১.
প্রেমের পথ পৃথিবীর কোথাও মসৃণ নয়। উপরের নোটিশঅলা ছবিটা এই চিরন্তন সাবধানী বাণীর চিত্ররূপ। প্রেমিকের জন্য সবসময়ই সমাজ ছুঁড়ে দেয় নানা বাধানিষেধ, হুমকি। হোক সে প্রেম মানুষের জন্য কিংবা এই ছবির মতো কোনো পশুর জন্য। প্রেমিককে সব সময়ই নানা ঝুঁকির মধ্যেই থাকতে হয়। প্রেমিক জুটির সুখ দেখে পৃথিবীজুড়ে খল-দের চোখ টাটায়।
২.
দায়-দায়িত্বহীন প্রেমকে অনেকে 'কাম' বলে চিহ্নিত করে। প্রেমিকদের জন্য সে এক ভীষণ অপমান। কামনা-বাসনা যাই থাকুক তারা নিজেদেরকে মজনুন প্রেমিক হিসেবেই ভাবতে চান। সুতরাং দায়-দায়িত্ব নিতে তারা কখনও ভিরমি খান না। উপরের ছবিতে যে হুমকি তার থেকে বাঁচার জন্য পশু-প্রেমিকেরা পকেটে ব্যাগ নিয়ে ঘুরে বেড়ান। যখনই সবুজ ঘাসের নরোম ছোঁয়া পেয়ে এ্যালসেশিয়ান বা পুডুলটা প্রাকৃতিক কর্ম সেরে ফেলে তখন প্রেমিককে পকেটে হাত দিতে হয়। প্রথমে ব্যাগটাকে গ্লাভস বানিয়ে মলটাকে ধরতে হয়। তারপর মলটা ভেতরেদিকে নিয়ে ব্যাগটা উল্টে একটা গিট্টু দিতে হয়। তারপর সুনির্দিষ্ট ময়লার বাক্সে সে ব্যাগ ফেলতে হয়। এর অন্যথা হলেই কোনো বেরসিক খল ফোন তুলে কর্তৃপক্ষকে কানকথা লাগাবে।
৩.
এই কঠিন দায়িত্ব প্রেমিককেই পালন করতে হয়। মনে হতে পারে এইতো যৌক্তিক সমাধান। কিন্তু প্রেমিকের মনে এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তা নিয়ে সমাজ কিছু ভাবে না। চিত্রালীর সম্পাদক আ. জা. চৌধুরী এ নিয়ে ভেবেছেন। খ্যাতির শীর্ষে থাকা নায়িকা ববিতাকে একদিন টয়লেট থেকে বের হয়ে আসতে দেখে তার এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা মনে পড়ে। তিনি নায়িকাকে বলেন, যদি আপনার সত্যিকার ভক্তদের এই ছবিটা দেখানো যেত যে- 'বদনা হাতে ববিতা' - তাহলে অনেকই হার্টফেল করতো। ববিতাও এই মন্তব্যে সায় দেন।
৪.
সমাজ প্রেমিকদের দিয়ে এমন অনেক কাজ করিয়ে নেয় ঠিকই কিন্তু বুঝতে পারে না এতে প্রেমের কি নিদারুণ অপমান হয়। সহপাঠী এক প্রেমিক-কবির একটা কবিতা পড়েছিলাম, যার ভাবার্থ হচ্ছে, 'তুমিও বাথরুমে যাও, শব্দ করে বায়ু ত্যাগ করো এ কথা জানার পর আমার আর ভালো লাগে না...'
অথচ হাজার পাউন্ডের হুমকির মুখে পশু-প্রেমিকদের দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিষ্ঠার সাথে এরকম একটা হৃদয়-ভাঙা দৃশ্য দেখতে হয়। তারপর শৌচকর্ম ও পয়:নিষ্কাশনের মত কঠিন দায়িত্বও পালন করতে হয়।
এর চেয়ে মৃত্যুদন্ড কি ভালো ছিলো না?
মন্তব্য
- বিগ সি, আপনার টয়লেট মার্কা ছব্লগের জন্য একটা দারুণ ইনফো দেখলাম সেদিন একটা টয়লেটে।
'platz für neue gedanken' - মানে দাঁড়ায় 'নয়া ভাবনাপত্তনের স্থান'। জিনিষটা দেইখাই আমার মনে হৈছে, 'কইছিলো, আমাগো বিগ সি কইছিলো'।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাহ, ধুসর এই পোস্টে প্রথম মন্তব্য করলো।
তা ঠিক...
ত্যাগই হচ্ছে দার্শনিক হওয়ার পথে প্রথম ধাপ।
ত্যাগের স্থান সেরকমই গুরুত্বপূর্ণ বটে।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ঢাকা কলেজের নর্থ হোস্টেলের টয়লেটের একটা দেয়ালে তাই লেখা ছিলো- ত্যাগেই প্রকৃত সুখ!
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
আমার একখান প্রশ্ন
যদি কুত্তার ডায়রিয়া হয় তাহলে কী উপায়? কীভাবে জিনিসটাকে তারা মানে....
ডায়রিয়া বা বমি'র ক্ষেত্রে মনে হয় কিছু জল ঢেলে দেয়াটাই সহজ সমাধান। কিন্তু বাস্তবে কীভাবে তারা এর সমাধান করে সেটা জানার জন্য সত্যকার কুত্তাপ্রেমিককে পুছ করা দরকার।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
হে হে, মজা পাইলাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
খুশি হলাম।
বদনা হাতে ববিতা নামে একটা রম্য-নাটক বানাতে হাত দেন।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
শোমচৌদা ইদানীং ক্যামেরা (বা ফোন) হাতে যত্রতত্র হানা দিয়ে বেড়াচ্ছেন মনে হচ্ছে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আরে যত্রতত্র না, সরকারী পার্কের নোটিশ বোর্ড।
তবে এটা ঠিক। হিমুর মতো ক্যামেরা নিয়ে বের হবো বলে আলাদা কোনো দিন ঠিক করে রাখি না। হিমু এরকম বলে বলে ছবিও দিলো না কাসেলের।
কাঁধের ব্যাগে ক্যামেরা থাকে, নতুবা মোবাইল তো আছেই।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
শোমোচৌ অনেক আগে থেকেই প্রাকৃতিক কর্ম নিয়ে বিপত্তিতে-
কী বলেন এইসব! প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক- তা সে কর্মই হোক আর ধর্মই হোক, এমনকি অকর্ম বা অধর্মই হোক- এখন আমাদের একমাত্র হাতিয়ার। প্রাকৃতিক কর্ম নিয়া জাতি কখনও নীরব থাকে না।
গোটা জাতিরে ঘুঁটা দেয়া স্যালাইন খাওয়ার বিজ্ঞাপন দেখাইলো বিটিভি তাতেই না রক্ষা পাইলাম আমরা।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
জট্টিল!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
পড়ে মজা পেলাম।
সুজন চৌধুরি একটা কার্টুন আঁকতেই পারেন।
এক লোক বদনা হাতে হেঁটে যাচ্ছে টয়লেটের দিকে। ক্যাপশন: আমাদের ত্যাগের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নতুন মন্তব্য করুন