• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

ছোটদের গল্প

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ০৪/০১/২০০৮ - ৫:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছবি: বনের যত পশুপাখিছবি: বনের যত পশুপাখি

“মৌটুসি! মধু টস টস করে পড়ে যার গাল থেকে সেই মধুবন্তী মেয়েটা আমার কই?”
বাবার এই এক স্বভাব। বাসার দরজা খোলার আগেই মৌটুসিকে ডাকাডাকি। মৌটুসির অবশ্যই ভালোই লাগে। মাকে খোঁজার আগে মৌটুসিকে খোঁজে বাবা। মৌটুসি তো এখানেই - খাবার টেবিলে বসে ছবি আঁকছে। কাল, পরশু দুইদিন স্কুল বন্ধ। তারপর স্কুল খুললে প্রতিযোগিতার জন্য ছবি জমা দিতে হবে। এবার ছবি আঁকায় প্রথম হওয়া চাই-ই চাই। আলিভা মেয়েটা ভীষণ হিংসুটে। ও মনে করে ও-ই সবচে’ ভালো ছবি আঁকে। মৌটুসি এবার দেখিয়ে দেবে। তবে ছবির বিষয়টা মৌটুসির একদম পছন্দ নয়: ‘আমার ঘর‌’। ছোটদের আবার ঘর-বাড়ি নিয়ে আমার-তোমার করার কি আছে। বড়রা যে ছোটদেরকে কত ভুল-ভাল শেখায়। ছোটদের একদম বুঝতে পারে না তারা।

“মৌটুসি! মধু টস টস করে পড়ে যার গাল থেকে সেই মধুবন্তী মেয়েটা আমার কই?”
বাবার কান্ড! একই কথা বার বার বলা। যেন বাবাও একটা বাচ্চা। সুর করে ছড়া-কবিতা পড়ছে। আচ্ছা মধুবন্তী শব্দটার মানে কি? হয়তো বাবাই বানিয়েছে শব্দটা। বলা যায় না, বাবা যা পাজি।
তবে বাবার গলাটা মিস্টি। একেবারে মধু ঝরে। কিন্তু এসব মধুমাখা কথায় ভুলবার মেয়ে নয় মৌটুসি । সে ঝটপট ঠিক করে ফেলে কী করতে হবে। বাবার রুটিন মৌটুসির জানা। বাবা মাত্র গেট খুলে ঢুকলো। মা এখন বাবার হাত থেকে বাজারের ব্যাগ নেবে। বাবা তারপর জুতা-মোজা খুলে বাথরুমে ঢুকবে হাত-পা ধুতে। তারপর আসবে এদিকে।

“মৌটুসি, মামণি, দেখো বাবা আজ তাড়াতাড়ি চলে এসেছে।” বাবার কথা দূর থেকে শুনেই ঘড়ির দিকে তাকায় মৌটুসি। সাড়ে সাতটা বাজে। তাড়াতাড়ি তো অবশ্যই। সাড়ে আট-টার আগে বাবা চেম্বার থেকে আসে না। তাড়াতাড়ি আসাতেই তো সব গোলমাল লেগে গেলো। নতুবা খাতা-পেন্সিল গুছিয়ে এতক্ষণে ঘুমিয়ে পড়তো মৌটুসি।
“মৌটুসি, বাবা ডাকছে”। মায়ের ডাকে জবাব দেয়া যাবে না। “আছে ওই ঘরে। ছবি আঁকছে। মাছ-টাছ পেয়েছো? আজ রান্নার দেরি হয়ে গেলো”।
মৌটুসির মা ওর বাবার হাত থেকে বাজার-সওদা নিচ্ছে। বাবা এখন কিছুক্ষণ মায়ের সাথে গল্প করবে। হাতে সময় অল্প। দুই মিনিটের মধ্যে কেটে পড়তে হবে।

দ্রুত রংয়ের বাক্স গুছিয়ে ফেললো মৌটুসি। আধা-আঁকা ছবিটা কোথায় রাখবে। এই কাপবোর্ডের উপরে থাকুক। ডাইনিং টেবিলে রং-টং লেগে নাই তো? মা ভীষণ ক্ষেপে যাবে। স্কুলের ব্যাগটা এখনো এখানে। ওটাকে কাপবোর্ড আর দেয়ালের ফাঁকে ছুড়েঁ দিলো মৌটুসি। নাহ্ শব্দ হয়নি। আর কী, আর কী? জামাটা বদলে শোবার পোষাক পড়তে হবে। মা রাগ করুক, সময় কই?

“মধুস্বরা, মধুগন্ধী, মামণি, দেখো বাবা আজ তোমার জন্য কী নিয়ে এসেছে”? এইসব মিস্টি কথায় বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। ইস্ রে, বাবার পায়ের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। টার্গেট ঠিক রাখা চাই। কোলবালিশটা জোগাড় করেই বিছানায় ঢলে পড়লো মৌটুসি। মাঝখানেই শুতে হবে। মা একপাশে, বাবা একপাশে শোবে; মাঝে মৌটুসি।

বড়রা ঘুমানোর ভান করলে নাক ডাকায়। ছোটদের উপায় কী? দ্রুত ভাবতে থাকে মৌটুসি। বাবা শোবার ঘরে ঢোকার আগেই গভীর ঘুমের ভানে চলে যেতে হবে। কোলবালিশটা জাবড়ে ধরে চোখ-মুখ বালিশে গুঁজে দেয় ও।

“ওহ্ মামণি! বাবা আসার আগেই তুমি ঘুমিয়ে পড়েছো?”
(মুখ লুকিয়ে মুচকি হাসে মৌটুসি। যাক, বাবাকে ঠকানো গেছে। এখন মা-কে না ডাকলেই হয়।)
“চন্দ্রা! চন্দ্রা! মৌটুসি-তো ঘুমিয়ে পড়েছে। রাতে খেয়েছে তো?”
(এ্যাহ! মায়ের নাম মোটেও চন্দ্রা না; মায়ের নাম আনোয়ারা খাতুন। চন্দ্রাটা বাবা বানিয়েছে। বিয়ের আগে মা-কে নিয়ে কবিতা লিখতো বাবা। আনোয়ারা দিয়ে নাকি কবিতা হয় না। তাই চন্দ্রা নাম। মা মোটেও চাঁদের মত সুন্দরী না। তবে ভীষণ চালাক। ধরে ফেলবে নাতো? টেনশনে মৌটুসির হাত-পা টানটান হয়ে আছে।)

“একটু আগেই তো ছবি আঁকছিলো। ঘুমালো কখন? রাতে কিছু খায়ও নি। আমার মনে হয় ভান করছে। তোমার মেয়ে তো”।
(এ্যা! মা কি বুঝে ফেলেছে? তোমার মেয়ে মানে কি? আমি কি শুধু বাবার মেয়ে হতে পারি। মা বেশি কথা বলে তো, যুক্তি ঠিক রাখতে পারে না।)
“আমার মধুক্ষরা মেয়েটাকে এতো অবহেলা? এই লক্ষ্মী মেয়েটাকে দেখে রাখতেই পারছো না। অথচ আরো আরো বাচ্চা চাও”।
(শুধু মা নাকি! আমিও চাই। আমি সবার ছোট, এটা ভালো লাগে না। আমার ছোট একটা ভাই, নাহ্ একটা বোন হলে ভালো হতো। দেখে-শুনে, বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে বড় করতাম। মা-বাবা তো অনেক আগে বড় হয়ে গেছে। ওরা বড় হওয়ার বিষয়গুলো ভুলে গেছে।)
“চাইলেই কি আর বাচ্চা মেলে? তোমার মেয়ের জ্বালায় রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেই পারছি না। এইটুক বিছানায় তিনজন শোয়া যায়? বললাম একটা বড় বিছানা কেনো। না হয় মিস্ত্রি ডেকে বিছানাটা একপাশে বাড়িয়ে নাও।”।
“তোমার যা বুদ্ধি। বিছানা বড় করলে কী লাভ? তখন দেখবে বিয়ে না দেয়া পর্যন্ত তোমার মেয়ে আর আমাদের বিছানা ছাড়ছে না।”
(এ্যা! তোমার মেয়ে। এবার দেখি বাবা বলছে মাকে। নাহ্ বাবার বুদ্ধিটা কমেই যাচ্ছে। আমি কি কখনও বিয়ে করবো? প্রশ্নই ওঠে না। মা-বাবার সাথেই সারাটা জীবন এই বিছানায় কাটিয়ে দিতে হবে। মা-বাবাকে ছেড়ে অন্য জায়গায় যাওয়ার কি মানে? অন্য মানুষ কি মা-বাবার মতো হয়?)।
“তা হতে পারে। তোমার মেয়ে তো। তুমি তো কলেজে পড়া পর্যন্ত মায়ের সাথে ঘুমাতে”।
(হি হি হি। জোরে হাসা যাবে না। বাবা দেখছি আমার চেয়েও বাবু ছিলো।)

“আরে না। আম্মার গল্প শুনে তুমি বিশ্বাস করলে? আম্মাই ভয় পেতো। আব্বা যখন কয়েকদিনের জন্য মফস্বলে যেতো, তখন গিয়ে মায়ের বিছানায় ঘুমাতাম”।
(মৌটুসি না দেখেও বুঝতে পারে বাবা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। মা যা দুষ্টু। কায়দা করে মানুষকে লজ্জায় ফেলে দেয়।)
“খামোখাই মৌটুসির ঘরের জন্য এতো টাকা খরচ করলে। তিনমাস ধরে পরে আছে। আজকে আবার কী কিনে এনেছো?”
(থাকুক পরে। তিনমাস কেন তিনবছরেও আমি ওই ঘরে ঢুকবো না। আমি ছোট না? আমি কি আর একা একটা ঘরে ঘুমাতে পারি। আমি ঘুমাবো মা-বাবার মাঝখানে।)
“দোকানে এই বালিশটা দেখে ভাল্লাগলো। দেখো একেবারে একটা কাছিমের মতো। মিস্টি একটা হলুদ আর সবুজ রং দিয়ে আঁকা। বাচ্চাদের এখন খুব সুন্দর সুন্দর জিনিস পাওয়া যায়”।

(হাহ্ বাবাটা বাচ্চা বাচ্চা আছে। কাছিমের মতো বালিশ। যাক। ভালো আইডিয়া। এটাতো আমার মাথায় আসেনি। ‘আমার ঘর’ ছবিটা আবার আঁকতে হবে। বালিশ কাছিমের মতো। কোলবালিশটা তরমুজের মতো। বিছানাটা কলাগাছের ভেলার মতো। বুনো লতা দিয়ে ঘেরা মশারি। ছাদে ওড়াওড়ি করছে নানা রকম পাখি। মেঝেতে গোল কার্পেটের জলাশয়ে পানি খেতে এসেছে হরিণ ও বাঘ। রোদ পোহাচ্ছে কুমির। আর ঐ যে মশারির ধার দিয়ে বুনো লতা। তাতে ঝুলছে শিম্পাঞ্জি। ছবিটার জন্য একটা নামও পেয়ে যায় মৌটুসি। ‘টারজান-কন্যা মৌটুসির পালকি ঘর’। নাহ্ টারজান নামটায় বাবা আপত্তি করতে পারে। জঙ্গল-কন্যা। ‘জঙ্গল-কন্যা মৌটুসির পালকি ঘর’। নামে যখন পালকি আছে তখন ঘরটা পালকির মত দুললে ভালো হতো। কিন্তু ঘরকে দোলানো যাবে কীভাবে? পালকি শুনলে কেমন বউ-বউ মনে হয় না? মৌটুসিতো কখনো বিয়ে করবে না। পালকি বাদ। কী হতে পারে তাহলে? পালকি-ঘর বদলে হোক দোলনা-ঘর। ‘জঙ্গল-কন্যা মৌটুসির দোলনা-ঘর’। ঘরে একটা বড় দোলনা থাকতে পারে। আচ্ছা বিছানাটাই দোলনার মতো হতে পারে না? শুয়ে এপাশ-ওপাশ করলে দুলবে। সাথে পাহাড়ি সুর বাজবে। পাখির কিচির-মিচির। নদীর কলকল ধ্বনি।)

ছবিটা এখন আঁকলেই ভালো হতো। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যদি এতো কিছু মনে না থাকে। না থাকলে নাই। মা-বাবা চলে গেছে খাবার ঘরে। একটু একটু ক্ষুধা লেগেছে কিন্তু ঝুঁকি নেয়া ঠিক হবে না। বরং ঘুমিয়ে যাওয়াই ভালো। ...আয় ঘুম ঝেঁপে...স্বপ্ন দেবো মেপে...

ছবি-আপাটা ভীষণ দুষ্টু। আজকে অহেতুক লজ্জা দিলেন মৌটুসিকে। মৌটুসি ভালো মানুষের মত টিচার্স কমনরুমে গেছে আপার সঙ্গে দেখা করতে। যদি বিষয় বদলে অন্য কোনো ছবি আঁকা যায়। আমার ঘর বিষয়টা মৌটুসির ঠিক পছন্দ না।

“কেনো এটা তোমার পছন্দ নয় মৌটুসি। তোমার ঘরটা কি তোমার অপছন্দ?”
ছবি-আপার প্রশ্ন শুনে আমতা আমতা করতে থাকে মৌটুসি। বাসায় ওর জন্য একটা ঘর ঠিক করা আছে। কিন্তু সে ঘরে তো মৌটুসি থাকে না। থাকবে কেন? ওর ভালো লাগে মা-বাবার সাথে ঘুমাতে। আর পড়ালেখা করার জন্য তো ডাইনিং টেবিলটা অনেক বড়ো। আলাদা ঘরের কি দরকার?
“আমি আসলে মা-বাবার সাথে ঘুমাই”। মৌটুসি ভাবনা-চিন্তা করে জবাব দেয়।
ছবি আপা তখন ফিক করে হেসে দেন। “তাই নাকি মৌটুসি”।
এটুকু পর্যন্ত ঠিক ছিলো।

কিন্তু তারপর ছবি-আপা সব আপাদেরকে ডেকে জড়ো করলেন। মুচকি হাসতে হাসতে সবাইকে বললেন, “জানেন আপারা মৌটুসি এখন ক্লাশ থ্রিতে পড়ে। কিন্তু এখনো মা-বাবার সাথে এক বিছানায় ঘুমায়”। এই কথা শুনে সবাই হা হা করে হাসতে লাগলো।

“আচ্ছা কার পাশে তুমি শোও মৌটুসি? মায়ের পাশে না বাবার পাশে”? প্রশ্নটা করলো ইংরেজি আপা। এই আপাটা মহাদুষ্টু। চোখ দেখলে বুঝা যায় ছোটো থাকতে আরো দুষ্টু ছিলেন।
হাহ্ এটা একটা প্রশ্ন হলো? মনে মনে ভাবে মৌটুসি। আর হাসাহাসি দেখে রাগও হয় ওর।
“আমি, মা ও বাবার মাঝখানে শুই”। একটা একটা শব্দ ধরে ধরে মৌটুসি জবাব দেয়।

“হি! হি! হি! হা! হা! হা!”। কমনরুম কাঁপিয়ে হাসছে আপারা।

মৌটুসির ভীষণ লজ্জা পায়। ও এক দৌড়ে বেরিয়ে আসে। নাহ্, আমার ঘর ছবিটাই আঁকতে হবে। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে আরো হাসাহাসি করবে আপারা। তারচেয়েও খারাপ হবে যদি ক্লাশে এসে আপা এ কথা সবাইকে বলে দেয়। খুব লজ্জার হবে। তখন ক্লাশের সবাই ওকে নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করবে। আলিভা যা মিচকে, কার্টুন আঁকবে হয়তো। কার্টুনে দেখা যাবে; বিছানার দুই পাশে মা-বাবা বসে রাতভর ঝিমাচ্ছে, দেয়াল ঘড়িতে রাত তিনটা। আর মাঝখানে মৌটুসি গাধার মত নাক ডাকিয়ে ঘুমাচ্ছে। নাহ্, আরো খারাপ কিছু ও আঁকবে। মাইশা হয়তো ওর বাবার অফিস থেকে সেই কার্টুন ফটোকপি করে আনবে। তারপর সারা স্কুলে বিলি করবে দুই ফাজিল মিলে।

(দ্বিতীয় পর্বে সমাপ্য)


মন্তব্য

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ছোটদের গল্প সাধারণত একটু রূপকথা ঘেঁষা হয়। বাস্তবতার কাছাকাছি থাকে না। এতে নাকি ছোটদের সৃজনশীল চিন্তার পরিধি বাড়ে।
তবে বাস্তবতার বাইরে তো জীবন নয়। ছোটরাও বাস্তবতার মাঝেই বড় হয়। সেরকম গল্পও হতে পারে। এ নিয়ে ব্লগে একবার কথা চালাচালি হয়েছিলো। সুমন চৌধুরী চমত্কার একটা গল্প শুরুও করেছিলো। শেষ করেনি।
গল্প লেখার মত ধৈর্য আমার কম। তবু এই চেষ্টা করলাম।
পাঠকদের মন্তব্য ও পরামর্শ পেলে ঘষামাঁজা করবো, এরকম একটা ইচ্ছা। অর্থাত আশা ছাড়ি নাই এখনও।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পুরোটা এক নিশ্বাসে পড়েছি। দারুন হচ্ছে। মাঝে একবার একটু ঝুলে গিয়েছিল (শুয়ে শুয়ে চিন্তা করছে যখন)। তবে মোটের উপর ঝাক্কাস। আমি অবশ্য আগ্রহী হয়েছি মৌটুসী নামটা দেখে। :)

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

থ্যাংকু!
এই ঝুলাঝুলির জায়গাগুলোকে প্লাস্টিক সার্জারি করতে হবে। গল্প লেখার অনেক হ্যাপা।
বাকী পর্ব পড়ে চূড়ান্ত মন্তব্য কিন্তু চাই। আরো একটু বড় করে।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

অভিনন্দন পেয়ে খুশি।
তবে কঠিন কাজ বলে পার পাওয়া যাবে না। আরো স্পষ্ট মন্তব্য চাই গল্পের বিষয়ে। এটা আমার লেখা দ্বিতীয় গল্প কিনা। তাই সন্দিগ্ধ।
প্রথম গল্প লিখেছিলাম কলেজে থাকতে, সে গত শতাব্দীর কথা।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আজকাল বাচ্চাদের জন্য লেখালেখি বড়ো কমে যাচ্ছে ।
অরূপের সাথে একমত ।
ছোটদের জন্য লেখাটা বড়োসড়ো একটা কঠিন কাজ ।
দেখা যাক , গল্প কই যায় ।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আরিফ সম্পাদকের মন্তব্যও সংক্ষিপ্ত। ভালো লক্ষণ না।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

জাফর ইকবালের ভাষায় বড় মাপের লেখকেরা ছোটদের জন্য কম লেখেন শিশু-শিল্পী তকমা লেগে যাবার ভয়ে!!
হা হা হা.....কথাটা হয়তো খাঁটি। আসলেই অনেক কম লেখা হয়।
আপনার লেখাটা ভালো হ্চ্ছে। আমার অবশ্য মনে হয়েছে যেন একটু পাকামো করছে মেয়েটা। তবে এমন যে নেই তা নয়। কাজটা নিসন্দেহে কঠিন। আপনাকে সাধুবাদ।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

হুম তা ঠিক। পাকামো করছে। এটাই ওর চরিত্র মনে হচ্ছে। তবে এও গল্পের কারণেই। পাকামো করা ঠিক নয় ধরনের একটা মেসেজ আছে গল্পে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

নজমুল আলবাব এর ছবি

আজকালকার পিচকাগুলা পাকনা কিসিমেরই। পড়ে খুবই ভাল লেগেছে। যাদের ঘরে পিচ্চি আছে তাদের ভাল লাগবেই। তাই বলে বিগ সি আবার বইলা বইসেননা, ‌‌'তাইলে কি বাচ্চাছাড়াদের ভাল লাগবেনা।' তাদেরও লাগবে।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

যাক নজমুল আলবাবের মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
শেষ পর্ব দিতে হয়।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

Shafiqil Islam Khan এর ছবি

আমাকে সচল করলে কি হয় শুনি?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আপাতত পড়লাম না। দ্বিতীয় পর্ব এলে পুরোটা পড়বো একসাথে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? :-?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।