সমগ্র শাস্ত্রের নির্যাস বেদান্ত উপনিষদে। বেদান্ত উপনিষদের নির্য্যাস শ্রী শ্রী গীতায়।
গীতায় আছে: 9/14
সততং কীর্ত্তয়ন্তো মাং, যতন্তশ্চ দৃঢ়ব্রতাঃ
নমস্যন্তশ্চ মাং ভক্তা, নিত্যযুক্তা উপাসতে।।
অথর্াৎ দৃঢ়নিষ্ঠ ও যত্নশীল ভক্তেরা সর্বদা আমার কীর্তন গুণগান করে, ভক্তির সঙ্গে নমস্কার করে, সদা সমাহিত হয়ে আমারই উপাসনা করে।
তো ভগবানকে নিয়ে মানুষের তো প্রশ্নের শেষ নেই, অনুমানের শেষ নেই। মানুষের, পন্ডিতদের বিভিন্ন জল্পনা -কল্পনার জবাব দিচ্ছেন ভগবান এই বলে:
ন ত্বেবাহং জাতুং নাসং , ন ত্বং নেমে জনধিপাঃ
ন চৈব ন ভবিষ্যামঃ সর্বে বয়মতঃপরম।।
অর্থাৎ ভগবান বললেন, বিজ্ঞরা জানেন যে, আদিকালে আমি ছিলাম না, এমন নয়; তুমিও কখনও ছিলে না, তা নয়; বা এই নৃপতিরাও ছিলেন না, তাও সত্যি নয়। ভবিষ্যতে যে আমরা আবার থাকবো না, তা ভুল। অর্থাৎ আমরা আগেও ছিলাম, এখন বর্তমানেও আছি আর পরে ভবিষ্যতেও থাকবো।
এই কথার কি মানে হতে পারে। হতে পারে অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত একাকার। সব মিলিয়ে থাকা। আমরা যদি সময়কে একটি বহুতলা বিলিডং কল্পনা করি। আর মনে করি তার মধ্যে বর্তমানে লিফটি যে তলায় (ধরা যাক 8 তলা) দাঁড়িয়ে আছে তা বর্তমান। তাহলে 7 তলা থেকে নীচের সবগুলো তলা হচ্ছে অতীত। আর 9 তলা থেকে উপরের সবগুলো তলা হচ্ছে ভবিষ্যত। এখন যে লিফটে 8 তলায় আছে তার ধারণা শুধু আটতলাটিই আছে। অন্য তলাগুলির কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু বিলিডংটির বাইরে থেকে যে দেখছে সে সবকটি তলাকেই দেখতে পাচ্ছে। অর্থাৎ অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতকে দেখতে পাচ্ছে। সময় সব সময়ই বর্তমান। অথবা স্টিফেন হকিংসের সূত্রে বলা যায় সময় বলে কিছুই নেই।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন