নির্বাচনে যারা জয়ী হয়েছেন তাদের খুশির ঢোল তো বাজছেই। আমরা সহানুভূতির চোখ জুম করি যারা আজকে বারে বারে চোখ মুছছেন তাদের দিকে।
অনেক পত্র-পত্রিকাতেই আজ পাওয়া যাবে নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত যাদের হয়েছে তাদের তালিকা। ১০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন প্রার্থীরা। নিজের এলাকায় প্রদত্ত মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ যারা পাননি তারা আর এই দশ হাজার টাকা ফেরত পাবেন না।
তবে আমার দু:খ একটাই - দেশব্যাপী সম্ভবত: সকল সিটে আট ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম ভোট পাওয়ার পরও একটি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে না। হবে না কারণ কোনো জামানত রাখেই নি নির্বাচন কমিশন। সেই প্রার্থীর নাম - উপরের কেউ নয়। এই না ভোট - জামানত হারিয়েছে।
আমি না-এর সমব্যথী নই। সমব্যথী ব্লগ ও ব্লগারদের। খবর পেয়েছিলাম সচল মাসকাওয়াথ আহসান নির্বাচনে প্রার্থী। আজ কষ্টের সাথে জানলাম যে তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৫০১। এবং যথারীতি জামানত বাজেয়াপ্ত।
মাসকাওয়াথের কাছে নিশ্চই জবাব আছে। তবে আমার সহব্লগারকে আমি শান্তনা দেব না তা হয় না।
শান্তনার বাণীটি হচ্ছে, নির্বাচন করে লেখক-কবিরা বিজয়ী হন না। কাজী নজরুল ইসলাম ও নির্মলেন্দু গুণ এর প্রমাণ। সুতরাং মাসকাওয়াথ, বেদনার কিছু্ নাই। আজকে শান্তনা এই - আপনি হারিয়া প্রমাণ করিলেন আপনি প্রকৃত লেখক, আপনি ব্লগার।
মন্তব্য
৫০১ ভোট! সমবেদনা জানাবো নাকি শুভকামনা জানাবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না!
শোমচৌ'দার কণ্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলছি, "আপনি হারিয়া প্রমাণ করিলেন আপনি ব্লগার।"
গরীবের আবার সিগনেচার!!!
প্রিয় চৌধুরী
কিছু মনে করবেন না।
আপনার এই লেখাটা ভালো লাগেনি।
এধরনের শান্তনা মাসকাওয়াথেরো ভালো লাগার কথা না
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ভালো / খারাপ, জয়-পরাজয় নিয়েই দুনিয়া।
মাসকাওয়াথ উদ্যমী যুবক - সে নিশ্চই ফলাফল সম্পর্কে আগাম ধারণা রেখেই নির্বাচন যুদ্ধে নেমেছিল। আমরা তাকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছি।
তাই বলে একটু রঙ্গ-তামাশাও করা যাবে না। মাসকাওয়াথ অবশ্যই এতটা নিরস কাঠখোট্টা নয় বলেই ধারণা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
এবার আওয়ামী লীগের জন্য সময় অনেক বেশি পিছলা। মানুষের আশা এবার অনেক বেশি। সর্বান্তকরণে কামনা করি, হাসিনা সফল হোন মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে। তিনি সফল হলে তার লাভ, আওয়ামী লীগের লাভ এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের লাভ। 'না' ভোটের মত একটি অপশন সৃষ্টিতে আওয়ামী লীগের ভূমিকা অন্য কারো চেয়েই কোনো অংশে কম না।
এতদিন বিএনপির রাজনীতি ছিলো পাবলিকের আওয়ামী বিদ্বেষের ফসল। এখন পাশার দান উলটে আওয়ামী লীগের বিজয় পাবলিকের বিএনপি-রাজাকারবিদ্বেষের ফসল। স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়া দলটির এজন্য লজ্জিত হওয়া উচিত। আমাদেরও ব্যাড লাক, আমরা এমন রাজনীতিবিদ পাই না, যারা অন্যের চেয়ে নিজে ভালো কাজ করে ভোট চায়; বরং অন্যের খারাপ কাজের ওপরে ভিত্তি করে তাদের হাত পাততে হয়। ৯৬-০১ টার্মে আওয়ামী লীগ এমন কিছুই করে নি, যাতে পাবলিক তাদেরকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে। ইন ফ্যাক্ট, ০১ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মত দলও ৬২ সিট পেয়ে জনগণের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়। বিএনপি-রাজাকার জোটের শাসনামল বা পরবর্তিতে তত্ত্ব সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ ক'বার পাবলিকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, অত্যুৎসাহী আওয়ামী লীগাররা হাতের আঙুলে সে সংখ্যাটিও একবার গুণে দেখতে পারেন। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ নিজের ভালো কাজের যোগ্যতায় ২৬২ সিট পেয়েছে, এটা বললে হেমায়েতপুরের লোকজনও মনখুলে হাসবে।
'না' ভোট কখনোই একটি স্থিতিশীল অবস্থার অনুঘটক নয়। তারপরেও পরিস্থিতির সাপেক্ষে 'না' ভোট অপশনটির যৌক্তিকতা শেষ হয়ে যায় না। আমার আসনে এবার শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়েছেন। আগের নির্বাচনেও তাই। পরে তিনি আসনটি অন্য একজনের হাতে তুলে দেন, যিনি বিরোধী দল দূরে থাক, আওয়ামী লীগের একজন অসাধারণ জনপ্রিয় নেতা হত্যার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ আছে। এতকিছুর পরেও আমি ভোট দিলে নৌকায়ই দিতাম; কারণ একটাই 'রাজাকার ঠেকাও', যদিও আমার কাছে প্রার্থী বা দল বিচারে 'না' ভোটই বেস্ট চয়েজ। এখন এতগুলো সিট পাওয়া আওয়ামী লীগ যদি ৯৬ এর চরিত্র এবারও প্রদর্শন করে, তাহলে নেক্সট ইলেকশনে দেখবেন 'না' ভোটের হার কেমন হয়। সে অবস্থার দিকে দেশ না যাক, নেক্সট ইলেকশনে 'না' ভোট অপশনের দরকার না হোক, খোঁড়া যুক্তিতে স্বৈরাচারের সাথে জোট বাঁধা আত্মবিশ্বাসহীন আওয়ামী লীগের সুবুদ্ধি হোক, আত্মবিশ্বাস বাড়ুক,, চাটুকারদের চামচামির ওপরে দেশের স্বার্থকে স্থান দিন শেখ হাসিনা - এই কামনা করি।
মাসকাওয়াথ ভাইকে অভিনন্দন। দলমতের উর্ধে উঠে অর্ধ-সহস্রাধিক মানুষ তাকে ভোট দিয়েছেন, এটাই বা কম কি?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমার ধারণা বিকল্প ধারার নির্বাচনী সতেজতা হঠাৎ কমে গিয়েছিল। নতুবা মাসকাওয়াথের আরো ভালো একটা অভিষেক হতো নির্বাচনী যুদ্ধে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
বলাই'দার প্রতিটি কথার সাথে একমত।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
পুরোপুরি একমত।
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ব্যক্তিগতভাবে শোহেইল মোতাহিরকেও চিনিনা, মাসকাওয়াথ আহসানকেও না - কিন্তু আমি ঠিক নিশ্চিত নই, এই পোস্টে আসলেই মাসকাওয়াথ আহসানকে সান্তনা দেয়ার কোন উদ্দেশ্য ছিলো কি না! যদি থেকেও থাকে, লেখার ভঙ্গিতে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। বরং, কেমন যেন .........
তার চাইতে -
এই কথাটা অনেক ভালো!
লেখার ধরনটা ভালো লাগেনাই... যদিও আমি পোস্টের লেখক বা চরিত্র কাউকেই চিনিনা, তবুও লেখককে বলছি কাউকে এইভাবে স্বান্তনা না দিলেও পারতেন...
স্বান্তনা যদি দিতেই হয় তবে বলাইদা'র মতই দেয়া উচিৎ...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
উপরে কিছু সচলের রক্ষণাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখে আমি অবাক।
মাসকাওয়াথের মত উঁচু মানের প্রার্থীর সমব্যথীরা যদি এরকম একটা ফলাফল মানতে এত ব্যথা পান। তাহলে খালেদা জিয়া ও বিএনপি'র প্রতিক্রিয়া নিয়ে হাসি কেমনে?
বিএনপি'র বিরাট বিরাট নক্ষত্রের পতন হয়েছে। তারা তাহলে মুখে হাসি এনে কীভাবে ফলাফল মেনে সংসদে যাবেন।
জনগণের রায়কে সহজে মেনে নেবার সংস্কৃতিতো চালু করতেই হয়। আমি না হয় রঙ্গটা আমাদের মাসকাওয়াথকে নিয়ে করেছি।
কেউ হয়তো বি. চৌধুরীকে নিযে করবে। কেউবা সাইফুর রহমানকে নিয়ে।
এবং পরের নির্বাচনে হয়তো আসবে একেবারে উল্টা চিত্র।
তখন হয়তো মাসকাওয়াথকে আমরা সম্বর্ধনা দেব। এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নিয়ে এফডিসি-র সিনেমার কায়দায় মেলোড্রামাটিক হলে কি হয়।
আসুন মাসকাওয়াথের মনোবল চাঙা করি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আচ্ছা, রক্ষণাত্মক মানে কী? প্রোটেক্টিভ? হুমম ... কাউকে না চিনেও তার সম্বন্ধে প্রোটেক্টিভ হওয়ার নির্দেশ এফ ডি সি'র 'সাতদিনে মেলোড্রামা শিক্ষা' নামক পুস্তিকায় ছিলো কি? নাহ্, মনে পড়ছে না ঠিক ......
যাই হোক,
লেখাটির গড় রেটিং দেখে আমি একটু অবাক হলাম। তবে দুজনকেই যেহেতু চিনি তাই পোস্টের ধরন আর এর সম্পর্কে করা মন্তব্যগুলোর মধ্য যোগসূত্র পেলামনা।
এসএমসি'র রাজনীতি নিয়ে লেখাগুলোয় নিজস্বতা থাকে, এটা সেধরনের পোস্ট নয়। ব্যঙ্গ নয়, লেখাটি পড়ে বরং আমার মনে হয়েছে তাঁরা দুজনকে বেশ ভাল করেই চেনেন বলে এমন করে লিখেছেন।
লেখা এবং তার প্রতিক্রিয়া দেখে মজা পেলাম । এসএমসি যদি নির্বাচনে দাড়ান তাহলে ৫০১ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা কম দেখা যাচ্ছে ।
ওয়েল , মাসকাওয়াথ ভাইয়ের জন্য সান্তনার প্রয়োজন থাকার কথা নয় । তিনি নিশ্চয়ই জানেন যে বিকল্প ধারার ব্যানারে নির্বাচন করে জামানত থাকার কোন কারনই নেই ।
তবু তিনি নির্বাচন করেছেন । তিনি পরিবর্তনের একটা চেষ্টা করেছেন , সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে জনগনের সামনে গেছেন । এই উদ্যোগ গ্রহন করায় আমি তাকে অভিবাদন জানাই ।
নির্মলেন্দু গুনের নির্বাচন আর মাসকাওয়াথ আহসানের নির্বাচন তাই এক বিষয় নয় । নির্মলেন্দু গুন নির্বাচন করার সাথে কোন কিছু বদলে দেয়ার কোন চেষ্টা ছিল বলে তখনকার কোথাও দেখিনি , তিনি জাস্ট নির্বাচনে দাড়িয়েছিলেন ।
কিন্তু মাসকাওয়াথ একজন তার্কিক , যুক্তিবাদী মানুষ । আমার কাছে মনে হয়েছে একটা পরিবর্তনের আশা থেকেই তিনি নিজেকে জনগনের সামনে একটি অপশন হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন । আমি নিশ্চিত তিনি যদি সংসদ সদস্য হতে পারতেন , সেটা কল্যানকর হতো , তিনি একজন যোগ্য এমপি হতে পারতেন ।
অচ্ছুৎ এর মতো আমিও বলতে চাই , এই দলবাজ স্রোতে দলমতের উর্ধে উঠে অর্ধ সহস্রাধিক মানুষ মাসকাওয়াথকে সমর্থন করেছেন সেটা অনেক বড় ব্যাপার । এতো মানুষকে কনভিন্স করতে পারা সহজ কথা নয় ।
মাসকাওয়াথ নির্বাচন করেছেন একটি নির্দিষ্ট দলের প্রার্থী হিসেবে ঐ দলের প্রতীক নিয়ে । তাকে যারা ভোট দিয়েছেন তারা তো ঐ দলের সমর্থক হওয়ারই কথা ।
'দলমতের উর্ধে উঠে' তারা মাসকাওয়াথ ভাইকে সমর্থন জানিয়েছেন , এটা কিভাবে জানা গেলো?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মাসকাওয়াথ আহসান নিজেই হয়তো ব্যাপারটা এভাবেই লিখতেন।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
যে যাই বলুন, মাসকাওয়াথ ভাই কিন্তু পথ দেখিয়েছেন ... ... ভবিষ্যতে আরো বেশি বেশি যোগ্য লোক নির্বাচনে দাঁড়াবে - এই আশা করি।
আর নির্বাচিত সরকার বেশি টাল্টিবাল্টি করলে জনগণ ঠিকই আফসোস করবে যে কেন ভাল লোকটাকে ভোট দিলাম না .... ... পরের বার এই ভুল করবো না।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
জনগনের সাথে ধানাই পানাই করে আর কেউ টিকে থাকতে পারবে বলে মনে হয় না।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
এটা তো জানতাম না। প্রেরণাদায়ী লেখাটার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
নির্মলেন্দু গুণের নির্বাচন নিয়ে জানতে আগ্র্রহী। কেউ একটু বলেন।
'৯১ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে নমিনেশন না পেয়ে গুন কুমীর প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন তার বাড়ীর আসন থেক । ভোট কয় শো পেয়েছিলেন এখন আর মনে নেই ।
নির্বাচনী প্রচারণায় আমাদের কবিরা দল বেঁধে গিয়েছিলেন । প্রত্যন্ত এক গ্রামের সভায় কবি রফিক আজাদ( অথবা অন্য কেউ) বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যদি ও সেখানে উচ্চ বিদ্যালয় ছিলোনা ।
গ্রামের লোকজন অবশ্য কবিদের আদর আপ্যায়নের কম করেনি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
রাজনীতি খারাপ জিনিস - কবিরেও মিথ্যা বলতে বাধ্য করল !
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
মাসকাওয়াথ ভাইকে তো সরাসরি চিনি না। তবে আমি গর্ব বোধ করি মাসকাওয়াথ ভাইয়ের মতো একজন রুচিশীল ব্লগার প্রচলিত চরিত্রহীন রাজনীতি প্লাবনের বিপক্ষে প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করার সৎসাহস দেখিয়েছেন। আমাদের লজ্জা যে, আমরা একজন শিক্ষিত মুক্তচিন্তক প্রতিনিধিকে জামানত বাজেয়াপ্ত করিয়েছি। অন্যদিকে আমাদের প্রাপ্তি এটা যে ৫০১ জন ব্যক্তিকে অন্তত পেয়েছি যাঁরা এই প্রতিকুল স্রোতের সহযোদ্ধা হিসেবে এসে দাঁড়িয়েছেন। এই পাঁচশ'জনকে আমি পাঁচলক্ষের চাইতেও অধিক মূল্যায়নে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
মাসকাওয়াথ ভাই, স্রোতের বিপরীত যাত্রীরা শূন্য থেকেই শুরু করেন। কাউকে না কাউকে শুরু করতেই হয়। এই শুরু করার হিম্মতও সবাই দেখাতে পারে না।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এই ৫০১ জন লোক আসলে কারা?
ঐ ৫০১ জন আমাদের জাতীয় বীর।যারা মাসকাওয়াত ভাইয়ের কথা বুঝেছিলেন!
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
একজন প্রার্থী নিজে, বাকি ৫০০ জন সম্মানিত ভোটার ।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
নিশ্চয়ই ঐ ৫০১ জন সাদা পোশাকে পিয়াইয়ের স্পেশাল ফ্লাইটে করে করাচি থেকে এসে ভুট দিয়ে গেসে...দাঁড়ান কুলদা রায়কে জিগাই...
অটঃ ৩০০ নামে একটা মুভি আছে, ৫০১ নামে আরেকটা হলে ক্ষতি কী?
ভাই সাবিহ ওমর,
আপনার এই মন্তব্যের মর্তবাটা কি বুঝিয়ে বলবেন?
কোন এক পোষ্টে মাসকাওয়াথ আহসানের নির্বাচনী ব্যায় সম্পর্কে কুলদা রায় জানতে চেয়েছিলেন, সেখানে মাসকাওয়াথ জানিয়েছেন এবং ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ব্যাখ্যা পছন্দ না হলে ঐখানে এটা নিয়ে কথাবলার সুযোগ ছিলো।
৫০১ এটা হোক আর ১টাই হোক মাসকাওয়াথ যে ভোট পেয়েছেন সেটা তার নির্বাচনী এলাকার ভোটার- এরকম আলটপকা ব্যাঙ্গবিদ্রুপ ঐ ভোটারদের প্রাপ্য নয়।
মাসকাওয়াথ কিংবা অন্য যে কারো পোষ্টে যদি কোন দ্বিমত থাকে সেটা লাইনে থেকে করবেন। কারো মতামত ভালো না লাগলে তার সবকিছু নিয়ে রঙ্গরসিকতা, ব্যঙ্গবিদ্রুপ করা সচল সংস্কৃতির বিরোধী।
এখনো পূর্ণসচল হননি, সংস্কৃতিটা বুঝার চেষ্টা করবেন। কেবল বিদ্রুপ তামাশা রঙ্গ রসিকতার জন্য বাংলা ব্লগের সংখ্যা কম নয় এখন।
আমি সিরিয়াসলি মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষন করছিঃ
সচলায়তনের শুরুতে একটা অলিখিত নিয়ম করা হয়েছিলো কোন পোষ্টে প্রাসংগিক কথাবার্তা ছাড়া অন্য কিছু গ্রহনযোগ্য হবেনা। আয়েশী কথাবার্তা, রঙ্গতামাশা, ব্যঙ্গবিদ্রুপ, সমালোচনা করার জন্য আড্ডাঘরের ব্যবস্থা ও রাখা হয়েছিলো। যে সকল সচল, অর্ধসচলের ঐসবে আগ্রহ বেশী তাদের জন্য আড্ডাঘরটা খুলে দিন দিনে একবার করে। অন্ততঃ পোষ্টগুলো এতে লাইনে থাকবে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন