ভূমিকা
জীবজন্তুর বদলে পশুপাখি লেখা যেত কিন্তু পাখির ছবি তুলতে চাই কামানের মত লেন্স।সুতরাং এই দফা আমরা জীবজন্তুতে থাকি। আফ্রিকার জঙ্গলে,সুন্দরবনে এমনকি কোনো অভয়ারণ্যতে গিয়ে ছবি তোলার সুযোগ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সুতরাং আমরা হাত পাকাবো চিড়িয়াখানার খাঁচায় রাখা প্রাণী আর পোষা জীব-জন্তু দিয়ে। তবে লক্ষ্য থাকবে ছবিতে যেন মনে হয় এরা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশেই আছে।
এই পর্বে আমাদের ক্যামেরাবাজির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে:
ক. এক্সপোজারের কৌশলগুলো আয়ত্ত্বে আনা।
খ. গতিশীল প্রাণীকে ফ্রেমে থামিয়ে দিয়ে দৃশ্যপট থেকে আলাদা করে দেখানো।
বন্য প্রাণীর ছবি তোলা আর্থিক দিক থেকে বেশ লাভজনক। কিন্তু ক্যামেরাবাজির ঘরানাগুলোর মধ্যে বন্যপ্রাণীর ফটোগ্রাফিকে মনে করা হয় সবচে কঠিন। কেন কঠিন?
এটা ঠিক স্টুডিওতে মডেল ফটোগ্রাফি না যেমন চাইলেন তেমন পোজ পাবেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মডেলদের কাছ থেকে। তবে, সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করলে চিড়িয়াখানা বা খাঁচায় থাকা প্রাণীরা কখন কিরকম আচরণ করবে তা আগেভাগে অনুমান করা সম্ভব।
(হাত পাকানোর জন্য গ্লোভ৭৬ এর মত সুযোগ বের করে এরকম ছবি তোলার চর্চা করা যায়
কারিগরি দিক থেকে এক্সপোজারের নিয়ন্ত্রণ করাটাই এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত: গতিশীল প্রাণীর ক্ষেত্রে ফ্রিজ বা স্থির ছবি তোলা এবং দ্বিতীয়ত: পশ্চাৎপট বা ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে প্রাণীটাকে আলাদা করে দেখানো।
সতীর্থ quicksilver_71 এর তোলা লিন্টন চিড়িয়াখানার সাইবেরিয়ান বাঘের ছবি।
জীব-জন্তুর জন্য কারিগরি প্রস্তুতি
একেবারে বন্য হোক বা খাঁচায় বন্দিই হোক, জীবজন্তুর ছবি তোলার জন্য দরকার ধৈর্য। সময় বুঝে ক্যামেরার বোতাম টিপতে হবে।প্রশ্ন হচ্ছে কখন বোতাম টিপবো। বা কী ছবি তুলবো।
বন্যপ্রাণী বা জীবজন্তুর ছবি তোলার জন্য লক্ষ্য করতে হবে:
১. প্রাণীটার কোনো একটা আকর্ষণীয় আচরণ।
২. পেছনের জঞ্জাল থেকে মুক্ত এরকম একটা কম্পোজিশনে প্রাণীটাকে পাওয়া। প্রাণীটাকে ফ্রেমে আলাদা করে তোলা।
প্রাণীটাকে আপনার খেয়াল করতে হবে মনোযোগ দিয়ে। কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণের পর যখন আপনি বুঝে যাবেন ওর মতি-গতি, চলা-ফেরার কায়দা তখন আপনি ক্যামেরা নিয়ে ওকে অনুসরণ করুন। এক প্রাণীর খাঁচা থেকে আরেক প্রাণীর খাঁচায় দৌড়াদৌড়ি না করে একটা প্রাণীর ওপর মনোযোগ দেয়া ভালো।
সতীর্থ গ্যারির তোলা ছবি:
খাঁচার কাঁটাতার বা কাঁচের ঝামেলা বাঁচিয়ে ছবি তোলা
আটকে রাখা প্রাণীরা সাধারণত: কাঁটাতার বা কাঁচের ঘেরাওয়ের মধ্যে থাকে। ছবি তুলতে গেলে এটা একটা বিরাট বাধা। বন্যপ্রাণীর ছবিতে কাঁটাতার বা কাঁচের প্রতিফলন ছবিটার ইজ্জত একেবারে পাংচার করে দেবে। এমনভাবে ছবি তুলতে হবে যাতে কাঁটাতার বা কাঁচের প্রতিফলন দেখা না যায়। কীভাবে সেটা সম্ভব?
১. কাঁটাতার থাকলে ক্যামেরাকে খুব কাছে নিয়ে যান।কাঁটাতারের বুননের কোনো একটা ফাঁকা জায়গা দিয়ে ফোকাস করুন।লেন্স বাঁচাতে ক্যামেরাতে অবশ্যই লেন্স হুড লাগিয়ে নেবেন।
২. কাঁচ দিয়ে ঘেরা জায়গায় রাখা প্রাণীর ক্ষেত্রে বাড়তি সমস্যা হলো আলো কম থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার তেপায়া বা একপায়ার সাহায্য নিতে হবে এবং হয়তো আইএসও বাড়িয়ে নিতে হবে। কাঁচের খুব কাছে চলে যান। তারপর যে হাতে ক্যামেরা ধরা নেই সেই হাত দিয়ে একটা ক্যামেরার লেন্সের সামনে একটা আড়াল তৈরি করুন যাতে কাঁচের প্রতিফলন ক্যামেরায় ধরা না পড়ে। একেক কাঁচ একেক রকম।সবক্ষেত্রে হয়তো হাতের ছায়ায় লেন্সকে রাখার দরকার নাও হতে পারে। আরো কিছু টেকনিক পড়ুন এখানে
(এ বিষয়ে যারা আরো বিশদ জানতে আগ্রহী তারা এ লেখাটাও পড়তে পারেন।
সঠিক এক্সপোজার
আগের পর্বগুলো থেকে আমরা জেনেছি যে ক্যামেরাবাজিতে মূল তিন কলকব্জা হলো শাটার স্পিড, এ্যাপারচার ও আইএসও।তিনের সম্মিলনে আমরা পাই এক্সপোজার।
(আরেক সতীর্থ ফায়ারিলেডির তোলা ছবি। কিন্তু জুনিই২০১০-এর তোলা পরের ছবিটাতে পশ্চাৎপট ঝাপসা থাকায় ছবিটা বেশি আকর্ষণীয় হয়েছে।)
দ্রুত শাটারস্পিড: যেহেতু যেকোনো প্রাণীরই স্থির থাকার সম্ভাবনা খুবই কম এবং আপনার ক্যামেরাও হাতে ধরা থাকার জন্য কাঁপতে পারে সেহেতু বন্যপ্রাণীর ছবি তুলতে দরকার দ্রুত গতির শাটারস্পিডের।ক্যামেরার পর্দা পড়তে হবে অন্তত: ১/২৫০ সেকেন্ডে। নতুবা প্রাণীটা বা প্রাণীর মুখের অংশ ছবিতে ঝাপসা দেখাতে পারে।
ধরা যাক আপনি ক্যামেরা হাতে রেখেই ছবি তুলতে যাচ্ছেন এবং প্রাণীটি নড়েচড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।কিট লেন্সে আপনি সবচে বেশি এ্যাপারচার পাচ্ছেন এফ/৫.৬ এবং আইএসও ১০০ তে রেখে ছবি তুলতে গেলে আপনি শাটারস্পিড পাবেন ১/৬০ সেকেন্ড।এখন শাটারস্পিড বাড়াবেন কী করে?
যেহেতু এ্যাপারচার আর বড় করতে পারছেন না সেহেতু আপনাকে আইএসও ১০০ থেকে বাড়িয়ে ৪০০ করতে হবে। তাহলে আপনি শাটারস্পিড বাড়াতে পারবেন।
এরপর আপনার হাতে বাড়তি যে হাতিয়ার আছে তা হলো এক্সপোজার কমপেনসেশন। যদি আপনি গাঢ় রংয়ের পশ্চাৎপটের সামনে দাঁড়ানো গাঢ় রংয়ের কোনো প্রাণীর ছবি তুলতে চান তবে এক্সপোজার কমপেনসেশন একটু কমিয়ে -১ বা -২ করে দিন। এতে প্রাণীটির চেহারার খুঁটিনাটি স্পষ্ট আসবে ছবিতে। যদি পরিস্থিতি বিপরীত হয় তবে এক্সপোজার কমপেনসেশন ঘোরাতে হবে উল্টাদিকে।
এ ছবি তুলেছে kəˈlɪstoʊ
সঠিক লেন্স
বন্য প্রাণীর ছবি তুলতে লম্বা টেলিফটো লেন্সই সবচে বেশি কাজে দেয়। পাখি হলে তো কথাই নেই।তাই বলে প্রফেশনালদের মত ৬০০ মিমির লেন্স থাকাটা বাধ্যতামূলক নয়।মোটামুটি ২০০ মিমির লেন্স থাকলে চিড়িয়াখানা বা খামারে গিয়ে জীবজন্তুর ছবি তোলা সম্ভব।অনেক পার্কে প্রাণীরা খোলা জায়গায় ঘুরে বেড়ায় ও মানুষের উপস্থিতিতে ঘাবড়ায়। এসব জায়গায় প্রাণীর বেশ কাছে গিয়ে ছবি তোলা সম্ভব।তবে দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক থাকুন, প্রাণীদের যথেষ্ট সমীহ দেখিয়ে ক্যামেরা তাক করুন এবং ধৈর্য হারাবেন না।
ফোকাস মোড বা ফোকাস পয়েন্ট
ক্যামেরার এই দুইটা কলকব্জা সচরাচর ঘোরানোর দরকারই পড়ে না। তবে বন্যপ্রাণীর ছবি তোলার ক্ষেত্রে এগুলো নাড়াচাড়া করতে হয় খুব বেশি।
যদি আপনি নিশ্চল বা ধীরস্থির কোনো প্রাণীর ছবি তোলেন (ধরা যাক জাবর কাটছে এমন কোনো গরু-মহিষ)তবে মানুষের/মডেলের পোর্ট্রেট তোলার কায়দাটাই ব্যবহার করবেন।চোখের কাছাকাছি থাকা ফোকাস পয়েন্টটাকে এ্যাকটিভ রাখবেন। তাতে চোখও প্রাণবন্ত হবে দেখতে।এই ক্ষেত্রে সবচে ভালো ফোকাস মোড হচ্ছে সিংগেল শট।
কিন্তু যদি আপনি দ্রুতগতির কোনো প্রাণীর ছবি তুলতে চান সেক্ষেত্রে সবক’টি ফোকাস পয়েন্টকে এ্যাকটিভ করাটাই উচিত হবে। নেতিবাচক দিক হলো এতে আপনি চোখটা খুব স্পষ্ট পাবেন না। আবার কোনো একটা মাত্র পয়েন্টকে এ্যাকটিভ রাখাটাও কঠিন। কিন্তু যদি সেটা করতে পারেন তবে তুলনামূলকভাবে ভালো ছবি পাওয়া যাবে। (ফোকাস পয়েন্ট কীভাবে বদলাতে হবে সেজন্য আপনার ক্যামেরার ম্যানুয়াল দেখুন। সাধারণ ধারণার জন্য এই লিংকটা দেখতে পারেন।
গতিশীল প্রাণীর ক্ষেত্রে ফোকাস মোড বদলে ‘কন্টিনিউয়াস’ করে নিতে হবে। তবে ছবি তোলা শেষ হয়ে গেলে এটা বদলাতে ভুলবেন না।
শেষকথা: বন্যেরা বনে সুন্দর
এমনভাবে ছবি তুলতে হবে যাতে চিড়িয়াখানার প্রাণীকে দেখেও মনে হয় এটা তার স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশে আছে। এ্যাপারচার নিয়ন্ত্রণ করে আমরা এটা করতে পারি।এক্ষেত্রে আমাদেরকে জমিনের গভীরতা বা ডেপথ্ অব ফিল্ড কমাতে হবে। এ্যাপারচার যদি আমরা বড় নেই তাতে শাটারস্পিড বেশি পাওয়া যাবে এবং জমিনের গভীরতা কমে আসবে।(জমিনের গভীরতা নিয়ে আলোচনা পাওয়া যাবে আগের পর্বে)।
নীচের বাঘের ছবিটি তুলেছে Essexgirl3
বন্যপ্রাণীর ছবি তোলা চর্চা:মৌলিক দক্ষতা:১১:০১
এবার ছবি তোলায় নেমে পড়ি চলুন। এজন্য চিড়িয়াখানায় না যেতে পারলে পোষা বেড়াল বা কুকুরের ছবি তুললেও চলবে। শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে:
১. ছবিটি যাতে প্রাকৃতিক পরিবেশে তোলা মনে হয়,
২.প্রাণীটির নড়াচড়াকে স্থির (ফ্রিজ)দেখায়,
৩.পশ্চাৎপট থেকে যেন প্রাণীটিকে আলাদা দেখায়।
যা করতে হবে:
• একটা প্রাণী বেছে নিতে হবে। পোষা প্রাণী হতে পারে।
• আপনার লেন্সের সবচে লম্বা ফোকাল লেংথ ব্যবহার করতে হবে।
• আপনার ডিএসএলআরকে এ্যাপারচার প্রায়োরিটি মোডে এফ/৪.৫-এ সেট করুন।
• এমন আইএসও নির্বাচন করুন যাতে দ্রুত গতির শাটার স্পিড পাওয়া যায়।
• আপনাকে নীচু হয়ে প্রাণীটির চোখের উচ্চতায় নেমে ছবি তুলতে হবে।
• ফ্লিকারে ক্যামেরাবাজি কোর্সের গ্রুপ পাতায় আপনার ছবি আপলোড করুন।
লক্ষ্য রাখুন:
*সামান্য নড়াচড়াকে স্থির করতে আপনার কমপক্ষে শাটারস্পিড ১/২৫০ সেকেন্ড লাগবে।
*যদি প্রাণীটি অস্থির প্রকৃতির হয় বা গতিশীল হয় তাহলে আপনাকে আইএসও বাড়িয়ে আরো বেশি শাটার স্পিড ব্যবহার করতে হবে।গতিশীল বন্যপ্রাণীদের ক্ষেত্রে ১/৫০০ সেকেন্ড থেকে ১/১০০০ সেকেন্ড শাটার স্পিড প্রয়োজন হতে পারে।
প্র্যাকটিক্যাল ফটোগ্রাফির সৌজন্যে নীচের ভিডিওতে দেখুন কীভাবে বন্যপ্রাণীর এরকম ছবি তুলবেন:
মন্তব্য
ঈগলের দৃষ্টির মত প্রখর, হাতির মত বিশাল লেখায়, শিয়ালের মত ধুর্ত কমেন্ট কইরা যাই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ওয়াইল্ড লাইফের আশা বাদ্দিছি। গরিব মানুষ নুন আন্তে পান্তা ফুরায় তার আবার টেলি লেন্স!
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
কঠিন!! সরাসরি প্রিয়তে...
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
ফ্লিকার গ্রুপের পোস্ট করলে কোন নোটিফিকেশন মনে হয় পাওয়া যায়না। আমি একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। কেউ কোন উত্তর দেয়া দূরে থাক মনে হয় পড়েও দেখেনি
তেমন বিশেষ কিছু নয়, আলোচনা শুরু করতে চেয়েছিলাম। এখন অবশ্য অংশগ্রহণ করা অসম্ভব। ভীষণ ব্যস্ত।
ফ্লিকার গ্রুপ থেকে নোটিফিকেশন তো আসার কথা।
পোস্ট এখানে দিলেই ভালো হয়।
আসলে আমরা সবাই ব্যস্ত। ফটোগ্রাফি বিষয়ে আমাদের অনেকেরই আগ্রহ আছে। কিন্তু অভ্যস্ততা থেকে বের হয়ে একটু গভীরে যাওয়ার অলসতায় ভুগি অনেকেই। এই যেমন আজকে একটা ফার্মে যাওয়ার কথা। আকাশ মেঘলা, যেকোনো সময় বৃষ্টি নামতে পারে এই অজুহাত তৈরি করে বসে আছি ঘরে।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
হুম। সচলদের কম সংখ্যকই ফ্লিকারে যায়। তাই আলোচনা এখানে হলেই সুবিধা হবে মনে হয়।
পাখির ছবি তোলা বেশ কঠিন। শহরে কাক বাদে অন্য কোন পাখি নেই। এই পর্যন্ত যে কটা পশুপাখির ছবি তুলেছি তার মধ্যে কাক এবং কাক। তাই পাখি বাদ দিয়েছিলাম। এই লেখা থেকে বেশ কিছু আইডিয়া পাওয়া গেল, আগ্রহটা চাড়া দিল।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এক কমেন্ট দুইবার এসে যাওয়ায়, প্রথমটায় অন্য কথা লিখছি। ভিন্ন টপিক হয়ত, কিন্তু মিটারিং নিয়েও একটা বিশদ লেখা পেলে ভালো লাগত।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অ-সাধারণ। অনেক কৃতজ্ঞ।
এক্সপোজার কমপেনসেশনটা আরেকটু বুঝতে চাই। মানে প্রয়োগের ক্ষেত্র আর কেন কেমনে কি হয়, এইসব আরকি।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনি যদি camera raw-তে ছবি তোলেন তাহলে পরে আপনি এক্সপোজার কমাতে বাড়াতে পারেন। তবে ছবি তোলার সময় যদি আপনার মনে হয় ডিফল্ট সেটিং-এ আপনার ছবির বিষয়বস্তু বেশি উজ্জ্বল বা বেশি অন্ধকার দেখাচ্ছে তাহলে আপনি তখনই এক্সপোজার কমিয়ে বা বাড়িয়ে নিতে পারেন।
নীচের ভিডিও হয়তো আপনাকে একটু সাহায্য করবে:
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আগের একটি পর্বে এক্সপোজার নিয়ে আলোচনা হয়েছিল সেটা আপনার কাজে লাগতে পারে তাই লিংক দিলাম।
http://www.sachalayatan.com/shohailmc/24600
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
সুপার্ব !
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
খাইতে পাই না ভাত কিন্তু কিনতে চাই রঙিন টেলিভিশন!!!!! আমার ক্যামেরাই নাই তারপরও ক্যামেরাবাজির পোস্ট মনযোগ দিয়ে নিয়মিত পড়ি!
ঐ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আরে, আপনি তো দেখি আমার মত। নিজের টাইপ রাইটার বা কম্পিউটার কোনটাই যখন ছিলোনা তখন কাগুর বিজয় লে-আউট আমি কাগজে লিখে শিখেছিলাম, নিছক আগ্রহের বশে।
আসলে আগ্রহটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পড়তে পড়তেই শেখা হয়ে যায়। বাকীটা প্র্যাকটিক্যাল দিয়ে পাকাতে হবে।
আপনার ক্যামেরাবাজির সিরিজ এবার প্রথম থেকেই পড়ে আসছি। এই লেখাটাও খুব ভালো লাগলো! তারা দেওয়ার তো ক্ষমতা নাই তাই মুখেই বলি।
খালি একটা বিষয় সবাইকে বললে মনে হয় ভালো হবে। জীবজন্তুর ছবি তোলার সময় তাদের চোখ অবশ্যই ফোকাসে রাখতে হবে নাহলে ছবিটার আবেদন অনেকাংশেই কমে আসে। আমি প্রথম ক্যামেরা কেনার পর নাচতে নাচতে চিড়িয়াখানায় গেসিলাম পশুপাখির ছবি তুলতে। তুলেটুলে ঘরে এসে আবিস্কার করসিলাম চোখের উপর ফোকাস কি ভয়ঙ্কর দরকারি হইতে পারে। অনেক অনেক শট যা বইসা বইসা, সময় নিয়ে তুলসিলাম সব ফেলায় দিতে হইসিল কারণ চোখে ফোকাস করি নাই।
৫তারা
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন