অনেকেই চমকে উঠবেন। দুই মেরুর দুই বাসিন্দা দু'জন। তাদের আবার মিলের প্রশ্ন উঠছে কেনো? অমিল ছাড়া দুজনের আছে কী?
হয়তো আপনারাই ঠিক। বদরুল নিজেই দীক্ষককে বলেছেন যে, "আপনি নাহয় আমার চেয়ে দু' কলম বেশি লেখাপড়া জানেন"। সুতরাং তাদের লেখা থেকে বুঝা যায় বিদ্যাশিক্ষায় একটা ফারাক আছে দু'জনের। এবং ফারাকটা বিশাল।
অমিলের তালিকায় আরো আসে তাদের ধর্মবিশ্বাস।
প্রোফাইলের দিকে তাকালে অনেক অমিল বের হয়। বদরুলের একখানা ফটুক শোভা পাচ্ছে, সাথে কিছু ভালো-মন্দ কথার বয়ান। দীক্ষকের সেসব কিছুই নেই।
বদরুলের কথাবার্তা শুনে তাকে যথেষ্ট সহজ সরল মনে হয়। দীক্ষক মহাকঠিন। তার ব্লগের নাম দুরাসদ দু্যলোক। এর যে কী মানে তা সম্ভবত: সেই শুধু জানে।
অমিলের তালিকা দীর্ঘ করে কি লাভ। শেষ আমরা তাদের দুজনকে দেখেছি কলম ধর্মঘটের পক্ষে বিপক্ষে যুদ্ধে রত। দীক্ষক বুলেটিন বের করে গেছেন আর বদরুল পোস্ট করে গেছেন। সেখানে ই খুঁজলে দুজনের অমিল অনেক পাওয়া যাবে।
তবে মিলও খুঁজে পাওয়া যায়। দুজন ধর্শঘট শেষে একসাথে চুপ মেরে ভদ্র হয়ে গেছেন। এটা একটা বিরাট মিল। তাছাড়া কখনও কখনও দীক্ষককে আঞ্চলিক ভাষায় বদরুলের সাথে মন্তব্য চালাচালি করতে দেখা গেছে, সেও একটা মিল। তবে ভীষণ এক মিল দেখা গেছে আজকে। কতর্ৃপক্ষ যখন ইংরেজির সুবিধা দিলেন তখন বদরুল (যদিও শোহেইল ও হিমুও প্রতিবাদে পোস্ট করেছিল) দীক্ষকের মত করে প্রতিবাদ শুরু করলেন। ডাক দিতে শুরু করলেন আন্দোলনের। আমার পোস্টে মন্তব্য করে বললেন শিরোনাম বদলে জোরে সোরে নামতে। সে যাক কর্তৃপক্ষের তড়িৎ সিদ্ধান্তের কারণে আন্দোলনটা দানা বাঁধতে পারেনি বা ধর্মঘট পর্যন্ত যায়নি। কিন্তু বদরুল ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটা পোস্ট মেরে দিয়েছেন। তার কায়দার সাথে দীক্ষকের কায়দার মিল ছিলো। দীক্ষক তার সব বুলেটিনে তালা ব্যবহার করেছিলেন ধর্মঘট বুঝাতে আর বদরুল ব্যবহার করেছেন শহীদ মিনার। সম্ভবত: বাংলা ভাষার গুরুত্ব বুঝাতে। সুতরাং আন্দোলনের ডাক দেয়া, আন্দোলন করা, আবার অঞ্চল এসব মিলিয়ে দুজনের মাঝে অনেক মিলই দেখা যাচ্ছে। কালে হয়তো আরো মিল বের হবে। অথবা আপনারা হয়তো আরো কিছু মিল লক্ষ করেছেন যা আমার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে।
তো এসব মিল দেখে আমার মনে একটা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে তা হলো দীক্ষক ও বদরুল দু'জনের মধ্যে কে ওস্তাদ আর কে সাগরেদ?
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন