কারসাজির ক্যামেরাবাজি -৫ : ক্যামেরাকে চেনা

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৫/২০০৯ - ৭:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

Smooth crossing

ক্যামেরাবাজিতে আমরা নেমে গেছি। বইয়ের ভাষায় দুয়েকটা শুদ্ধ কথা বলতে হয় বলে প্রথম চার পর্বের নখরা শেষে আমরা এখন প্রস্তুত ক্যামেরা হাতে। তবে বুঝা যাচ্ছে শুধু পোস্ট পড়েই বেশিরভাগ পাঠক ক্যামেরাবাজ হয়ে উঠতে চান, ক্যামেরা নাড়াচাড়া করতে নারাজ। কথাটা একারণে বলা যে প্রথম বাড়ির কাজটা এখনও পাওয়া যায় নি।

প্রথম বাড়ির কাজ ছিল নিজের ক্যামেরার সুবিধাগুলো পরীক্ষা। সক্রেটিস যদি ক্যামেরাবাজ হতেন তবে বিষপানের আগে বলে যেতেন ক্যামেরাটা চেনো। হাতে ধরা ক্যামেরাটা কী কী সুবিধা দিচ্ছে তা জানা না থাকলে কীইবা ছবি তুলবো আমরা।

ক্যামেরাটা যদি নতুন হয় তবে ম্যানুয়াল নিয়ে বসুন। দেখুন কত অজানারে! যদি পুরাতন হয় তবে খুঁজুন একটা ইউরেকা মূহুর্ত। হঠাৎ কোনো বিশেষ ফিচার আবিষ্কার করে চিৎকার করে উঠুন। আমাদেরকে জানান দিন। যুদ্ধে যাবার আগে চলেন আমরা যার যার অস্ত্রটা নাড়া দিয়ে দেখি।

আগেই বলেছি একদম কম্প্যাক্ট ও সস্তা ডিজিটাল ক্যামেরাগুলোতেও অটোম্যাটিক অপশনের পাশাপাশি ম্যানুয়াল অপশন থাকে, ম্যাক্রো, সিন (ল্যান্ডস্কেপ), রাতের জন্য আলাদা বাটন থাকে। যেগুলো আমরা অনেক সময় ব্যবহার করি না। অথবা অটোএক্সপোজার ব্র্যাকেটিং আছে যা দিয়ে চমৎকার এইচডিআর ছবি তৈরি করা যায় – জানি না। সেই অজানা বিষয়গুলো খুঁজে বের করুন এবং তা দিয়ে কোনো একটা বিষয়ে ছবি তুলুন – তারপর আমাদের দেখান ছবিটা (ছবি ফ্লিকারে আপলোড করে সচলায়তনে লিংক দিলেই ভালো হয়।)।

অথবা ক্যামেরাটায় যদি নতুন কিছু না থাকে তবে আমাদেরকে তাও জানান। ‘না ভাই নতুন কিছু পেলাম না – একেবারে কাঠখোট্টা ক্যামেরা’। তারপর সেই ক্যামেরা দিয়ে প্রকৃতিপ্রেমিকের মত একটা স্টিললাইফের ছবি তুলুন। আমরা দেখি।

গত পর্বের প্রশ্ন ও উত্তর
গত পর্বে আরিফ জেবতিক একটা প্রশ্ন করেছেন। সেটি মাত্র আজকে এই পোস্ট দিতে গিয়ে আমার চোখে পড়েছে। সেজন্য এর উত্তর এ লেখার সাথে যোগ করে দিলাম। প্রশ্নটি ছিল:

৯ | আরিফ জেবতিক | শুক্র, ২০০৯-০৫-০১ ০৯:২৩
কিছু মনে করবেন না স্যার , ব্যাকবেঞ্চার হিসেবে হাস্যকর প্রশ্ন করাটা আমার আজীবনের অধিকার থেকেই একটা জিজ্ঞাস্য :
শাটার স্পীড আর এ্যাপারচার , এই দুটোর কাজই আমার কাছে এক মনে হচ্ছে তাই গুলিয়ে যাচ্ছি ।
শাটার যদি বেশিক্ষন খুলে রাখি তাহলে আলো বেশি পাব , আবার এ্যাপারচার যদি কম হয় ( মানে ছিদ্র বড় হয় ) তাহলেও আলো বেশি পাব ।
সেক্ষেত্রে এই দুই জিনিষের মাঝে পার্থক্য কোথায় ?
মানে আমি ত্রিভুজের উপর ক্যামেরা বসিয়ে যদি শাটার বেশিক্ষন খুলে রাখি , তাহলে আবার এ্যাপারচার হিসেব করতে হবে কেন ?

উত্তর:
প্রশ্নটা মোটেই হাস্যকর নয় আরিফ জেবতিক। বরং খুবই জরুরি। বিশেষ করে ক্যামেরা কীভাবে কাজ করে তা বুঝার জন্য। ম্যানুয়ালি ছবি তোলার জন্যও এ বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা ভালো।

এ্যাপারচার এবং এক্সপোজার নিয়ে এসএমথ্রির দুইটা পোস্ট আছে। সেই দুই পোস্ট পড়লে আপনি এইসব কারিগরি প্যাঁচ হয়তো ভালো বুঝতে পারবেন।

এত জটিল জিনিস আমি আপনাকে বুঝাতে পারবো না। আমি আছি আপনার ভালো ছবি তুলতে সাহায্য করতে। তবে শাটার স্পিড আর এ্যাপারচারের কাজ যাতে এক মনে না হয় সেজন্য আমরা একটা বিকল্প উদাহরণের সাহায্য নিতে পারি।

ধরা যাক ওয়াসার ট্যাপ থেকে আপনি এক বালতি পানি ভরবেন। (এখানে পানি হচ্ছে আলোর বিকল্প আর বালতি হচ্ছে আপনার ক্যামেরার ফিল্ম বা ডিজিটাল সেন্সর। আলো এসে ক্যামেরাতে ঢুকে – পানি আসছে বালতিতে)।

এখন পানির কল যদি আপনি অল্প একটু খুলেন তবে কী হবে? – কলের ছিদ্রটা (মানে এ্যাপারচার) থাকবে ছোটএবং তা দিয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি আসবে। বালতি ভরতে সময় লাগবে (ধীর শাটার স্পিড)।
আবার যদি আপনি ট্যাপ পুরোটা খুলে দেন, তাহলে বালতি ভরে যাবে দ্রুত (দ্রুত শাটার স্পিড)।

সুতরাং আপনি ট্যাপের ছিদ্র কতটা বড় বা ছোট করবেন তার ওপর নির্ভর করবে আপনার বালতি কত দ্রুত বা ধীরে ভরবে। একইভাবে এ্যাপারচার আর শাটার স্পিড কাজ করে ছবি তোলার জন্য প্রয়োজনীয় আলো ক্যামেরার ভেতরে নিয়ে আসতে।

আশা করি বুঝতে পারছেন যে, ফিল্ম/ডিজিটাল সেন্সর (বা বালতি) সমান পরিমাণ আলো (পানি) পাবে যদি প্রতিবার এ্যাপারচার বদলানোর (পানির কল কতটা খুললেন) সাথে মিল রেখে আপনি শাটার স্পিড বদলান (কতক্ষণ ধরে বালতিতে পানি পড়বে)। সুতরাং এই এ্যাপারচার আর শাটার স্পিড মিলে মিশেই আছে। কলের ছিদ্রের আকার আর বালতিতে পানি ভরার গতির মধ্যে যেটুকু পার্থক্য এ্যাপারচার আর শাটার স্পিডের মধ্যে সেটুকুই পার্থক্য।

[আপনার বাড়ি যেহেতু নোয়াখালি না সেহেতু তৃতীয় প্রশ্নটা আপনি করবেন না। তবে সংক্ষেপে সে উত্তরটা বলে রাখি এখানে। তৃতীয় প্রশ্নটা হলো বালতির আকার যদি ছোট বড় হয় তাহলে তো পানি ভরতে কম-বেশি সময় লাগবে। বালতির এই আকারের বিষয়টি তুলনা করতে পারেন ফিল্মের সেনসিটিভিটি বা আইএসও ভ্যালুর সাথে। আইএসও ভ্যালু যদি বেশি থাকে তবে আলো যেখানে কম সেক্ষেত্রেও আপনি ভালো ছবি তুলতে পারবেন। - আর কথা নয়- এবার ছবি তোলা শুরু করেন।]

এক্সপোজার ভ্যালু (পড়ুন এসএমথ্রির পোস্ট):
একটা কথা মনে রাখতে হবে শাটার স্পিড ও এ্যাপারচারের বিভিন্ন কম্বিনেশনে সমান আলো পাওয়া যেতে পারে বা একই রকম ছবি উঠতে পারে। যদি ১/৩০ সেকেন্ড স্পিডে এফ/১১ এ্যাপারচারে যথেষ্ট আলো পাওয়া যায় তবে ১/১২৫ স্পিডে সমান আলো পাওয়া যাবে এ্যাপারচার এফ/৫.৬-এ। শাটার স্পিড ও এ্যাপারচারের এই কম্বিনেশনগুলো মুখস্থ থাকাই ভালো। তবে বিকল্প হচ্ছে ক্যামেরার এ্যাপারচার প্রায়োরিটি অপশন। ক্যামেরাতে অটো বা ম্যানুয়াল লেখা যে চাকতি আছে তাতে এ্যাপারচার প্রায়োরিটির অপশনও আছে- যা এ বা এভি দিয়ে চিহ্নিত করা থাকে। কোন এ্যাপারচারে কত শাটার স্পিড হবে তা নিয়ে সন্দেহ থাকলে এই অপশন ব্যবহার করুন। দেখুন এই ভিডিওটি

ভিন্ন ভিন্ন এ্যাপারচারে ছবি তুললে ছবি কীরকম হয় তার একটা উদাহরণ দেখুন নীচের ভিডিওতে।ভিডিওটি আপনার ছবি তোলার দক্ষতা বাড়াতে কাজে দেবে। ডেপথ-অব-ফিল্ড কথাটাও ভিডিওতে আসবে। এই বিষয় নিয়ে আমরা আলাদা করে আলোচনা করবো ও ছবি তুলবো পরের পর্বে।

টা

ক্যামেরাবাজির কর্মযজ্ঞ -১: তিন এ্যাপারচারে তিন ছবি[i]
উপরের ভিডিওটির মত একই বিষয়বস্তুর তিনরকম এ্যাপারচারে ছবি তুলুন। দেখুন ছবির পার্থক্য কতটা হয়। সেই ছবিগুলো জমা দেন ফ্লিকারে ক্যামেরাবাজি কোর্স ০৯ গ্রুপের পুলে। ছবির শিরোনামেই বলে দিন কত এ্যাপারচারে কোনটা তোলা। আপনার ছবি তোলার অভিজ্ঞতা ও তা থেকে শিক্ষা সম্পর্কে মন্তব্য ছবির সাথে জুড়ে দেন।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

চলুক

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌আমারটা যদিও SONY H50 ম্যানুয়াল অপশন আছে। শাটার স্পীড, অ্যাপারচার আর আইএসও ব্যাপারগুলো ম্যানুয়ালী কিভাবে করা যায় পরীক্ষা করে দেখছি। আমি রাতের ইমেজের ব্যাপারে আগ্রহী। রাতের আলো আঁধারকে ক্যামেরায় ধরার কায়দা শেখার চেষ্টা করছি। ফ্লিকারের ফটোবাজির গ্রুপে দেবো পরীক্ষামূলক ছবিগুলো। ট্রাইপড না থাকাতে অসুবিধা বোধ করছি। ম্যানুয়ালী ছবি তোলার জন্য ট্রাইপড কি অত্যাবশ্যক। হাত কেঁপে ছবি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রায়ই।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আপনার যে ক্যামেরা তাতে এই কোর্স থেকে সবচে বেশি সুবিধা বা শিক্ষার সুযোগ আপনারই হবে। সুতরাং সময়মত বাড়ির কাজ জমা দিন। বেশি বেশি করে ছবি তুলুন।

ব্লগের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। প্রয়োজনে বার বার পড়ুন। হাত কেঁপে কখন ছবি নষ্ট হয়ে যায় তা নিয়ে আলোচনা আছে ৩ নং পর্বে। পরে একটা ভিডিও যোগ করবো কীভাবে তিনপায়া বা ট্রাইপড ব্যবহার করতে হয়।

একটা পুরনো ট্রাইপড কিনতে পারেন। নিদেনপক্ষে দেয়ালে হেলান দিয়ে বা মাটিতে দুই হাতের কনুই রেখে যতটা সম্ভব ক্যামেরাটা স্থির রাখুন। আর শাটার স্পিডের ওপর চোখ রাখতে হবে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ফেইসবুকে ক্যামেরাবাজির গ্রুপ: যোগাযোগ রক্ষার জন্য এর সদস্য হোন।
ফ্লিকারে ক্যামেরাবাজি ০৯ গ্রুপ: বাড়ির কাজ ও ছবি জমা দেয়া ও আলোচনা করার জন্য সদস্য হোন।

এই পর্বের ক্যামেরাবাজির কর্মযজ্ঞের ছবি ফ্লিকারে জমা দেয়ার সময়সীমা ৭ দিন।তাড়াতাড়ি ছবি তুলুন ও জমা দিন। মনে রাখবেন, ক্যামেরা না চালায়ে ক্যামেরাবাজ হওয়া যায় না।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

দ্রোহী এর ছবি

আরিফ জেবতিক লিখেছেন:
মানে আমি ত্রিভুজের উপর ক্যামেরা বসিয়ে যদি শাটার বেশিক্ষন খুলে রাখি , তাহলে আবার এ্যাপারচার হিসেব করতে হবে কেন ?

লোল! ত্রিভুজের উপর আজকাল ক্যামেরাও বসে নাকি!

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ট্রাইপড মানে হচ্ছে তিনবাহুর সমাহার , তাই নয়কি ?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

বাহু না বলে পদ বল্লে ঠিক হয়। তিনপদী, ত্রিপদী, তিনপায়া, তেপায়া।কল্পনা করতে অসুবিধা হলে সৈয়দ মুজতবা আলীর পণ্ডিত মশাই গল্পের সেই এক পা আহত তিন ঠেঙা কুকুরটির কথা ভাবুন।

হাত ও পায়ের মধ্যে পার্থক্য কী এ নিয়ে সন্দেহ উঁকি দিলে হাত ও পা দুটাই আছে এমন বস্তুর কথা ভাবতে পারেন। যেমন: চেয়ার।
তাহলে একটা সংজ্ঞা তৈরি হয় এরকম:- মূল শরীরের পাশে ঝুলে থাকে কিন্তু মূল শরীরকে স্থির রাখতে সাহায্য করে না এমন অঙ্গ হচ্ছে হাত।
আর পা হচ্ছে ভূমির (বা যে ক্ষেত্র) ওপর মূল শরীরকে স্থিরভাবে রাখতে সাহায্য করে যে অঙ্গ।

ট্রাইপডের মূল কাজ হচ্ছে ক্যামেরাকে ভূমিতে স্থির করে রাখা। একে পদাতিকের ভাগে ফেলে দেয়াই সঙ্গত।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

এ্যাপারচার, শাটারস্পিড ও আইএসও নিয়ে পপুলার ফটোগ্রাফির কার্যনির্বাহী সম্পাদক ব্রায়ান পিটারসনের সহজ কিন্তু তথ্যবহুল একটি লেখার লিংক দিচ্ছি। যারা একেবারেই ফটোগ্রাফি বিষয়ক বই বা রচনা কখনও পড়েননি তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য। (কোনো সচল যদি লেখাটা অনুবাদ করে দেন তবে খুব সুবিধা হয়।)

বেসিক ফটো টিপস্: এ্যাপারচার, শাটার স্পিড এ্যান্ড আইএসও
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হোমওয়ার্ক -১ :

দুইটা সাধারন ফিল্ম ক্যামেরার বাইরে আমার একটা অতি গরিবানা ডিজিটাল ক্যামেরা আছে । তবে ফটোগ্রাফি শিক্ষায় যদি টেনেটুনে পাস মার্ক পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায় , তাহলে একটা এসএমজি না এসএলআর নামের যে ক্যামেরা আছে তেমন একটা কেনার ইচ্ছা আছে ।

বর্তমান শিশু ক্যামেরার নাম কোডাক ইজি শেয়ার সি৩৪০

স্পেসিফিকেশন নিম্নরূপ :

# Light Sensitivity ISO 80 , ISO 100 , ISO 200 , ISO 400 , ISO auto (80-160)

# Digital Zoom 5 x

# Special Effects : Sepia , Black & White
# Max Shutter Speed : 1/1400 sec
# Min Shutter Speed : 4 sec
# Exposure Metering : Center-weighted
# Exposure Modes : Program, Automatic
# Exposure Compensation : ?2 EV range, in 1/2 EV steps
# White Balance Presets: Daylight , Fluorescent , Tungsten light

# Effective Flash Range 2 ft - 12 ft

--------
Lens System

* Type Zoom lens - F/2.7-4.6
* Focal Length Equivalent to 35mm Camera 34 - 102 mm
* Focus Adjustment Automatic
* Min Focus Range 23.6 in
* Macro Focus Range 13-70cm
* Lens Aperture F/2.7-4.6
* Optical Zoom 3 x

হোমওয়ার্ক -২ টা একটু গুতিয়ে দেখতে হবে , তবে অবশ্যই জমা দেব ।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

খাইছে! এতো দেখি ব্যাপক হিট!! আমার পোস্ট তো লোক পড়েই না!!! টেকনিকটা কি বিগসি?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আপনারটা পড়ে না কথাটা সত্য না । তবে ওটাকে এডভান্স কোর্স হিসেবে বিবেচনা করি আমি ।

বিগসি'র টেকনিকটা আমার বিবেচনায় ব্যাখ্যা করি ।
টেকনিক সহজ - বদনা টেকনিক সরি ঐ বালতি টেকনিক । সহজ বোধ্য ও আম পাবলিকের কাছে সহজগম্য ।

বিগসি ডাক দিয়েছেন ' যার যা কিছু আছে তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ো ।"
এখন বঙ্গবন্ধু যদি বলতেন যে , সবাই আগে একটা করে এসএমজি কিনে নিয়ে তারপর প্রতিরোধে ঝাপিয়ে পড়ো , তাহলে উনি কোন লোক পেতেন না । যার যা কিছু আছে তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ো বলায় মুক্তিযুদ্ধে লোকজন গেছে ।

বিগসি'র হিসাব হচ্ছে ক্যামেরা নাই তো কী হয়েছে , মোবাইল দিয়ে ছবি তোল ব্যাটা , তারপর ধীরে ধীরে বড়ো হয়ে ক্যামেরা কিনিস ।

আমি নিজে খুবই ইনস্পায়ার্ড ।
আমার ক্যানন শিশুতোষ ক্যামেরাটা কয়েকবারই আগে আছাড় মারতে চেয়েছি , কিন্তু এখন ফ্লিকারে গিয়ে দেখি ঐ ক্যামেরা দিয়েই লোকজন মার মার কাট কাট ছবি তুলছে ।
আমি পুরো টাশকি ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ব্যাপারনা। ওটা তো উইকিপিডিয়ার মতো, সবাই কি পড়ে? যখন দরকার লাগে শুধু তখন পড়ে। হাসি

আরিফ জেবতিক এর ছবি

পরীক্ষার সময় সূত্রগুলোকে লিখে নেয়াটা একটা স্বাভাবিক রীতি , এটাকে ঠিক চোতা বলে না ।

আমার মতো যারা ক্যামেরাকানা , তারা এতো জটিল বিষয় বুঝতে গিয়ে নিজের মগজের উপর দয়াকরে চাপ ফেলবেন না , তার চাইতে নিচের বিষয়গুলো শুধু মুখস্ত করে ফেলি চলেন ।

সেই নিয়মে যা শিখছি , তাকে সংক্ষেপ করছি :

১. শাটার স্পীড বেশি হলে আলো বেশি আসবে , কম হলে কম আসবে । তবে কম হলে ক্যামেরাকে কাঁপাকাপি থেকে বাঁচাতে হবে ।

২. এ্যাপারচারের আকার ছোট হলে ছবিতে পাওয়া যাবে বেশি ডেপথ্ অব ফিল্ড; প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি তুলতে যা খুব দরকার। এ্যাপারচার যদি বড় হয় তবে ছবির দূরের অংশ (ব্যাকগ্রাউন্ড) ঝাপসা দেখায়; পোর্ট্রেট ছবি তুলতে দক্ষ ক্যামেরাবাজরা এই পেছন ঝাপসা করার কারসাজি দেখিয়ে দর্শককে মাত করেন।

এ্যাপারচার মাপা হয় এফ স্টপ দিয়ে। তবে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে এফ স্টপগুলোর নাম দেখে - এফ/২.৮, এফ/৪, এফ/৫.৬, এফ/৮, এফ/১১, এফ/১৬ এবং এফ/২২। এফ স্টপের মান যখন কমে তখন বাস্তবে এ্যাপারচারের আকার কিন্তু বড় হয়। অর্থাৎ এফ ২.৮ –এ এ্যাপারচার বা ছিদ্রের আকার বড় হয় এবং বেশি আলো ঢুকে।

৩. আইএসও যত বেশি হবে আপনি তত কম আলোয় ছবি তুলতে পারবেন।
আইএসও বেশি দিয়ে কম আলোয় ছবি তুলতে পারাটা একটা বিরাট সুবিধা। কিন্তু অসুবিধা হচ্ছে এতে ছবি কিছুটা দানা দানা দেখায়। সুতরাং যতটা সম্ভব কম আইএসওতেই ছবি তোলার চেষ্টা করা দরকার ।

সাধারণত ১০০ বা ২০০ আইএসও ব্যবহার করেই ক্যামেরাবাজরা ছবি তোলেন।

আরেকটা কথা মনে রাখা দরকার যে, আইএসও হচ্ছে এই তিন কল-কব্জার মধ্যে শেষ অস্ত্র। যদি এ্যাপারচার ও শাটার স্পিড ব্যবহার করেও দৃশ্যকে যথাযথ ক্যামেরায় বন্দী করার সমস্যা দূর না হয় তখনই শুধু আইএসও-র দারস্থ হওয়া উচিত।

---------

এর বাইরে এগুলোর বৈজ্ঞানিক নিয়মগুলো না হয় এখন নাই শিখলাম । হাসি

সবজান্তা এর ছবি

সব্বোনাশ !

আপনি তো তেমনই মনযোগী ছাত্র, একদম লাইন বাই লাইন মনে রেখেছেন দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।