বিদেশী গবেষকের চোখে বাঙালি

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ৩১/০৩/২০০৬ - ৯:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


নিজের চেহারাটা নিজের চোখে অনেক সময় ঠিক-ঠাক মত ধরা পড়ে না। তখন আমরা বন্ধুকে বলি এই দেখতো এই কাপড়টা আমাকে মানিয়েছে কি না। আবার যে মানুষ দীর্ঘদিন ধরে একসাথে থাকে তার চোখেও অনেক ভুলত্রুটি ধরা পড়ে না। অভ্যাস হয়ে যায়। অথবা চর্বি বেড়েছে কিনা তা জানার জন্য অনেক দিন পর দেখা হওয়া পরিচিতজনের মতামতই ভালো। তারা পরিবর্তনটা চট করে ধরতে পারে। একেবারে অপরিচিত কারো চোখে আবার সবকিছুই বিস্ময় ঠেকে। তার বিচার হয় একেবারে নতুন কিছু। নিজেকে আয়নায় দেখে সেসব বিষয় সহজে ধরা যায় না। তো এই পরিপ্রেক্ষিতে বাঙালি জাতির কিছু আচার-আচরণ সম্পর্কে দুয়েক জন বিদেশির মতামত তুলে ধরি। দেখুন আমাদের চারিত্র তাদের কাছে কিভাবে ধরা পড়েছে।

পরিবার নির্ভরতা আমাদের দেশে একটি অত্যন্ত বড় বিষয়। পৃথিবীর অনেক দেশেই এই উপাদান একেবারে অনুপস্থিত। তো একজন বিদেশি গবেষক লিখেছেন, ' বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি যখন ক্রমণ বৃহত্তর সমাজে প্রবেশ করে তখন পদে পদে তার পথটি মসৃণ করে দেবার জন্য প্রয়োজন পড়ে আত্মীয়স্বজন, চেনাজানা লোকের। একটা চাকরি পেতে, বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি রতে,অফিসের একটা ফাইল সই করিয়ে নিতে সহজ হয় যদি সঠিক লোকের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ থাকে। আত্মীয়স্বজন, চেনাজানা লোকের পৃষ্ঠপোষকতার জালে ঢুকতে না পারলে এখানে অস্তিত্বই বিপন্ন।"

মনে হয় না ব্যাটা জানিলো কেমনে? তো আরেক জনের মন্তব্য পড়ি চলুন, মানুষের ভেদাভেদ জ্ঞান সম্পর্কে। তিনি বলেছেন, "বাংলাদেশের মানুষ যখন নতুন কারো সঙ্গে পরিচিত হয় তখন সে দ্রুত মেপে নেবার চেষ্টা করে নতুন মানুষটি সামাজিক মর্যাদায় তার উপরে না নিচে? সাধারণ কথাবার্তা বা কোনো আনুষ্ঠানিক আদান প্রদান সবক্ষেত্রেই এই উঁচু নিচু বোধটি থাকে খুব টনটনে। কে উঁচু, কে নিচু তা নির্ধারণ হতে পারে উপার্জনের অংক দিয়ে, পড়াশোনার ডিগ্রি দিয়ে, বয়স দিয়ে এমনকি গায়ের রং দিয়েও।"

সত্যিই কি তাই। কতটা সত্যি?


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।