জাতির হৃদয় আজ রক্তাক্ত। সন্তান আজ আর্তচিৎকারে খুজেঁ ফিরছে বাবার লাশ; স্ত্রীর চাপা গোঙানিতে ভারী হয়ে আছে বাতাস; খালি হয়ে গেছে অজস্র মায়ের কোল। অনাকাঙ্খিত যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় মেতে সৈনিকেরা নিজেদের জন্য নামিয়ে এনেছেন আত্মধ্বংসের গজব।সারা দেশ ডুবে গেছে, শংকায়, গ্লানিতে আর স্বজন হারানোর আর্তিতে।
যারা দেশ ও জাতির রক্ষক যাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল প্রহরার অস্ত্র তারা লিপ্ত হয়েছে রক্তক্ষয়ী বিরোধে, তারা জলের দামে জীবন ঝরিয়েছে অন্তর্কলহে। শত্রুরাও কখনও একসাথে এত প্রাণ নেয়নি আমাদের। এই হঠকারি কর্মকান্ডে আজ হারিয়ে গেছে দেশের অগুণতি সুর্যসন্তান। দুর্বল হয়ে গেছে মানুষের আস্থা, দেশের প্রতিরক্ষাব্যুহ।
আমরা জানি তারা সবাই মাটির সাহসী সন্তান। তারা জীবনবাজি রাখে দেশের জন্য। তারা অস্ত্র ধরে শত্রুর বিরুদ্ধে। তারা যুদ্ধ করে। তারা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত সব সময়। কিন্তু স্বদেশির হাতে, সহকর্মীর বুলেটে, জ্যেষ্ঠের গুলিতে, কনিষ্ঠের বেয়নেটে প্রাণের অপচয়ের এই হোলিখেলা কারো কাম্য নয়।
জাতি কার ওপর নির্ভর করতে পারে? কার হাতে তুলে দিতে পারে রক্ষার অস্ত্র? দেশের টাকায় কেনা বুলেটে কত আর প্রাণ যাবে স্বদেশের সন্তানদের?
এমন প্রাণের অপচয় দেখেছি আমরা ৭৫ এর ১৫ আগস্টে, ৭৫ এর ৩ ও ৭ নভেম্বরে, ৮১-এর ৩0 মে। যারা প্রহরী, যারা রক্ষক, যাদের হাতে বিশ্বাস করে দেয়া হয়েছিল রক্ষার অস্ত্র তারাই রক্ত ঝরিয়েছে। জাতি এখনও জানে না কত অজস্র গুপ্ত ঘটনায় কত সূর্য সন্তানের প্রাণ এমন অকালে ঝরে গেছে। তাদের নামও ছাপা হয়নি পত্রিকায়। তাদের স্বজনরা কোনো সহানুভূতিও পায়নি। বিচারের আয়োজনও হয়নি।
এই বর্বরতা, এই সীমাহীন নৃশংসতা থামুক। বার বার এমন করে আর কাঁদতে চায় না জাতি। যারা জাতির ভাগ্য নিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
কোথাও কেউ কি শুনছে? কেউ কি দেখছে? - তারা কি বুঝতে পারছে? তারা কি অনুভব করতে পারছে নিজেদের দোষ-ত্রুটিগুলো? তারা কি লজ্জিত হচ্ছে আত্মসমালোচনায়?
জাতির হৃদয় আজ প্লাবিত রক্তে - আমাদের বুক ভরে আছে ঘৃণায় - আমাদের চোখ বুঁজে আছে কান্নায়।
মন্তব্য
দীর্ঘশ্বাস!
---
আমার মনে হয়, এ সময় একই সঙ্গে এই সব প্রশ্নের কারণ খোঁজা অতি জরুরী:
১. কেনো এই বিডিআর বিদ্রোহ?
২. এর নেপথ্যে বহিরাগত কোনো শক্তির মদদ আছে কী না, বা তারাই এর উস্কানীদাতা কী না?
৩. একাধীক সামরিক-বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এ সংক্রান্ত কী কোনো আগাম তথ্য ছিলো? তারা কী সরকারকে সতর্ক করেছিলো?
৪. সামরিক-বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আগাম তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে এসব সংস্থার বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কী না?
৫. এই বিদ্রোহ আরো বড় ধরণের কোনো ঘূর্ণীঝড়ের পূর্বাভাস কী না?
৬. ঘটনার শেষ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একটি দায়সারা গোছের সংবাদ সম্মেলন করেই তার দায়িত্ব পালন করলেন কেনো? তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য দিলেন না?
এবং
৭. জামাতই বা এতো চুপ কেনো? বিএনপি-জামাত গোষ্ঠি কী আরো বড় ধরণের কোনো বিপর্যয় আশা করেছিলো?
---
ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
এত বড় একটি জাতীয় ট্রাজেডি ... এর মধ্যেও আমরা নোংরা রাজনীতি টেনে আনছি!
বিপ্লব ভাই.. আপনার কি বলতে চাচ্ছেন যে এ ঘটনার পিছে বিএনপি বা জামাত জড়িত?..
এই ঘটনা যে পূর্ব পরিকলপিত সে ব্যপারে কারো সন্দেহ নেই.. তবে ভাবার বিষয় হচ্ছে যে কত বড় ক্ষোভ থেকে এরকম ঘটনার জন্ম হয়েছে ... আমাদের সেনাবাহিনী কি সত্যি এত দুর্ণীতি পরায়ন হয়ে পড়েছে?
যে ধ্বংসযজ্ঞগুলো উন্মোচিত হচ্ছে এবং যেসব নারকীয়তার আলামত বেরিয়ে আসছে, তাতে করে এটাকে বিডিআর বিদ্রোহ বলে দৃষ্টি ঘুরিয়ে নেয়ার অবকাশ আর নেই। তৃতীয় কোন শক্তি বা গ্রুপের উপস্থিতি এখানে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ধীরে ধীরে আমরা হয়তো অনেক কিছুই জানতে পারবো। ভাই নিঃসঙ্গ পথিক, আমাদের দৃষ্টিটাকে মনে হয় এবার আরো গভীরে নিয়ে যেতে হবে....
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
খালেদা জিয়ার কাছ থেকে আপনি কি ধরনের 'সুনির্দিষ্ট' বক্তব্য আশা করছিলেন?
জাতি এখনও জানে না কত অজস্র গুপ্ত ঘটনায় কত সূর্য সন্তানের প্রাণ এমন অকালে ঝরে গেছে। তাদের নামও ছাপা হয়নি পত্রিকায়। তাদের স্বজনরা কোনো সহানুভূতিও পায়নি। বিচারের আয়োজনও হয়নি।
কিছু প্রতিষ্ঠানে ব্রিটিশ রাজদণ্ডের পারম্পর্য চলছে অবিকৃতভাবে। তাইতো গুপ্ত ঘটনা, অধস্তনকে মানুষ মনে না করা, নিত্য গালিগালাজ এবং চেইন অব কমান্ডের নামে ফায়ারিং স্কোয়াড সইতে হয় নিরবে।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
ঘটনার প্যাটার্ন দেখে মনে হয়েছে মিডিয়ার দৃষ্টি যেন ওদিকে পড়ে সেই চেষ্টা করা হয়েছে।
বিচারের নামে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিলে পর্দার অন্তরালের নীল নকশাকারীদের সুবিধা হবে বলেই মনে হয়। ওরা চাইবেই দ্রুত বিচার হউক, দ্রুত সাক্ষীদের মুখ বন্ধ হউক।
জিয়ার সময়ে চারহাজার সেনাসদস্যকে ফায়ারিং স্কোয়াডে দেয়া হয়েছিল বলে শুনি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
যুদ্ধ দেখিনি কিন্তু যুদ্ধের গল্প শুনেছি। সে আতঙ্ক উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি। সাইক্লোন, ঘূর্নিঝড়ে মানুষের প্রানহানি দেখেছি। এরশাদ এর সময় আন্দোলনে ছাত্র হত্যা দেখেছি। সব সময় এক পক্ষ ছিল যাকে দোষ দেয়া যেতো।
কিন্তু এ ধরনের বুক ভাঙ্গা কষ্ট কখনও অনুভব হয়নি। যারা মারা গেছেন তাদের জন্যও কষ্ট হচ্ছে, যারা মেরেছেন তাদের জন্যও কান্না পাচ্ছে।
এছাড়া কি আর কোন উপায় ছিল না সমস্যা সমাধানের। খুবই দুঃখজনক, খুব।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আগের কোন এক পোস্টে জানিয়েছি-- কিছু বলার নেই-- হৃদয়ে আজ শুধুই রক্তক্ষরণ। স্বাধীন দেশের মাটিতে এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায়না। হতাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। সেই সাথে তাদের নিন্দা জানাই যারা এই হত্যাকান্ডে উল্লসিত হচ্ছে।
1. These murderers should be punished and most importantly their case should be made public to teach everyone a lesson.
2. BDR and/or Army shouldn’t be blanketly stigmatised as rogue force.
3. Army shouldn’t avenge the killings on every single BDR members-I mean those who were not involved.
4. Time to find, seriously, why its happening? Most of the Army soldiers and non-commissioned staffs are also very frustrated. It could be 1 or 2 per cent Officers who is actually running a Mafia cartel and bringing shame to the entire Military force.
5. Army officer SHOULD NOT get indemnity from anti corruption charges, too much corruption is going on for too long.
6. Every time something major happens we are after some bogus-boo or jujuburi from Western world, It may well be the case, but lets clean our own yard first then we will tackle bogus-boos
অস্ত্রই চালাতে শিখেছে,কেন শিখেছে সেটা শিখেনি।
নিরিবিলি... আপনার কথাটা খুব পছন্দ হয়ে গেছে... মুখস্ত করে রাখলাম... যে কোনো জায়গায় কোট করতে পারি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হায়রে,পত্রিকার ব্যবসা! একটি মানুষের একান্ত শোকের মুহূর্তটিকেও প্রথম পাতায় উদোম করে দিতে কি বিবেকের কোন দংশন অনুভব করেছিল তারা? প্রাইভেসি বলে কোনকিছু কী আমাদের অভিধানে নেই? এই অসহনীয় শোকের একান্ত মুহূর্তটিকে কি একটু শ্রদ্ধা-সম্মান দেখিয়ে অপ্রকাশিত রাখা যেত না?
আর, বলিহারি যাই আপনাকেও চৌধুরী সাহেব! দয়া করে ছবিটি সরান। মনে করুন এই স্বামীহারা নারীটি যদি আপনারই কোন আপনজন হতেন, তাহলে কি অনুমোদন করতেন এই নির্লজ্জ ফড়িয়াবৃত্তি?
আপনি ছবিটিকে যেভাবে দেখছেন আমি সেভাবে দেখিনি। আমি এই ছবিটিকে দেখেছি সমগ্র বাংলাদেশের কান্নার প্রতীক হিসেবে। একটা ছবি অনেক বেশি কথা বলে। আমার পোস্টটির মূল আবেগকে স্পষ্ট করার জন্য ছবিটি আমি ব্যবহার করেছিলাম শোকের প্রতীক হিসেবে।
রাজধানীর মাঝে সাধারণ মানুষদেরকে উৎকণ্ঠায় রেখে বেতনভোগী সরকারী সৈনিকরা হত্যাযজ্ঞে মাতলো আর সে ধ্বংসযজ্ঞের কথা আমরা বলতে পারবো না। সে নৃশংসতার ছবি তুলে রাখতে পারবো না। এতে কার অপমান হয়? এটা তো কারো বেডরুম বা ড্রইরুমের ছবি নয়। কাউকে দিয়ে মডেল বানিয়েও ছবি করা হয়নি। একটা বোন তার স্বামীর লাশে আছড়ে পড়েছে। এ ছবি শোকের, বেদনার। এর কারণে আতংকিত হয়ে ওঠার কিছু নাই।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ভাই,
ছবিটা সরায়ে নেন প্লিজ...
ভালো লাগতেসে না একদম...
--- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- ---
মন, সহজে কি সই হবা?
চিরদিন ইচ্ছা মনে আল ডাঙ্গায়ে ঘাস খাবা।
--- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- ---
মন, সহজে কি সই হবা?
চিরদিন ইচ্ছা মনে আল ডাঙ্গায়ে ঘাস খাবা।
গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর থেকে সব অন্যরকম লাগছে। মানুষ এমন নৃশংস হয় কী করে?
..................................................................................
যেন ধ্যানের চেয়ে কখনো বেশি মূল্য না-পায় কোনো দৃশ্যগান, আর মানুষই যেন হয় প্রকৃত আরাধ্য জন আগুনে-ফাগুনে পুড়ে
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর থেকে অসম্ভব খারাপ লাগছে। চোখের কোনা ভিজে আসছে বার বার। এটা কোনক্রমেই প্রথমদিকে প্রচার করা কারণে (দূর্নীতি, ড়্যাগিং) হতে পারে না ... অন্য কোন ষড়যন্ত্র আছে এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট।
সকালে বা গত রাতেও নিখোজ কর্মকর্তাদের শোকার্ত/চিন্তিত আত্মীয়স্বজনদের দেখে মোটেও মন খারাপ হয় নাই বরং খুশি খুশি লাগছিলো .... 'সূর্যের চেয়ে বালি গরম' আর নিজে 'ব্লাডি সিভিলিয়ান' বলেই হয়তো এই নিষ্ঠুর মানসিক অবস্থা।
ঘটনাটায় শুধু ১৯৭১ এর ১৪ই ডিসেম্বরের পরিকল্পিত বুদ্ধিজীবি হত্যার নীলনকশার কথাই মনে পড়ছে। ঐ সুযোগ্য সন্তানদের দিকনির্দেশনা থাকলে আজ বাংলাদেশ হয়তো মালয়েশিয়া/সিঙ্গাপুরের সমকক্ষ অবস্থায় থাকতো। গত দুই/তিন দিনের এই হত্যাযজ্ঞ না জানি আরো কত কিছু থেকে এই জাতিকে বঞ্চিত করবে অদুর ভবিষ্যতে .... ....
বেদনার্ত
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বিডিআরের দাবিগুলো যৌক্তিক, কিন্তু তাই বলে এত রক্তপাত! টিভির সামনে বসেছিলাম অল্প সময়ের জন্য, সহ্য করতে না পেরে উঠে এসেছি। আমি কোনমতেই বিশ্বাস করতে পারছি না শুধুমাত্র নানা ধরনের বঞ্চনার স্বীকার হয়ে বিডিআর এরকম কাজ করল। এর পেছনে বিশাল কোন পরিকল্পনা আছে নিশ্চিত।
শোকাহত পরিবারগুলোর জন্য সমবেদনা।
আমাদের সশস্ত্র বাহিনীতে নিজেরা নিজেদের হত্যার ইতিহাস কিংবা উদাহরণ মোটেই কম না
তার কতগুলো আমরা জানি আর বেশিরভাগই জানি না
সব হত্যাই নৃশংস আর সব হত্যাই ভয়াবহ
এবারের হত্যার সাথে অন্য হত্যাগুলোর পার্থক্য হচ্ছে যারা হত্যা করেছে তারা নিচুতলার মানুষ আর নিহত হয়েছে উঁচু তলার মানুষ
এর আগের ঘটনাগুলো তার পুরোটাই উল্টো
আগের ঘটনাগুলোতে যারা হত্যা করেছে তারা হত্যাকে আইনানুগ করার ক্ষমতা রাখাতো
এবারের হত্যাকারীদের হাতে সেই ক্ষমতা নেই
তাই এখন তাদরে স্রেফ হত্যাকারী বলেই মনে হচেছ সকলের কাছে
০২
গত দুইদিন উত্তেজনার সাথে থাকতে থাকতে এখন আমরা অশ্রু আর শোকে হয়তো পক্ষ বদল করছি
কিন্তু আমার মনে হয় না বিষয়টা আবেগ দিযে দেখা উচিত
রক্তমাখা শার্ট কিংবা উদোম লাশ দেখে কিংবা গণকবর দেখে এর দায়ী কিংবা পেছনের ঘটনা খোঁজা বোধহয় উচিত না
ঘটনাগুলো অন্য কোথাও
মুজিব হত্যা থেকে শুরু করে জিয়ার হত্যাকাণ্ড- জিয়া হত্যাসহ সকল সফল আর ব্যর্থ ক্যুর সাথে এই হত্যাও একই সূত্রে গাঁথা
০৩
ছবিটা সরিয়ে নেন প্লিজ
রক্তমাখা শার্ট কিংবা উদোম লাশ আমাদেরকে আবেগ তাড়িতই করবে শুধু, যা বরং হত্যার সুফলভোগী লাশখেকো হয়েনাদের সহাস্য বিদ্রুপেরই খোরাক হবে। আবেগ নয়, বিচক্ষণতা আর বিবেকের জয় হোক।
১.
লীলেন ভাইয়ের ১ম অনুচ্ছেদের কথাগুলো নতুন করে ভাবায়। মন খারাপ কিছুটা কমেছে।
সত্যই কি শুধু বঞ্চনার জ্বালায়/প্রতিক্রিয়ায় এমন একটা কান্ড/বিদ্রোহ ঘটেছে বলে মনে করেন? যদিও ব্যাপারটা অসম্ভব নয় ... কিন্তু শুধুই ঐ কারণে দেড়শ কর্মকর্তাকে হত্যা করবে - এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।
২.১.
দরবার হলে কী ঘটেছিল সে বিষয়ে মুক্তিপ্রাপ্ত বা বেঁচে যাওয়া সেনা কর্মকর্তারা বিভিন্ন চ্যানেলকে বলেছেন। সবার বর্ণনা কি একই? ঘরের বাইরে ছিলাম বলে সবগুলো চ্যানেলে চোখ রাখতে পারিনি ... ... একই ঘটনার আলাদারকম বর্ণনা হলে ব্যাপারটা নিয়ে নতুন করে ভাবনা উদয় হবে।
২.২.
যেসকল শীর্ষ কর্মকর্তা ঐ মৃত্যূকূপ থেকে বেঁচে ফিরেছেন তাঁরা কি আসলেই ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন নাকি অন্য কিছু? (কিছুদিন আগে এধরণের একটা ইংলিশ মুভি দেখেছিলাম)
৩.
বেঁচে যাওয়া একজন কর্মকর্তার বর্ণনা শুনলাম। উনি বলেছেন যে নিহত কর্মকর্তারা সৎ ছিলেন। তাই চোরাচালান আগের চেয়ে বেশি কঠোর ভাবে দমন হচ্ছিলো, এতে নিম্নপর্যায়ে অনেকে অসন্তুষ্ঠ ছিল - এটাই অসন্তোষের মূল একটা কারণ।
এটা কি আসলে একটা কারণ হতে পারে, নাকি উল্টা যেটা মিডিয়াতে বিডিআর জওয়ানরা বলেছে সেটাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য কাউন্টার মেকানিজম?
৪.
আসলেই কি বাইরের কোন ষড়যন্ত্র থাকার প্রবল সম্ভাবনা নাকি ইমেজ নষ্টকারী দূর্নীতির (সেটা সেনা কর্মকর্তা হউক বা জওয়ানদের হউক) অভিযোগ থেকে চোখ সরিয়ে নেয়ার জন্য এই প্রচার একটা কৌশল?
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ধন্যবাদ লীলেন, ঠাণ্ডা মাথার কথা বলেছেন। বিডিআরের পক্ষে একবার তাদের বিরুদ্ধে আরেকবার দুবারই আমাদের আবেগকে আমরা ব্যবহৃত হতে দেখেছি। মর্মান্তিক ঘটনার রেশ কেটে গেলে হয়তো চিন্তা থিতু হবে, তখন হয়তো আমরা আরো সত্য জানতে পারবো। তাই বিভিন্ন ধরনের 'সত্যের সেবক' না হয়ে নিজ নিজ বুদ্ধি, কাণ্ডজ্ঞান আর বিবেক ব্যবহার করে পরিস্থিতির পাঠ নেয়া দরকার। অতি উতসাহী আর এখন অতি ভীত মিডিয়া যেন আমাদের মনের ম্যাট্রিক্স নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে।
লীলেনের এই মন্তব্যে আস্থা পেলাম।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হ্যা ফারুক ,
আমাদের নিজ নিজ বুদ্ধি, কাণ্ডজ্ঞান আর বিবেক ব্যবহার করে পরিস্থিতির পাঠ নেয়া দরকার ।
যে কোন মত দেবার আগে সতর্কতা দরকার
আমাদের মতটি মিডিয়া-পেন্ডুলাম প্রভাবিত কিনা ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
লী্লেনের মন্তব্যে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ছবিটা সরানোর জন্য অনুরোধ করছি ।
সচলায়তনের পাতা খুলেই এই ছবিটি চোখে লাগছে ।
দু:খিত, ছবিটা যারা সরাতে বললেন, তারা পোস্ট দেয়ার এত পরে বলেছেন যে আমি অনলাইনে ছিলাম না।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
শোহেইল ভাই, এই ঘটনাগুলো কারা ঘটিয়েছিল? সিপাইরা নাকি অফিসাররা?
একইসঙ্গে এটাও বলা দরকার, কথায় কথায় সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করা পাকিস্তান আমল থেকে আশির দশকের সেনাশাসনের অভিজ্ঞতার প্রতিক্রিয়া। কিন্তু সবসময় সেটা করা উচিত নয়, কারণ এটি আমাদের জাতীয় বাহিনী। এর সংস্কার দরকার কিন্তু বিলোপ নয়। তারপরও কুণ্ঠা নিয়েই বলছি, আবেগ আমাদের চোখে কুয়াশা তৈরি করতে পারে। আমি এ লেখার অনেক পয়েন্টের সঙ্গে একমত হয়েও বলছি, এটাকে আইএসপিআরের দেয়া ভাষ্যের মনোরাসায়নিক ভাষ্য মনে হচ্ছে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আইএসপিআরের ভাষ্য আমি দেখিনি বা পড়িনি। তবে তারা নিশ্চই এ দায়িত্ব নেয়নি যে এদেশে বিভিন্ন হত্যাকান্ডের দায়-দায়িত্ব অস্ত্রধারী বাহিনীরই।
আমি কিন্তু কাঁদতে চাই অন্য সব কান্নার কথা স্মরণ করেই।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
বেঁচে যাওয়া সেনা অফিসাররা বিভিন্ন মাধ্যমে যে ভাষ্য দিয়েছেন, তার মধ্যে তুলনা করে দেখা যায় না? সবগুলো কি মেলে? একই ব্যক্তির কালকের বর্ণনা আর আজকের বর্ণনা কি এক? ঘটনার যে লজিক ও ধারাবাহিকতা দেখানো হচ্ছে, সেগুলো কি সঙ্গতিপূর্ণ?
বিডিআর জওয়ানদের ভাষ্য কেন আমরা জানতে চাইছি না? তারা জন্তু-জানোয়ার-খুনি হলেও তো তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকা উচিত। জীঘাংসা ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। তার থেকে বড় কথা, বিদ্রোহী সকল জওয়ানকেই আমরা খুনী বলতে পারি কি না? যদি না পারি, তাহলে এখন তাদের ভাগ্যে কী ঘটছে, তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কী হচ্ছে জানা দরকার না কি?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
দরবার হলে থাকা অফিসারদের ভাষ্য একজনের সাথে আরেকজনের মেলে না। কেন বা কখন প্রথম গোলাগুলি শুরু হয়েছিল তা নিয়ে একেক জনের বক্তব্য একেক রকম।তবে পুরো একটা চিত্র এঁকে তারপর দেখতে হবে ফাঁকি আছে নাকি তথ্যে। মিডিয়ায় কারো কাছে একদম শুরু থেকে শেষ জানতে চাওয়া হয়েছে বলে মনে হয়নি।
মিডিয়া হাতের সামনে যা পায়, যাকে পায় তার কথারই প্রতিধ্বনি করে। তখন সামনে ছিল বিডিআরের জোয়ানরা। এখন মিডিয়ার সামনে সেনাসদস্য ও শোকাকুল পরিবার।
তবে মিডিয়ার দায়িত্বশীল আচরণও দরকার। সারা দেশ জুড়ে ক্ষুব্ধ সেনাসদস্যদেরকে এই আস্থাটুকু ফিরিয়ে দেয়া দরকার যে আমরা সবাই মিলে সেনাবাহিনীকে তুলাধুনা করছি না। আমরা কিছু দুর্নীতিবাজ সেনাসদস্য আর ঘটনার কার্যকারণ বুঝার চেষ্টা করছি।
তবে বিডিআর জোয়ানদের বক্তব্য মিডিয়ায় আসা উচিত সমানভাবে।
সেনাবাহিনী যেমন আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ রাইফেলস্ও আমাদের প্রতিষ্ঠান। র্যাংক ও ব্যাজ দিয়ে তো আর আমরা মানুষকে বিবেচনা করতে পারি না।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
Lina Fardows
রক্ত ঝরা ফাগুনে
জ্বলছি সবাই আগুনে
মায়ের বুক জ্বলে
ভাইয়ের লাশ জ্বলে
স্বামীহারার মন জ্বলে
অশ্রুর নোনা জলে, পোড়া এই চোখটাও জ্বলে ।
Lina Fardows
নতুন মন্তব্য করুন