২.
সুতরাং এইবার আমাকে পার করবেন আশা করি লুই বোর্হেস। অনুবাদের নামে কবিতার ইট ভাঙানিতে যায়া বুড়া আঙুলে ফোস্কা ফালাইতে চাই না। সাবঅল্টার্নের সাহিত্যরুচির উপর আমি কখনও আস্থা হারাই নাই এই ঘোষণা শুধু নীলক্ষেতে চোলাই খাইয়া আমি দিছি এমন কমপ্লেইন কোনো ব্রডশিট নিউজপেপারের সাংবাদিকও দিতে পারবো না। চোথা মারার জন্য ছেঁড়া ফাটা বই আমারে গুলশানের আলিশান বাড়ির ঝুলবারান্দায় দাঁড়াইয়া কোনো নাগরিক কবিয়াল দেয় নাই। আমার একমাত্র ভরসার জায়গা বল্টু জব্বারই দিছে।বলাকা সিনেমাহলের চান্দি ছুঁইয়া ঝুলতে থাকা নিকাবের মতন সম্পূর্ণ রঙিন ব্যানারটারে ব্যাকগ্রাউন্ডে রাইখা নীলক্ষেতের চিপাগলিটাতে বল্টু জব্বার পরশুদিন যখন আমার হাতে ধরায়া দিলো কোটেশনের বইটা আমি দেখলাম সিনেমাহলের মাথা বরাবর উঠছে রমজানের চান্দ। তার হাত ধইরা কইলাম ভবে সাবঅল্টার্নের মর্যাদা আমি ছাড়া ক্যাডা বুঝছে। মুখে যাই কই না, পাতা উল্টাই তাড়াতাড়ি আর যখনই বোর্হেসের আয়না বিষয়ক উদ্ধৃতিটা চোখে পড়লো তখনই ওর বুকপকেটে সবুজ নোট একটা চাইপা ঢুকাইয়া দিলাম। কানে কানে কইলাম, এইরকম আর কোনো বই দেখলে আমার জন্য রাইখা দিবি, ভুলেও কিন্তু আজিজ মার্কেটের কাউরে দেখাইবি না।বোর্হেস নমস্য, আমারে তিনি ক্ষমা দিবেন, সম্পাদকের মাথা নোয়ায়া ফালানোর আশায় গল্পের প্রথম লাইনটায় বোর্হেসের উদ্ধৃতির মূল ধারণারে পাইড়া ফালাইলাম জব্বারের বলির দেশি কায়দায়।
এই আয়নার সামনে দাঁড়ালে লুই বোর্হেসের কথাটাই পরিত্যাজ্য মনে হওয়ার সম্ভাবনা নিরানব্বই ভাগ।বোর্হেস আমাদেরকে জানান যে, ‘আয়না ও যৌনসঙ্গম পরিত্যাজ্য কারণ দুটোই মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে’।কিন্তু অন্ধকারের ঘন ছায়ায় ঝিমাতে থাকা তেল ঝোলের চিটচিটে আস্তরণে ধূসর রং পাওয়া এই আয়নাটা আর পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র মেনে প্রতিবিম্ব তৈরি করে না।আরশির এই বিকলতার তথ্য অলৌকিক কায়দায় বোর্হেসের জেনে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তিনিও আমার মত কেবলমাত্র লেখক।
সম্ভবত: আবু আলীও জানে না। প্রতিদিন ফজরের সময় মাথার টুপিটা ঠিক করে বসাতে অভ্যাসবশত:ই এই আয়নার সামনে দাঁড়ায় আমাদের গল্পের মূল চরিত্র আবু আলী। পায়ের ঘন্টার উপর পর্যন্ত সাদা জোব্বা পরা আবু আলীকে তখন টেবিল ল্যাম্পের মৃদু আলোর ব্যাকলাইটে দেবশিশু মনে করে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।ঘরের ঘুসঘুসে অন্ধকার তার পিঠের পেছনে একজোড়া ধবল পাখা থাকার সম্ভাবনাকে শুরুতেই বাতিল করে দেয়।বস্তুত: তার কাঁধে ঝুলে থাকে জীর্ণ হয়ে যাওয়া ব্যাকপ্যাক।
জোব্বার নীচে সস্তা প্যান্ট আর রং চটা কেডস্ পাঠকের কল্পনাকে উড়াল থেকে আরো নিচে যেখানে নামিয়ে আনবে সে জায়গাটা পূর্ব লন্ডনের একটা কাউন্সিল ফ্ল্যাট।আবু আলী ছাড়াও এই ঘরে আরো মানুষ বসত করে তা নিশ্চিত, জনসংখ্যা উতপাদনের হারটাও রাজা-মায়া পূর্ববর্তী বাংলাদেশের সমানই হবে হয়তো। তবে এই আয়না সেই উচ্চহারের পেছনে অবদান রেখেছে এ কথা শার্লক হোমসেরও মনে হবে না।বোর্হেস আমাকে ক্ষমা করবেন।
দ্বিতীয় কারণ সঙ্গম এখনও গল্পের আওতায় আসেনি তাই সে বিষয়ে বোর্হেসকে ছাই দিয়ে ধরা অশোভনতার পর্যায়ে পড়ে। তবে আবু আলীর কাঁধের পেছন দিকে উঁকি দিলে চৌকাঠ পার হয়ে দৃষ্টি যাবে পাশের ঘরে কিং সাইজ বেডে একই ডুভে’র নীচে চাপ চাপ অন্ধকারের মাঝে শুয়ে থাকা একটি পুরুষ ও একটি নারী শরীরের আদলে। তাদেরকে আবু আলীর মা-বাবা হিসেবে অনুমান করে নেয়াই স্বাভাবিক। সিংহভাগ নিশ্চিতও হওয়া যায় যখন টুপিটা পছন্দমত কৌণিক ভঙ্গিতে বসিয়ে আবু আলী গৃহত্যাগের উদ্যোগ নেয়।
- লাইটটা অফ করে দরজাটা বন্ধ করে যাও বাবা।
আবু আলী নি:শব্দে মাতৃআজ্ঞা অনুসরণ করে। ঘরটা আগের মত ঘন অন্ধকারে ফিরে যায়। তারপর খুট করে ইয়েল তালার নিরাপত্তার আওয়াজ, দরজাটা বন্ধ করে আকাশের দিকে ঘুরে দাঁড়ায় আবু আলী। অক্টোবরের সকাল,আধো আলো আধো কুয়াশা ঢাকা আকাশটাকে মদরাসার ময়লা হয়ে যাওয়া সামিয়ানার মতই বাতিল মনে হয় আবু আলীর।মাফলারটাকে গলার ওপর আরেকটু চেপে ধরলেও ঠান্ডা বাতাসটাকে খেলার ছলে নাক দিয়ে টেনে নিয়ে মুখ দিয়ে সরু করে ছুঁড়ে মারে আবু আলী।বাতাসে নিজের কৃতিত্বের ধোঁয়ারেখাটা দেখে ওর চোখের কোণে প্রশান্তির ঝিলিক ফুটে।বিগ ক্লোজ আপে আবু আলীর চোখকে টিনেজ বালিকা দর্শকদের কাছে দেবশিশুর চোখ বলে ভ্রম হয়।
৩.
একটা বাসস্টপের পোলে ঝুলে আছে ল্যামিনেটেড করা সাদা কাগজের নোটিশ।
শিশুদের চোখের দৃষ্টি সীমানার অনেক উপরে।ছ’ ফুটি কোনো মোটা মাথার কাজ নিশ্চয়ই, বিয়ার খাওয়া ভুঁড়ির জন্য হয়তো যথেষ্ট নিচু হতে পারেনি লোকটা।কেউ অবশ্য দাঁড়িয়েও নেই বাস স্টপে, শুধু দশ-বারো বছরের ব্যাকপ্যাক পিঠে এক ছাত্র ছাড়া।
কোনো বাড়তি ফার্টিলাইজার না ছিটাইলেও গল্পের চারাটা ফুটতে পারতো ঠিক এই ৩ নং প্যারা থাইকা। কিন্তু সহজ সরল ওয়াজে গল্প আম-জনতার পাঠযোগ্য হইয়া জনপ্রিয়তা পায়া গেলে বড় লেখক হওয়ার পোঙামারা।এইসব সিল-ছাপ্পড় থাইকা পশ্চাতদেশ বাঁচানোই হইলো বোদ্ধা সমালোচকের নজর পাওয়ার একমাত্র তরিকা। সাহিত্য পদক ফদকের লোভ আমার নাই এইটা সবাই জানে, নতুন কিছু না। ফোকাস এখন অন্য জায়গায়। কী গল্প কওয়া হইলোর চাইতে কেমতে গল্পটা বয়ান হইলো - তার দিকেই তর্জনি উঁচায়া আছেন লেখা সাপ্লাইকারক সাহিত্য পাতার সম্পাদকেরা। ইট সুড়কির কনস্ট্রাকশনের বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙা ডিকনস্ট্রাকশনের এইসব কুম্ভীরের মত ক্ষমতার পাতা সম্পাদকের চাবাইয়া খায়া ফালানোর হাত থাইকা বাঁচতে হইলে কিংবা অনলাইলে সঞ্চালনের আশা জআইয়া রাখতে হইলে গল্পের কলকব্জাও খুইলা গল্পে ছড়াইয়া ছিটাইয়া দিতে হয়।বাজারে যেমন ডায়াল ছাড়া ঘড়ি পাওয়া যায় যার কলকব্জার বেশরম নড়া-চড়া দেখা যায় চোখের সামনে ঠিক সেইরম গল্প লেখারও ফ্যাশন এখন এইটাই। কলকব্জা খুইলা মেইলা গাড়ি দৌড়ানি।
ক্যামেরা বাজারে আসার পর পেইন্টারদের আপদ সৃষ্টির ঘটনাটাও মাথায় রাখা জরুরি। ফটোগ্রাফি শুরু হইলে ছবি আঁকার বাজারের তো আইজুদ্দিন অবস্থা। ক্যামেরার চাইতে রাজকুমারীর জুলফি ভালো কইরা আঁকবো ক্যাডা? তখন বিমূর্ত-ফিমূর্ত ছবি নামায়া বিপদ ঠেকা দেয়া গেছে।এখন আবার নয়া ঝামেলা উজাইছে ডিজিটাল ক্যামেরার সাথে ফটো এডিটিং সফটওয়্যারের ভোজবাজি।কোনটা ফটোগ্রাফ আর কোনটা পেইন্টিং কওয়াই মুশকিল।গল্প লেখাটা টেকনোলজির থাবার বাইরে ছিলো কিন্তু অখন সস্তা সফটওয়্যারে ভইরা গেছে দুনিয়া। ক্রিয়েটিভ রাইটিং কোর্স আর সেইরম একটা সফটওয়্যার থাকলে হলিউডি সিনেমার স্ক্রিপ্ট কিংবা পেঙ্গুইনের লিটারেচার নামতে থাকে স্রাবের মতন। খোদ বাংলাদেশে মেগা-গিগা ধারাবাহিক নাটক নামায়ে দিতাছে বিগতাযৌবনা নায়িকার চ্যাংড়া নাগর। মুফতে সাইড আর্টিস্টের সাথে আউটডোরে ফস্টি-নস্টিও চলছে দেদারছে। রিয়েল রাইটারদের ভাগ্যাকাশে শুধু বর্ষন ছাড়া গর্জন। মেঘ দেখতে দেখতে ঘাড় ব্যথা করে ফেলানো কালিদাসও এখন চাইয়া চিন্তা চা-সিগ্রেট খায়। কলম কামড়াইয়া ভাস্কর্য বানায়ে ফেললেও কেউ পুরান নামটা ভুলতে চায় না।
এই ঘোর আপদের কালে এই গল্পটারে সাহিত্য পাতায় ধরাইতে হইলে কলকব্জা ট্রিটমেন্ট ছাড়া উপায় নাই। ।
(পরের পর্বের আগাম উঁকি)
যতই আঁতেল দর্শকের মত স্টিল ফটোগ্রাফির ফ্রেমে চোখ সেঁটে বসে থাকি না, ঘুম ঘুম চোখ আর ভারী ব্যাকপ্যাক নিয়ে নুয়ে পড়া এই শিশু ছাত্রটি নোটিশের দিকে তাকাবে বলে মনে হয় না। বরং আমাদের নিজেদেরই উদ্যোগ নিয়ে পড়ে নিতে হবে নোটিশটা।
মন্তব্য
কলকব্জা দেয়া আছে মানে পাঠক কোনো মন্তব্য করবেন না তাতো না। উদারতার সাথে কি-বোর্ড চাপাচাপি করেন। পাঠকের মন্তব্যে লেখকের কোনো আপত্তি নাই। শুধু লেখা যোগানদার সম্পাদকদেরই ভয়।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
এইটার আগের পর্ব আগে পইড়া লই। তারপরে মন্তব্যের বন্যায়, ভেসে যাবে ....
ভাষাশৈলী দেখে মনে হচ্ছে, একটানে পড়ে ফেলা যাবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমি হইলাম পাঠক। পাঠ করি... পাঠের মসলা না পাইলে উত্তেজিত হয়ে যাই...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
অন্য ধাচের গল্প
আরো আসছে,শেষ পর্যন্ত পড়ি
বলাই, অপেক্ষায় রইলাম। ঢাকায় জোর বৃষ্টি। বন্যা হয়ে গেছে টুইকেনহাম , গ্লস্টারশায়ারেও।
আলবাব ভাই, পাঠ নিশ্চয়ই করেছেন। এখন উত্তেজনার কী অবস্থা?
অপালা, আরো আসবে তা আশা করা যায়, কিন্তু কী ফর্মে আসবে তার কোনো গ্যারান্টি নাই কিন্তু। সব পাঠকের দোয়ায় চলে, আল্লার রহমতও আছে কইছেন এ্যাডকমের গীতি আরা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
নতুন এক মাত্রা যোগ হলো। সৃষ্টি অবলোকন এবং প্রসব বেদনা দুই মাত্রারই বিশ্লেষন। ফ্যশনটা টেকে কিনা তা পাঠকরাই বলবে! আমার অন্তত: ভাল লাগছে।
××××××××××××××××××××××××××××××××××
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
হুমম।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হিমু শুধু হুমম-ই কইলো। এইটা অনেকটা আলিফ লাম মিমের মত অয়া গেছে। নিষিদ্ধ করা দরকার।
অরূপ, যাক বুড়া আঙুল। বাঙালি কায়দার বুড়া আঙুল না বিদেশি কায়দার তা বুঝা দরকার আছে। তবে মাঝের আঙুল না দেইখা শান্ত হইলাম।
রেজওয়ান, আপনি কিনছিলেন নাকি সেরকম ঘড়ি। আমার এক বন্ধু আনছিলো বিদেশ থাইকা তার ছোট ভাইর জন্য। তার মা আমার কাছে দু:খ কইরা কইলো ছো্টভাই জন্য ঘড়ি আনছে দেখো এইডার ডায়াল পইড়া গেছে।
কেউ দেখি সহজে পরামর্শ দিতে চায় না। পরামর্শ দিলেই কি উপদেষ্টা বানাইয়া দিবো। এত আশা করা ভালো না।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
পড়তাছি (আসলেই)
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
উত্তেজনা শেষ হইলেও নতুন কলকব্জাসমেত গল্পের জন্য বেচাইন হাইছে। আপনার এইটা পড়ার পর থেকে কলকব্জাহীনগুলারে কেমন মেড়মেড়া লাগে...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
শোহেইলভ মতাহারস্কিকে আবারো জাঝা ।
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সুমন চৌধুরী পড়তাছি কইয়া কই গেলো।
নজমুল আলবাব, এইটা কি কইলেন, "আপনার এইটা পড়ার পর থেকে কলকব্জাহীনগুলারে কেমন মেড়মেড়া লাগে..."
এসএমসোলায়মানের ‘ইলেকশন ক্যারিকেচার' নাটকের অভিজ্ঞতা মনে করায়া দিলেন। সফি স্যারের প্রণোদনায় পর্দা না ফালায়া এক দৃশ্যের পর পরের দৃশ্যের সেট বদলানো হইছিলো নাটকে। দর্শককে নাকি বোকা ভাবতে নাই। দর্শক জানে পর্দার আড়ালে কি হয়। উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র আমরা তখন। কথাটা শুনেই বুঝলাম এইরকম কথা আগে শুনি নাই। কিন্তু দর্শক সারা নাটক ধইরা চেঁচাইয়া গেল 'এ্যা বেটা পর্দা ফালা বে!'
তারপর বহু বছর গেছে। এখন আর পর্দা ফালানো নাটক ভালো লাগে না। আপনার মত মেড়মেড়া লাগে।
হাসিব, গল্পে কোনো রাশিয়ান কানেকশন নাই কিন্তু। ব্রিটেনের সাথে কূটনৈতিক সমস্যা যাইতেছে। এখন এইসব ক্লু দিয়েন না। এমআই ফাইভ কেজিবির মত কসাই না হইলেও সুবিধার না।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
মার ডালারে .................. উত্তম ঝাজা
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
বাহবাহ
সচলায়তনে একই সাথে 'কলকব্জা সহ' এবং 'কলকব্জা ছাড়া' দুই ঘরানার গল্পই সমাসীন হচ্ছে ঘোষনা দিয়ে ।
একসাথে দুই ঘরানার কারিগরী কর্মকৌশল পর্যবেক্ষন করার সুযোগ পেয়ে বিশেষ প্রীত বোধ করছি ।
কারিগর সাহেবকে ধন্যবাদ
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অমি রহমান পিয়াল, মন্তব্যে যে কলকব্জার ইশারা দিলেন তার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। দেখি কোনোভাবে কাজে লাগানো যায় কিনা। সংশোধন করলে হয়তো ভালো হতো। যাক শুভেচ্ছা।
হাসান মোরশেদ, বাংলা ব্লগের পাঠকপ্রিয় লেখক, আপনার মন্তব্য দেখে আমিও প্রীত হলাম। কলকব্জা ছাড়া গল্প কোথায় দেখলেন? ওহ, সুমন রহমান পরে তার গল্পের শিরোনাম বদলেছেন, কারণটা অবশ্য বুঝতে পারিনি। তবে এই লেখাটা সম্পর্কে আপনার আরো রেসপন্স আশা করছি। পরের পর্বগুলোতেও উঁকি দিয়ে যাবেন আশা করি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
গল্প, এবং বলার ধরন, দুইটাই বেশ ভাল লাগছে। চালিয়ে যান!
ওক্কে জনাব গল্পকার এবার সত্যি বলিঃ
আমি আবু আলীকে পড়তে চাই । আবু আলী'র গল্প স্বচ্ছন্দে এগিয়ে যাক ।
গল্পের হাড় কংকাল গল্পের সাথে জুড়ে দেবেন কি দেবেন না সেটা গল্পকারের স্বাধীনতা । পাঠক হিসেবে আমি আমার অধিকার সচেতন ।তাই গল্পকারকে অগ্রীম সতর্কতা, আপনি আপনার স্বাধীনতা ভোগ করতে গিয়ে যেনো আমার হোঁচট না খাওয়ার অধিকার ভংগ না করেন ।
আবু আলীর সাথে আমি এগিয়ে যেতে চাই ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ইশতিয়াক রউফ, তার বাক্য কম্পোজ করার ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক। যারা লক্ষ করেননি তার এই কলকব্জা তাদেরকে জানাই সত্য সত্য যন্ত্রপাতির কলকব্জাও তিনি ভালো চেনেন।
তার একটিমাত্র বাক্য তার সব বলার কথাগুলো বলে। যতি চ্হ্নি হিসেবে আছে কমা, দাঁড়ি ও বিস্ময়বোধক চিহ্ন। গল্প ও গল্প বলার ভঙ্গি দুটোরই প্রশংসা করছেন তিনি।
হাহ, ইশতি, আপনাকে শুভেচ্ছা।
হাসান মোরশেদ, যিনি কলকব্জা নিরপেক্ষ গল্প লেখেন, তিনি আবু আলী চরিত্রের বিকাশের বিষয়ে সোচ্চার। তিনি চান তার প্রিয় চরিত্রের এগিয়ে যাওয়ার কাহিনী। কলকব্জায় তার অনাগ্রহ।
হাসান মোরশেদ, শুভেচ্ছা আপনাকেও।
একটা মাত্র গল্পে সবার সব আশা পূরণ করবার বিশাল জটিল সমীকরণ মিলাতে বসি এখন।
এনি মোর!
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আচ্ছা ডাইমেনসন তো আরও আসতে পারে। আবু আলির কথাই ধরেন। সেতো দুই সমাজের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। এক সমাজ যা সেকেন্ড জেনারেশন বাংলাদেশী যারা নিজেদের ব্রিটিশ বলেই মনে করে এবং আরেক সমাজ যারা জেনারেশন নির্বিশেষে লন্ডনকে সিলেটেরই এক্সটেনশন হিসেবে ধরে নেয় (ইন্টিগ্রশন সমস্যা)।
সেকি ব্রিক লেন গল্পের নাজনীন হবে যে গল্প শুনে ইন্টিগ্রেশন বিরোধী ব্রিকলেন বাসী মাইন্ড খেয়েছিল। সেকি সেই সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করবে যাদের ট্যাকল করতে ব্রিটিশ সরকার অন্য ভাষায় খুতবা নিষিদ্ধ করতে চাইছে।
অথবা সেকি আমাদের এটিই দেখাবে যে সে বাবা-মাকে ডিফাই করে আইয়ামে জাহিলাতের ব্রিটিশ সমাজকেই তার বিকাশের জন্য উপযুক্ত বলে মেনেছে।
অধিক ইংরেজী শব্দ ব্যবহারের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। ঘুম আসছে তাই মাথা কাজ করছে না।
বি:দ্র: সেরকম ঘড়ি দেখেছি : সোয়াচ - বন্ধুর কাছে।
----------------------------------
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
- আমি আপনার উপর সেন্টু খাইছি শোমচৌদা।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রেজওয়ান, আপনি গল্পে আছেন। মানে গল্পের ভেতরে ঢুকে গেছেন। এক আবু আলীকে গল্পে রেখে কি কি ভাবে গল্প বিকশিত করা যায় তা ভাবছেন। এখানে এই প্রশ্নটা এসে যায়। যখন গল্প লেখক থেমে যান, পাঠকও কি থেমে যায়। যে গল্পের শেষে লেখকের সাথে পাঠকও থেমে যায় তাকে আমরা বেশি প্রশংসা করবো নাকি যে গল্প শেষ হয়ে গেলেও পাঠক থামে না। তার মনে নতুন নতুন গল্প চলতে থাকে-সেই ধরণের গল্পের জন্য আমরা হাততালি দেব। (এক্ষেত্রে রবীঠাকুরকে সাক্ষী মানা যায়।)
অনেকগুলো বিকল্প পরিণতি নিয়ে প্রশ্ন করেছেন আপনি রেজওয়ান। এতে বুঝা যাচ্ছে গল্পটা আপনি না লিখলেও এই পরিবেশ থেকে যত গল্প হতে পারে তার সম্পর্কে আপনার একটা ধারণা আছে। আরেকটু এগিয়ে গিয়ে বলা যায়, চেনা পরিবেশ নিয়ে দশ-পাঁচটা গল্প লিখে দিতে পারেন যেকোনো পাঠক। পাঠকও তো কলম-কালিহীন লেখকই। কিন্তু গল্পের পরিবেশনটাই হয়তো চেনা গল্পকে মন ডুবিয়ে পড়ার মত তাজা করে তোলে।
আবু আলীর গল্প পাঠককে পুনর্বয়ান করাটা আমার একমাত্র উদ্দেশ্য না। প্রায় সমান একটা উদ্দেশ্য হলো গল্পের বয়ানে কী কী কলকব্জা প্রয়োগ করা যায় তা নিয়ে পাঠকের সাথে বাতচিত। এ এক খোলা মঞ্চ নাটক।
আপনাকে ধন্যবাদ।
ধুসর গোধূলি, রুমনের লেখায় বড় করে প্রশংসা করে এলাম তাও সেন্টু। পরের ভ্রমণ কাহিনীতে ধুসরের কথাও বলে দিবো কিন্তু।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
যাক, ইমরুল হাসান।
জটিলগুলোরে সরল আর সরলগুলোরে জটিল লাগে নাই অন্তত।
শুভেচ্ছা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
মনোলগের ব্যবহার লক্ষণীয়। ভালো লেগেছে স্টাইলটা।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
ইস্টাইলটা কঠিন লাগছে। চলুক। পরে পোস্ট আকারে মন্তব্য দেয়া যাবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নতুন মন্তব্য করুন