সহ্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সাঁতার একটা ভালো ব্যায়াম। পানির মধ্যে শরীর হালকা লাগায় শরীরের জোড়াগুলো সহজেই পুরোপুরি নাড়াচাড়া করা যায়। সেইসাথে মাটির তুলনায় কম কষ্টে মাসল ও কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম শক্ত করা যায়। যেহেতু সাঁতার কাটতে হাত ব্যবহার করতে হয় সেহেতু যেসব লোকের ফুসফুসের অসুখ আছে তাদের জন্য অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। তবুও, যাদের হাঁপানি আছে, তাদের জন্য সাঁতার একটা ভালো ব্যায়াম কারণ পানির কারণে শ্বাসকষ্ট কম হয়। যাদের হার্টের অসুখ আছে, বা হার্টবিট মারাত্মক রকম অনিয়মিত এবং হার্টে স্থায়ীভাবে পেস-মেকার বসানো আছে তাদের সাঁতার না কাটা ভালো। তবে পুরনো অসুখ আছে এমন বেশিরভাগ লোকের জন্য সাঁতার কাটা একটি চমৎকার ব্যায়াম। এতে পুরো শরীর কাজে লাগে। যদি আপনি বেশ কিছুদিন সাঁতার না কেটে থাকেন তাহলে একটা রিফ্রেশার কোর্সে অংশ নিতে পারেন।
সুইমিং থেকে সহ্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অন্তত: 20 মিনিট ধরে একটানা সাঁতার কাটা উচিত। এই চ্যাপ্টারের প্রথমে সহ্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কতবার, কতক্ষণ ও কত মাত্রার যে একটা গাইডলাইন দেয়া হয়েছে সেটা ব্যবহার করুন। বিভিন্ন ভঙ্গিতে সাঁতার কাটুন। এক বা দুই ল্যাপ পর সাঁতারের ভঙ্গি বদলান। এতে আপনার শরীরের এক অংশ বেশি ক্লান্ত হবে না। সব মাসল ও জোড়ার ব্যায়াম হবে।
সাঁতার সম্পর্কে পরামর্শ
বুক সাঁতার এবং ক্রলের ক্ষেত্রে গলায় অনেক চাপ পড়ে সেজন্য যদি আপনার গলায় ব্যথা থাকে তবে সাঁতার কাটলে আপনার অসুবিধা হতে পারে। এই অসুবিধা দূর করার জন্য মাস্ক ও স্নোরকেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনি ঘাড় না ঘুরিয়ে শ্বাস নিতে পারবেন।.
ক্লোরিন থেকে চোখে জ্বালা পোড়া হতে পারে। ভালো গগলস্ বা রোদচশমা নিতে পারেন। আপনি চাইলে সাঁতার কাটার সময় গগল্স ব্যবহার করতে পারেন। আপনার চশমার প্রেসকি্্রপশন অনুযায়ী গগলস্ বানিয়ে নিতে পারেন।
ব্যায়ামের পর গরম পানি দিয়ে শাওয়ার বা বাথ করলে মাসলের ব্যথা বা মাসল শক্ত হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। খুব বেশি ব্যায়াম করবেন না বা খুব বেশি ক্লান্ত হয়ে যাবেন না। যদি ব্যায়ামের পর দুই ঘন্টার বেশি সময় ব্যথা থাকে তবে পরের বার আরো কম করে ব্যায়াম করুন।
যদি সম্ভব হয় তবে যেখানে কোয়ালিফাইড লাইফগার্ড আছে সেখানে সবসময় সাঁতার কাটুন। অথবা সঙ্গে একজন বন্ধু রাখুন। কখনও একা সাঁতার কাটবেন না।
পানিতে ব্যায়াম
আপনি যদি সাঁতার কাটতে পছন্দ না করেন বা সাঁতারের কৌশলগুলো শিখতে অস্বস্তি লাগে তবে পুলের পানিতে হেঁটে হেঁটে এপার ওপার করতে পারেন। অথবা মিলিয়ন মিলিয়ন লোক যারা এ্যাকোয়াসাইজিং বা পানিতে ব্যায়াম করছেন তাদের দলে যোগ দিতে পারেন।
নমনীয়তা, শক্তি বাড়ানো এবং এ্যারোবিক কাজকর্ম হিসেবে পানিতে সাঁতার কাটা খুব মজার, আরামদায়ক এবং কাজের। পানিতে হিপ, হাঁটু, পা ও পাছার ওজন কম লাগে। সেজন্য যেসব লোকের হিপ, হাঁটু, পা ও পাছায় ব্যথা রয়েছে তাদের জন্য হাঁটার চেয়ে পানিতে সাঁতার কাটা অনেক কম কষ্টের। যেহেতু সুইমিংপুলে ঘাড়ের নীচ থেকে শরীরের বাকি অংশ কেউ দেখতে পায় না সেজন্য নিজের রুটিন মেনে ব্যায়াম করার জন্য ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখা যায়।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন