিমকোর্টে ন্যস্তকরণ আর বিচারবিভাগের স্বাধীনতা অর্জন এক নয়।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে, দেশবিরোধী বক্তব্য দিয়েও বহাল তবিয়তে আছে চুতমারানি রাজাকারগোষ্ঠী, আর কারাদণ্ড হচ্ছে বিশ্বাবদ্যালয়ের শিক্ষকদের! কোনদিকে এগোচ্ছে আমাদের দেশ?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

কী মনে হয় সন্ন্যাসী? কোনদিকে?
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

দ্রোহী এর ছবি

সুবিচার, স্বাধীনতা !!!!! হাঃ হাঃ হাঃ ....


কি মাঝি? ডরাইলা?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ব্যাপার না। অযথা ভয় পাচ্ছেন। বুকে ট্রাক তুলে দিয়ে যাদের ভীত/স্তব্ধ করা যায় না, সামান্য এক রায়ে তাদের কিছুই হবে না। করুক যদ্দুর পারে।

রাহা এর ছবি

আর শিক্ষকদের জেলদন্ড দেয়া হয় তারা সেনা-জোর-জবরদস্তি ছাড়াই দেশ চালিত হোক এই স্বপ্ন দেখেন বলে।আসল কারণ তো সেটাই ।

..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...

সুজন চৌধুরী এর ছবি

আজকে মইনুলের বক্তব্য দেখলাম- শিক্ষকরা আপিল করলে সরকার বিষয়টা বিবেচনা করবে।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি জানালেন শিক্ষকদের বিষয় সরকার নমোনীয় মনোভাব পোষন করেন।
আরেক কাগজে রিপোর্ট দেখলাম যেকোন দিন ঢাবি শিক্ষকদের ছেড়ে দেয়া হবে।
এখন প্রশ্ন হলো তাহলে রাজশাহীর শিক্ষকদের শাস্তি দেয়া হলো কেন?

ঝিকে মেরে মাকে বোঝানোর জন্য?

____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

সুমন চৌধুরী এর ছবি

তাইলে এইখানে আদালতের ফাংশান কি?



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

সুজন চৌধুরী এর ছবি

আদালতের কান্দে বন্দুক রাইখা গুল্লি চালাইবো সরকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ১টা ফালতু কথা,ঐটা দিছে আইনজীবীগোরে -চোষনের লাইগা।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

এবং এইসব নাটকবাজির পর যদি বিচার করা হয়,
তাহলে এই চৌকিদার সরকারের সাথে পুরানা সরকারগুলার ফারাক কি?
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সুজন চৌধুরী এর ছবি

দাদা,
এই লিংকটা খেয়াল কইরা দেখেন,অনেক রকম উত্তর পাওয়া যায়।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

হাসান মোরশেদ এর ছবি

প্রণমি তোমায় বাংলাদেশ!
আদালতের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে প্রত্নসম্পদ পাচার হয় আর মহামান্য সার্বভৌম আদালতের রায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের হয় সশ্রম কারাদন্ড
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ক্ষমতার এই চিরচেনা অপব্যবহারের পরও এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের দুর্নীতির বিচারের ভান করে। আর অনেকে এসব নাটককে সততা ভেবে ভাবে গদগদও হয়।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

নিঘাত তিথি এর ছবি

বাহ, কি স্বাধীন বিচার বিভাগের কি চমেতকার বিচার। কালোটাকার ব্যবসায়ীরা বিশেষ আইন তৈরি করে মুক্তি পায় আর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মৌণ মিছিলে যোগদানের পুরষ্কার পায় হাজতবাস।
সাবাস বাংলাদেশ।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বড়ই অদ্ভুত।
বিচার বিভাগ স্বাধীন তা বিশ্বাস করি কিভাবে?
হয়তো নিম্ন আদালত আজো স্বাধীন হয়নি।

সেনাপ্রধান তো বলেছিলেন কোটি কোটি টাকা ঢেলে মদদ দেয়া হয়েছিল ঢাবির সেই আন্দোলনে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এর কোন প্রমাণ হাজির হয়নি। এ থেকে সহজেই অনুমেয় ঢাকার শিক্ষকদের 'ছেড়ে' দিয়েছে আর রাজশাহির শিক্ষকদের 'শিক্ষা' দিয়েছে।

সত্যিই অদ্ভুত এক পরিস্থিতি।

আর শিক্ষকদের জেলদন্ড দেয়া হয় তারা সেনা-জোর-জবরদস্তি ছাড়াই দেশ চালিত হোক এই স্বপ্ন দেখেন বলে।
এছাড়া আর কী হতে পারে!

তবে সময় একদিন আসবেই, হয়তো এদেরও বিচার হবে কোন একদিন। এভাবেই চলতে থাকবে সামনের সময়গুলো।

বজলুর রহমান এর ছবি

দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের মুক্তি দেয়া হয় কারণ তারা অর্থনীতির কল-কাঠি নাড়িয়ে সরকার উল্টে দিতে পারেন বলে।

-শো ম চৌ
আমার দৃঢ় বিশ্বাস তাদের কাছ থেকে মুক্তি পণ আদায় করে ছাড়া হচ্ছে। এবং যে যত বেশি দেবে তার মুক্তি তত ত্বরান্বিত হবে।
আমার আরো সন্দেহ এই অবৈধ সরকার আওয়ামী ও বি, এন,পির মূল ধারা দুটিকে অসঙ্গত আইনের ফাঁদে এক ভৃত্য বিচার ব্যবস্থার সহায়তায় অযোগ্য ঘোষণা করে, ভুয়া নির্বাচনে অনুগত জনসমর্থনহীণ তথাকথিত সংস্কারপন্থীদের "নির্বাচিত করে, তাদের দিয়ে নিজেদের সব অন্যায় কর্মকান্ড এক লোকদেখানো "পার্লামেন্টে" বৈধ করে নেবে। এটাই তাদের এক্সিট রুট।
রাজশাহীর ব্যাপারটা সম্ভবত সেখানকার জামাতীদের প্রাধান্যের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ইচ্ছানুযায়ী হয়েছে। ঢাকায় তা সম্ভব না। তবে রাজনীতিবিদদের ১৩ বছর -৩০ বছর জেলের আদেশ যেমন টিঁকবে না ওপরের আদালতে (অবশ্য হাই কোর্ট কিছুটা স্বাধীন হলেও সুপ্রীম কোর্ট ততটুকু নয়), শিক্ষকরাও কয়েক মাসের মধ্যেই বেরিয়ে আসবেন আশা করি।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

এক্সিট রুট নিয়ে যদি এতো দ্বিধা ও ভয়, তাহলে এন্ট্রি নিতে গেলো কেন তারা।
তারা যদি ভেবে থাকে তাদের এইসব মারপ্যাঁচ/কৌশল লোকে বুঝবে না তবে তা বোকামি হবে।

পাতানো নির্বাচনের চেষ্টা একটা বোকামিই হবে। অসত্ পথে নিজেদের বৈধ করার উপায় খোঁজা আর দুর্নীতির মধ্যে পার্থক্য কি। এই পথ নিলে এই সরকারের বড় কথা বলার মত কোনো নীতিগত অবস্থান থাকবে না।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সবজান্তা এর ছবি

আইন যখন ব্যাক্তিতে রূপান্তর হয়, তখন থেকেই সর্বনাশের শুরু।

-----------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

অতিথি লেখক এর ছবি

সম্মানিত শিক্ষকরা দ্রুত জেলের বাইরে আসুন সেটা আমরা অবশ্যই চাই। মহাঅপরাধীরা সব হাওয়া খেয়ে বেড়াবে আর বিনাঅপরাধে অথবা লঘুঅপরাধে (এটা বলার রাইট আমাকে আদালত দিয়েছে কি না সে ব্যাপারে আমি নিঃসংশয় নই) শিক্ষকগণ জেল খাটবেন এটা মেনে নেয়া যায় না।
তাঁদেরকে জেলের বাইরে আনবার একমাত্র বৈধ প্রক্রিয়াটা এখন সম্ভবত মামলা লড়া। এবং সেটা অবশ্যই হতে হবে উচ্চ আদালতে। কিন্তু আমি যদ্দুর খবর জেনেছি, উচ্চ আদালতে মামলা পরিচালনা করবার মতো মোটা অংকের টাকা এঁদের কারোরই নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কয়টাকা বেতন পান আমরা তো সবাই জানি।
এই চারজন শিক্ষকের পরিবার এবং তাঁদের ভালো চান যাঁরা তাঁরা মিলে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছেন ঢাকাস্থ কয়েকজন খ্যাতনামা ব্যারিস্টারের সঙ্গে। কিন্তু তাঁরা কেউই বিনা পারিশ্রমিকে এই মামলাটা লড়তে সম্মত নন। শুনলাম কাল কয়েকজন অন্য আরেকজন ব্যারিস্টারের সঙ্গে এ ব্যাপারে বৈঠক দেবেন। যদি তিনি রাজি হন তো খুবই ভালো হয়।
যদি এই প্রণোদনামূলক কার্যক্রম শেষপর্যন্ত ভেস্তেই যায়, তাহলে হয়ত আমাদের উপর একটা গুরুদায়িত্ব বর্তাবে। যদি অন্তত আমরা সেটাকে ভার মনে না করি।

রাইসুল মুসাফির

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আইনজীবিদের না কতরকম কল্যাণমূলক সংগঠন ও ট্রাস্ট আছে। তারা বিভিন্ন সময়ইতো বিনা পয়সায় মামলা লড়েন।
কিছুদিন আগে ড. কামালও তো বললেন বিনা পয়সায় মামলা লড়বেন, যদিও অন্য প্রসঙ্গে।
এইসব শিক্ষকরাতো একাই এই প্রতিবাদে ছিলেন না। তাদের সহমর্মী আইনজীবিরা কোথায়? সেসব আইনজীবিরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পাশ করেননি? এতটুকু দায় নাই তাদের?
সব কাজে ফি না নিলে হয় না?
জনগণের কাছ থেকে অনুদান নিয়ে তাদেরকে ফি দিলে তবেই তারা মামলা লড়বেন?

হায় বাংলাদেশ!
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হাসান মোরশেদ এর ছবি

পাকিস্তানের আইনজীবিরা কিন্তু সামরিকতন্ত্রের বিরুদ্ধে ভালো লড়ছেন । পাকিস্তানের কাছ থেকে শেখার মতো দুঃসময় ও এলো বাংলাদেশের ।
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

দুদকের মামলায় সরকারপক্ষের উকিল হওয়ার লোভ দেখিয়ে আইনজীবিদের কোলে টানা হয়েছে। (পরেরবার পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা এইটাও শিখবে)।
হাসিনা, খালেদার পক্ষে দলের সদস্য ভালো আইনজীবিও পাওয়া যায়নি।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হিমু এর ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড: তাহের হত্যা মামলার কী হলো? এর ন্যায়বিচার সম্পন্ন করার সদিচ্ছা কি কর্তৃপক্ষের আছে?


হাঁটুপানির জলদস্যু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।