সাদা কালো হয়ে আছে চারপাশ। বৃষ্টি পড়ছে ঝিরঝির করে আর তার সাথে মাঝে মাঝে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট ছোট্ট তুষারবিন্দুর ধারা। ভয়াবহ ঠান্ডা বাইরে। এই ঠান্ডার মধ্যে নিজেকে গরম কাপড় দিয়ে প্যাকেট করে রাস্তায় নামতে একটুও ইচ্ছে হচ্ছে না। বাসস্টপটা বাসা থেকে যেটুকু দূরে তা হয়তো বেশি নয় কিন্তু যেতে যেতে ভিজে একসার হয়ে যাবো। সুরক্ষা হিসেবে রেইনকোট না ছাতা নেবো সেই সিদ্ধান্ত নেয়াটা বেশ কঠিন। ভিজে রেইনকোট নিয়ে বাসের সিট ভেজাতে খুবই অনিচ্ছা আমার। আবার ভেজা ছাতা টানাটানি ও হাজার মানুষের ভিড়ে একে সামলে রাখাটাও এক বিরাট বিড়ম্বনা।
এখান থেকে রাসেল স্কোয়ার যেতে হলে আবার বাস বদলাতে হবে। কয়েকটা আলাদা আলাদা বাস নেয়া যায় আলাদা আলাদা জায়গায় থেমে। সেও এক মাথা ঘামানোর মত বিষয়। 25 নম্বর বাসটাই সবার আগে পাওয়া যায়। এ আবার 24 ঘন্টার বাস। দিন-রাত চলে। প্রতি 5-6 মিনিট অন্তর অন্তর পাওয়া যায়। কিন্তুদিনের যেকোনো সময় লোক গিজ গিজ করে এতে। পূবের সেই শহরতলি রমফোর্ড থেকে অক্সফোর্ড সাকর্াস পর্যন্ত যায় আর গোটা তিনেক দরজা খুলে একসাথে মানুষ উঠায় বলে টিকেট না কেটেও অনেক মানুষ উঠে। ভিড়ের সেও একটা কারণ। তবে বড় কারণ হচ্ছে একদম মূল সড়ক ধরে অনেকগুলো ঘনবসতি এলাকা ছুঁয়ে আসে বাসটি। কিন্তু একটু লম্বা দূরত্বের গন্তব্যে বসার জায়গা না পেলে ভালো লাগে না। যাতায়াতের সময় এমনি এমনি নষ্ট হতে দিতে আমার ভীষণ আপত্তি। অন্তত: দিনের সংবাদপত্রটা পড়ার সুযোগ থাকা উচিত। ঘন্টাখানেক সময় শুধু দাাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অপচয় করা যায় না।
25 নাম্বার বাসই নিতে হবে আজ। তাতে বৃষ্টি আর ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচা যাবে কিছুটা। কিন্তু সবচে' ভালে া হতো না গেলে। কেনো যে গতক্লাসে না করে দিলাম না ছাত্রদেরকে। কাল থেকে বসন্তের ছুটিতে যাচ্ছে ওরা। নাহয় একদিন আগেই যেতো। এই ঠান্ডা আর বৃষ্টির সাথে লড়াই করে গিয়ে আমাকে হাজিরা দিতে হতো না।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন