বিডিআরদের কাছ থেকে হাতে লেখা যে ১০ দফা দাবী পাওয়া গেছে তাতে আসলে ৯টি দাবী আছে। সেসব দাবীর এক নম্বর বা মূল দাবী হচ্ছে সেনা অফিসার প্রত্যাহার এবং বিসিএস ক্যাডারে নিজস্ব অফিসার ভর্তি।
অন্য যেসব দাবী তা তাদের বেতন-ভাতা-রেশন-চাকুরির সুবিধা-অবসরকালীন সুবিধা সংক্রান্ত।
সুতরাং একথা স্পষ্ট যে, মূল দ্বন্দ্বটা বিডিআরের মাথার উপরে বসে থাকা সেনা অফিসারদেরকে নিয়েই। শ্রমিকের সাথে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ/মালিকের, সৈনিকের সাথে সেনা কর্মকর্তার, প্রভুর সাথে ভৃত্যের বিরোধ চিরন্তন। এসব সম্পর্ক শোষক ও শোষিতের সম্পর্ক। এক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব ঐতিহাসিক।
বিডিআরের ক্ষেত্রে এই দ্বন্দ্বে নতুন মাত্রা হলো তাদের শাসকগোষ্ঠী বহিরাগত। সব শাসকরাই নীতিহীন। কিন্তু বিডিআরে সাময়িক পদায়নে যাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুকুর চুরির। সে দুর্নীতির একটা বয়ান পাওয়া যাবে বিবিসি-তে দেয়া বিডিআর জওয়ানের সাক্ষাৎকারে।
দ্বন্দ্ব-বঞ্চনায় শোষিতের চাপা ক্ষোভের বহি:প্রকাশ হয় প্রতিবাদ বা বিদ্রোহে। বিডিআরের কাছে যেহেতু অস্ত্র-শস্ত্রও আছে সেহেতু তারা বুলেটের ভাষায়ও কথা বলেছে। তাতে হয়েছে প্রাণক্ষয়ও। কিন্তু এসবের বিচার করতে হবে পরে।
এখন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ রাইফেলস নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। এই ভাবনার মূল বিন্দু হচ্ছে এর স্বায়ত্ত্বশাসন।
এই পরিপ্রেক্ষিত্রে এখন দুটি প্রশ্ন প্রধান হয়ে দেখা দিচ্ছে:
১. দেশের সীমান্ত পাহারার দায়িত্ব সরাসরি সেনাবাহিনীকে দিয়ে রাইফেলসকে কি অবলুপ্ত করা যায়?
২. অথবা নিজস্ব কর্মকর্তা নিয়োগ করে বিডিআরকে একটি স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা যায়?
পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথা অনেক তর্ক-বিতর্ক দরকার।
মন্তব্য
চেনা-জানা কোন দেশে একথা শুনিনি। সীমান্ত রক্ষার জন্য সব সময় আলাদা বাহিনী থাকে।
আপনার চেনা-জানা কোন কোন দেশে সীমান্ত রক্ষার জন্য আলাদা বাহিনী আছে আর কোন দেশে নাই?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, শুধুমাত্র যুদ্ধের সময়ে সেনাবাহিনী সীমান্তে থাকতে পারবে । শান্তির সময় সীমান্তে থাকবে আধাসামরিক বাহিনী । রেফারেন্স দিতে পারছিনা দুঃখিত, কথাটি এই বিষয়ে জানেন এমন একজন আমাকে বলেছেন । খুঁজলে রেফারেন্স পাওয়া যাবে হয়ত সহজেই ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সীমান্ত পাহারা দেওয়ার জন্য আলাদা বাহিনীই দরকার। বিডিআর থেকে সেনাবাহিনীকে পৃথক করার কিছু টেকনিক্যাল ঝামেলা আছে।
বিডিআরের প্রশিক্ষন একটা সামরিক বাহিনী পরিচালনার পদ্ধতি, গোয়েন্দাগিরি বা অন্য কিছু শেখায় না সম্ভবত।
তাই সেনাশিক্ষিতরাই এই পদগুলোতে বসে।
এখন বিডিআর থেকেই কর্মকর্তা নিতে হলে তাদের আলাদা যে প্রশিক্ষন দিতে হবে তা আরেকটা সেনাপ্রশিক্ষনের সমান।
আর হিসাব শুধু এখানেই না... হিসাবের আরো একটা পার্ট আছে। সীমান্ত এলাকায় বড় রকমের কিছু দূর্ণীতি হয়। সেগুলোর ভাগ বাটোয়ারাও একটা বড় ব্যাপার...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভারতের বিএসএফ-র হোমড়াচোমড়ারা ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে আসে, নাকি বিএসএফরেই তা কেউ জানেন? আমার জানা দরকার।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের ওয়েবসাইট দেখুন এখানে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
যেমন আছে তেমনই রাখা উচিত। "মানসিকতা" ও "সততা"র অভাবের কারণে অর্গানোগ্রাম পরিবর্তনের পক্ষপাতী আমি না। ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা একটু মানবিক ও সৎ হলে এমন কিছু ঘটতো না। এ-কারণেই আমি এই ঘটনার ভিত্তিতে বিডিআর-এর কাঠামোগত সংস্কারের বিপক্ষে আমি।
অর্থাৎ আপনি মনে করছেন ক্ষোভটা যদিও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তবু এর মূল লক্ষ বর্তমান ডিজি মে.জে. শাকিল।
তার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, বা বিডিআর সদস্যরা যে জুলুম ও মানসিক নির্যাতনের কথা বলছে তাই এই ক্ষোভের কারণ।
তাহলে প্রশ্ন ওঠে যে এই ক্ষোভ ডিজিএফআই বুঝতে পারলো না কেন?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমি বলবো, মূলত ডিজি শাকিল এবং সেই সাথে সেনাবাহিনীর উপরের দিকের কর্মকর্তাবৃন্দ (যারা যেনেও কিছু করেননি)। ডিজিএফআই তো আছেই। এই প্রতিষ্ঠানটার কুকর্মের জন্য পুরো জাতিই ভুগেছে, ভুগছে।
আমার মনে হয়, ডিজিএফআই ভাবেনি যে এমন কিছু হতে পারে। বছরের পর বছর ধরে যা খুশি করে আসছে, কেউ এদের কিছু বলেনি। এদের চোখে বিডিআর-এর জওয়ানরা কুকুর-বেড়ালের চেয়ে উন্নত কিছু না। এরা হয়তো ভাবেনি যে বিডিআর প্রতিরোধ গড়বে।
হ। ওদের কাজ জানি কি? "ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স"? নাকি "কাউন্টার পাবলিক ইন্টেলজেন্স"?
আমি সম্পূর্ন সহমত
এই ব্যাপারে আমি সহমত ।
আজকে বিবিসি বাংলায় একটা সাক্ষাতকার শুনলাম, প্রাক্তন বি ডি আর মহাপরিচালক জেনারেন রহমানের । তিনি বললেন তিনি নাকি অত্যন্ত অনুগত বাহিনী হিসেবেই বি ডি আর কে পেয়েছিলেন ।
প্রায় একই কথা বলেছেন আরেক প্রাক্তন ডি জি জেনারেল ফজলু ।
এসব দেখেই আমি মনে করছি সমস্যাটা বর্তমান কর্তৃপক্ষকে নিয়ে, ঢালাও ভাবে সব সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে না ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ভাই এনকিদু, এরকম সব ধরনের প্রধানরাই বলে থাকেন তাদের আমলে জিনিসপাতি খুব ভালো ছিলো, বিড়ালে আর ইদুরে এক বাটিতে দুধ খেতো ইত্যাদি । তাদের কথায় আসলে কিছু আসলে প্রমান হয় না ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বিডিআরের ছত্রপতিদের তাদের আচরনে এক চিমটে সততা আর এক মুঠু মানসিকতার উন্নতি আসলে একটু ইউটোপিয়ান চিন্তা । বিডিআরের মধ্যকার দুই শ্রেনীর সংঘাত কিন্তু ভিন্ন বাস্তবতা নিয়ে হাজির থাকে সবসময় যেখানে একটি সুবিধাভোগি শ্রেনী আরেকটি শ্রেনীর ওপর ছড়ি ঘোরায় ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ইত্তেফাক বলছে বিডিআর প্রধান সহ আরো ১৩ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। খবরাটা অতি ভয়ংকর।
বিডিআরের সেপাইরা সেনাবাহিনীর সেপাইদের চেয়ে অনেক বেশি ধূর্ত এবং চৌকস। সীমান্তে নানারকম লেনদেন করে তারা অভ্যস্ত। তাদের নিষ্পাপ ও কচি মনে করার কোন কারণ নেই। তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের চেয়ে এক ধাপ ধূর্ত ও চৌকস অফিসারের প্রয়োজন। সেটা বিসিএস ক্যাডারে অফিসার নিয়োগ করে প্রশিক্ষণ দিয়ে করানোর কোন দরকার আমি দেখি না। সেনা অফিসাররা তো বরাবরই বিডিআরের কমান্ডে ছিলো।
আমার কাছে গোটা ঘটনাটা মনে হয়েছে, একটি আর্থিক দুর্নীতির বখরা নিয়ে গন্ডগোল। বিডিআরের এই জওয়ানরা সেই দুর্নীতির এগজিকিউশনে ছিলো, কিন্তু প্রতিশ্রুত "বোনাস" তারা পায়নি। এই ক্ষোভ বিস্ফোরিত হয়েছে। এর পেছনে যদি কোন দুর্নীতিপরায়ণ অফিসার থেকে থাকে, সে শুধু দু'টি বাহিনীকেই বিপন্ন করেনি, সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাকে এবং সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দেয়া উচিত।
আর বিডিআর জওয়ানরা কেন বলে দেবে, কে কিভাবে তাদের কমান্ড করবে? তারা কি বিডিআরের নিয়মকানুন জেনে বিডিআরে যোগ দেয়নি? সশস্ত্র বাহিনীতে এই আহ্লাদ চললে সেটা তো মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য।
দূর্ণীতির কথা উঠলে বিডিআর কম ধরা খাবে তা কেন? বরঞ্চ সবগুলো বাহিনীর মধ্যে বিডিআরই দূর্ণীতিতে এগিয়ে আছে বলে আমজনতা বিশ্বাস করে। চোরাচালানির পুরোটা বিডিআরের উপর নির্ভরশীল। সেটা সবাই জানে। বিডিআরের সিপাহীরা মানবেতর জীবন যাপন করে, অসহায় তারা... এসব ঠিক বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হিমুর মন্তব্য বিশেষ করে দুর্নীতির বখরা প্রসঙ্গটি খুবই গুরুত্বপূর্ন।
কমান্ডে কে থাকবে এটা নিয়ে বাকী বক্তব্যের সাথে সহমত।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমিও হিমুর কথার সাথে একমত । এরকম কিছু একটা আমিও উল্লেখ করেছি আমার লেখায় এবং বিডআর জওয়ানদের সাক্ষাৎকারে তাই মনে হয়েছে।
_____________________
জাহিদুল ইসলাম
এডমনটন, আলবার্টা, কানাডা
http://www.ualberta.ca/~mdzahidu/
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
খুবই যৌক্তিক কথা।
.................................................................................................................
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
ভুল বলেননি। তবে বখরার গণ্ডগোল মাঝে মাঝে হয় বলেই আমরা দূর্নীতির কথা মাঝে মাঝে জানতে পারি। ১-১১ ও তো এক অর্থে বখরার গণ্ডগোল!
আমার মতে বিডিআরকে আর্মিতে আত্মীকরন করা যাক । তাহলে সবাই আর্মি , কোন সমস্যা নাই ।
তারপর আর্মির শাস্তি হিসেবে বদলিগুলো হবে হিলট্র্যাকে , আর পুরস্কার হিসেবে বিডিআর এ ।
যারা মিশন কম করেছে , তাদেরকে বিডিআর এ দিয়ে পুষিয়ে দেয়া হবে ।
দাবি যুক্তিসঙ্গত না হলে অর্গানোগ্রাম বদলের কোনও কারণ দেখি না।খালি কয়েকজন অফিসারের কারণে এত কিছু বদলের দাবি ওঠাটা একটু রহস্যময়।তবে আমি যতদূর জানি আর্মি থেকে বিডিআর এ যাওয়াটাকে অনেকটা ডিমোশন হিসাবে দেখা হয়।একজন মানুষ তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের জন্য যতখানি করবে, অনিচ্ছা সত্ত্বেও অন্য জায়গায় যাওয়ার পর তার থেকে আমরা সেই সার্ভিস আশা করতে পারি না।তবুও এক্ষেত্রে আমার মনে হয় চেইন অফ কমান্ডটা শক্ত থাকা উচিত। বিডিআর এর ডিজি-র জবাবদিহিতা থাকবে কারও না কারও প্রতি।হয়ত চিফ অফ স্টাফ। সেই চিফের জবাবদিহিতা থাকবে রাষ্ট্রপ্রধানের উপর। রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা থাকবে তাদের যারা নির্বাচন করেছে, সেই জনগণের প্রতি। রাষ্ট্র যখন ক্ষমতাকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে, আর সেই ক্ষমতার পাহারাদার হিসাবে যখন পেটোয়া বাহিনীর উপর নির্ভর করতে হয়, তখনই সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে।
বিডিআরকে সায়ত্ত্বশাসিত করা অসম্ভব না হলেও, বেশ সময়ের ব্যাপার। সেই সময় এবং সংশ্লিষ্ট ঝামেলা পোহানোর পর আমরা কি বেশি কিছু অর্জন করতে পারব ?
অস্ত্র সমর্পণের দৃশ্য দেখে এক রকম স্বস্তি তৈরি হলো।
কিন্তু বিদ্রোহীদের সব গ্রুপই অস্ত্র সমর্পণ করেছে কিনা বা করতে রাজি কিনা তা স্পষ্ট নয়।
অস্ত্র সমপর্ণের অনুষ্ঠানে সাহারা খাতুনের মানবিক বক্তব্য খুব ভালো লাগলো।
তিনি মা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন যে বিডিআরের জওয়ানদের ওপর সেনাবাহিনীর আক্রমণ হবে না।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
BDR কোন যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর অধীনে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করতে পারে। সে-কারণেই তাদের সেনাবাহিনীর অধীনে রাখা প্রয়োজন। (যদি ভুল না জেনে থাকি)
যুদ্ধের নিয়ম আর শান্তির সময়ের নিয়ম এক হয় না মনে হয়। যুদ্ধের সময় একজন সিভিলিয়ানকেও সেনাবাহিনীর নিয়মে চলতে হয়। আর যুদ্ধ করার জন্য কি বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সের অধীনে সায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হওয়া যথেষ্ট নয় ?শান্তির সময়েও সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হতে হবে ?
বিডিআর আধা-সামরিক হলেও একটি "সশস্ত্র" বাহিনী। সে-কারণেই বিডিআর সেনাবাহিনীর অধীনে থাকে যুক্তিযুক্ত।
আমাদের সেনাবাহিনী আকারে অত বড় না বলেই এমনটা। আকারে বড় হলে এমনটা হত না, যেমনটা ভারতের বেলায় দেখা যায়।
একটা সংগঠনে যখন একটা নিজস্ব সংস্কৃতি গড়ে ওঠে তখন অনুসঙ্গ হিসেবে আরোও কিছু বিষয় চলে আসে যার একটি হলো আত্মসচেতনতা । এই আত্মসচেতনতাই বিডিআর সদস্যদের নিজেদের "বিডিআর" আর সেনাসদস্যদের "সেনাসদস্য" হিসেবে ভাবতে শেখায় । এখন একটা প্রতিষ্ঠানে যখন এই দুই জাতের আত্মসচেতন জনসংখ্যা থাকবে এবং এর মধ্যে একটি শ্রেনী যখন আরেকটি শ্রেনী থেকে সুস্পষ্ট ও অবধারিতভাবে এগিয়ে থাকবে তখন এই দুই শ্রেনীর মধ্যে সংঘাত অনিবার্য ।
এখন ভবিষ্যতে এধরনের অসন্তোষ-সংঘাত এড়ানোর একটাই রাস্তা খোলা আছে বলে মনে হয় । সেটা হলো দুই পক্ষকে পুরোপুরি আলাদা করে দেয়া, অর্থাত বিডিআরকে পুরোপুরি স্বায়ত্বশাসন দিয়ে দেয়া । অপর অপশনটি যেটা পোস্ট লেখক বলেছেন সেটা হলে বর্তমান অবস্থারই একটা ভিন্ন রূপ হবে । পার্থক্য যেটা হবে সেটা হলো বিডিআরদের তাদের নামটা বিসর্জন দিতে হবে এবং সেটা এমন একটা পক্ষের কাছে যাদের তারা পছন্দ করতে পারছে না ।
শ্রেনী বিষয়ে একটা প্রাসঙ্গিক উক্তি - "তোমাদের কোনো পয়েন্ট হবে না। তোমরা সামরিক বাহিনীর লোক না। তোমাদের পয়েন্ট উত্থাপন হবে না।" - বিডিআর মহাপরিচালক বিডিআরের প্রতিনিধিরা তাদের দাবিদাওয়ার কথা বলতে পয়েন্ট চাওয়ায় উত্তরে একথা বলেন । সূত্র ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সহমত।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
স্বায়ত্তশাসন জরুরী কি না সেটাও একটা প্রশ্ন।
এই কাঠামোটা এই মুহুর্তে ব্যর্থ মনে হচ্ছে কারণ দুর্নীতিবাজ বিডিআরপ্রধান ও অদক্ষ অফিসারদের জন্যে। কিন্তু এটা সবসময়ের চিত্র নয়। এই কয়জনের ব্যর্থতার কারণে পুরো সিস্টেমে বদল ঘটানো দরকার মনে হয় না। এর চেয়ে জরুরী হচ্ছে যোগ্য হাতে দায়িত্ব দেয়া।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
বিগ সি'র দুইটি প্রশ্নেরই আমার উত্তর: না।
উন্নত দেশের মত আমাদের সেনাবাহিনীতে দূর্নীতি সাধারণত উচ্চ পর্যায়েই হয়। যদি ধরে নেই নিম্ন পর্যায়ে কর্মরত বিডিআর জওয়ানরা দূর্নীতি করে নাই তাহলে ঘটনার বর্ণনা দাঁড়ায় যে, উচ্চ-পর্যায় চোখের সামনে দেদারছে দুর্নীতি করেছে এবং সেটা যেন প্রকাশ না হয় সেই জন্য নিম্ন পর্যায়কে ড়্যাগিং-এর উপর রেখেছিল। এই কারণেই গতকালের ঘটনা।
সব খাওয়ার মানসিকতা যে এ দেশের মূল সমস্যা সে বিষয়ে এর আগেও ইন্টা. হেরাল্ড ট্রিবিউনে আর্টিকেল বের হয়েছিল। প্রথম যে হবে, সেই সব পাবে; অথচ ২য়, ৩য় এঁদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মেধা কিন্তু পুরষ্কারের আনুপাতিক না। আবার বিপক্ষ যুক্তি হিসেবে বলা যায় যে, ফিটেস্ট-ই সারভাইভ করে ... বাকীরা অানুপাতিক হারে সার্ভাইভ করে না - এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম।
পেছনের কারণ যে ভাগ বাটোয়ারা - সেটার বিষয়ে দ্বিমত নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বিডিআর এর মাথারা সব আর্মি থেকে আসে এটা শুনে আমি খুব অবাক হলাম। বিডিআর তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে আর আর্মি তো প্রতিরক্ষার নিচে। আর একমাত্র আপৎকালীন ভিত্তিতেই বিডিআরকে আর্মির নিচে আনা সম্ভব - যেমন সম্ভব র্যাব বা এমনকি পুলিশকেও। উভয়ের কাজও আলাদা - সাধারণ অবস্থায় আর্মি হল বেকার - শুধু ট্রেনিং আর ড্রিল করে। বিডিআর সদা-কর্মরত সীমান্তরক্ষী। কি ভাবে এদেরকে ওপরের লেভেলে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। একই কারণে বিডিআর মিশনে যেতে পারে না - কারণ তাদের হয়ে বলার মত কেউ থাকে না।
ভারতে বিএসএফ হল আধাসামরিক বাহিনীর অংশ - যারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। এদের মাথারা আসে আধাসামরিক বা অসামরিক বাহিনী থেকেই। সাধারণত, বিএসএফ ডিজি-রা আই-পি-এস (ইউ-পি-এস-সি পরীক্ষা দিতে হয় বাংলাদেশের বিসিএস এর মত) অফিসার। এর আগের ডিজি অসিত মিত্র বাঙালী ছিলেন, উনি ১৯৭০ ব্যাচের আই-পি-এস। তার আগের জন অসমের, উনি ১৯৬৮ ব্যাচের। আর এরাও জাতিসংঘের মিশনে যায়। আসলে এদের মিশনে পাঠানোই সহজ, কারণ আধাসামরিক বাহিনীর দরকার পড়ে কিছুটা স্থিতিশীল জায়গায়। যেমন বর্তমানে কঙ্গো আর কসোভোতে বিএসএফ আছে (খবর)। তাই, এই দুই পয়েন্টে বিডিআরের দাবী আযৌক্তিক বলে মনে হয় না।
তবে ভেতরে ভেতরে দুর্নীতির বখরা নিয়েই সমস্যা বলে আমার মনে হয়। আর্মিতে দুর্নীতির কোনো শেষ নেই - দেশটা ভারত, আমেরিকা বা বাংলাদেশ যেই হোক না। ভারতে বিএসএফ চোরাচালানে সক্রিয় ভূমিকা নেয়, আর্মির জন্য অস্ত্র থেকে কফিন - যে কোনো কিছু কেনাতেই টাকাপয়সা নয়ছয় হয়। আর্মি বলেন বা বিএসএফ - কাউকেই ভাল বলার কোনো স্কোপ নেই, হাতে অস্ত্র নিয়ে এরা ধরা-কে সরাজ্ঞান করে। আর্মির সাথে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক যথেষ্টই খারাপ।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
গুরুত্বপূর্ন ও তথ্যসমৃদ্ধ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ দিগন্ত।
একটা তুলনামূলক চিত্র পাওয়া গেল।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
অনেক তথ্যসমৃদ্ধ মন্তব্য। বিডিআরকে আর্মি থেকে আলাদা করা ছাড়া কোনো উপায় তো দেখছি না। অবশ্য তাতেও যে দুর্ণীতির আকাশপাতাল তফাৎ হবে, তা না। তবে একই বাহিনীর হওয়ায় বিদ্বেষের পরিমাণটা কমবে বৈ কি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
দিগন্তের তুলনামূলক মন্তব্যটা ভাল লাগলো।
এ ক্ষেত্রে দুটা প্রচলিত ধারণার কথা বলতে পারি-
১। বিডিআরের রিক্রুট করা হয় কেবলমাত্র ননকমিশন্ড জওয়ান হিসেবে। কমিশন্ড কোন অফিসার হিসেবে বিডিআরের রিক্রুট করার সিস্টেম নেই। কেন নেই, তার কারন বোধহয় এই যে, বিডিআর পরিচালনা করতে যে স্বল্পসংখ্যক অফিসারের প্রয়োজন হয়, তাদের রিক্রুট ও প্রশিক্ষণের জন্যে যে আলাদা ব্যয়বহুল অবকাঠামো দরকার, আমাদের দেশে সেটা নেই।
২। মিশনে কেন বিডিআরদের পাঠানো হয় না এ ব্যাপারে ভিন্নমত শুনেছি। জাতিসংঘ যুদ্ধ-প্রশিক্ষণ রয়েছে শুধুমাত্র এরকম বাহিনীকে শান্তি মিশনে পাঠায়। বিডিআরের সেই পর্যাপ্ত ট্রেনিং থাকে না বা নেই।
এই সমস্যাগুলোর সমাধান হলে বোধহয় খানিকটা "ইনসাফ" ফিরে আসবে।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
জাতিসংঘ মিশনে তো পুলিশ যায়। বিডিআর যেতে অসুবিধা কী?
তাছাড়া বিএসএফের জওয়ানরা (ব্যক্তিগত সূত্রে জানা) বিডিআরকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক্সটেনশন হিসেবে দেখে। সেটা বিডিআরের ট্রেনিং এবং নেতৃত্বে আর্মি থাকার কারণে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
অসুবিধা যে কী আমি নিজেও জানি না। তবে যেটুকু বুঝতে পারি পুলিশ ও আর্মি সেখানে একই দায়িত্ব পালন করতে যায় না, দায়িত্ব ভিন্ন হয়।
হয়ত সেখানে সীমান্তরক্ষার কোন প্রয়োজন পড়ে না।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
নতুন মন্তব্য করুন