গৃহজীবি মানুষের গৃহ কর্ম

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: রবি, ১২/০৩/২০০৬ - ৬:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আজ ও আগামীকাল ব্লগ থেকে দূরে থাকতে হবে। লেখা সম্ভব হবেই না। নতুন লেখাগুলো দ্রুত চোখ বুলিয়ে দেখার সুযোগও হয়তো পাবো না। কারণ গৃহসজ্জা। গৃহজীবি মানুষের বড় ভালবাসার স্থান তার গৃহ। (অরূপ বোধহয় এমন একটি পোস্টও করেছে)। গৃহকে সে সাজাতে চায় তার পছন্দের সাজে, আদলে। আপন পছন্দের অজুহাতে সে হতে চায় আরো গৃহবাসী, গৃহবন্দী।

গুহা ছেড়ে মানুষ যে গৃহের পত্তন করলো তারপর থেকে লেগে আছে তাকে সাজানোর কর্মকান্ডে। বসবাসকে আরো কত চিত্তাকর্ষক করে তোলা যায় তার চেষ্টাতেই সে ব্যস্ত। আমার এই দুদিনের ব্যস্ততার কারণও তা। এই ফ্ল্যাটে উঠার পর থেকে বড় বড় পরিবর্তনগুলো করাই হয়নি। অর্থের অভাবই মূল কারণ। তো এই দফায় মেঝের দিকে খেয়াল করলাম। সবুজ কার্পেটটা দেখলে মোটেই শ্যামলিমার কথা মনে হতো না। বরং বৃদ্ধনিবাসের অন্ধকারই চোখে ভাসতো। সুতরাং কার্পেট বদলেই আগে হাত দিলাম। তবে কার্পেট বদলে কার্পেট নয়। ল্যামিনেটেড উড ফ্লোরিং। উপরের ফিনিশিংটা হচ্ছে ওক গাছের হালকা হলুদাভ রং। একেবারে মনে হয় কাঠের চেরা অংশ বার্নিস করা। পুরো ঘরের মেঝে এখন ডাইনিং টেবিলের মত হয়ে গেছে। কাঠ আর কাঠ। বড় প্রাকৃতিক। কিন্তু এই প্রাকৃতিক হতে গিয়ে এই ছোট্ট ফ্ল্যাটের জন্য 1000 পাউন্ড নেমে গেলো। বর্তমান বাজার দরে কমপক্ষে 1 লাখ 25 হাজার টাকা। গৃহজীবি মানুষের এসব বিচিত্র ও অকারণ শখে প্রবাসের ছাত্রজীবনের ফাঁকে আয় করা এতগুলা টাকা দরদর চলে গেলো 'ফ্লোরস-টু-গো'র দোকান মালিকের পকেটে।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।