বলা হয়, গীতা শুধু একটি বই নয়। এ হলো জীবনের নিত্যসহচরী, অন্ধকারে আলো। যে আলো শ্রী ভগবানের বাণীর আলো। সব আলো যখন নিভে যায়, তখন এই আলোই জ্বলে। এ আলো নেভেনা কখনও।।
মহাভারতে বলা আছে:
"গীতা সুগীতা কর্তব্য, কিন্মনৈ: শাস্ত্রবিস্তরৈ:।।
অর্থাৎ বিস্তর শাস্ত্র পড়বার দরকার নেই তো! গীতাই ভালভাবে পড়া কর্তব্য। তাই যাদের বিস্তর শাস্ত্র পড়বার সময় নেই, বিদ্যাবুদ্ধিও তেমন নেই- তারা শুধু গীতাই পড়বে। তাহলেই সব পড়া হবে।।
আসুন পড়ি শ্লোক 2/27:
জাতস্য হি ধ্রুবো মৃতু্যর্ধ্রুবং জন্ম মৃতস্য চ।
তস্মাদপরিহার্যেহর্যে ন ত্বং শোচিতুমর্হসি।।
ভগবান কৃষ্ণ এখানে বলছেন: "জন্ম হলেই মৃতু্য সুনিশ্চিত। মানুষ মরনশীল। নিজ কর্মফল অনুযায়ী মৃত মানুষের পুনর্জন্ম অবশ্যম্ভাবী। আত্মজ্ঞান ব্যতীত পুনর্জন্ম রোধ করা যায় না। মৃত্য যখন অতীব সত্য ও ঘটবেই, তখন, সেই অপরিহার্য বিষয়ে শোক করা তোমার উচিত নয়। তাই নিয়ে মনখারাপ করা বোকামি ও মুর্খের কাজ।
ব্লগে আজ শাওন ডেথক্লক নিয়ে একটি লেখা দিয়েছেন। মৃতু্য নিয়ে তার বা অন্যান্যদের এই যে অনুভূতি তার সুন্দর জবাব এ ই গীতায় দেয়া আছে। সুতরাং মৃতু্য নিয়ে মনখারাপ করার কিছু নেই। কর্মফলই আমাদেরকে শাস্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন