(আগেই লক্ষ্য করুন: প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রাপ্তমনস্ক ছাড়া কারো এই পোস্ট পড়া নিষেধ। তুর্কি শব্দগুলোর যথাযথ বাংলা বানান কারো জানা থাকলে জানাবেন। নতুন তথ্যসূত্র ও ছবি দিয়ে যারা সাহায্য করবেন তাদের আগাম ধন্যবাদ।)
অটোমান হারেমের কিচ্ছা বা তুর্কী কামসূত্র -১
অটোমান সাম্রাজ্য ছিল তিন মহাদেশ জুড়ে বিস্তৃত। রাজধানী ইস্তাম্বুল ছিল পৃথিবীর অন্যতম আকর্ষণীয় শহর যেখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ স্বচ্ছন্দে একসাথে বাস করতো। অটোমান আদালত ইউরোপিয় দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখতো সবসময়। অটোমান আমলের কবি ফাজিল বে (মৃত্যু ১৭৯১) শুধুই একজন সরকারী আমলাই ছিলেন না সমকাম-যৌনতার ওপর তিনি পাঁচখানা পুস্তকও রচনা করেছেন। কোন দেশের যুবকরা সমকামী প্রেমিক হিসেবে কেমন সে বিষয়ে তার বর্ণনায় পরে আসছি, আগে পড়ুন অটোমান নারীদের সম্পর্কে তার বিশ্লেষণ।
‘ইস্তাম্বুল হচ্ছে একটা অদ্বিতীয় স্বর্গীয় শহর যা পৃথিবীর মানচিত্রে নিজস্ব দ্যুতিতে সমুজ্জ্বল। ঈশ্বর ইস্তাম্বুলের সব পুরুষ ও মহিলাদেরকে দান করেছেন অশেষ সৌন্দর্য ও রূপ। তাদের গায়ের রং গোলাপি। যে ভঙ্গিতে তারা হাঁটে তা পৃথিবীর সব লোকের পছন্দ কিন্তু তাদের চরিত্র ভীষণ রকম আলাদা। চলুন তাদের বিবরণ উপস্থাপন করি এবং শয়তান ও দেবদূতদের চিহ্নিত করি’।
‘ইস্তাম্বুলের নারীদের প্রথম ভাগ
এরা সবসময় থাকে পর্দার আড়ালে। এমনকি মহা দুর্যোগেও তারা তাদের লুকিয়ে থাকার জায়গা ছাড়ে না। এই রমণীরা অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে তাদের ঘরকে বেশি ভালবাসে। তারা হচ্ছে রূপা দিয়ে বাঁধানো লালচে রুবি; ফুলদানিতে রাখা গোলাপ এবং খাঁচায় রাখা টিয়াপাখি। তাদের কপালের সামনে এসে আলগোছে পড়া চুলের ডগায় সকালের মৃদুমন্দ বাতাস দোলা দেয় নি এবং তাদের কোমল ত্বকে ছোঁয়া লাগেনি সূর্য্যের।
ইস্তাম্বুলের নারীদের দ্বিতীয় ভাগ
যদিও তাদেরকে দেখকে সুশীলা মনে হয় তবু মূল্যবোধের দিক থেকে তারা বেশ সহজ চিন্তাচেতনার অধিকারিণী। তাদের পোষাক-আশাক খুবই রং-চংয়ে। তাদের বাইরের পোষাকের সমৃদ্ধ বেগুনি রং সহজেই আপনাকে আনমনা করে তুলতে পারে। যদি তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সাজ-পোষাক করে থাকে তবে এর মানে হচ্ছে তারা বের হয়েছে পুরুষ শিকারে।
কোনোকিছু কেনাকাটার জন্য খোঁজাখুঁজি করছে এমন ভাব নিয়ে তারা হাট-বাজারে অলস-পায়ে ঘুরে বেড়ায়। সবসময় দুয়েকজন দাস-দাসী তাদের পাশে থাকে। বাতাসে একধরনের কামনার মদিরতা ছড়িয়ে তারা দোকানদারের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে নেকাবের আড়াল থেকে। তারপর অত্যন্ত দ্ব্যর্থক কথাবার্তা শুরু হয় তাদের মধ্যে। অর্থপূর্ণভাবে নারীটি জিজ্ঞেস করে, ‘আপনার কাছে কিছু আছে আমার জন্য? দেখানতো দেখি আমার পছন্দ হয় কিনা’। এইসব শব্দ হচ্ছে তাদের মধ্যে একধরণের সাংকেতিক তথ্য বিনিময়। তারপর পর্দার আড়ালে থাকা তার মায়াবী চেহারা আর মেহেদি সাজানো হাতের আঙুল দোকানদারকে শিকার করে ফেলে বাজপাখির মতো। তারপর নারীটি তাকে নিয়ে যায় তার ঘরে। তার স্বামী খুব সকালেই টাকা কামানোর উদ্দেশ্যে কাজে গেছে এবং সে জানেওনা যখন সে ঘরের বাইরে তখন তার ঘরে কী ঘটছে।
ইস্তাম্বুলের নারীদের তৃতীয় ভাগ:
এইসব নারীদের সব সময়ই পাওয়া যাবে হাট-বাজারে। তাদের কোমল চেহারার ওপর আধবোঁজা ও রূপচর্চিত চোখজোড়া যৌনাবেদন নিয়ে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু এটা একটা মুখোশ হতে পারে কারণ তাদের কেউ কেউ খুবই ধড়িবাজ। যখন তারা হাম্মামে যায় তখন তারা চেহারায় একটা কিশোরী-তরুণীর তাজা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে মুখে নানা ধরণের রূপচর্চার উপাদান মাখে। এইসব যৌনকর্মীদের মধ্যে বেশ শত্রুতা আছে। যখন তারা মুখোমুখি হয় তখন একজন আরেকজনকে প্রায়ই অপমান করে এবং ঝগড়ায় লিপ্ত হয়।
ইস্তাম্বুলের নারীদের চতুর্থ ভাগ:
এরা হচ্ছে লেসবিয়ান এবং এরা ইস্তাম্বুলে আবির্ভুত হয়েছে সাম্প্রতিক কালে। পুরনো দিনে এমন নারী এখানে মিলতো না। তারা একজন আরেকজনের প্রেমে পড়ে এবং তাদের সম্পর্কের সময়ে তারা যা চায় তা পাওয়ার জন্য তারা ছলাকলারও আশ্রয় নিয়ে থাকে। তারা একটা কৃত্রিম অঙ্গ ব্যবহার করে। এটার নাম নিতে আমি খুবই বিব্রতবোধ করছি কিন্তু এর নাম হচ্ছে ‘জিবিক’।
সমকামী রমণীরা উচ্চ-শিক্ষিত, নম্র এবং স্বাভাবিক মেজাজের হয়ে থাকে। তারা তাদের প্রেমাস্পদের প্রতি নিবেদিত থাকে এবং কখনও তাদের সাথে প্রতারণা করে না। তাদের কথাবার্তা অত্যন্ত পরিশীলিত। যখন তারা একজন আরেকজনকে প্রশংসা করে তখন তারা এরকম করে বলে; ‘আমার সুন্দরী, গোলাপের তোড়া, আমার মুক্তা, এই যে আমি এখানে’, ‘আমার রূপালী ভালবাসা, আমি তোমাকেই কামনা করছি’, ‘আমার গোলাপ কুঁড়ি, আমার ঈর্ষান্বিতা নারী আমাকে তোমার পদতলে মরতে দাও’।
এইভাবেই শুরু হয় তাদের ভালবাসার প্রকাশ।
নিজে সমকাম পছন্দ করলেও মেয়েদের সমকাম সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ফাজিল বে' আরো লিখেছেন, ''কেন একজন নারী আরেকজন নারীকে তার যৌনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেয় এই বিষয়টা নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি। আমার মনে হয় আমি উত্তরটা জানি। যেসব নারীরা অনেক পুরুষের সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করেছে তারা পুরুষের অঙ্গতে বিরক্ত হয়ে পড়েছে এবং সে কারণেই তারা নারীদের সৌন্দর্যে উদ্দীপ্ত হওয়ার চেষ্টা করে। তবে কখনও কদাচিৎ যদি তারা নিজেকে আটকে রাখা যায় না এমন যুবককে দেখে ফেলে তবে তারা নিয়ম ভাঙতে তেমন কিছু মনে করে না।
যাই হোক এটা একটা রহস্য। চলুন আমরা তাদেরকে তাদের মত থাকতে দেই।"
নারীদেরকে চারভাগে বিভাজন করে ফাজিল বে’র এই বর্ণনা সেই সময়ের প্রেক্ষিতে হয়তো খুব একটা খারাপ গবেষণা ছিল না। বিভিন্ন দেশের নারী ও পুরুষ প্রেমিকদের নিয়েও তার চিন্তা-ভাবনা বেশ সুগভীর ছিল। প্রথমে আসি সমকামী পুরুষ সন্ধানে তার তৎকালীন পরামর্শ নিয়ে। বাইসেক্সুয়াল এই কবি যে বিভিন্ন দেশের পুরুষদের সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখতেন তা বুঝা যাবে তার অন্য একটি বই উল্টালে।
অটোমানদের চোখে বিশ্বের সুন্দর পুরুষ
একদিন ফাজিল বে’র একজন প্রেমিক (সম্ভবত: খুবই ঈর্ষান্বিত একজন) তার কাছে জানতে চাইলো, ‘আমার প্রিয় ফাজিল, আমার জানতে কৌতুহল হচ্ছে, দয়া করে একবার বলো সব জাতির মধ্যে কোন দেশের ছেলেরা সবচে’ ভালো এবং কাদের সবচে বেশি প্রেমিক থাকে। তাদের বিষয়ে লেখো এবং তাদের সৌন্দর্যকে লেখায় ফুটিয়ে তোলো’।
প্রেমিকের অনুরোধে ফাজিল বে লিখেন তার বিখ্যাত বই ‘হুবাননামে’ বা ‘সুন্দরের বই’। বিভিন্ন দেশের পুরুষ সমকামীদের তিনি কীভাবে দেখতেন তাই লেখা আছে এই বইতে। তার বই থেকে নীচে তার এই বিশেষ জ্ঞান সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
গ্রিক সুদর্শন
গ্রিক নারী ও পুরুষ উভয়ের সৌন্দর্য মারাত্মক। তাদের শরীর বিস্ময়করভাবে সুগঠিত। হে ঈশ্বর! কি জিনিস। কি দুর্দান্ত চাউনি। ঐ হাতির দাঁতের মত গলা আর রাভেন পাখির মত কালো চুল দেখলে নিজেকে আর ধরে রাখা যায় না। তার (পুরুষ) বুক হচ্ছে ক্রিস্টালের মত, খাঁটি রূপার মত সে মূল্যবান, তাকে তুলনা করতে হয় ছাঁকা মধুর সাথে। আর ঐ রকম রোদে পোড়া গায়ের রংয়ের বর্ণনা করার মত ভাষা আমার নাই। তারা হাঁটে অভিজাত গণিকাদের মত আর তারা চাইলেই গালাটার পান্থশালায় কাজ করে এমন যেকোনো সুপুরুষকে বশীভূত করতে পারে প্রেমে। তার জুলফি যখন তার গালে এসে পড়ে তখন আপনি জ্ঞান হারাবেন আর যখন সে আত্মসমর্পণ করবে তখন আপনি মারা যেতে পারেন লাম্পট্যে।
স্প্যানিশ মনোরম
মুক্তার মত রং, ঘন কালো চুল আর ভ্রুতে সাজানো এদের সুগঠিত শরীর। তাদের মেজাজ ইহুদিদের মত। কোনো সন্দেহ নাই তারা চমৎকার পুরুষ কিন্তু যৌনতার আনন্দ গ্রহণ করার মত তত বুদ্ধিমান এরা নয়।
ফ্রেঞ্চ সুন্দর
কোনো সন্দেহ নাই এরা সুন্দর কিন্তু যৌনতায় এরা বড় বেশি অগোছালো। চূড়ান্ত মিলনের জন্য তারা কোনো আশাই দেয় না। তাদের চোখের দিকে তাকাতে চেষ্টা করো না কারণ তারা সবসময় নীচের দিকে তাকিয়ে থাকে।
উড়ন্ত ডাচ:
বরফের মত এদের চামড়া এদের আকর্ষণীয় হতে দেয় নাই এবং তাদেরকে দেখতে মনে হয় ক্রিম রংয়ের রাশিয়ান। প্রেমিকের সাথে সময় কাটানোর বদলে তারা বেশিরভাগ সময় কাটায় চার্চে।
ব্রিটিশ গোলাপ:
এরা একটু চুপচাপ কিন্তু এরাই হচ্ছে খুব আকাঙ্খা করার মত সুন্দর এবং আপনার মনকে দ্বিধাদ্বন্ধে ফেলে দেবে। তারা খুব শান্ত একটা দ্বীপে বাস করে। জন্মসূত্রে দাড়িগোঁফহীন এসব পুরুষেরা মাঝারি উচ্চতার হয় এবং ঝর্ণার জলে জন্মানো সাদা লিলি ফুলের মত সাদা হয়। এসব মাছের মত পুরুষদের বেশিরভাগ হচ্ছে নাবিক এবং তাদের খুব ভালো একটা যৌন যন্ত্র রয়েছে। তবে আমি বলতে পারি না যে তারা খুব বেশি সন্তুষ্টি দিতে পারে।
মুচমুচে মরোক্কান:
চারাগাছের মত লম্বা কালো চামড়ার এসব সহিংস পুরুষরা মোটেই বন্ধুভাবাপন্ন নয়। জড়িয়ে ধরার শিল্প সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল নয়। তারা বদমেজাজী এবং খিটখিটে স্বভাবের।
অস্ট্রিয়ান সুপুরুষ:
তাদের রূপালী পেশি পৃথিবীকে নাড়াতে পারে। এরা মূলত: ইউরোপিয় বংশোদ্ভুত। তাদের অঙ্গগুলো লম্বা ও সুন্দর। তারা কখনও তাদের প্রেমিকদের প্রত্যাখান করে না। তাদের মুখে আঁচিল থাকে কিন্তু তাদের চুল বিবর্ণ।
ফাজিল বে’র প্রেমিক ‘হুবাননামে’ পড়ে খুবই উৎফুল্ল হয়ে তাকে মেয়েদের ওপর আরেকটা বই লেখার জন্য ধরলো। কিন্তু কবি বে’ তার এই অনুরোধ প্রত্যাখান করে বললেন, ‘আমার কবিতায় কোনো বেশ্যার স্থান নাই’। যখন তার প্রেমিক তাকে হুমকি দিলো যে সে তাকে ছেড়ে যাবে এবং অন্যদের বিছানাকে অলংকৃত করবে, তখন ফাজিল বে’ রাজি হলেন এবং লিখলেন ‘জেনাননামে’ (নারীদের বই)। তিনি নিজে যে বিষয়ে অভিজ্ঞ ছিলেন না সে বিষয়ে তার মূল্যায়নের কিছু উদাহরণ নীচে দেয়া হলো:
ইহুদিরা:
এদের সবাই আমাদের সাথে শোয়। ইহুদি নারী আর সমকামী ছেলে প্রচুর পাওয়া যায়। এসব নারীদের চেহারা খুবই সাধারণ এবং ত্বক বৈচিত্রহীন - একেবারে বরফের মত বিস্বাদ।
গ্রিক নারী:
আহা কি সুন্দর, আহা কি নয়নসুখ! সত্যি কথা বলতে কি, এরকম একজন মহিলা পাওয়া একটা সৌভাগ্যের বিষয়। তাদের প্রেমিকদের একেবারে ছিবড়া বানানো পর্যন্ত তারা সব পদ্ধতি চেষ্টা করে যায়। কিন্তু তারা বদমেজাজি হয়।
ডাচ নারী:
এদের দেহ গঠন সুষম না। তাদের গায়ের রং একটু হলদেটে হয় এবং সাধারণভাবে এরা অনাকর্ষণীয়। পুরুষ এবং মহিলারা একইরকম। এদের সব মহিলারাই হচ্ছে মাগী।
পোলিশ:
তাদের আবেগ-অনুভূতিসহ এরা হচ্ছে উঁচুমাত্রার সুন্দরী এবং যখন তারা চলাফেরা করে তখন তাদের লম্বা দেহবল্লরী থেকে তুমি চোখ ফেরাতে পারবে না। যদি না ইহুদি বংশোদ্ভুত হয় তবে এরকম নারীর শরীর হবে পরিষ্কার এবং কোমল।
ব্রিটিশ নারী:
যখন তাদের ঠোঁট নড়ে তখন তুমি শুনতে পাবে বুলবুলি ডাকছে। তাদের স্বভাব খুবই চমৎকার এবং তাদের চেহারা খুবই লাবণ্যমাখা। নানারকম অলংকারের বিষয়ে তারা খুবই আগ্রহী এবং তারা খুব জমকালো পোষাক পরে।
অস্ট্রিয়ান:
সিল্কি চুল এবং ক্রিস্টাল রংয়ের এসব চতুর ডাইনিরা খুবই হঠকারি ধরনের হয়।
স্প্যানিশ নারী:
স্পেনের খাঁটি সুন্দরীরা লম্বা ও একহারা গড়নের হয়। তাদের শরীরের গঠন থাকে দারুণ।
ফ্রেঞ্চ নারী:
তারা হচ্ছে সুরুচিপূর্ণ সৌন্দর্য্যের সারবস্তু এবং তাদের ত্বক রূপালী। তাদের সৌন্দর্য খুবই মনোহর। তারা সবসময় খুব সুন্দর পোষাক পরে থাকে।
পারসিয়ান:
দুর্দান্ত সব বাদাম-বাদাম চোখের নারী। তাদের শরীরের বাঁক, তাদের ভুরু, তাদের কণ্ঠস্বর এবং তাদের চলাফেরা সব মিলিয়ে এ এক মারাত্মক যোগফল।
পূর্ব ভারতীয়:
তাদের মুখ, চোখ ও চামড়া গাঢ় রংয়ের। তাদেরকে দেখতে মনে হয় দেয়ালে ঝুলানো বাঁধাই করা ছবি। তোমার কখনও মনে হবে না তুমি তাদের সাথে সঙ্গম করছো কারণ তারা কামশীতল।
অন্যান্য জাতি:
হাংগেরিয়ান মহিলারা কুৎসিত। কখনও বুলগেরিয়ান মেয়েদের সাথে বিছানায় যেও না। ক্রোয়েশিয়ানদের দিকে তাকিও না, তাদের ছেলেরা দেখতে সুন্দর কিন্তু মেয়েরা নিষ্ঠুর প্রকৃতির।
(বি:দ্র: কামসূত্রের দেশের মেয়েদের বিষয়ে ফাজিল বে'র অভিজ্ঞতা বেশি সন্তোষজনক ছিল না বলেই মালুম হয়।)
মন্তব্য
এই পর্বটিও বেশ ভালো। তবে সমকামীতা নিয়ে আপনার বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত রয়েছে। কেউ সমকামী হবেন বা না হবেন সেটি বোধহয় মস্তিকের যৌন বিভাগ ও তার পারিপার্শ্বিকতা নির্ধারণ করে। এ নিয়ে অভিজিৎ এর একটি দীর্ঘ লেখার কথা এ মুহূর্তে মনে পড়ছে।
লেখার জন্য আবারও আপনাকে সাধুবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
দু:খিত বিপ্লব, ঐ মতামত আমার না কবি ফাজিল বে'র। অভ্র-তে ডাবল ইনভার্টেড কমা দিতে না পারায় এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
আমার মতামত আপনি অভিজিতের লেখার মন্তব্যেই হয়তো পাবেন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ইংরেজী কিবোড্য এনাবল করে ইনভার্টেড কমা দিতে পারেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
ধন্যবাদ।
এখানে সরাসরি সম্পাদনা করার সময় দেখি এই দুদফা উদ্ধৃতি চিহ্ন আসে। নতুন একটা বাক্য লিখতে হলো বিষয়টা স্পষ্ট করার জন্য।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
১
ফাজিল বে নিজেই যেহেতু সমকামী ছিলেন, কামসূত্রের দেশের নারীদের সম্পর্কে তার পর্যবেক্ষণে ভুল থাকার সম্ভাবনা কিন্তু বেশ ভালই । তবে ব্রিটিশ নারী ও পুরুষ উভয়ের প্রতি তার বেশ ভাল আকর্ষণ ছিল বেশ স্পষ্ট ।
২
বেশ ভাল একটা অনুবাদ কর্মের মধ্যে এরকম দুই একটা ইংরেজি শব্দ চোখে পড়ল, না থাকলেই মনে হয় ভাল হত । লেসবিয়ান শব্দটা নারীকামী বা সমকামী দিয়ে বদলে দেয়া যায় কিনা ভেবে দেখতে পারেন ।
৩
বেগুনি রঙ সম্পর্কে একটা কথা মনে পড়ল । কাপড়ের বিভিন্ন রঙের মধ্যে বেগুনি রঙ করাটাই সবচেয়ে কষ্টসাধ্য এবং/অথবা এই রঙ এর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ছিল দূর্লভ । তাই শুধু মাত্র অভিজাত শ্রেনীর লোকেরাই এই রঙের পোষাক পড়তেন সাধারনত ।
চীনের রাজ দরবারে বেগুনি রঙের পোষাক রাজা ছাড়া আর কারো পড়ার অধিকারও ছিলনা এক সময় ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
পূর্ব ভারতীয় নারীদের সম্পর্কে ফাজিল বে'র ধারণায় ঘাটতি ছিল একথা নিয়ে গবেষণামূলক একটা প্রবন্ধ দেন। ফাজিল বে' কিন্তু উভাকামী ছিলেন।
বেগুনি রং সম্পর্কে আপনার তথ্যযোগে উত্তম জাঝা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
কী যে কন, আমি দিব গবেষণামূলক প্রবন্ধ । ছাগলকে দিয়ে হালচাষ হয়না ।
উভকামীতার ব্যপারটা মূল লেখায় খেয়াল করিনি মনে হয়, ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
পূর্ব ভারতীয় নারীদের বদনাম করায় ফাজিল্বের আইপিসহ ব্যাঞ্চাই!
'ফাজিল' শব্দটি বাংলায় কীভাবে এলো সে সম্পর্কে বিশদ জানতে পারলাম।
বৈচিত্রময় লেখায় যথারীতি ৫ তারা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মন্তব্যে দিতেই হচ্ছে।
হায়রে পূর্ব ভারত!
ফাজিলের কাহিনী পড়ে খুব মজা পেলাম।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
ফাজিলের বিস্তর অভিজ্ঞতা দেখা যায়।
আগের পর্বে মন্তব্য করা হয় নি, এই বার করি।
ফাজিল মহাশয় অতিশয় ফাজিল, দূরদর্শী কি না কে জানে তবে ফচকে আছেন যথেষ্টই। নিজে বাইসেক্সুয়াল হয়েও লেসবিয়ানদের নিয়ে ঘোর সেক্সিস্টের মতোই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ছবিতে প্রাসাদের নারীদের হিল জুতা দেখে টাস্কি খেলাম! এরা হাঁটতো ক্যাম্নে?
অনুবাদে এমন মজাদার করে লেখা বেশ কঠিন, আপনাকে অভিনন্দন! আরো লিখুন রসিয়ে রসিয়ে।
"ফাজিল' শব্দটা কি আসলে তুর্কী? হিন্দীতেও আছে শব্দটা৷ "জ্ঞানী' অর্থে ব্যবহৃত হয়৷
কিন্তু বাংলায় মানেটা একেবারেই উল্টো৷
-----------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
নাহ, ফাজিল আরবী । "ফজল" শব্দ মূল থেকে । ফজিলত ও একই শব্দমূল থেকে । ফজিলত শব্দের অর্থ মোটামুটি ঠিক আছে, কিন্তু ফাজিল শব্দটা জ্ঞানী থেকে বাংলায় কিভাবে 'ফাজিল' হয়ে গেল এটা গবেষণার বিষয় ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ফাজিল হয়তো সমকামী ঘেঁষা ছিল। সমকামী নারীদের ব্যাপারে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিটা ফাজলামী লাগল।
স্বরূপে শোমচৌ...
পড়ছি নিয়মিত।
ফাজিল বে-আসলে বেটা ফাজিলের সাগর।
অভিনন্দন! সুন্দর অনুবাদের জন্য।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
আহা শোমচৌদা, কি বর্ননা। অসাধারণ আপনের লেখনী, হোক অনুবাদ, আমি তো আপনার লেখাই পড়ছি, দুর্দান্ত, পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। ফাজিলের ফজিলতি চলতে থাকুক।
এখানে "জড়িয়ে ধরা" কি embrace থেকে ? তাই যদি হয়,
" শৈল্পিক আলিঙ্গন সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল নয় " - হলে কেমন হয় ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
শৈল্পিক আলিঙ্গন !!
শুনে ভিস্যুয়ালাইস করে হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম। ক্যাম্নে করে শৈল্পিক আলিঙ্গন?
মাইন্ড খাইয়েন না যেন।
ভিজুয়ালাইজ করে হাসতে হাসতে পড়ে গেলেন, আবার জিগান কেম্নে করে ? আপনি দেখি মজা ফাজিল ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
না শৈল্পিক আলিঙ্গন হবে না...হবে আলিঙ্গনের শিল্প বা শিল্পসম্মতভাবে আলিঙ্গন করতে তারা জানে না।
তবে আলিঙ্গন শব্দটাকে আমি একটু কঠিন ধরি। আমি চেষ্টা করি সহজ শব্দ ব্যবহার করতে - মুখের ভাষা।
এই লেখাটা দ্রুত করতে গিয়ে সবক্ষেত্রে সহজ শব্দগুলো আসেনি, আরেকবার হাত দিলে ঠিক হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ, পরেরবার আরো সহজ করে লেখার চেষ্টা করবো।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ঠিকাছে ।
কিন্তু ফাজিল বে নিজে তো কবি ছিলেন । কবি নিজে কি খানিকটা কাব্যিক ভাষায় লেখার কথা না ? সেটার অনুবাদে খানিকটা কাব্যিকতা দিতে পারলে মনে হয় খারাপ হবে না । তবে অনুবাদ কেমন হবে সেই ব্যাপারে শেষ কথা অনুবাদকেরই, মানে আপনার । আমি শুধু আমার মত জানিয়ে রাখলাম আরকি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এই যুক্তিটা ভালো।
দেখি ফাজিল বে'র কবিতা অনুবাদ করি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
পড়ে যাচ্ছি...
মূলত নীরব পাঠক আমি,
তবে ইতিহাস আমার অনেক প্রিয়বিষয়, আপনাকে শুভেচ্ছা-ভালবাসা।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
অনুবাদ দারুণ হচ্ছে! এ পর্বও ভালো লাগলো।
আর আমিও হাবা ফাজিলের আইপি সহ ব্যাঞ্চাই! বাৎসায়নের দেশের নায়িকাদের নিয়ে ইয়ার্কি, হুহ!!
ফাজিল তো দেখি একেবারে ফাজিল!
তাই বোধহয় "ফাজিল বে,ফোট বে" বলে গালাগাল দিতো বাঙালী ছোকরারা!
(কেউ দিল পে নিয়েন না, বিশুদ্ধ ইয়ার্কি। )
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
একটা নষ্টামি বুদ্ধি আসতাছে, লেখকের অনুমতি থাকলে এর অংশবিশেষ কমিক্সায়িত করি?
আঁকাআাঁকি করতে চাইলে বরং বর্ণনা থেকে আসনগুলো আঁকার চেষ্টা করাই বেশি জরুরি না?
তবে ঐ অংশ সচলে দেয়া যাবে কিনা তা অনুবাদ না করা পর্যন্ত বুঝা যাচ্ছে না।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আসনটাসন রণদীপম বসুর ডিপারমেন্ট
আমি বানানো শুরু করেছি, ভাষা অনেক পরিবর্তিত হচ্ছে, ভাবও। কাল পোস্টানো যেতে পারে।
হে হে ... সব আসনই কি আর রণদার ডিপার্টমেন্টে নাকি
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
- আর আসবে না?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বস কোত্থেকে কোপাইতেছেন ? লিঙ্ক টিঙ্ক না দিলে তো যাচাই করে দেখা যাচ্ছেনা...নাকি ইস্তাম্বুলই যামুগা? কষ্ট কইরা যদি অনুবাদের সোর্সটা উল্লেখ করতেন তাইলে কৃতজ্ঞ হইতাম।
ইস্তাম্বুল যাওয়ার সময় আমারে নিয়া যায়েন।
ইন্টারনেটে বিভিন্ন কোণা, গোটা তিনেক বই থেকে একরকম নির্যাস বের করছি। লিংকগুলা পরে দিয়া দিবোনে।
এখন দিলে আপনারা অনুবাদে ভুল ধরবেন
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
হা: হা:!!
নাহ, ভাল লাগছে এই পার্টটা। কোন এক রোমান কবির কথা মনে করায় দিতেছে, সেদিন এক ডকুমেন্টারিতে দেখতেছিলাম সিবিএস-এর। নামটা ভুইলা গেছি।
*
আপনার আগের পোস্ট থেকে কিছু প্রশ্ন এখানে করে ফেলি। মন্তব্যে ব্লগের পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনায়।
তাই কি?
আমিও সহমত। বৈচিত্র্য শিল্পগুনকে রেগুলার সচলায়তনে ট্রাম্প করে। এটা ভালও আবার খারাপও সিরিজগুলির জন্য বেশি খারাপ। তবে কায়দা করে দারুন সিরিজও চালানো যায়, একটু ব্রেক দিয়ে হয়তো। আপনার কি মতামত?
কি ইমপ্রেশন এখন?
ফাজিলের উপর চরম মাইন্ড খাইলাম।
ফাজিল তো দেখি মহা ফাজিল। আমিও তার আইপি সহ ব্যাঞ্চাই।
সাহস কতো ভারতবর্ষের নারীদের নিয়ে ভুল মন্তব্য করে !...........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এহেম..
ফাজিলের মতামত তো জানা গেলো (ব্যাটা কি জেনেশুনে লিখছে না মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখছে! :।),
এখন জানতে ইচ্ছা করছে এই মতামত তৎকালীন তুর্কিইদের মধ্যে কতটা জনপ্রিয় বা সাদরে গৃহিত হয়েছিলো
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
একদম নির্জলা মিথ্যার ক্ষেত্রেও লোকে বলে যা রটে তা কিছুটা বটে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
এই লেখার আগেই 'মূলত পাঠক'-এর পোস্ট দেখে/পড়ে ফেলেছি, তাতে সমস্যা হয় নি অবশ্য।
ফাজিল বে কবি হওয়ায় গর্ব করব না লজ্জিত হবো-- এ নিয়ে মহা সংশয়ে পড়ে গেছি। অর্থের বিনিময়ে পতিতাবৃত্তিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পৃথিবীর প্রথম পতিতালয় বানানোর গৌরবও ছিল একজন কবির। তিনি সলোন, এটা জেনে অবশ্য লজ্জাই পেযেছিলাম তখন।
লেসবিয়ানদের সম্পর্কে ফাজিলের মন্তব্যকে ফাজলামি ছাড়া কিছু মনে হলো না আমার কাছে। ব্যাটা নিশ্চয়ই কাম বাগাতে না-পেরে ঈর্ষার বশে লিখেছেন এসব।
..................................................................
বস, আপনার গদ্য খুবই পরিচ্ছন্ন হয়। কিন্তু এর মধ্যেও একটা সমস্যা আমার চোখে কাঁটার মতো বিঁধল। এরকমটা ভবিষ্যতে না-দেখলেই ভালো লাগবে। আপনি ইংরেজি কায়দায় বহুবচনে দ্বিত্ব আমদানি করে থাকেন। এটা ইংরেজিতে চললেও বাংলায় চলে না। যেমন 'ইস্তাম্বুলের সব পুরুষ ও মহিলাদেরকে', 'এইসব নারীদের'-- এরকম চার-পাঁচটা প্রয়োগ আছে এ লেখায়। এসব ক্ষেত্রে বাংলায় একবার বহুবচন লেখাই রীতি। অর্থাৎ হবে 'ইস্তাম্বুলের সব পুরুষ ও মহিলাকে' বা 'ইস্তাম্বুলের পুরুষ ও মহিলাদেরকে', 'এইসব নারীর' বা 'এই নারীদের'...।
আপনার ভিন্নমত থাকলে আলাপ করা যেতে পারে।
..................................................................................
সত্যকথন-স্বভাব
যুদ্ধঘোষণার মতো একটা ব্যাপার প্রায় কথাসভ্যতায়
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
ধন্যবাদ মুজিব মেহদী।
দ্বিত্বের বিষয়টা আগে কখনও খেয়াল করিনি। আপনাদের মত প্রকাশনার ধাপ পার হয়ে পরিপক্ক হওয়ার সুযোগ ঘটেনি।
লক্ষ্য করলাম। এখন দেখি লেখার সময় আঙুল ঠিকঠাক চলে কি না।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
অনেক সুন্দর করে লিখছেন, ভালো লাগছে।
আর হ্যাঁ, ফাজিল লোকটা আসলেই ফাজিল।
______________________________________
কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়
______________________________________
লীন
হুমম জ্ঞানী তো বটেই। নতুবা কীসব বিষয় নিয়ে কি ডিটেইলস গবেষণা!
ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
নতুন মন্তব্য করুন