থিসিসের সংশোধন: বড় শংকায় আছি

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০২/২০০৬ - ৪:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সুপারভাইজারগুলো যে কেনো এরকম হয়। আমারই শুধু এরকম দুর্ভোগে পড়তে হয়। আমার থিসিসের ড্রাফট দেখে গি্লন রেখে গেছে ডিপার্টমেন্টের অফিসে। গত 7 তারিখ। আর আমি আজ মাত্র জানতে পারলাম মার্গারেটের কাছ থেকে।

120,000 শব্দের থিসিস। আর ওর নাকি পড়তে সময় লেগেছে মাত্র ছয় ঘন্টা। একবার দৃষ্টি দিলেই একপৃষ্ঠা পড়ে ফেলে নাকি। যা হোক ড্রাফটটা হাতে পেলে বুঝা যাবে কি পড়েছে। কিন্তু ই-মেইলের সাথে যে মন্তব্য দিয়েছে তা পড়ে ভড়কে গেলাম। ও যদি আমার পরীক্ষক হতো তাহলে আর আমার পাশ করা লাগতো না।
এ কথা মনে করেই ভয় লাগছে। ই-মেইলটা পড়ার পর থেকেই মন খারাপ। ড্রাফটটা নিয়ে কবে বসতে পারবো। আর কতদিন লাগবে ওটা ঠিক ঠাক করতে। ডিসেম্বরে যদি ড্রাফটটা দেখে দিত তাহলে এতদিনে সংশোধন শেষ হয়ে যেত।

সাহস অর্জনের চেষ্টা করি মনে। কিন্তু পুরো একটা ঘুম দিয়ে না উঠলে আমার এস ব টেনশন যেতে চায় না। পারবো তো থিসিসটা শেষ করতে। পাশ হবে তো। সারাদিন দু:শ্চিন্তায় কাটলো। ভাইভাতে যদি পরীক্ষকরা ফেল করিয়ে দেয়। অথবা প্রচুর সংশোধন করার জন্য বলে?

নিজের লেখা বার বার পড়তে ভালো লাগে না। আর যতসব ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি খুঁজে বের করে টুক টুক করে সংশোধন করতেও মন চায় না। তার উপর ভাষা হচ্ছে ইংরেজি। ইংরেজি এত পড়লাম, এত লিখলাম কিন্তু আজ পর্যন্ত আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পারলাম না।

অনেক কাজ জমে আছে। কিন্তু থিসিসটা কাল এনেই ধরতে হবে। কয়েকটা সপ্তাহ বিশেষ মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে। খুব গোছগাছ করে। মন তুই শান্ত হ, স্থিত হ।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।