শরীরের নানা অসুবিধায়, পুরনো/ক্রনিক অসুখ থাকলে রাগ হওয়া খুব স্বাভাবিক। শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে মন-খারাপ হতে পারে, অসহায় ও হতাশ (ডিপ্রেশন) লাগতে পারে। আপনি হয়ত নিজেকে প্রশ্ন করবেন, "কেন আমি?" ঠিকমত শরীরের যত্ন নেন নি বলে নিজের উপর আপনার রাগ হতে পারে। পরিবারের সবাই ঠিকমত দেখাশুনা করছে না বলে তাদের উপর রাগ হতে পারে। ডাক্তারের উপর রাগ হতে পারে যে তিনি আপনার সমস্যা ভালো করতে পারছেন না। মাঝেমাঝে দেখতে পারেন যে, আপনি অন্য জায়গায় রাগ দেখাচ্ছেন; হয়ত দেখবেন আপনি বিড়ালের সাথে চিল্লাচিলি্ল করছেন। যদি নিজে বুঝতে না পারেন যে আপনার ভেতরে রাগ হয়েছে তবে আপনি ভুল জায়গায় রাগ দেখাতে পারবেন।
আপনার রাগকে ম্যানেজ করতে হলে আগে আপনাকে স্বীকার করতে হবে যে আপনার রাগ করেছেন। আপনাকে ভেবে বের করতে হবে কিসের বা কার উপর আপনার রাগ হয়েছে। রাগটাকে ভালোভাবে প্রকাশ করতে হবে, তা নাহলে রাগ ভেতরে ভেতরে বাড়তে থাকবে। এতে অন্যদের মন খারাপ করে দিতে পারেন বা নিজের অবস্থার আরো ক্ষতি করতে পারেন। ভেতরে জমতে থাকা রাগ শুধু ফেটে বেরিয়ে এসে অন্যদের মনে আঘাত দেয় না এটা আপনার ভেতরে চাপা থাকতে পারে। এতে আপনার অসুখের অনেক লক্ষণ যেমন হতাশা (ডিপ্রেশন) বেড়ে যেতে পারে।
রাগকে কব্জায় আনা
1. কথা বলে রাগকে প্রকাশ করুন। অন্যদের ওপর দোষ চাপাবেন না এবং চেষ্টা করুন যাতে অন্যরা আঘাত না পায়। "তুমি" শব্দ ব্যবহার করে নিজের কথা না বলে "আমি" দিয়ে কথা বলুন। বন্ধু বা পরিবারের লোকেরা হয়তো সাহায্য করতে পারবে না। রাগ করার যদি যথেষ্ট কারণ থাকে তবুও কেউ রাগ করলে আমরা বেশিরভাগ লোক তার সাথে ভালভাবে কথা বলতে পারি না।
2. আপনার আশা বদলান। একেবারে ভাল হয়ে যাবেন এমন আশা আপনি করতে পারেন না। কিন্তু আশা করতে পারেন করতে ভাল লাগে এমন অনেক কাজ আপনি করতে পারবেন। আপনার অসুখ আরো খারাপ হয়ে যাওয়ার গতি কমাতে পারবেন এবং বেশি খারাপ হয়ে যাওয়া বন্ধ করতে পারবেন। যে 10% (পার্সেণ্ট) কাজ আপনি করতে পারছেন না তার কথা ভাববেন না, বাকি 90% যেটা আপনি পারছেন তার কথা ভাবুন।
3. নতুন কাজ করার মাধ্যমে রাগ কমান : নতুন শখ বা কাজ করতে শুরু করুন, যেমন লেখা, গান বা ছবি আঁকা। অনেকে এগুলি করে খুব ভাল (থেরাপিউটিক) ফল পান। আপনার ক্ষেত্রে এগুলো না খাটলে নিজের পছন্দমত কিছু কাজ ভেবে বের করুন। কেউ কেউ প্রার্থনা বা ইবাদত করেও উপকার পান।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন